নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
কারো জাতীয় পরিচয় পত্রের বা যে কোনো ধরনের পরিচিতির কোন প্রকারের পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে, বংশ, ধর্ম, শিক্ষা, বৈবাহিক অবস্থান সহ পরিবর্তনযোগ্য বিষয়গুলো পরিবর্তন করতে হয় এফিডেভিট বা হলফনামার মাধ্যমে। সবচেয়ে বেশী যে বিষয়ে এফিডেভিট বা হলফনামা হয়ে থাকে তা হল, পরিচয়পত্র বা সার্টিফিকেটে নাম সংশোধনের জন্য। এখানে, নাম বলতে শুধু নিজের নাম নয়, পিতা মাতার নাম পরিবর্তনও সম্ভব।
বিবাহ করার সময় একে অন্যকে স্বামী স্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে থাকে, আর তা এফিডেভিটের মাধ্যমেও দেওয়া সম্ভব। আবার পক্ষান্তরে, তালাক দেওয়ার সময় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে আর কোন সম্পর্ক নেই, এই বলে দুইজন পৃথক হয়ে যায়; তখনও এফিডেভিটের মাধ্যমে ঘোষণা দিতে পারে।
***কিন্তু প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক এফিডেভিট বা কোর্ট এভিডেভিড কি?
আমরা সাধারণ এভিডেভিড বলতে বুঝি নোটারি পাবলিক কর্তৃক সম্পাদিত সত্যায়নকে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুস্পষ্টভাবে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক এফিডেভিট সম্পাদন করার নির্দেশনা থাকে।তখন আপনি নোটারি করলেও তা পুনরায় প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট উপস্থিত হয়ে সত্যায়ন করে নিয়ে হয়। এটাকে বলা হয় প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বা কোর্ট এভিডেভিড। এটাকে আবার কাউন্টার সাইনও বলা হয়ে থাকে। নোটারি কর্তৃক সম্পাদিত হলফনামা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটও সত্যায়ন করে দেন বিধায় একে কাউন্টার সাইন বলা হয়।
**প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক এফিডেভিট কিভাবে করতে হয়?
এফিডেভিট বা হলফনামার মধ্যে আপনি যে বিষয়টি ঘোষণা দিবেন সেই বিষয়টি লেখার পরে প্রথমে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে সত্যায়ন করতে হবে এবং উক্ত সত্যায়নকৃত কপি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট জমা প্রদান করতে হবে। তারপর প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি যাচাই বাছাই করবে এবং এফিডেভিটের বিষয়বস্তু যথাসম্ভব যাচাই-বাছাই করার পরে প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিক সন্তুষ্ট হলে সেখানে স্বাক্ষর করবেন এবং সরকারি সিল ব্যবহার করে এর মধ্যে একটি ক্রমিক নাম্বার বসাবেন এবং ভবিষ্যতের ব্যবহার স্বার্থে বা প্রমাণ স্বরূপ একটি কপি নিজের কাছে রেখে দিবেন।
** এফিডেভিট বা হলফনামা কত টাকার স্ট্যাম্পে করা যাবে?
সাধারণত এফিডেভিট বা হলফনামা সম্পন্ন করতে হয়৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে। ৩০০ টাকার ষ্ট্যাম্পের মধ্যে দেখা যায় সাধারণত ১০০ টাকার ৩ টি ষ্ট্যাম্প ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কখনও কখনও আপনার যদি বেশী লেখার জন্য পৃষ্ঠা সংখ্যা বেশি লাগে সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে আরো কম দামের ষ্ট্যাম্প ব্যবহার করতে পারেন। যেমন, ৫০ টাকার ২ টির সাথে ১০০ টাকার ২টি ষ্ট্যাম্প মিলিয়েও ৪ পাতার এফিডেভিট বা হলফনামা সম্পন্ন করতে পারবেন। মোটকথা, শুধু মাথা রাখতে হবে যত পৃষ্ঠাই হোক সব মিলিয়ে এফিডেভিট বা হলফনামাটি যেন ৩০০ টাকার ষ্ট্যাম্পে পরিণত হয়। তবে, বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে ৩০০ টাকার ষ্ট্যাম্পের পরিবর্তে ২০০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এফিডেভিট বা হলফনামা করতে হবে।
এফিডেভিট বা হলফনামাতে একজন আইনজীবীর মাধ্যমে শনাক্ত করতে হবে যেখানে আইনজীবীকে আইনজীবী সমিতির সদস্য নাম্বার স্বাক্ষর দেওয়ার পাশাপাশি আইনজীবীর সামনেই এই এফিডেভিট বা হলফনামা সম্পন্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করতে হবে।
** সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতার জন্য অবশ্যই একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সহযোগিতা নিন।
- মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( কল করার পূর্বে হোয়াটস্অ্যাপে ম্যাসেজ দিন)
লেখক- আইন বিষয়ক উপন্যাস 'নিরু" এবং 'অসমাপ্ত জবানবন্দী', মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস 'মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'একাত্তরের অবুঝ বালক' ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৯
এম টি উল্লাহ বলেছেন: Thanks
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৭
আইনের গল্প বলেছেন: ম্যাজিস্ট্রেট এর মাধ্যমে হলফনামা করার পদ্ধতি জানতে এই ভিডিওটি দেখুন Click This Link