নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
ফৌজদারী মামলাঃ
ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের শান্ত-শৃঙ্খলা নষ্ট করার ফলে যে মামলা হয় সেগুলো ফৌজদারী মামলা। অর্থাৎব্যক্তির অধিকার ও সম্পত্তির অধিকার ব্যতিত যে কোন অপরাধ ফৌজদারি মামলার অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় রাজনৈতিক হাঙ্গামা, ব্যক্তির জীবন হরণ, অর্থসম্পদ লুটপাট ও যৌন হয়রানির অপরাধে ফৌজদারি মামলার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। এক কথায় চুরি, ডাকাতি, খুন, জখম, প্রতারণা, দস্যুতা, লুটপাট, বিস্ফোরণ, ধর্ষণ, অপহরণ, বেআইনি সমাবেশ, যৌন হয়রানি, জালিয়াতি, মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান প্রভৃতি অপরাধে যেসব মামলা দায়ের করা হয় তাকে ফৌজদারি মামলা বলা হয়। এসব মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে জেল জরিমানা, যাবজ্জীবন এবং মৃত্যুদণ্ড হয়ে থাকে।
**সাধারণত ফৌজদারি মামলায় দুইভাবে চিহ্নিত করা হয়;
১) আমলযোগ্য ও
২)আমল অযোগ্য মামলা।
আবার আমলযোগ্য মামলাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়, একটি
ক)জি আর বা পুলিশি মামলা; অন্যটি
খ)সি আর বা নালিশি মামলা।
**আমলযোগ্য মামলা
আইন মোতাবেক কিছু অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে পারবে। এসব ক্ষেত্রে থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে থাকেন। এসব অপরাধে যে মামলা হয় তাকে আমলযোগ্য মামলা বলা হয়।
**আমল অযোগ্য মামলা
কিছু অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তার করতে পারে না। অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে প্রসিকিউিশন ওয়ারেন্ট বা নন-এফআইআর মামলা আদালতে দাখিল করেন। এগুলো আমল অযোগ্য মামলা। এ ধরনের অপরাধের মামলা কোর্টের নন-জিআর রেজিস্ট্রারভুক্ত হয়ে পরিচালিত হয় বলে এ মামলাকে নন-জিআর মামলা বলা হয়।
**নালিশি বা সিআর মামলা
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সরাসরি গিয়েও কোর্ট ফি দিয়ে বিচার প্রার্থনা করা যায়। এ ক্ষেত্রে কার্যবিধির ২০০ ধারায় শপথ নিয়ে আবেদনের উল্টো পিঠে জবানবন্দি রেকর্ড করতে হয়। কোর্ট রেজিস্ট্রার মামলা নথিভুক্ত করে পরিচালিত হওয়ার কারণে এগুলোকে সিআর মামলা বলা হয়।
**পুলিশি মামলা
থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতার কাছে এজাহার দায়েরের মাধ্যমে যে মামলা শুরু হয় তাই পুলিশি মামলা নামে পরিচিত। পুলিশি মামলাকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটি হলো জিআর ও নন জিআর মামলা।
**জিআর মামলা
কোনো আমলযোগ্য অপরাধ ঘটার খবর পেলে থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা কার্যবিধির ১৫৪ ধারা অনুসারে মামলা করে আদালতে এফআইআর দাখিল করে কার্যবিধির ১৫৬ ধারা অনুসারে মামলার তদন্ত শুরু করেন। এটাই জিআর মামলা। থানা থেকে এফআইআর আদালতে আসার পর কোর্ট ইন্সপেক্টর/সাব-ইন্সপেক্টর বা জিআর, জেনারেল রেজিস্ট্রার অফিসার উক্ত এফআইআরটি মামলা হিসেবে কোর্টের জেনারেল রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি করে তা দ্রুত ম্যাজিস্ট্রেটের নজরে আনেন।
**নন জিআর মামলা
আমলযোগ্য মামলা সংঘটিত হওয়ার সংবাদ পেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য না করে পুলিশি প্রবিধান ৩৭৭ অনুসারে জিডি এন্ট্রি করে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে আদালতে নন-এফআইআর প্রসিকিউশন রিপোর্ট দায়ের করতে পারেন। এগুলো নন-জিআর মামলা নামে পরিচিত।
==>>ফৌজদারী মামলা কোথায় ও কিভাবে করতে হয়? ফৌজদারী অপরাধ সংঘটিত হলে যা করতে পারেন;-
*ফৌজদারী মামলা করতে চাইলে ঘটনাস্থল যে থানার সীমানার মধ্যে অবস্থিত সেই থানায় এজাহার দাখিল করুন।
*থানায় এজাহার না নিলে কোর্টে নালিশী দরখাস্ত দাখিল করুন।
*মারপিট, জখম, ধর্ষণ বা আঘাতের মামলা দায়েরের জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করুন।
*কেউ হুমকি দিলে বা কোন ব্যক্তি নিখোঁজ হলে নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরী বা জি.ডি.এন্ট্রি’র জন্য দরখাস্ত করুন, ক্ষেত্রবিশেষ জি.ডি থেকে মামলা হয়।
*মামলা দায়ের হলে তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ চার্জশীট অথবা ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করে।
*পুলিশ চার্জশিট দিলে বিচারিক কোর্ট অভিযোগ গ্রহণ করে বিচার কাজ শুরু করেন।
*মামলার যে কোন পর্যায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনের দরখাস্ত করে জামিন পেতে পারেন।
*বিচার শেষে বিচারিক কোর্ট খালাস অথবা শাস্তির আদেশ দেন।
- এম টি উল্যাহ, আইনজীবী
০১৭৩৩৫৯৪২৭০
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:১৪
অনল চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশের সব আইন বৃটিশ আমলে প্রণীত, যেগুলির অনেকগুলিই এখন হাস্যকর।
এগুলির পরিরর্তন প্রয়োজন।