নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
সাম্প্রতিক ডা. মুরাদ হাসানকে কেন্দ্র করে সংসদ সদস্য পদ যেভাবে শূন্য/বাতিল হয় সে সংক্রান্তে আইনী বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এবং আমরা আইনের আলোকে বিষয়টি পর্যালোচনার চেষ্টা করবো।
প্রথমে জেনে নেই, সংসদ সদস্য পদ কেন বাতিল হয়?
বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ ও ৭০ অনুচ্ছেদে সংসদ সদস্য পদ কেন বাতিল হয় তার আলোচনা করা হয়েছে।
সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি কোনো আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ ও দেউলিয়া ঘোষিত হলে, বিদেশি রাষ্ট্রের আনুগত্য স্বীকার করলে, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত হলে, প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে থাকলে এবং ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দল থেকে পদত্যাগ করলে বা সংসদে দলের বিপক্ষে ভোট দিলে তাঁর সদস্যপদ শূন্য হতে পারে।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়ে কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি যদি ওই দল থেকে পদত্যাগ করেন অথবা সংসদে ওই দলের বিপক্ষে ভোট দেন, তাহলে সংসদে তাঁর আসন শূন্য হবে। কিন্তু দল যদি কাউকে বহিষ্কার করে সে ক্ষেত্রে কী হবে, সংবিধানে তার উল্লেখ নেই।
তবে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুসারে কোন সংসদ-সদস্যের আসন শূন্য হইবে কিনা, সে সম্পর্কে কোন বিতর্ক দেখা দিলে শুনানী ও নিষ্পত্তির জন্য প্রশ্নটি নির্বাচন কমিশনের নিকট প্রেরিত হইবে এবং অনুরূপ ক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।’
সংসদে নির্বাচিত হইবার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা নিয়ে সংবিধানের ৬৬ নং অনুচ্ছেদে আলোচনা করা হয়েছে। যথা-
৬৬। (১) কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হইলে এবং তাঁহার বয়স পঁচিশ বৎসর পূর্ণ হইলে এই অনুচ্ছেদের (২) দফায় বর্ণিত বিধান-সাপেক্ষে তিনি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ-সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন।
(২) কোন ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ-সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি
(ক) কোন উপযুক্ত আদালত তাঁহাকে অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করেন;
(খ) তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন;
(গ) তিনি কোন বিদেশী রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোন বিদেশী রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন;
(ঘ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অনূ্যন দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাঁহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে;
১[ ***]
২[ (ঙ) তিনি ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীন যে কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইয়া থাকেন;
(চ) আইনের দ্বারা পদাধিকারীকে অযোগ্য ঘোষণা করিতেছে না, এমন পদ ব্যতীত তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন; অথবা]
(ছ) তিনি কোন আইনের দ্বারা বা অধীন অনুরূপ নির্বাচনের জন্য অযোগ্য হন।
৩[ (২ক) এই অনুচ্ছেদের (২) দফার (গ) উপ-দফা তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হইয়া কোন বিদেশী রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করিলে এবং পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তি-
(ক) দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে, বিদেশী রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ত্যাগ করিলে; কিংবা
(খ) অন্য ক্ষেত্রে, পুনরায় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করিলে-
এই অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য সাধনকল্পে তিনি বিদেশী রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন না।]
৪[ (৩) এই অনুচেছদের উদ্দেশ্য সাধনকল্পে কোন ব্যক্তি কেবল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, ডেপুটি স্পীকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপ-মন্ত্রী হইবার কারণে প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত বলিয়া গণ্য হইবেন না।]
(৪) কোন সংসদ-সদস্য তাঁহার নির্বাচনের পর এই অনুচ্ছেদের (২) দফায় বর্ণিত অযোগ্যতার অধীন হইয়াছেন কিনা কিংবা এই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুসারে কোন সংসদ-সদস্যের আসন শূন্য হইবে কিনা, সে সম্পর্কে কোন বিতর্ক দেখা দিলে শুনানী ও নিষ্পত্তির জন্য প্রশ্নটি নির্বাচন কমিশনের নিকট প্রেরিত হইবে এবং অনুরূপ ক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।
(৫) এই অনুচ্ছেদের (৪) দফার বিধানাবলী যাহাতে পূর্ণ কার্যকরতা লাভ করিতে পারে, সেই উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতাদানের জন্য সংসদ যেরূপ প্রয়োজন বোধ করিবেন, আইনের দ্বারা সেইরূপ বিধান করিতে পারিবেন।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,
৭০। কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরুপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি-
(ক) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা
(খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন,
তাহা হইলে সংসদে তাঁহার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোন নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এ আদেশেরে আলােকে সব কারণে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থীতা বাতিল হতে পারে সে সব কারণের উদ্ভব হলেও সংসদ সদস্য পদে অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন একজন সংসদ সদস্য।
সাংবিধানিক পদের শপথ ভঙ্গের পরিণতি
সাংবিধানিক পদধারীদের মধ্যে সংবিধানের তৃতীয় তফসিলে যে সব পদধারীর উল্লেখ রয়েছে তারা সবাই শপথের অধীন। এ সব পদধারী কোনো পদে নির্বাচিত বা নিযুক্ত হওয়া পরবর্তী শপথ গ্রহণ ব্যতিরেকে পদে আসীন হন না। সাংবিধানিক পদধারীদের মধ্যে যারা শপথের অধীন তারা হলেন- রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ সদস্য, প্রধান বিচারপতি বা বিচারক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা নির্বাচন কমিশনার, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য। অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবিধানিক পদধারী হলেও তিনি শপথের অধীন নন। আর তাই নিয়োগ পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেলের শপথ পাঠের আবশ্যকতা দেখা দেয় না।
সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হওয়া পরবর্তী যে শপথ পাঠ করেন তাতে তাদের পাঠ করতে হয়- তারা বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করবেন। তারা যে কার্যভার গ্রহণ করতে যাচ্ছেন, তা আইন অনুযায়ী বিশ্বস্ততার সাথে পালন করবেন এবং সংসদ সদস্যরূপে তাদের কর্তব্য পালনকে ব্যক্তিগত স্বার্থে প্রভাবিত হতে দেবেন না। সাংবিধানিক পদধারীদের মধ্যে যারা শপথের অধীন কি কি কারণে তাদের শপথ ভঙ্গ হয় এ বিষয়ে সংবিধানে কোনো কিছু বলা না থাকলেও একজন শপথধারী ব্যক্তি কর্তৃক শপথের ব্যত্যয়ে কোনো কিছু করাকে ভাবার্থগতভাবে (ইমপ্লিকেশন) শপথ ভঙ্গ বোঝায়। একজন সাংবিধানিক পদধারীর শপথ ভঙ্গ সংবিধান লঙ্ঘনের সমার্থক।
সংসদ একজন সাংবিধানিক পদধারী সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন কি না অথবা তার শপথের পরিপন্থী কোনো কাজ করেছেন কি না অথবা শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যরে কারণে দায়িত্ব পালনে অপরাগ কি না এর যেকোনো বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান অনুসরণপূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত; তবে এরূপ একজন সাংবিধানিক পদধারীকে পদ থেকে অপসারণ করতে হলে সিদ্ধান্তটি সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদিত হওয়ার আবশ্যকতা রয়েছে। তা ছাড়া দেশের সর্বোচ্চ আদালত কোনো মামলা সংশ্লেষে যদি সিদ্ধান্ত দেয়- উপরোক্ত যেকোনো পদধারী সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন অথবা তার শপথের পরিপন্থী কোনো কাজ করেছেন অথবা শরীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যরে কারণে দায়িত্ব পালনে অপারগ, সে ক্ষেত্রে সংসদের পক্ষে তা অবজ্ঞা বা উপেক্ষা করার সুযোগ ক্ষীণ।
সংবিধান বা দেশের প্রচলিত আইনের কোথাও অসদাচরণ বা গুরুতর অসদাচরণের কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি; যদিও সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ১৯৮৫-তে অসদাচরণ বলতে- অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এমন আচরণকে বোঝানো হয়েছে যা একজন কর্মকর্তা অথবা ভদ্রলোকের পক্ষে অনুচিত।
একজন সাংবিধানিক পদধারীর স্বপঠিত শপথের পরিপন্থী অথবা শপথের সাথে সাংঘর্ষিক যেকোনো কাজ আইনের দৃষ্টিতে অসদাচরণ বা গুরুতর অসদাচরণ। সংবিধান একজন সাংবিধানিক পদধারীর গুরুতর অসদাচরণকে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছে। এরূপ গুরুতর অসদাচরণ সংবিধান লঙ্ঘনের সমার্থক। ( শপথ ভঙ্গের পরিণতি বিষয়টি ইকতেদার আহমেদ, সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক এর একটি কলাম থেকে সংক্ষেপিত) ।
তাহলে, আমরা দেখতে পাচ্ছি- একজন সাংবিধানিক পদধারীর স্বপঠিত শপথের পরিপন্থী অথবা শপথের সাথে সাংঘর্ষিক যেকোনো কাজ আইনের দৃষ্টিতে অসদাচরণ বা গুরুতর অসদাচরণ। সংবিধান একজন সাংবিধানিক পদধারীর গুরুতর অসদাচরণকে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছে বিধায় সংসদ চাইলে উক্ত সাংবিধানিক পদধারীকে পদ থেকে অপসারণ করতে হলে সিদ্ধান্তটি সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদিত হওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে। অপরদিকে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্ব-প্রণোদিতভােবে কিংবা কারো আবেদনে (সাধারণত রীট করলে) যদি সিদ্ধান্ত দেয়- উপরোক্ত যেকোনো পদধারী সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন অথবা তার শপথের পরিপন্থী কোনো কাজ করেছেন অথবা শরীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যরে কারণে দায়িত্ব পালনে অপারগ তাহলেও তিনি পদ হারাতে পারেন।
তাহলে ডা. মুরাদ কি এমপি পদ হারাচ্ছেন ?
এর আগে দশম সংসদে ২০১৪-২০১৫ সালে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বিতর্কিত মন্তব্য করে ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন সাবেক সাংসদ আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তাঁর প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করেছিল আওয়ামী লীগ। তখন প্রশ্ন উঠেছিল, তাঁর সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি না, কারণ তিনি আওয়ামী লীগ থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
দল থেকে বহিষ্কারের পর লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের সুপারিশ করে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তখন লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) চিঠি দেন স্পিকার। পরে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগ ও লতিফ সিদ্দিকীর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল।
ইসিকে দেওয়া ব্যাখ্যায় লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছিল আওয়ামী লীগ। দলটির সেই চিঠিতে বলা হয়েছিল, ‘লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনে বলা হয়েছে, প্রার্থী মানে দল কর্তৃক মনোনীত বা স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ব্যক্তি। অর্থাৎ রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীর স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নির্বাচনের আগে ও পরে নেই। দলের সকল পদ থেকে বহিষ্কার হওয়ায় বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের কেউ নন। যে কারণে তিনি সংসদ সদস্য পদে থাকার আইনগত অধিকার হারিয়েছেন।’
অবশ্য শেষ পর্যন্ত ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে গিয়ে নিজেই সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন লতিফ সিদ্দিকী। ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর লতিফ সিদ্দিকীর আসনটি শূন্য হওয়ার বিষয়টি সংসদকে অবহিত করেন স্পিকার।সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ বা জেলা কমিটির দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সঙ্গে সংসদ সদস্য পদ থাকা না থাকার সম্পর্ক নেই। তবে দল থেকে যদি তাঁকে খারিজ করে দেওয়া হয়, তখন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের প্রসঙ্গ আসবে। তিনি যে দলের পরিচয়ে নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়েছেন, সে দল যদি তাঁকে দল থেকে বের করে দেয়, তাহলে ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদে তাঁর সদস্য পদ থাকার কথা নয়। এ রকম পরিস্থিতি হলে সেটা নির্বাচন কমিশনে যাবে। নির্বাচন কমিশন ৭০ অনুচ্ছেদের আওতায় সিদ্ধান্ত নেবে।
অবশ্য দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরও সংসদ সদস্য পদে বহাল থাকার নজির আছে। সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে অষ্টম জাতীয় সংসদে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সাংসদ আবু হেনাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি। তখন আবু হেনার সংসদ সদস্য পদ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন তৎকালীন স্পিকার। ( সূত্র- প্রথম আলো)
তার মানে এখানে দুইটি বিষয় জড়িত। প্রথমত , তাকে শুধু মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ বা জেলা কমিটির দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সঙ্গে সংসদ সদস্য পদ থাকা না থাকার সম্পর্ক নেই। দল থেকে যদি তাঁকে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও খারিজ করে দেওয়া হয়, তখন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের প্রসঙ্গ আসবে । দ্বিতীয়ত, কোন সংসদ-সদস্য তাঁহার নির্বাচনের পর এই সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২) দফায় বর্ণিত অযোগ্যতার অধীন হইয়াছেন কিনা কিংবা এই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুসারে কোন সংসদ-সদস্যের আসন শূন্য হইবে কিনা, সে সম্পর্কে কোন বিতর্ক দেখা দিলে শুনানী ও নিষ্পত্তির জন্য প্রশ্নটি স্পীকার কর্তৃক নির্বাচন কমিশনের নিকট প্রেরিত হইবে এবং অনুরূপ ক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে ।
সুতরাং, ডা. মুরাদ হাসান এমপি পদে থাকছেন কিনা সেটা তার দল থেকে যদি তাঁকে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও খারিজ করছে কিনা সেটার উপর নির্ভর করছে এবং নির্বাচন কমিশনের নিকট এমন প্রশ্ন প্রেরিত হলে অনুরূপ ক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে । অন্যদিকে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্ব-প্রণোদিতভােবে কিংবা কারো আবেদনে (সাধারণত রীট করলে) যদি সিদ্ধান্ত দেয়- উপরোক্ত সাংসদ সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন অথবা তার শপথের পরিপন্থী কোনো কাজ করেছেন অথবা শরীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যরে কারণে দায়িত্ব পালনে অপারগ তাহলেও তিনি পদ হারাতে পারেন।
-মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ (এম টি উল্যাহ)
আইনজীবী
০১৭৩৩৫৯৪২৭০
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১০
এম টি উল্লাহ বলেছেন: দুঃখজনক
২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৬
বংগল কক বলেছেন:
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১১
এম টি উল্লাহ বলেছেন: সূত্র??
৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুরাদের সমস্যা টা কি?
সে কি হত্যা করেছে না ধর্ষণ করেছে? না।
কি দুর্নিতি করেছে? না।
তার নামে কি মামলা আছে? না
একটা মানুষ মদ বেশী গিললে তাকে উষ্কানি দিয়ে আজেবাজে কথা বলানো যায়, সেটারই সুযোগ নিয়েছে কুচক্রিরা।
আওমীলিগ তাকে বহিষ্কার করেছে সংগতকারনে। এত টা নির্বোধ স্টুপিড আওমীলিগে দরকার নেই।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৪
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০১
জ্যাকেল বলেছেন: মুরাদের সমস্যা হইতেছে সে ভিন্ন রাষ্ট্রের চরমপন্থীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেছিল। আর এইদিকে সে নিজ গ্রুপের ভেতরে হোগামারা খাইবার মত আকাম করছে। উপর থেকে হুকুম হইল ইহা মার্কেটে ছাড় আর ইহারে কাপুত কর।
আমি ইহার খারাপ পরিস্থিতির জন্য মোটেও খুশি না, অখুশীও না। কারন লেজের এক টুকরো গেলেও এইপ এর বাকিটা আস্তই আছে।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৪
এম টি উল্লাহ বলেছেন: আপনার মতা্মতের জন্য ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৪
বংগল কক বলেছেন:
মুরাদ টাকলা এখন উদ্বাস্তু, এয়ারপোর্টের মেঝেতে ঘুমায়।