নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
বাটোয়ারা/সম্পত্তি বন্টনের মামলার ( Partition Suit):
ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সম্পত্তির সীমানা চিহ্নিত করে যার যার প্রাপ্ত স্বত্ব বুঝে নেয়ার প্রক্রিয়াটি হচ্ছে ‘বণ্টন’। আদালতের মাধ্যমে উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টন করে নিলে জটিলতা অনেক কমে। এ জন্য সব শরিককে এখতিয়ারসম্পন্ন দেওয়ানি আদালতে একটি মামলা করতে হয় যা ‘বণ্টন মোকদ্দমা’ বা ‘বাটোয়ারা মামলা’ নামে পরিচিত। ইংরেজিতে একে ‘পার্টিশন স্যুট’ বলা হয়।
সম্পত্তির শরিক দুই ধরনের হয়ে থাকে;
ক) উত্তরাধিকার সূত্রে শরিক এবং
খ) খরিদ সূত্রে শরিক ।
যদি কোন অংশীদার আপোষ মতে বণ্টন করতে রাজি না হন, সে ক্ষেত্রে যে কোনো অংশীদার বণ্টনের জন্য আদালতে মামলা করতে পারেন।
বাটোয়ারা মামলা করতে সম্পত্তির মালিকানা সংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্র যেমন ভূমি জরিপ খতিয়ান, নামজারি খতিয়ান, মালিকানা দলিল, উত্তরাধিকার সনদ ইত্যাদি সংগ্রহে রাখতে হবে। মামলা করার জন্য কোর্ট ফি দিতে হয় ১০০ টাকা কিন্তু ছাহাম চাইলে প্রতি ছাহামের জন্য অতিরিক্ত ১০০ ফি জমা দিতে হয়।
বণ্টনের শর্তাবলি বণ্টনের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত জড়িত। যথাঃ
*সম্পত্তি পরিমাপ করে অংশীদারদের জমির সীমানা চিহ্নিত করতে হবে এবং বণ্টন তালিকায় প্রত্যেক সহ-মালিকের বরাদ্দকৃত সম্পত্তির উল্লেখ থাকতে হবে।
*তালিকায় মালিকানার বিভাজন সকল সহ-মালিক কর্তৃক স্বীকৃত হতে হবে।
*বণ্টনের বিবরণ সুস্পষ্ট হতে হবে; প্রত্যেকটি তালিকা সহ-মালিকদের কাছ থেকে স্বাক্ষরিত হতে হবে
*যথাযথভাবে স্ট্যাম্প শুল্ক দিয়ে দলিলটি রেজিস্ট্রি করতে হবে
*সহ-অংশীদাররা আপস বণ্টন করে পরবর্তীতে তাদের কেউ তা না মানলে দেওয়ানি আদালতের মাধ্যমে তা কার্যকর করা যায়।
*বাটোয়ারা মামলায় সাধারণত প্রত্যেক দাগের জমি সব সহ-শরিকের মধ্যে বণ্টিত হয়ে থাকে।
**এ ধরনের মামলায় দুইবার দুটি ডিক্রি হয়, যার প্রথমটির নাম;
১)প্রাথমিক ডিক্রি আর পরেরটার নাম
২)চূড়ান্ত ডিক্রি।
>>প্রাথমিক ডিক্রিতে হিস্যা অনুযায়ী বণ্টনের আদেশ দেয়া হয়। আর চূড়ান্ত ডিক্রিতে প্রয়োজনে আমিন কমিশন পাঠিয়ে সরেজমিনে সম্পত্তির দখল দেয়া হয় এবং সীমানা পিলার দ্বারা বিভাজন (জমির ভাগ) করার মাধ্যমে চূড়ান্ত ডিক্রি প্রচার করা হয়। আদালত প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ করে সম্পত্তির সীমানা চিহ্নিত করে ডিক্রিপ্রাপককে সম্পত্তির দখল দেয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন।
**বণ্টন হওয়ার পর করণীয়ঃ
আদালতের মাধ্যমে বণ্টন হওয়ার পর এবং বণ্টন দলিল রেজিস্ট্রি করার পর অবশ্যই নিজ নামে নামজারি, জমাভাগ খতিয়ান করে নিতে হবে। পাশাপাশি খাজনাও প্রদান করতে হবে। মনে রাখতে হবে, নামজারি হচ্ছে সরকারিভাবে সম্পত্তিকে নিজ নামে রেকর্ড করা।
**বণ্টনের পরও দখল না পেলে
আদালত থেকে বাটোয়ারা মামলার ডিক্রি পাওয়ার পরও সেই মোতাবেক দখল বুঝিয়ে দেয়া না হলে ‘উচ্ছেদের মামলা’ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে অংশীদারদের ভয়-ভীতি ও হুমকি দেয়া হলে সংশ্লিষ্ট ও নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা যেতে পারে। ভয়-ভীতি-হুমকি ও জীবননাশের আশঙ্কায় আদালতে ফৌজদারি মামলাও করা যায়।
** এম টি উল্যাহ
আইনজীবী
০১৭৩৩৫৯৪২৭০
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৫৬
এম টি উল্লাহ বলেছেন: আপনি সুখী
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৫৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
খুবই মুল্যবান তথ্যসম্বলিত পোষ্ট । পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।
আমার মায়ের ওয়ারিশ সম্পত্তি নিয়ে একটি জটিলতা সৃস্টি হয়েছে ।
অংশীদারেরা তাদের দখলকৃত কিছু সম্পতি ছাড়তে চাচ্ছেনা ।
বেশী দামী সম্পত্তির বিনিময়ে কমদামী সমপরিমান সম্পত্তি
দিতে চাচ্ছে ।
আপনার পোষ্টের বিষয়বস্তু আমার খুবই প্রয়োজন । পোষ্টের
লেখা কপি করা যায়না । তাই আপনি যদি পোষ্টের পুরা লেখাটিকে
এই মন্তব্যের প্রতি উত্তরের ঘরে তুলে দেন তাহলে আমার খুবই উপকার
হয় । বিষয়টি আমার শরিকদেরকে দেখানোর পরে প্রয়োজনে
আমি আপনার সাথে ফোনে যোগাযোগ করব ।
শুভেচ্ছা রইল
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৫৪
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৫৭
এম টি উল্লাহ বলেছেন: বাটোয়ারা/সম্পত্তি বন্টনের মামলার ( Partition Suit):
ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সম্পত্তির সীমানা চিহ্নিত করে যার যার প্রাপ্ত স্বত্ব বুঝে নেয়ার প্রক্রিয়াটি হচ্ছে ‘বণ্টন’। আদালতের মাধ্যমে উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টন করে নিলে জটিলতা অনেক কমে। এ জন্য সব শরিককে এখতিয়ারসম্পন্ন দেওয়ানি আদালতে একটি মামলা করতে হয় যা ‘বণ্টন মোকদ্দমা’ বা ‘বাটোয়ারা মামলা’ নামে পরিচিত। ইংরেজিতে একে ‘পার্টিশন স্যুট’ বলা হয়।
সম্পত্তির শরিক দুই ধরনের হয়ে থাকে;
ক) উত্তরাধিকার সূত্রে শরিক এবং
খ) খরিদ সূত্রে শরিক ।
যদি কোন অংশীদার আপোষ মতে বণ্টন করতে রাজি না হন, সে ক্ষেত্রে যে কোনো অংশীদার বণ্টনের জন্য আদালতে মামলা করতে পারেন।
বাটোয়ারা মামলা করতে সম্পত্তির মালিকানা সংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্র যেমন ভূমি জরিপ খতিয়ান, নামজারি খতিয়ান, মালিকানা দলিল, উত্তরাধিকার সনদ ইত্যাদি সংগ্রহে রাখতে হবে। মামলা করার জন্য কোর্ট ফি দিতে হয় ১০০ টাকা কিন্তু ছাহাম চাইলে প্রতি ছাহামের জন্য অতিরিক্ত ১০০ ফি জমা দিতে হয়।
বণ্টনের শর্তাবলি বণ্টনের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত জড়িত। যথাঃ
*সম্পত্তি পরিমাপ করে অংশীদারদের জমির সীমানা চিহ্নিত করতে হবে এবং বণ্টন তালিকায় প্রত্যেক সহ-মালিকের বরাদ্দকৃত সম্পত্তির উল্লেখ থাকতে হবে।
*তালিকায় মালিকানার বিভাজন সকল সহ-মালিক কর্তৃক স্বীকৃত হতে হবে।
*বণ্টনের বিবরণ সুস্পষ্ট হতে হবে; প্রত্যেকটি তালিকা সহ-মালিকদের কাছ থেকে স্বাক্ষরিত হতে হবে
*যথাযথভাবে স্ট্যাম্প শুল্ক দিয়ে দলিলটি রেজিস্ট্রি করতে হবে
*সহ-অংশীদাররা আপস বণ্টন করে পরবর্তীতে তাদের কেউ তা না মানলে দেওয়ানি আদালতের মাধ্যমে তা কার্যকর করা যায়।
*বাটোয়ারা মামলায় সাধারণত প্রত্যেক দাগের জমি সব সহ-শরিকের মধ্যে বণ্টিত হয়ে থাকে।
**এ ধরনের মামলায় দুইবার দুটি ডিক্রি হয়, যার প্রথমটির নাম;
১)প্রাথমিক ডিক্রি আর পরেরটার নাম
২)চূড়ান্ত ডিক্রি।
<<প্রাথমিক ডিক্রিতে হিস্যা অনুযায়ী বণ্টনের আদেশ দেয়া হয়। আর চূড়ান্ত ডিক্রিতে প্রয়োজনে আমিন কমিশন পাঠিয়ে সরেজমিনে সম্পত্তির দখল দেয়া হয় এবং সীমানা পিলার দ্বারা বিভাজন (জমির ভাগ) করার মাধ্যমে চূড়ান্ত ডিক্রি প্রচার করা হয়। আদালত প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ করে সম্পত্তির সীমানা চিহ্নিত করে ডিক্রিপ্রাপককে সম্পত্তির দখল দেয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন।
**বণ্টন হওয়ার পর করণীয়ঃ
আদালতের মাধ্যমে বণ্টন হওয়ার পর এবং বণ্টন দলিল রেজিস্ট্রি করার পর অবশ্যই নিজ নামে নামজারি, জমাভাগ খতিয়ান করে নিতে হবে। পাশাপাশি খাজনাও প্রদান করতে হবে। মনে রাখতে হবে, নামজারি হচ্ছে সরকারিভাবে সম্পত্তিকে নিজ নামে রেকর্ড করা।
**বণ্টনের পরও দখল না পেলে
আদালত থেকে বাটোয়ারা মামলার ডিক্রি পাওয়ার পরও সেই মোতাবেক দখল বুঝিয়ে দেয়া না হলে ‘উচ্ছেদের মামলা’ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে অংশীদারদের ভয়-ভীতি ও হুমকি দেয়া হলে সংশ্লিষ্ট ও নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা যেতে পারে। ভয়-ভীতি-হুমকি ও জীবননাশের আশঙ্কায় আদালতে ফৌজদারি মামলাও করা যায়।
** এম টি উল্যাহ
আইনজীবী
০১৭৩৩৫৯৪২৭০
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:০০
করুণাধারা বলেছেন: আমি আপনাকে অন্য পোস্টে জানতে চেয়েছিলাম যে, এই যে আইনি পরামর্শ মূলক পোস্ট এগুলোর সংকলন করে আপনি কোন বই প্রকাশ করেছেন কিনা। থাকলে সংগ্রহ করতাম। আপনি উত্তর দিয়েছেন আপনার উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। উপন্যাস আমার দরকার নেই।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই আইনি পরামর্শ মূলক পোস্টের জন্য।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৫৫
এম টি উল্লাহ বলেছেন: না এমন সংকলিত বই লিখলেও সেটি প্রকাশ করা হয় নি। আপনাকেও ধন্যবাদ
৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:৪৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনুরোধে সাড়া দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমার কোনো সম্পত্তি নাই। আমি শূণ্য।