নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
সাধারণত দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ সমূহ সংঘঠিত করলে দুদকের মামলা হয়ে থাকে। কিন্তু এমন কিছু বিষয় রয়েছে যার কারণেও আপনি নিজের অজ্ঞাতে না বুঝে দুদকের মামলায় সম্পৃক্ত হয়ে পড়তে পারেন। সে বিষয়গুলো আলোচনা করার আগে দেখে েনেওয়া যাক দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ কোনগুলো।
দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধের মধ্যে রয়েছে:
১. সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ বা উপঢৌকন নেওয়া।
২. বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক যদি বেআইনিভাবে নিজ নামে কিংবা বেনামে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন।
৩. ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, সরকারি কর্মচারী এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মরত কর্মচারি যদি সরকারি অর্থ বা সম্পত্তি আত্মসাৎ কিংবা ক্ষতি সাধন করেন।
৪. সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি অনুমতি ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করেন।
৫. সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যদি কোনো অপরাধীকে শাস্তি থেকে রক্ষার চেষ্টা করেন।
৬. দুর্নীতি ও ঘুষ থেকে উদ্ভূত অর্থ পাচারসংক্রান্ত অপরাধ।
৭. ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, সরকারি কর্মচারী এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীর প্রতারণা জাল-জালিয়াতি ইত্যাদি কাজ।
দুর্নীতি না করেও যেসব কারণে দুদকের মামলায় ফেঁসে যেতে পারেনঃ
ক) আপনাকে যদি কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে দায়-দায়িত্বের বিবরণ দাখিলের জন্য কোন নোটিশ করলে তার প্রেক্ষিতে দাখিলকৃত বিবরণীতে যদি কোন সম্পত্তি গোপন করা হয় সেক্ষেত্রে দুর্নীতির অপরাধে সম্পৃক্ত হয়ে যেতে পারেন;
খ) দাখিলকৃত বিবরণীতে যদি কোন সম্পত্তির মূল্য কম দেখানো হয় সেক্ষেত্রেও দুদক মামলা করতে পারে;
গ) আপনার দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নের অজ্ঞাতবশত যদি কোন স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিবরণ না উল্লেখ করা হয়;
ঘ) অর্জিত সম্পত্তির প্রকৃত মূল্য গোপন করা প্রেক্ষিতে;
ঙ) নির্বাচনী হলফনামার সহিত আয়কর রির্টানের গরমিল পরিলক্ষিত হইলে;
চ) অফিসিয়াল কোন ফাইলে না দেখে, বুঝে শুনে স্বাক্ষর বা অনুমোদন করলে (বিশেষ করে ব্যাংক ঋণ বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প অনুমোদন)
ছ) আর্থিক ট্রান্সজেকশনের ক্ষেত্রে অসর্তকতা বা ব্যাংকিং নিয়ম প্রতিপালন না করলে;
জ) সম্পাদিত লেনদেনের বিবরণী ট্র্যাক্স ফাইলে না আনলে আপনি দুর্নীতির অপরাধে সম্পৃক্ত হয়ে যেতে পারেন।
এসগুলো অনেকক্ষেত্রে সচেতনতার অভাবেও হয়ে থাকে। তড়িগড়ি করতে গিয়ে কিংবা বিষয়গুলোকে গুরুত্ব না দেওয়ার ফলেও হয়ে থাকে। দুদকের মামলার প্রকৃতি এমনই, যে কাউকে খুব সহজেই জড়িত করে ফেলা সম্ভব হয়। তাই ট্যাক্স ফাইল, আর্থিক লেনদেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ পালনের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূলকথা হলো, আপনি দুর্নীতি না করলেও অসর্তকতার কারণে দুদকের মামলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন।
-আইনজীবী মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
[email protected]
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৩
এম টি উল্লাহ বলেছেন: সর্ষের মধ্যে ভূত!
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০২
রাজীব নুর বলেছেন: দুদক তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করছে না। চারিদিকে অংখ্য দূর্নীতিবাজ। দুদজ তাদের ধরছে না।