নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় সম্পৃক্ততা প্রমাণ পাওয়ায় বিতর্কিত ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
৩০০ পৃষ্ঠার রায় পাঠকালে তাদের দুজনের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল।
নির্মম ও আলোচিত হত্যাকাণ্ডের ১৮ মাসের মাথায় রায় ঘোষণা হচ্ছে আজ। বিচারিক কার্যক্রম শুরু করে মাত্র ৩৩ কার্যদিবসে শেষ হয়েছে মামলাটির পরবর্তী কাজ।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত সৃষ্টির ৩৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম এত দ্রুত কোনো হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। এর আগে হত্যা কিংবা ফৌজদারি কোনো মামলায় এত বিপুল সংখ্যক সাক্ষী নেওয়ার নজির নেই। তেমনটি নজির নেই এত স্বল্প সময়ে চার্জগঠন, শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা।
হত্যাকাণ্ডের চারদিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে হত্যা মামলা করেন। মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে। ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশকে করা হয় দুই নম্বর আসামি। মামলার তিন নম্বর আসামি বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত। কক্সবাজারের র্যাব-১৫ মামলাটির তদন্তভার পায়।
ওই বছরের ৭ আগস্ট মামলার আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তদন্তে নেমে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিন বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও ওসি প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও সাতজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর ২০২১ সালের ২৪ জুন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেবের আদালতে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আলোচিত এই মামলার ১৫ আসামির সবাই আইনের আওতায় আসেন।
এ মামলায় চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৮৩ জন সাক্ষীসহ অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৫ জনকে আসামি করে দায়ের করা অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি পরিকল্পিত ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার ১৫ আসামি হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব, বরখাস্ত এপিবিএনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ। এছাড়া রয়েছেন টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন
রায়ে টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেবের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। বাকি সাতজন আসামি খালাস পেয়েছেন
২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: গুড নিউজ।
৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫
শাহ আজিজ বলেছেন: খুব দ্রুত সময়ে রায় হল ।
৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৩
নতুন বলেছেন: রায় নিয়ে আপনার বিশ্লেষনও যোগ করুন তাহলে আইনি দিক গুলি আরেকটু পরিস্কার ধারনা পাবো আমরা।
ফাসীর দন্ডপ্রপ্তদের অপরাধ কি প্রমানিত? তাদের উচ্চ আদালতে খালাসের সম্ভবনা কতটুকু?
২৪ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বেশ, এবার দেখা যাক রায় কবে কর্যকর হয়।
৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ন্যায় বিচার হবে না এটা আগেই জানতাম।
বিচার অবিশ্বাস্য দ্রুততার সাথে হয়েছে। হতেই হবে।
শেখ হাসিনা কখনও চাইবেনা নিজ দেহরক্ষীর দলকে খেপিয়ে তুলতে।
কিন্তু বোকা বাঙালি কিছুই বুঝল না।
৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৩৯
সোবুজ বলেছেন: আমি মৃত্যু দন্ডের বিপক্ষে।জাবত জীবন কারাদন্ড দিতে পারে।পৃথীবির অনেক দেশেই মৃত্যু দন্ড নাই।
৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:৪৬
গোলাম মোস্তফা খোকন বলেছেন: যদিও আমি মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে নই, কিন্তু ওসি প্রদীপ বা লিয়াকত গং ধারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর কথা চিন্তা করলে কিংবা তাদের অবস্থানে নিজেকে দাড় করালে মনে হয় শুধুমাত্র মৃত্যুদণ্ড এদের ন্যায্য শাস্তি হতে পারে না, অনেকটা ' World is not Enough' এর মত । আর এজাতীয় লোকের কাছে জলজ্যান্ত একজন মানুষকে মুহূর্তে নাই করে দেয়া অর্থাৎ জীবন মৃত্যু এদের কাছে খুব বড় কোন বিষয়ই না।
উপরে উল্লেখিত রায় মোতাবেক শাস্তি, যদি সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে কার্যকর হয় (***সম্ভাবনা ?), তার সাথে অপরাধী প্রত্যেকের ধারা অর্জিত অবৈধ সম্পদের (স্তাবর/অস্থাবর) যতটুকু উদ্ধার করা সম্ভব, তা এনে রাষ্ট্রীয় কোশাঘারে জমা দেয়া হয়, তবেই বলা যাবে ন্যায্য বিচার হয়েছে। এর এক কানাকড়িও কম হলে, এটাকে ন্যায় বিচার বলা যাবেনা।
২৪ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: দ্রুত রায় কার্যকর করা হোক, এদের পাপ সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিলো ।