নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
ভাড়াটিয়া ও বাড়ির মালিকের মধ্যে কোন বিবাদ সৃষ্টি হলে বা বাড়িভাড়া চুক্তির কোন প্রকার বরখেলাপ করলে বাড়িওয়ালা যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করতে পারেন।
**কোনও চুক্তি যদি না-ও থাকে, বাড়িওয়ালা নানা কারণে ভাড়াটেকে উচ্ছেদ করতে পারেন।
***বাড়ীওয়ালা চাইলেই কি ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করতে পারবেন?
ভাড়াটিয়াকে ইচ্ছেমতো বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা যায় না। ভাড়াটিয়া যদি চুক্তিপত্রের কোন শর্ত লংঘন না করেন এবং নিয়মিত ভাড়া পরিশোদ করতে থাকেন তাহলে ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করার কোন প্রশ্নই উঠে না। চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হলেও বাড়ীওয়ালা যদি ভাড়া নিতে থাকেন, তাহলে এটাই ধরে নেয়া হয় যে, বাড়ীওয়ালা চুক্তিপত্রটি নবায়ন করেছেন। ভাড়াটিয়া নিয়মিত ভাড়া পরিশোদ করা অবস্থায় যদি বাড়ীওয়ালা তাঁকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করেন, তাহলে আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার ভাড়াটিয়ার রয়েছে।
**ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করতে হলে করণীয় কি?
বাড়ীওয়ালা বেশ কিছু কারণে ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করতে পারেন। সাধারণত বাড়িভাড়া আইনের আওতায় যেসব কারণে ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করা যায়, তা হল-
**ভাড়াটে ভাড়া চুক্তির শর্তাবলী লঙ্ঘন করেছে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ, ভাড়াটে কোনও কুকুর রাখে এবং এটি স্পষ্টভাবে সম্মত হয়ে গেছে যে এটি কোনও পোষা প্রাণী রাখার অনুমতি নেই।
**ভাড়ার সময়সীমা নির্ধারিত থাকলে।
**বাড়িওয়ালার অনুমতি ছাড়া বাড়ির নকশা পরিবর্তন করলে কিংবা ভাড়াটিয়া সত্ত্ব অন্য লোকের কাছে হস্তান্তর করলে অথবা **সাবলেট দিলে।
**ভাড়া বাকি থাকলে।
**কোন উৎপাত বা ক্ষতিকর কাজ করলে।
**ভাড়াটিয়া অ্যাপার্টমেন্ট বা সম্পত্তিতে ড্রাগ বিক্রি করার মতো অবৈধ কার্যকলাপ চালায়
** উচ্ছেদ করতে হলে প্রথমে ভাড়াটিয়ার সাথে মমতাময় সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য সংবেদনশীলভাবে কথা বলার চেষ্টা করুন। এটি ভাল হতে পারে যে সরিয়ে নেওয়া পুরোপুরি এড়ানো যায়। সর্বোত্তম ক্ষেত্রে, ভাড়াটিয়া এখনও বকেয়া ভাড়া প্রদান করে, এবং কোনও আইনী বা আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই। বিষয়টি আলোচনার জন্য ভাড়াটেকে ফোন করুন বা তার সাথে দেখা করুন।
তাতেও কাজ না হলে
সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ১০৬ ধারা অনুযায়ী ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করা যাবে। বাসাবাড়ি, দোকানঘর, অফিস, গুদাম প্রভৃতি যদি মাসিক ভাড়ায় ব্যবহার করা হয়, সে ক্ষেত্রে ১৫ দিনের নোটিশে ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করা যায়। চুক্তি যদি বার্ষিক ইজারা হয় বা শিল্পকারখানা হয় সেক্ষেত্রে ৬ মাসের নোটিশে উচ্ছেদ করা যায়।
** মনে রাখবেন, ভাড়াটেকে ভয় দেখানো বা ভয় দেখাবেন না। এই জাতীয় আচরণের পরে আপনার জন্য কেবল আইনি ঝগড়া হতে পারে।
**ভাড়াটেটিকে জোর করে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বের করার চেষ্টা করবেন না। ভাড়াটিয়াকে কখনও হুমকি দেবেন না, বা ভাড়াটে গৃহসজ্জা অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে ফেলে দেবেন না। এই জাতীয় পদক্ষেপগুলি কেবল আপনাকে আইনী সমস্যা এনে দেবে।
*** সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ১০৬ ধারা অনুযায়ী ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করার নোটিশ করার পরও না সরলে করণীয়-
উচ্ছেদের মামলা করতে হবে দেওয়ানি আদালতে। মামলার সাথে উচ্ছেদ নোটিশের একটি অনুলিপি নিন এবং প্রমাণ করুন যে আপনি এটি নিবন্ধিত ডাকে/মেইলে পাঠিয়েছেন এবং আপনি সমস্ত সময়সীমা পূরণ করেছেন। আদালতের আধিকারিক এখন আপনাকে কেস নম্বর দেবে এবং আপনার জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করবে যার উপর আদালতের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
- মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( কল করার পূর্বে হোয়াটস্অ্যাপে ম্যাসেজ দিন)
লেখক- আইন বিষয়ক উপন্যাস 'নিরু" এবং 'অসমাপ্ত জবানবন্দী', মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস 'মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'একাত্তরের অবুঝ বালক' ।
২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৫
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জানা রইলো, আশা করি কখনো প্রয়োজন পড়বে না।