নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
কোনো দাবি বা অধিকার বিষয়ে দু’টি পক্ষের মধ্যে মতদ্বৈধতা দেখা দিলে আদালতের মাধ্যমে যেমন বিরোধের নিষ্পত্তি হয়, এর পাশাপাশি সালিসের মাধ্যমে আইনগতভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। যেটাকে আর্বিট্রেশন/সালিশ বলে। এটির উদ্দেশ্য হচ্ছে সহজে এবং দ্রুততার সহিত ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা। দেশে ২০০১ সালে নতুন সালিস আইন প্রণীত হয় এবং সর্বশেষ তা ২০০৪ সালে সংশোধিত হয়। পূর্বে দেওয়ানি বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সালিস আইন ১৯৪০ কার্যকর ছিল।
আর্বিট্রেশন/সালিশ এর বিষয় মূলত লিখিত চুক্তি থেকে উদ্ভব হয়। যেমন আপনার সাথে ডেভেলপারের কোন চুক্তি হলে সেখানে যদি বিরোধ সৃষ্টি হয় এবং সে চুক্তিতে আর্বিট্রেশন ক্লজ থাকলে তার জন্য প্রথম আইনী পদক্ষেপ হলো আর্বিট্রেশন/সালিশ। সংক্ষুদ্ধ পক্ষ সালিশে নিষ্পত্তির জন্য আইনজীবী মারফত একজন সালিশকারীর নাম প্রস্তাব করে অপর পক্ষকে ৩০ দিনের মধে্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সালিশদার/আর্বিট্রেটর নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তাাতে সম্মত হলে দুই পক্ষে আর্বিট্রেপর মিলে তৃতীয় একজন আর্বিট্রেটর নিয়োগ দেন এবং যিনি চেয়ারম্যান আর বাকি দুইজন সদস্য হিসাবে বিষয়টি সমাধান করবেন।
কোন পক্ষ আর্বিট্রেশন/সালিশে সম্মত না হলে সংক্ষুদ্ধ পক্ষ আদালতে ( দেশীয় ক্ষেত্রে জেলা জজ) সালিস আইন ২০০১ এর ১২ ধারার বিধান মোতাবেক আর্বিট্রেটর নিয়োগ করে ট্রাইবুনাল গঠনের দরখাস্ত দিতে পারে। অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজদের সমন্বয়ে সাধারণত ট্রাইবুনাল গঠিত হয় এবং সেখালে সালিশ পরিচালিত হয়।
সালিসি ট্রাইব্যুনালের জন্য বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে দেওয়ানি কার্যবিধি এবং সাক্ষ্য আইনের বিধানাবলি যথাযথ অনুসরণ বাধ্যতামূলক নয়। সালিসি ট্রাইব্যুনালের বরাবর পক্ষগণ ট্রাইব্যুনালের ধার্য করা সময়ের মধ্যে নিজ নিজ দাবিনামা এবং তদসমর্থনে দলিলপত্র দাখিল করে থাকে; তবে কার্যধারা চলাকালীন পক্ষগুলোর দাবি সংশোধন বা সংযোজনের বিধান রয়েছে। সালিসি ট্রাইব্যুনালে অন্তর্ভুক্ত একজন সালিসকারের কর্তৃত্বের অবসান ঘটে, যদি তিনি নিজ পদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন অথবা মারা যান। এরূপ ক্ষেত্রে আদালত নতুন সালিসকার নিয়োগ দেয়।
সালিসি ট্রাইব্যুনালের ঘোষিত রোয়েদাদ দিয়ে যেকোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হলে রোয়েদাদ ঘোষণার ৬০ দিনের মধ্যে তা বাতিলের জন্য জেলা জজ আদালতে আবেদন করতে পারে।
আর্বিট্রেশন/সালিশ এর নোটিশ পেলে করণীয় হলো অপর পক্ষের সহিত যোগাযোগ করে বিষয়টি নিয়ে আর্বিট্রেটর নিয়োগ করে সমাধান করা কিংবা মামলা হলে মামলায় প্রতিধন্ধিতা করা। অন্যথায়, আপনি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। আর্বিট্রেশন/সালিশ এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ অনানুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টির সমাধান করার চেষ্টা করা হয় এবং এতে সময় কম লেগে থাকে। ফলে, সকল পক্ষের জন্য উইন-উইন সিচুয়েশন তৈরী হয় বলে মনে করা হয়। যদিও, বাস্তবে আর্বিট্রেশন ট্রাইবুনালের ক্ষেত্রে অনেকে আস্থা রাখতে পারেন না পক্ষপাততুষ্ট আচরণের কারণে।
-মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( কল করার পূর্বে হোয়াটস্অ্যাপে ম্যাসেজ দিন)
লেখক- আইন বিষয়ক উপন্যাস 'নিরু" এবং 'অসমাপ্ত জবানবন্দী', মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস 'মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'একাত্তরের অবুঝ বালক' ।
১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:২১
এম টি উল্লাহ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:২০
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৩১
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: কাজের পোষ্ট! অনেক ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্ট টির জন্য।