নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
পারিবারিক আদালত নিম্নোক্ত পাঁচটি বিষয়ের সবগুলোর বা যে কোনটির সাথে সর্ম্পকিত বা উদ্ভূত যে কোন মামলা গ্রহণ,বিচার ও নিস্পত্তি করতে পারে৷
১. বিবাহ বিচ্ছেদ
২. দাম্পত্য সর্ম্পক পুনরুদ্ধার
৩. মোহরানা
৪. ভরণপোষণ
৫. সন্তানের অভিভাকত্ব ও তত্ত্বাবধান
এমন কোন একটি বিষয়ে পারিবারিক বিরোধ দেখা দিয়েছে? তাহলে আপনি পারিবারিক আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন। পারিবারিক কোনো বিরোধ নিষ্পত্তির জন্যই দেশে পারিবারিক আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় সহকারী জজ আদালত পারিবারিক আদালত হিসেবে গণ্য হয়। আবার কিছু এলাকায় সহকারী জজ আদালতকে পারিবারিক আদালত হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
যে বিরোধগুলো নিষ্পত্তি হবেঃ
**বিবাহবিচ্ছেদ:
বিবাহবিচ্ছেদের জন্য সব সময় আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। যে ক্ষেত্রে কাবিননামার ১৮ নম্বর ঘরে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ক্ষমতা না থাকলে কেবল স্ত্রী আদালতে যেতে পারে। এ ছাড়া স্ত্রী যদি স্বামীকে ‘খোলা’ বা ‘মোবারাত’ বিচ্ছেদে সম্মত করাতে পারেন, সে ক্ষেত্রেও আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
কাবিননামায় স্ত্রীর তালাক দেওয়ার ক্ষমতা না থাকলেই কেবল আদালতে যেতে হবে। ১৯৩৯ সালের মুসলিম বিবাহবিচ্ছেদ আইন অনুযায়ী ৯টি কারণের যেকোনো একটি কারণে স্ত্রী তালাক প্রার্থনা করতে পারেন। আর তা হচ্ছে : ১. স্বামী চার বছরের বেশি সময় নিরুদ্দেশ থাকলে। ২. স্বামী দুই বছর খোরপোশ দিতে ব্যর্থ হলে। ৩. বিনা অনুমতিতে অতিরিক্ত স্ত্রী গ্রহণ করলে। ৪. স্বামী সাত বছর বা এর বেশি কারাদণ্ড ভোগ করলে। ৫. বিনা কারণে স্বামী তিন বছর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে। ৬. স্বামী পুরুষত্বহীন হলে। ৭. স্বামী কুষ্ঠব্যাধি বা মারাত্মক যৌনব্যাধিতে ভুগলে। ৮. স্ত্রীর নাবালিকা অবস্থায় বিবাহ হলে এবং যৌন সম্পর্ক স্থাপন না হলে সাবালিকা হওয়ার পর স্ত্রী তা অস্বীকার করলে।
**দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার: কোনো কারণে দাম্পত্য জীবন ব্যাহত হলে এবং সংসারে ফেরত না আসতে পারলে স্বামী বা স্ত্রী যে কেউ পারিবারিক আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন।
**মোহরানা/দেনমোহর : স্বামীর পরিশোধ না করা দেনমোহরের জন্য স্ত্রী মামলা করতে পারেন। তাৎক্ষণিক মোহরানার জন্য যে তারিখে তা দাবি করা হয় এবং অগ্রাহ্য করা হয়, সে তারিখ থেকে তিন বছরের মধ্যে এবং বিলম্বে মোহরানার জন্য বিচ্ছেদ ঘটার তারিখ থেকে তিন বছরের মধ্যে মামলা করতে হবে।
**ভরণপোষণ: স্বামী যদি স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে ইচ্ছাকৃত অপারগ থাকেন, তাহলে স্ত্রী যেদিন থেকে ভরণপোষণের টাকা দাবি করবেন, সেদিন থেকে তিন বছরের মধ্যে পারিবারিক আদালতে মামলা করতে হবে।
**সন্তানের অভিভাবকত্ব: সন্তানের অভিভাবকত্ব এবং হেফাজত নিয়ে কোনো বিরোধ হলে পারিবারিক আদালতে যাওয়া যেতে পারে। আইনগত বিবাহবিচ্ছেদের পর ছেলের সাত বছর বয়স এবং মেয়ের বয়োসন্ধি পর্যন্ত মা-ই সন্তানকে পালন করতে পারেন। উপযুক্ত বয়সসীমার নিচে যদি সন্তানের বয়স হয় এবং বাবা যদি মায়ের কাছে সন্তানকে না রাখতে দেন, তবে মা পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারেন।
**যেভাবে আদালতের আশ্রয় নিবেনঃ
উভয় পক্ষ যেখানে বসবাস করে বা সর্বশেষ বসবাস করেছে এবং যে পারিবারিক আদালতের স্থানীয় সীমার মধ্যে সমস্যা উদ্ভূত হয়েছে, সেই আদালতে মামলা করতে হবে। তবে বিবাহবিচ্ছেদ, মোহরানা ও ভরণপোষণের ক্ষেত্রে যেখানে স্ত্রী বসবাস করেন, সেই এলাকায় বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে পারবেন। দেনমোহর বা ভরণপোষণের পরিমাণ যতই হোক, মামলা করা যাবে।
- এম টি উল্যাহ
আইনজীবী
০১৭৩৩৫৯৪২৭০
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৮
এম টি উল্লাহ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ পোস্টটা খুব কাজে লাগলো।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৮
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১০
রাজীব নুর বলেছেন: মামলা মকদমা আমি ঘৃণা করি।
৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১৬
শোভন শামস বলেছেন: জীবনধর্মী তথ্য
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫০
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৫
মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: দরকারি পোস্ট।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৯
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩
ডাঃ আশরাফ খান বলেছেন: আপনার সাথে কি ফোনে যোগাযোগ করা যাবে ??????
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৭
এম টি উল্লাহ বলেছেন: অবশ্যই
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৮
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: খুবই দরকারি একটা পোস্ট।আপনাকে ধন্যবাদ।