নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
বাংলাদেশে বিদ্যমান মুসলিম পারিবারিক অধ্যাদেশ ১৯৬১ অনুযায়ী স্বামী ও স্ত্রী যে কেউই ডিভোর্স দিতে পারে। যেকোন পদ্ধতিতেই ডিভোর্স দিলে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ৩ টি ধাপে তারা তাদের বিবাহের নিষ্পত্তি করতে হবে-
১। লিখিত নোটিশ পাঠাতে হবে
২। সালিশি পরিষদে অংশগ্রহন করতে হবে
৩। ৯০ দিন অতিক্রম হওয়ার পর রেজিস্ট্রারের নিকট হতে ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নিতে হবে
মুসলিম পারিবারিক অধ্যাদেশ ১৯৬১ অনুযায়ী তালাক দিতে গেলে প্রথমে লিখিত নোটিশ পাঠাতে হবে। এই নোটিশ আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক এবং না পাঠালে আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে। মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী নোটিশ না পাঠালে তালাক দাতার ১০,০০০ টাকা জরিমানা অথবা ১ বছরের জেল অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
নোটিশ আইনজীবী/ নিকাহ রেজিস্টার/কাজী মাধ্যমে পাঠাতে পারেন। এলাকার চেয়ারম্যান অথবা কাউন্সিলর নোটিশ পাবার ৩০ দিনের মধ্যে একটি সালিশি পরিষদ গঠন করবে। আইন অনুযায়ী দুই পক্ষের এই সালিশি পরিষদে একসাথে বসতে হবে। এই পরিষদে বসে তারা বিভিন্ন আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয় তারা কেন একসাথে থাকবে না এবং আসলেই কি তাদের একসাথে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। চেয়ারম্যান/ কাউন্সিলর যদি দেখে যে আসলেই তাদের আর একসাথে থাকা সম্ভব না সেক্ষেত্রে উনি সিদ্ধান্ত দিবেন যে ৯০ দিন পর তাদের ডিভোর্স কার্যকর হবে। যদি তাদের দুই জনের একজনও সালিশি পরিষদে না আসে তবে ধরে নেয়া হয় যে দুই জনই ডিভোর্সের পক্ষে। তখন নোটিশ পাঠানোর ৯০ দিন পর তাদের ডিভোর্স কার্যকর হয়ে যায়।
এই ৯০ দিন অপেক্ষাকে ইদ্দতকাল বলে।স্ত্রী যদি গর্ভাবস্থায় থাকে তবে যেটির সময় বেশি তার পরে তালাক কার্যকর হবে, অর্থাৎ যদি সন্তান ১০০ দিন পরে হয় তবে ১০০ দিন পর তালাক কার্যকর হবে কিন্তু যদি সন্তান ৮০ দিন পরে হয় তবে ৯০ দিন (নির্ধারিত সময়) পরেই তালাক কার্যকর হবে। ডিভোর্স ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে তালাকদাতা ডিভোর্স প্রত্যাহার করতে পারে। ৯০ দিন পর যদি তাদের মনে হয় ডিভোর্স নেয়াটা ঠিক হয়নি, একসাথে থাকতে চায় সেক্ষেত্রে তাদের পুনরায় বিয়ে করতে হবে। ( এটি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক কিনা তা জানতে ইসলামিক স্কলারদের মতামত নিন)
ডিভোর্স-এর আগে স্বামীকে অবশ্যই পুরো দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে যদি সে বিবাহের সময় পুরো দেনমোহর পরিষদ করে না থাকে, এটা স্ত্রীর অধিকার। ডিভোর্স কার্যকর হওয়ার পর তাদের রেজিস্ট্রারের নিকট ডিভোর্স সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে হবে এবং সেটি সংগ্রহ করতে হবে।
এইদিকে স্ত্রী কয়েকটি নির্ধারিত কারণে স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারে যা ডিভোর্স আইন, ১৮৬৯ এর ধারা ২ অনুচ্ছেদ দুই এ উল্লেখ রয়েছে। যথা ঃঃ
- স্বামী যদি চার বছর নিরুদ্দেশ থাকেন।
- স্বামী যদি দুই বছর ভরণপোষণ না দেন।
-স্বামী যদি আইনের লঙ্ঘন করে দ্বিতীয় বিবাহ করেন।
- স্বামী যদি সাত বছর বা এর বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন
- স্বামী যদি যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া তিন বছর বৈবাহিক দায়িত্ব পালন না করেন।
- স্বামী যদি পুরুষত্বহীন থাকেন।
- স্বামী যদি দুই বছর অপ্রকৃতিস্থ বা মারাত্মক ব্যাধিতে ভোগেন।
- নাবালিকা অবস্থায় স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ে হয়ে থাকলে সাবালিকা হওয়ার পর স্ত্রী যদি তা অস্বীকার করেন।
- স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী নিষ্ঠুর আচরণ বা নির্যাতন করলে।
এছাড়া যদি স্বামী তার স্ত্রীকে বিয়ের কাবিনামায় অধিকার দিয়ে থাকে যে স্ত্রী তাকে তালাক দিতে পারবে তবেই আসলে স্ত্রী তার স্বামীকে নির্ধারিত কারণ ব্যাতিত ডিভোর্স দিতে পারবে।
-
এম টি উল্যাহ
এডভোকেট
০১৭৩৩ ৫৯৪ ২৭০
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩
এম টি উল্লাহ বলেছেন: কারো কারো কাছে বিচ্ছেদটাও জরুরি হয়ে পড়ে।
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভিন্ন একটি বিষয়ে আপনার পরামর্শ জানতে চাই।
ভাইজান আমি একটি ফ্লাট কিনেছি আমার এক খালাতো ভাইয়ের কাছ থেকে। কিন্তু ওদের দলিল ব্যাংকে রেখে লোন নেয়া আছে বলে আমি রেজিষ্ট্রেশণ করাতে পারছিনা। ৬ বছর পরে লোন পরিশোষ হলে রেজিষ্ট্রেশণ করবো এই শর্তে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে একটি বায়না নামা দলিল লিখেছি। সেখানে তাদের সকল ভাই স্বাক্ষী আছে।
এখন এই বায়না নামা দলিলটি আইনি ভাবে কিভাবে পোক্তা করা যায়?
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৬
এম টি উল্লাহ বলেছেন: আইনত অপেক্ষা ছাড়া তেমন কিছু করার সুযোগ নেই। তবে ওদেরকে যে টাকা দিয়েছেন তার স্বপক্ষে প্রমাণাদি সংরক্ষণ করুন। রেজিস্টি ব্যতিত বায়নার তেমন গুরুত্ব নেই। বিস্তারিত জানতে আইনজীবীর পরামর্শ নিন সাক্ষাৎ করে।
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: তালাক শব্দ টাই আমি খুব অপছন্দ করি।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৭
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কিভাবে সম্পর্ক টিকে থাকবে সে কথা বলুন।বিচ্ছেদের হাজারটা পথ আছে।