নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় রকম মামলার মধ্যদিয়ে প্রয়োজনীয় প্রতিকার পাওয়া সম্ভব। ফৌজদারি মামলার মধ্যদিয়ে প্রতিকার পাওয়ার জন্য বিচারিক হাকিমদের কাছে নয়, বরং নির্বাহী হাকিম তথা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের শরণাপন্ন হতে হয়। জমি নিয়ে বিরোধ হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মূলত একটি সাময়িক প্রতিকার প্রদান করেন দখল বুঝিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে সবশেষ দখলে থাকা ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। এ ছাড়া স্থায়ীভাবে স্বত্ব দখল কিংবা জবরদস্তি বেদখলের বিরুদ্ধে দেওয়ানি আদালতে নিয়মিত মামলা করে নানারকম দেওয়ানি প্রতিকার পাওয়া যায়।
ফৌজদারি প্রতিকার
জমি দখলকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে হয়। এ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে হবে প্রথম শ্রেণির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে। আর এ মামলা করতে হবে বেদখল হয়ে গেলে কিংবা বেদখল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়ার দুই মাসের মধ্যে। কোনো মামলা করলে ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিপক্ষের ওপর সমন জারি করবেন। পরবর্তী সময়ে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনবেন এবং সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সম্পত্তির দখলদার কে তা নির্ধারণ করবেন। প্রয়োজনে সরেজমিনে তদন্তের আদেশ দিতে পারেন পুলিশকে। তাদের দেয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রকৃত দখলদার কে, সে বিষয়ে রায় দেবেন। তবে ১৪৫ ধারায় প্রতিকার চাইতে গেলে এখানে স্বত্ব বা মালিকানা দাবি করা যাবে না। এর মাধ্যমে শুধু প্রকৃত দখলদার নির্ণয় করার জন্য প্রতিকার চাওয়া যাবে।
মালিকানা দাবি যেভাবে করতে হয়
জমির মালিকানা বা স্বত্ব দাবির জন্য দেওয়ানি আদালতের আশ্রয় নিতে হবে। জমি অবৈধভাবে দখলচ্যুত হলে দখল পুনরুদ্ধারের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ও ৯ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার পেতে পারেন। এ আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী জমির মালিক নির্ধারিত পদ্ধতিতে জমিটি পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রতিকার চাইতে পারেন। তবে এ ধারা অনুযায়ী, দখলচ্যুত ব্যক্তিকে জমিতে তার স্বত্ব বা মালিকানা আছে কিংবা মালিকানার দাবি রয়েছে, তার ঘোষণা চাইতে হবে। না হলে এ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার পাওয়া সম্ভব হয় না। ৮ ধারার স্বত্ব প্রমাণসহ মামলা করার ক্ষেত্রে বেদখল হওয়ার পর থেকে ১২ বছরের মধ্যে মামলা করার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এ ধরনের মামলাকে সাধারণত স্বত্ব সাব্যস্ত খাস দখলের মামলা বলা হয়।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে হলে মালিকানা প্রমাণের দরকার নেই। শুধু জমি থেকে দখলচ্যুত হয়েছে এটি প্রমাণ করলেই চলবে। ৯ ধারায় উল্লেখ আছে, যদি কোনো ব্যক্তি বেদখল হন, তবে তিনি বা তার মাধ্যমে দাবিদার কোনো ব্যক্তি মোকদ্দমার মাধ্যমে এর দখল পুনরুদ্ধার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে যেসব দিক বিবেচনা করা হয়, সেগুলো হলো বাদী অর্থাৎ যিনি প্রতিকার দাবি করেছেন, তিনি জমিটি দখল করে আসছিলেন কিনা; বিবাদী তাকে জোরপূর্বক বেদখল করেছেন কিনা; বিবাদী বেআইনিভাবে জমিতে প্রবেশ করেছেন কিনা। তবে বাদীকে অবশ্যই বেদখল হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে মামলা করতে হবে। অন্যথায় এ ধারায় মামলা করার অধিকার হারাতে হবে তাকে। তবে সরকারের বিরুদ্ধে এ ধারায় প্রতিকার চাওয়া যাবে না।
- এডভোকেট এম টি উল্যাহ
[email protected]
০১৭৩৩৫৯৪২৭০
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভূমি নাই। কিচ্ছু নাই আমার।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:২১
অনল চৌধুরী বলেছেন: ফৌজদারী আইনে জমি দখলের শাস্তি কি?
শুধু অনধিকার প্রবেশের দায়ে ৪৪৭ ধারায় মাত্র ৩ মাসের কারাদন্ড ?
এটা তো খুবই কম।