নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
কারো বিরুদ্ধে সাইবার মামলা হওয়ার খবর শুনলেই সে ব্যক্তি হতবাক হয়ে যায়, দুশ্চিন্তায় ঘুম হারাম হয়ে যায়। কিভাবে জামিন নিবো, কিভাবে রেহাইপাবো বা কীভাবে মামলার অভিযোগ থেকে প্রকৃত সত্য যুক্তি তুলে ধরে রেহাই পাওয়া যাবে।
এমন দুশ্চিন্তায় পড়াটা একেবারেই অমূলক না হলেও ভেঙ্গে পড়া ঠিক না। কারণ, অভিযুক্ত হলেই নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে কেউ অপরাধী। আইনের চোখে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত নিরপরাধ বলে গণ্য। অভিযুক্ত দোষী বা নির্দোষ, সেটি পরে প্রমাণিত হবে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে যেন এ মামলা সুষ্ঠুভাবে মোকাবিলা করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয় সে চেষ্টা করতে হবে।
মনে রাখতে হবে সাইবার মামলা বা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দুই জায়গায় হতে পারে; ১) সরাসরি থানায় এজাহার মূলে; ২) সাইবার ট্রাইবুনালে পিটিশন আকারে।
সরাসরি থানায় এজাহার মূলে হলে দেরী না করে একজন আইনজীবীর সহিত যোগাযোগ করে জামিনের বিষয়ে পরামর্ গ্রহণ করুন। আর সাইবার ট্রাইবুনালে পিটিশন আকারে হলে আগে জানতে হবে মামলাটা কোন ধাপে আছে। সাইবার ট্রাইবুনালে পিটিশন আকারে মামলার ক্ষেত্রে সরাসরি ওয়ারেন্ট নাও হতে পারে। মামলা তদন্তে পাঠালে সেক্ষেত্রে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হওয়ার পর আপনার কাজ। তবে হ্যাঁ, এই ক্ষেত্রেও অবশ্যই আইনজীবীর শরণাপন্ন হয়ে কিভাবে বিষয়টি নিয়ে পজিটিভলি অগ্রসর হওয়া যায়, তদন্ত কর্মকর্তার কাছে আপনার যুক্তিগুলো কিভাবে উপস্থাপন করা যায় সে বিষয়ে আলাপ করতে পারেন।
যাইহোক, মামলায় ওয়ারেন্ট হলে বা সিরাসরি এজাহার হলে অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করে কিংবা গ্রেফতার হলে জামিন চাইতে পারেন। অনেক সময় হাইকোর্ট বিভাগে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে আগাম জামিন চাইতে দেখা যায়। হাইকোর্ট বিভাগ আগাম জামিন সাধারণত নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত দিয়ে থাকেন। এ মেয়াদের মধ্যেই নিম্ন আদালতে গিয়ে জামিননামা সম্পাদনের জন্য আবেদন করতে হবে।
জামিন নেওয়ার চেষ্টার পাশাপাশি অভিযোগপত্র দাখিল করার আগে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে আপনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে, তা যথাযথ নয় প্রমাণের চেষ্টা করুন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগটির সত্যতা না পেলে আপনাকে নির্দোষ দেখিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবেন। চার্জশিট বা অভিযোগপত্র হয়ে গেলে আপনার মামলাটি বিচারিক আদালতে/ ট্রাইবুনালে বদলি হবে। অভিযোগ গঠনের দিন আপনাকে হাজির হয়ে নতুন করে পূর্বশর্তে জামিন চাইতে হবে এবং জামিননামা সম্পাদন করতে হবে। তখন আপনি মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন করতে পারেন। অব্যাহতির আবেদন নাকচ হলে উচ্চ আদালতে প্রতিকার চাইতে পারেন।
যদি এমন হয় যে আপনি জানতে পারলেন না, আপনার বিরুদ্ধে এজাহার হয়েছে। পুলিশ এসে আপনাকে গ্রেপ্তার করল। আপনাকে থানায় নিয়ে গেল। গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। তখন আপনার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করতে হবে। যদি রিমান্ড চায় পুলিশ, তাহলে আপনার আইনজীবীর উচিত হবে রিমান্ড বাতিলের জন্য আবেদন করা। যদি জামিন দেন আদালত, তাহলে একজন পরিচিত জামিনদারের জিম্মায় আপনার জামিননামা সম্পাদন করতে হবে। যদি জামিন না হয়, তাহলে পর্যায়ক্রমে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে হবে।
আর আপনি কোনো কারণে আদালতে হাজির না হলে আপনার নামে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি হতে পারে। এতে হাজির না হলে আপনার মালামাল ক্রোকের আদেশ হতে পারে এবং আপনার অনুপস্থিতিতেই বিচার হতে পারে। তাই মামলা হলেই আপনি অপরাধী নয়, আইনের সহায়তা নিন।
-- মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( কল করার পূর্বে হোয়াটস্অ্যাপে ম্যাসেজ দিন)
লেখক- আইন বিষয়ক উপন্যাস 'নিরু" এবং 'অসমাপ্ত জবানবন্দী', মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস 'মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'একাত্তরের অবুঝ বালক' ।
২| ২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: দেশের আইন সম্পর্কে কিছুই জানি না।
২৮ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২
এম টি উল্লাহ বলেছেন: আস্তে আস্তে জানবেন ইনশাআল্লাহ
৩| ২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:২০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: দারুণ আইনি পরামর্শের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২৮ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২
এম টি উল্লাহ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
৪| ২৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:০৮
বুনোগান বলেছেন: যে মিথ্যা অভিযোগ করেছে সে কেন অভিযোগটির সত্যতা প্রমাণ করবে না? বিবাদীকে কেন হয়রানি হতে হবে?
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:০২
শাওন আহমাদ বলেছেন: আইনের সঠিক ব্যবহার হলে, তবেই না মুক্তি!