নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
বারের ক্ষমতাবান সাবেক এক সভাপতি বিশাল জুনিয়র বহর নিয়ে হায়ারে মামলা শুনানি করে যাচ্ছেন আর বিচারক মহোদয় উনাকে লিগ্যাল পয়েন্টে শুনানি করার জন্য অনুরোধ করছেন৷ পাশে থাকা জুনিয়র ইতোমধ্যে এও বুঝাতে চেষ্টা করে যে, সিনিয়র সরকার দলীয় দায়িত্বশীল ও বারের সাবেক সভাপতি। বিচারক সাহেবের সাফ কথা- 'লার্নেড, আমি আপনার পদ-পদবীর বিষয়ে ওয়াকিবহাল। জামিন শুনানিতে কে শুনানি করলো আর কত বড় বহর নিয়ে হাজির হলো তা দেখার সুযোগ অন্তত আমার কোর্টে বিবেচিত হবে না। কেন জামিন দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন তার স্বপক্ষে আপনি অন মেরিট শুনানি করলে আমি চেষ্টা করবো'। আরো কিছুক্ষণ শুনানির পরে বিচারক সাহেব জামিন নামঞ্জুর করেন। যথারীতি সপ্তাহ খানেকের মাঝে বিচারক সাহেবও মফস্বলে বদলির আদেশ পেয়ে গেলেন।
- নিরু, পৃষ্ঠা ৩৬
হঠাৎ নিরু'র চোখ পড়লো গারদের দিকে। কোট পরা এক ভদ্রলোকের সাথে গারদের ভিতরে আটক এক মহিলার কথা হচ্ছে। কথার ধরণ দেখে মনে হচ্ছে টাকা পয়সার বিষয়ে কথা হচ্ছে। কোট পরা ভদ্রলোকের এক কথা -
- আজকে জামিনে যেতে চাইলে চোখ বন্ধ করে পাঁচ দিতে হবে। এর এক পয়সা কমও সম্ভব নয়।
: উকিল সাহেব, আল্লাহর দোহাই লাগে জামিনটা করান। বের হলে টাকা কোন বিষয় না, পাঁচ কেন প্রয়োজনে দশ দিবো।
- শুনুন, আর ঝামেলা করতে পারবো না। হাতে মাত্র বিশ মিনিট সময় আছে।
এভাবে আরো কিছু সময় পার হওয়ার পর কোট পরা লোকটি মহিলার কানের দিকে ইশারা করলো। ' এগুলো জিম্মা দে, দেখি কি করা যায়'। মহিলা দ্রুততার সহিত কানের দুল জোড়া খুলে দিতেই কোট পরা লোকটি পকেট থেকে ওকালতনামা বের করে স্বাক্ষর নিয়ে নিলো!
- নিরু, পৃষ্ঠা ৭০
"...ব্যতিক্রম শুধু বারের সভাপতি- সম্পাদক সাহেবরা। এই দুই চেয়ারে বসার মানেই যেন প্রতি বছর আদালত পাড়ায় জামিনের ঠিকাদারি নিয়ে নেওয়া"- নিরু, পৃষ্ঠা-৩৫
আদালত পাড়ার এমন সব চমকপ্রদ বাস্তবতা জানতে বইটি পড়ে দেখতে পারেন।
গ্রন্থের নামঃ 'নিরু'
ধরণঃ আইন বিষয়ক উপন্যাস
লেখকঃ অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ MT Ullah
প্রকাশকঃ Bangladesh Institute of Legal Development (BiLD)
পাওয়া যাচ্ছে
https://www.rokomari.com/book/215052/niru
২০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২০ শে মে, ২০২১ ভোর ৪:৪৬
অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনার অফিস কি এখনো পল্টনেই ?
ফোন নম্বরটা হারিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ করতে পারছি না। আগে ব্লগেই ছিলো।
২০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪
এম টি উল্লাহ বলেছেন: হ্যাঁ। ০১৭৩৩৫৯৪২৭০
৩| ২০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৫
অনল চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।
ফোন করে কার্যালয়ে আসবো।
২২ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:০৭
এম টি উল্লাহ বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১১:১১
রাজীব নুর বলেছেন: কিছু অংশ পড়ে ভালোই লাগলো।