নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেকের মেয়াদ শেষ হলে যেভাবে মামলা করবেন/ মেয়াদোওীর্ণ চেক দিয়ে মামলা

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৭


আইনের বিধান অনুযায়ী চেক ইস্যু করার তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে উহা নগদায়নের জন্য ব্যাংকে উপস্থাপন করতে হয় কিন্তু ঐ মেয়াদ উওীর্ণ হয়ে গেলে ব্যাংক ঐ চেক অনার করতে আইনত বাধ্য নয়। তামাদির মেয়াদ অতিক্রান্ত হলে যেমন মামলা দায়ের করা যায় না ঠিক তেমনি ৬ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলে ঐ চেক ব্যাংকে উপস্থাপনের পর ডিস্অনার হলে তার দিয়ে ১৩৮ ধারার মামলা দায়ের করা যায় না।
তাহলে চেকের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে করণীয় কি?

** চেকের মেয়াদ চলে গেলে তাহলে করণীয়ঃ

চেক ডিজঅনারের মামলায় ঠিক সময়ে চেক ডিজঅনার না করা, ঠিক সময়ে নোটিশ প্রেরণ না করা ও ঠিক সময়ে আদালতে নালিশ দায়ের না করায় মামলাটি প্রাথমিকভাবে খারিজ হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া চেক প্রদানকারী ব্যক্তি মামলার ‘কজ অব অ্যাকশন’ নষ্ট করতে কিংবা চেকের মেয়াদ পার করিয়ে দিতে বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করতে পারে। এজন্যে এব্যাপারে পাওনাদারকে সতর্ক থাকতে হয়। কিন্তু চেকের মেয়াদ চলে গেলেও কিন্তু দন্ড-বিধির ৪০৬/৪২০ ইত্যাদি ধারায় প্রতারণার মামলা করা যায়। দন্ড-বিধির ওই ধারা দুটি যে কোনো প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
ণ্ডবিধির ৪০৬ ধারায় বলা আছে, অপরাধজনিত বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে দোষী হলে দায়ী ব্যক্তিকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে। বিশ্বাসভঙ্গের অপরাধ একটি জামিন অযোগ্য অপরাধ। দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় শাস্তি সর্বোচ্চ ৭ বছর এবং পাশাপাশি অর্থদণ্ডেরও বিধান আছে।
দন্ড-বিধির ৪০৬/৪২০ ধারায় মামলা করতে হলে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আইনজীবরি মাধ্যমে আরজি দাখিল করতে হবে। কোর্ট বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ ও কাগজপত্র যাচাই করে মামলাটি গ্রহণ করে সমন কিংবা ওয়ারেন্ট দিতে পারে আবার তদন্তের জন্য কোন সংস্থাকে নির্দেশও দিতে পারে। আবার থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশও দিতে পারে।

দেওয়ানী আদালতে মানি স্যুট দায়ের-

নেগোশিয়েব ইন্সট্রুমেন্ট বা চেকটি ডিজঅনার হওয়ার পর মেয়াদ চলে গেলে কিংবা ডিজঅনার ব্যতিতও মেয়াদ চলে গেলে লেনদেনের আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র সহ আরজি দাখিলের মাধ্যমে দেওয়ানী আদালতে টাকা আদায়ের মামলা করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে পাওনাদার পাওনা টাকার উপর ২.৫% হারে এডভেলোরেম তৎসহ ১৫% ভ্যাট কোর্ট ফি প্রদান করে মামলা করতে পারেন। এক্ষেত্রে কোর্ট ফি সর্বদা অফেরতযোগ্য বটে।

টাকা ধার দেওয়ার সময় মনে রাখবেন


প্রয়োজনে যদি টাকা ধার দিতেই হয়, তাহলে যতই আপনজন হোক না কেন, তাঁর সঙ্গে আপনি একটি লিখিত চুক্তি করে নিন। ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি চুক্তি করে নিন এবং এই চুক্তিতে কী কারণে কত টাকা ধার দিলেন, তা স্পস্ট করে উল্লেখ করতে হবে। কবে অপর পক্ষ টাকা ফেরত দেবে এবং পুরোটা একসঙ্গে না কিস্তিতে পরিশোধ করবে, তা উল্লেখ করতে হবে। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত না দেয়, তবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ থাকবে—বিষয়টা স্ট্যাম্প কাগজে উল্লেখ করা দরকার। মনে রাখতে হবে, চুক্তিপত্রটি যেন আইন অনুযায়ী সম্পাদিত হয়। এ ছাড়া চুক্তিটি নোটারি বা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা সত্যায়িত করে নিতে হবে। চুক্তিপত্র সম্পাদনের সময় সাক্ষী হিসেবে রাখুন কয়েকজনকে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়, তাহলেও চুক্তিপত্র করে নিতে হবে। চুক্তিপত্র ছাড়া আইনের অশ্রয় গ্রহণ করা অনেকটা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।


-মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( কল করার পূর্বে হোয়াটস্অ্যাপে ম্যাসেজ দিন)

লেখক- আইন বিষয়ক উপন্যাস 'নিরু" এবং 'অসমাপ্ত জবানবন্দী', মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস 'মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'একাত্তরের অবুঝ বালক' ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.