নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
সমালোচনা একটি ইতিবাচক বিষয়। সবা্ই সমালোচনা করতে পারে না, সবাইকে মানায়ও না। কেউ কেউ সমালোচিত করেই আলোচিত হয় কেউবা সামালোচনার ফলে আলোচিত হয়। সে সমালোচিত স্বাভাবিকভাবেই সে আলোচিত।পরিতাপের বিষয় হলো ইদানীং আমরা সমালোচনা দেখে আতংকিত হয়!। তবে এটা সার্বজনিন যে ‘মানুষ মাত্রই প্রশংসা পেতে চাই’। সে জায়গায় যে সমালোচনার দায়িত্ব নেয় ক্ষেত্র বিশেষ সেই সবচেয়ে অগ্রণযোগ্য কিংবা তার কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখাটাই সে ক্ষেত্রে নিরাপদ হয়ে দাঁড়ায়। সুযোগ পেলেই সমালোচনা কারীকে লেংটা করার স্বভাব আমাদের স্বভাবজাত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কতো তুখুড় পজিশনধারী যোগ্য ছাত্রকে দেখেছি শুধু সমালোচনা নামক গুণটির বদলতে শত যোগ্যতা থাকা সত্বেও শিক্ষক হতে পারে নি। বরং এর বিপরীত চরিত্রের মানুষই যার যায় কর্ম ক্ষেত্রে এমনকি রাজনীতিতেও সফল। এটাকে আমি বলি বদনা নীতি। এ বদনা নীতির বদলতে কতজনের যে ভাগ্য বদলেছে তার প্রমাণ ভুরি ভুরি বিদ্যমান। যে কথা বলতেছিলাম ,সমালোচনা ইতিবাচক। হ্যাঁ তা নির্ভর করে বিষয়ের উপর, সমালোচনার ধরনের উপর। স্হান,কাল,পাত্র এখানে বিবেচ্য।
স্হান কাল পাত্র নিয়ে একটা কৌতুক মনে পড়ে গেল। ‘যুক্তরাষ্ট্রে তখন চলছে নির্বাচনী হাওয়া। নির্বাচন সামনে রেখে দুই ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সমর্থকের মধ্যে কথা হচ্ছিল। ডেমোক্র্যট বলছে, আমি যখন কোন ট্যাক্সিতে চড়ি তখন চালকের সাথে খুব ভাল ব্যবহার করি। প্রথমে তার ছেলে-মেয়ের খোঁজখবর নেই, তাকে মোটা বকশিস দেই এবং নামার সময় বলি, ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিও। ডেমোক্র্যাট সমর্থকের কথা শেষ হলে হাসি দিয়ে রিপাবলিকান সমর্থক বলেন, আমি ট্যাক্সিতে উঠেই ড্রাইভারকে গালি দিতে শুরু করে দেই। সিগারেট ধরিয়ে তার মুখে ধোঁয়া ছেড়ে দেই, এক টাকাও টিপস দেই না। তবে নামার সময় তোমার মতই বলি- ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিও’।
সমালোচনাও এমন। সমালোচনা আপনি কিভাবে নিচ্ছেন, কিভাবে করতেছেন তার উপর নির্ভর করে। কিন্তু সমালোচনা নিয়ে আমাদের আঁতকে যাওয়ার সংস্কৃতিটা বড়ই বিপদজনক।একটু সমালোচনার বাতাস বইলেই আমরা আতঁকে উঠে ভাবি ‘সমালোচনা যদি পরিবর্তন এনে দেয়!’। এক্ষেত্রে আমরা পরিবর্তন বিমুখ। তাই ছোট খাটো সমালোচনাও আমাদের ছোট খাটো মানুষের মনকে আতঙ্কিত করে দেয়। যা শুভকর নয়। সমালোচনা যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে হয়,সমালোচনা যদি ধর্ষক-ইয়াবা-চাঁদাবজি-দুর্নীতি-অসামজ্যসতার বিরুদ্ধে, মানবিকতার অনুকূলে,দেশের তরে এ এটাকে গ্রহণ করার ,হজম করার জন্য প্রয়োজনে ঔষধ খাওয়া আবশ্যক।
এক তরফা না ভেবে সামালোচনা বলি আর আলোচনা বলি তা গ্রহণ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। তাই কৌতুক দিয়েই শেষ করছি, নির্বাচনের ঠিক আগে মন্ত্রী সভায় যোগ হলেন নতুন রেলমন্ত্রী। শপথ নেওয়ার পরপরই রেলমন্ত্রীকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেন, নতুন রেলমন্ত্রী হিসেবে আপনার অগ্রাধিকার কী কী। মন্ত্রী বিন্দুমাত্র চিন্তা না করেই বললেন, ‘আমার অগ্রাধিকার হচ্ছে বিরোধীদলের প্রত্যেক সদস্যকে রেলের একটি করে টিকিট বিনামূল্যে দেওয়া।’ জবাব শুনে অবাকবিস্ময়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে রইলেন। এবার সামান্য হেসে নতুন মন্ত্রী বললেন, ‘অবশ্য সবগুলোই হবে ওয়ানওয়ে টিকিট।’ হ্যাঁ, এমন ওয়াওয়ে সমালোচনা না করে,সমালোচনায় আতঙ্কিত না হয়ে জাতীয় স্বার্থে আমরা ইতিবাচক সমালোচনা করতে শিখি, সইতে শিখি। সমালোচনা হোক ইতিবাচক । প্রিয় ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের সুরে একমত হয়ে সমালোচনাকে মূল্যায়ন করি “ক্রিকেটার যখন খারাপ খেলে তখন তার সালোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক, আমিও ব্যাপারটা ইতিবাচকভাবেই নিই।বরং সমালোচনা আমাকে ভালো খেলতে সহায়তা করে”।
-এম টি উল্যাহ
আইনজীবী
[email protected]
২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভালো - রবি কাকা মনে হয় ঠিক বলেন নাই।
তবে, আমরা সমালোচনা বলতে শুধু নেগেটিভ দিকটাই বুঝে থাকি, করিও তাই। সমালোচনা মানে শুধু ভুল ধরা না, ভালো কাজের প্রশংসাও করতে হবে। ভুল সংশোধনের পথও দেখাতে হবে। সমালোচনা মানে বিষোদগার করা না। সমালোচনা মানে গঠনমূলক আলোচনা।
এখন সমালোচনা হয় না, কুৎসা হয় বেশি।
৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৫৫
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সমালোচনা না করে আলোচনা করা ভাল,অথবা বিশ্লেষণ।
৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রিপাবলিকানদের ভোট আদায়ের কৌশল বিষয়ক কৌতুক টা বেশ মজার। আমাদের দেশের বেশীরভাগ মানুষ ওয়ানওয়ে সমালোচনায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: যত মত, তত পদ।
আলোচনা সমালোচনা থাকবেই।