নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩; টাউট, প্রতারক এবং প্রতারকচক্র মামলা পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছে?

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪


নানান ইতিবাচক ও নেতিবাচক কারণে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে মোবাইল কোর্টকে ক্ষমতা দেওয়া, থানায় মামলা নেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া এসবের পাশিাপাশি আরেকটি বিষয় হচ্ছে আইনজীবীদের পাশ কাটিয়ে টাউট, প্রতারক এবং প্রতারকচক্র মামলা পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়া!

কারণ ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর অবৈধভাবে দখলচ্যুত ব্যক্তির দখল পুনরুদ্ধার এর ৮(৫) ধারায় বলা হয়েছে
অধীন সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি নিজে বা তদকর্তৃক নিয়োজিত যে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করিতে পারিবেন। অথচ, প্রচলিত দেওয়ানী কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধিসহ পদ্ধতিগত সকল আইনের মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবীদের বিষয়টি সুষ্পষ্টভাবে আসলেও এই আইনে অজ্ঞাত কারণে ‘নিয়োজিত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করিতে পারিবেন’ বলে আইনজীবীদের এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে বিচার কার্যক্রমে স্বাভাবিকভাবেই টাউট, প্রতারক এবং প্রতারকচক্রের দৌরাত্ম বাড়বে। কারণ, আদালতের পাশাপাশি নির্বাহী বিভাগকে বিচারের সুযোগ দেওয়ায় সেখানে কে আইনজীবী বা আইনজীবী নয় তা ক্লায়েন্ট কর্তৃক সনাক্ত করা দৃরূহ হয়ে পড়বে এবং ভূমি অফিস/সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস/থানার আশপাশে পায়চারি করা প্রতারক চক্র মামলা শুনানির নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানির এক অবারিত লাইসেন্স পেয়ে যাচ্ছে না তো?

এই ধারায় মূলত কেউ বেআইনীভাবে দখলচ্যুত হলে কিভাবে প্রতিকার পাবেন তা বলা হয়েছে। যা অনেকটা এখন ফৌজদারি কার্য
বিধির ১৪৫ ধারায় গৃহিত পদক্ষেপের মতো। এখানে বলা হয়েছে আদালত কা কর্তৃপক্ষের আদেশ ব্যাতিত দখলচ্যুত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। এখানে বিজ্ঞ আইনজীবী শব্দটা আসাটা জরুরি ছিল। আইন পেশাকে শ্রদ্ধা করে বা আইননাঙ্গনের সহিত সম্পৃক্ত অভিজ্ঞ কোন প্রফেশনাল ব্যক্তি যে ড্রাফটির সহিত যে জড়িত ছিলেন না এটি তারই প্রমাণ বহন করে।


- মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ (এম টি উল্যাহ)
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল লিখেছেন । টাউট বাটপারদের ভাগ্য খুলে যাবে এবার । এদের উন্নতির জন্যই কি এই পরিবর্তন ?



আপনারা কেউ আপিল করুন ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৪

এম টি উল্লাহ বলেছেন: তেমনটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬

বাউন্ডেলে বলেছেন: আইনজীবিদের দ্বারা জিম্মি জনসাধারন এই আইনে উপকৃত হবে।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: থানায় যদি মামলা নেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হয়, তাহলে সর্বনাশের আর কিছু বাকি নেই।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: জমিজমা মামলা হামলা খুবই খারাপ জিনিস। এগুলো মানুষকে ধ্বংস করে দেয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.