নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
**দলিল সংশোধন (The rectification of instruments):
প্রতারণা অথবা পক্ষগণের পারস্পরিক ভুলের জন্য কোন লিখিত দলিল প্রকৃত অর্থে পক্ষগণের উদ্দেশ্য প্রকাশ করে না, সেক্ষেত্রে দলিলের যে কোন পক্ষ অথবা তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি দলিলটি সংশোধনের জন্য মামলা দায়ের করতে পারে। দলিল সংশোধনের মামলায় প্রতারণা বা পারস্পরিক ভুল অবশ্যই থাকতে হবে। তা না হলে দলিল সংশোধনের মামলা দায়ের করা যাবে না।
**দলিলটি সংশোধনের ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হবেঃ
(১) দলিলটি ভুলক্রমে লিখিত হয়েছে কিনা।
(২) দলিলের একপক্ষ অপরপক্ষের প্রতি প্রতারণা করেছে কিনা।
(৩) দলিল সংশোধনের বিরুদ্ধে কোন সুস্পষ্ট সাক্ষ্য আছে কিনা।
(৪) দলিল সংশোধনের মামলায় বিকল্প প্রতিকারমূলক ব্যবস্থার উল্লেখ আছে কিনা।
## কোন কোন কারণে দলিল সংশোধন করা যায়
(১) প্রতারণার ফলে যদি দলিলে ভুল হয়।
(২) পক্ষগণের পারস্পরিক ভুলের জন্য যদি দলিল ভুলভাবে লিখিত হয়।
(৩) পক্ষগণের প্রকৃত মনোভাব যদি দলিলে ভুলভাবে লিখিত হয়।
(৪) পক্ষগণের প্রতারণা বা ভুল যদি আদালত দলিল কার্যকর করার সময় নির্ণয় করতে পারেন।
(৫) কোন চুক্তিপত্রের সাথে যদি পক্ষগণের ইচ্ছা পরস্পর বিরুদ্ধ হয়ে দাড়ায় তাহলে চুক্তিপত্রটি আদালত সংশোধন করতে পারবেন।
##কারা দলিল সংশোধনের মামলা করতে পারেঃ
(১) দলিলের যে কোন পক্ষ।
(২) দলিলের যেকোন পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিগণ।
(৩) দলিলের যে কোন পক্ষের উত্তরাধিকারীগণ।
(৪) দলিলের যেকোন পক্ষের নিকট হতে হস্তান্তর গ্রহীতাগণ।
(৫) দলিলের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ।
##কখন দলিল সংশোধন করা যায় না
(১) যখন তৃতীয় ব্যক্তি যথাযথ মূল্যের বিনিময়ে সরল বিশ্বাসে জমি ক্রয় করেন তখন তার অধিকার হস্তক্ষেপ করে দলিল সংশোধন করা যায় না। উদাহরণ-রোকেয়া বেগম ১০০০ দাগের সম্পত্তি বিউটি আক্তারের নিকট বিক্রি করেন। বিউটি আক্তার দলিল লেখকের সাথে যোগসাজশ করে রোকেয়া বেগমের ১০০১ দাগের সম্পত্তিটিও দলিলে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। পরবর্তী সময়ে বিউটি আক্তার ১০০১ দাগের সম্পত্তিটি শিউলী আক্তারের নিকট বিক্রি করে। শিউলী আক্তার সরল বিশ্বাসে জমিটি ক্রয় করে। এক্ষেত্রে রোকেয়া বেগম ১০০১ দাগের সম্পত্তির জন্য দলিল সংশোধনের প্রতিকার পাবে না। কারণ শিউলী আক্তার সরল বিশ্বাসে জমিটি ক্রয় করেছে। এখানে রোকেয়া বেগম ১০০১ দাগের সম্পত্তির জন্য বিউটি আক্তারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পাবে।
(২) পক্ষগণের পারস্পরিক ভুল না হয়ে যদি একপক্ষের ভুল হয় তাহলেও দলিল সংশোধন করা যাবে না।
(৩) আইনগত ভুলের কারণে দলিলে ভুল হলে সেই দলিল সংশোধন করা যাবে না।
(৪) বাদী ইচ্ছাকৃতভাবে কোন শর্ত সংযোজন বা বিয়োজন করলে আদালত কখনো দলিল সংশোধনের ডিক্রী প্রদান করবেন না।
##কোন কোন দলিল সংশোধন করা যায়ঃ
কবলা দলিল, লিখিত চুক্তিপত্র, বন্ধকী দলিল সংশোধনের মামলা দায়ের করা যায়। সাধারনত সোলে ডিক্রী সংশোধন করা যায় না। মোকদ্দমার দুই পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে আদালতের দেয়া ডিক্রিকে সোলে ডিক্রি বলে। আপোস-নিষ্পত্তির আবেদনে ভুল থাকলে এবং এই ভুলের ভিত্তিতে আদালতের ডিক্রি পেলে পরবর্তীতে এই উদ্দেশ্য মামলা দায়ের করে দলিল সংশোধন করা যায়।
##দলিল সংশোধনের মামলা দায়ের না করে দলিল সংশোধনের বিকল্প প্রতিকারঃ
(১) অন্য কোন ব্যক্তি দখল উদ্ধারের মামলা দায়ের করলে সেই মামলার আত্নরক্ষায় দলিল সংশোধনের দাবী উপস্থাপন করা যায়।
(২) রিডেমশনের মামলায় দলিল সংশোধনের প্রশ্ন উত্থাপন করা যায়।
(৩) দলিল সংশোধনের মামলা দায়ের না করে সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের মামলা করা যায়।
(৪) দখল স্হায়ীকরণের ডিক্রী লাভের জন্য মামলা দায়ের করা যায়।
(৫) দলিল সংশোধনের মামলা তামাদিতে বারিত হওয়ার পর স্বত্ব ঘোষণার মামলা দায়ের করা হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে।[36 DLR 337]
##প্রমাণের দায়িত্ব
দলিল সংশোধনের মামলায় প্রতারণা বা পারস্পরিক ভুল প্রমাণের দায়িত্ব সেই পক্ষের যে পক্ষ দলিল সংশোধনের প্রার্থনা করে।যে ব্যক্তি দলিল সংশোধন দাবী করে তার উপর প্রমাণের ভার কঠোরভাবে অর্পিত হয়।
##তামাদির মেয়াদ
দলিল সংশোধনের জন্য মামলা প্রতারণা বা পারস্পরিক ভুল সম্পর্কে অবগত হওয়ার ৩ বছরের মধ্যে দায়ের করতে হবে।
- এম টি উল্যাহ
আইনজীবী
০১৭৩৩৫৯৪২৭০
[email protected]
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:০৭
ching বলেছেন: ্রিয়তে নিলাম
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪০
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: ্মামলা শব্দটাই আমার অপছন্দ।