নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
অনেকেই প্রশ্ন করেন ফৌজদারি মামলা থাকলে নির্বাচন করা যায় কিনা? আবার অনেকে নির্বাচনী হলফনামায় মামলার কথা উল্লেখ করে কিংবা উল্লেখ না করে বিপদ ডেকে আনেন। এইক্ষেত্রে প্রকৃত সঠিক তথ্য কি এবং করণীয় নিয়ে আজকের আলোচনা।
প্রথমে জেনে নেওয়া প্রয়োজন মামলার বিষয়ে নির্বাচনী আইনের বিধানঃ
নির্বাচনে একজন প্রার্থীর যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিধান রয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ১২ অনুচ্ছেদে ।
এই দুই অনুচ্ছেদে মামলার বিষয়ে বলা হয়েছে প্রার্থী নির্বাচনে অযোগ্য হবেন যদি;
**নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাঁর মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকলে;
**১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীন কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত হয়ে থাকেন;
তাহলে বিষয়টি ক্লিয়ার। মামলা থাকলে সমস্যা নাই কিন্তু কোন ফৌজদারি মামলায় দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে এবং মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকলে নির্বাচন করা যাবে না।
তবে, মামলা থাকলে সে তথ্য গোপন করলেও বিপদে পড়তে পারেন্ এমনকি যদি কোন মামলায় খালাসও পেয়ে থাকেন তা গোপন করলে বিপদ হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রার্থীতা বাতিলের পাশাপাশি শাস্তিও হতে পারে। কারণ, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ১২(৩বি) অনুচ্ছেদ অনুসারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সাথে হলফনামার মাধ্যমে ৮টি তথ্য দিতে হয়। সেটার দুইট তথ্য হলো;
**বর্তমানে কোন ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত আছে কিনা;
**অতীতে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোন ফৌজদারী মামলার রেকর্ড আছে কিনা থাকলে মামলার রায় কি ছিল;
এই দুইটি তথ্য গোপন করা যাবে না। বরং পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দাখিল করতে হবে। যদি হলফনামায় তথ্য গোপন করা হয় সেক্ষেত্রে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুসারে হলফনামার মাধ্যমে কোন প্রার্থী তথ্য প্রদান না করলে অথবা দাখিলকৃত হলফনামায় কোন অসত্য তথ্য প্রদান করলে রিটার্নিং অফিসার স্বীয় উদ্যোগে, অথবা আদেশের ১৪ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত কোন ব্যক্তি কর্তৃক উত্থাপিত আপত্তির প্রেক্ষিতে তৎবিবেচনায় মনোনয়নপত্র বাতিল করতে পারবেন। তাছাড়া, হলফনামায় প্রদত্ত কোন তথ্য মিথ্যা বা ভুল বলে প্রমাণিত হলে তা ১৮৬০ সনের দণ্ডবিধির ১৮১ ধারা অনুযায়ী তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। যার জন্য ৩(তিন) বছরের শাস্তি হতে পারে এবং সাথে অর্থদন্ডও।
-মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
আইনজীবী
০১৭৩৩৫৯৪২৭০
২| ১৪ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৬:৩৩
নাহল তরকারি বলেছেন: প্রার্থী নির্বাচনে আরো সতর্ক থাকতে হবে। যাকে তাকে ভোট দিলে চলবে না।