নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
ভূমির স্বত্ব সংরক্ষণ ও শান্তিপূর্ণ ভোগদখল বজায় রাখার লক্ষ্যে ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধ এবং দ্রুত প্রতিকার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করা হলেও এটি সাধারণা মানুষের জন্য কতটুকু উপকারে আসবে তা বরাবরই প্রশ্ন রাখে। সাধারণ মানুষকে কি সুবিধা দিকব তার চেয়ে বড় কথা হলো এই আইন কর্পোরেট ভূমি দস্যুদের জন্য বড় কিছু সুবিধা দিচ্ছে।
সরাসরি আলোচনায় আসা যাক:
এই আইনের ১৮ ধারায় কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে বলা হয়েছে। পপ্রথমে ধারাটি হবহু দেখে নেওয়া যাক;
ধারা ১৮ঃকোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন:
এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তি কোনো কোম্পানি বা ফার্ম হইলে, তাহা বাংলাদেশে নিগমিত (incorporated) হউক বা না হউক, উক্ত কোম্পানির মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা উক্ত অপরাধের জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্তরূপ অপরাধ সংঘটন তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উহা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।
ব্যাখ্যা/আলোচনাঃ
কোন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা আইনের অধীনে কোন অরাধ করিলে তারা উক্ত অপরাধের জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন। মানে কোম্পানীর মালিক/পরিচালক বা প্রতিষ্ঠানের কর্তা বা কর্মকর্তা
হিসেবে দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। তবে, তারা যদি প্রমাণ করতে পারেন তাদের অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উহা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন তাহলে মাফ পাবেন। মানে আইনের একটা ফাঁক তাদের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে কারণ আইনের এই ধারার প্রয়োগের ক্ষেত্রে এলিটদের স্বার্থ জড়িত! কর্পোরেট ভূমি দস্যুরা এর ফায়দা নিবেই।
অপরদিকে আইনের ২৪ ধারায় বলা হয়েছে সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সহায়তার কথা।
ধরুন আপনি দখল পাওয়ার আদেশ ফেলেন। সেক্ষেত্রে চাহিদা মোতাবেক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, সংবিধিবদ্ধ সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করিবে কর্তৃপক্ষের চাহিদা মোতাবেক। তবে, এর খরচ আপনাকেই/বিচারপ্রার্থীকেই দিতে হবে এবং কত খরচ হকব তা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত করবে। আর আগেই বলেছি আইনের সংজ্ঞা মোতাবেক "কর্তৃপক্ষ" অর্থে জেলা প্রশাসক, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, ক্ষমতাপ্রাপ্ত আদালত বা অন্য কোনো কর্মকর্তাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।
এই ধারার বিধানের আলোকে অসহায় মানুষের জন্য আইনী প্রতিকার পাওয়াটা একটু দুরূহ হয়ে পড়বে। যার ফলে ভূমি দস্যুদের নিবারণ করা অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে
ধারাটি হবহু দেখা যাক:
২৪। সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সহায়তাঃ
(১) এই আইনের অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের চাহিদা মোতাবেক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, সংবিধিবদ্ধ সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করিবে।
(২) কর্তৃপক্ষ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনবোধে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এজেন্সি বা কারিগরি জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তিকে এক বা একাধিক দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য নিয়োগ করিতে পারিবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন নিয়োগের উদ্দেশ্যে আবশ্যকীয় খরচের পরিমাণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হইবে, যাতা প্রতিকার প্রার্থী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থা অন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রদেয় হইবে।
-- মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( কল করার পূর্বে হোয়াটস্অ্যাপে ম্যাসেজ দিন)
লেখক- আইন বিষয়ক উপন্যাস 'নিরু" এবং 'অসমাপ্ত জবানবন্দী', মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস 'মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'একাত্তরের অবুঝ বালক' ।
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমার এরকম কোনো সমস্যাই নাই। কারণ আমার কোনো জমিজমা নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১২
রবিন.হুড বলেছেন: বাংলাদেশের আইন হচ্ছে মাকড়সার জালের মতো, বড় পোকা মাকড় ছিড়ে বের হয়ে যায় এবং ছোট পোকা মাকড় আটকে যায়।