নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
ভূমি বা জায়গা সম্পত্তি নিয়ে দেওয়ানী মামলা করার আগে নিয়োজিত আইনজীবীর নালিশী ভূমি/সম্পত্তিটি সরেজমিনে পরিদর্শনের নজির তেম দেখা যায় না। গতাণুগতিকভাবে চেম্বারে বসে কাগজপত্রের আলোকে মামলার আরজী তৈরী করাই প্রথা হয়ে গিয়েছে। আইনজীবীদের প্রফেশনাল ব্যস্ততা এবং মোয়াক্কেলের বিষয়টির গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা না থাকায় বিষয়টি বাস্তবে রূপ নেয় না। সম্পত্তির হিস্যা নির্ণয়, দখল উদ্ধার, বাটোয়ারা, চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রভূতি দেওয়ানী মামলার ক্ষেত্রে নিয়োজিত আইনজীবীকে যদি নালিশী ভূমিটি পরিদর্শনে নিয়ে নেওয়া যায় সেক্ষেত্রে মামলার মুসাবিদা/আরজী তৈরীতে শুধু সহায়ক নয় বরং প্রকৃত পয়েন্ট তুলে ধরা সম্ভব হয়ে থাকে।
কারণ আরজীতে যদি আপনার প্রার্থিত প্রতিকার বাস্তবতার আলোকে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে মামলা করে হিতে বিপরীতও হতে পারে। তড়িগড়ি করে মামলা করার জন্য মামলা করাটা ভয়ংকর বিপদের। এতে সাময়িকভাবে আপনি প্রতিকার ফেলেও চুড়ান্ত বিবেচনায় আপনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যেতে পারেন। কারণ বিচার প্রক্রিয়ায় এমন কিচু বিষয় আছে যা সাধারণ মানুষ হিসাবে আপনার মাথায় আসবে না। একজন আইনজীবীকে ড্রাফট/মুসাবিদা করার সময় মামলার চুড়ান্ত ফলাফল কি হবে তা মাথায় রেখে কাজ করতে হয়। যেমন, মামলা চলাকালীন সময়ে অপর পক্ষ দখল নিয়ে স্থানীয় তদন্তের দরখাস্ত দিলো এবং সেক্ষেত্রে আপনার কাগজের কথা আর বাস্তবতার চিত্রের ফলাফল যদি ভিন্নতর হয় সেক্ষেত্রে ন্যায় বিচার পাওয়া আপনার জন্য স্বাভাবিকভাবে দুরূহ হয়ে পড়বে। এমন অসংখ্য বাস্তবতার উদাহরণ দেওয়া যায় ।
এখন প্রশ্ন হলো আইনজীবীরা সেরেজমিনে নালিশী ভূমি পরিদর্শনে যায় না কেন?
বিষয়টি স্বাভাবিক। কারণ, কোন মোয়াক্কেল আইনজীবীদের নালিশী ভূমিটি পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানান না। আর বাড়তি ফি দেওয়ার কথা বিবেচনা করে বা প্রফেশনাল ব্যস্ততার কারণেও আইনজীবীরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারেন। সবচেয়ে বড় কথা এটার প্র্যাকটিস না থাকায় অনেকে এমনটি করাকে সেকেলেও মনে করেন বা স্বশরীরে উপস্থিত থাকাটাকে ইগো সমস্যাও মনে করেন। আর দেওয়ানী মামলা করার ক্ষেত্রে অস্থিরতা পরিহার করাই উত্তম। মামলা করাটাই মুখ্য না বরং মামলায় প্রকৃত সত্য উপস্থাপন ও উৎঘাটন হচ্ছে কিনা সেই দিকে গুরুত্বারোপ করাটাই উত্তম।
মূল কথা হলো, সম্ভব হলে আইনজীবীকে নিয়ে স্থানীয় আমিনের সহায়তা নিয়ে মামলা করার আগে নালিশী জমিটি পরিদর্শনের ব্যবস্থা করুন। আমিন দ্বারা পরিমাপের পরিস্থিতি না থাকলে অন্তত স্বচক্ষে পরিদর্শনটা হলেও করা উচিত। দেওয়ানী মামলার আরজী ঠিক থাকলে এবং সেই আলোকে আদালতের নিকট প্রকৃত চিত্র উপস্থাপন করতে পারলে ন্যায় বিচার পাওয়া খুবই সহজতর হয়। সবচেয়ে বড় কথা, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ন্যায় আইনও প্রয়োগিক বিষয়, সব সময় তত্ত্ব নির্ভর নয়।
-- মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( কল করার পূর্বে হোয়াটস্অ্যাপে ম্যাসেজ দিন)
লেখক- আইন বিষয়ক উপন্যাস 'নিরু" এবং 'অসমাপ্ত জবানবন্দী', মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস 'মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'একাত্তরের অবুঝ বালক' ।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২৫
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৬
কিরকুট বলেছেন: উকিলরা কেস ধরতে পারলে হলো । এক কেস দিয়ে তাদের নাতিপুতির জীবন কাটিয়ে দেবার ব্যাবস্থা করে নেয় ।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২৬
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ভালো বলেছেন!
৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: এত এত আইন মনে রাখবো কি করে?
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২৪
এম টি উল্লাহ বলেছেন: চেষ্টা করলে সম্ভব!
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৪২
নাহল তরকারি বলেছেন: সুন্দর উপদেশ।