নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
**আসন কিসের ভিত্তিতে বিন্যাস হয়ে থাকে:
প্রথমে জেনে রাখা ভাল, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃবিন্যাসের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। সংবিধান অনুযায়ী জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংসদীয় আসন পুনঃবিন্যাস করা হয়ে থাকে। এ হিসাবে দেশের জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি আদমশুমারি রিপোর্ট প্রকাশের পর আসন পুনঃবিন্যাস করা হয়ে থাকে। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে পাঁচ বার সংসদীয় সীমানা পুনঃবিন্যাস হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাপক হারে আসন পুনঃবিন্যাস হয়েছে ১৯৮৪ ও ২০০৮ সালে। আদমশুমারিতে জেলার জনসংখ্যা বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে আসন পুনঃবিন্যাস হয়। এর ফলে ৩০০ সংসদীয় আসন ঠিক রাখার শর্তে কোনও কোনও জেলার আসন কমে যায়, আবার কোনও কোনও জেলার বেড়ে যায়।
স্বাধীনতার পর গত ৪৯ বছরে জেলা, বিভাগ ,সিটি করপোরেশন, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন, পৌরসভার সাথে বেড়েছে জনসংখ্যাও।১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম আদমশুমারির প্রতিবেদনে জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৬৪ লাখ। সেখানে সর্বশেষ ২০১১ সালের আদমশুমারির প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৯৭ লাখের বেশি।
যেহেতু পরবর্তী আদমশুমারী ২০২১ সালে হবে সেহেতু ২০২১ সালের পরবর্তীতে আবারও আসন বিন্যাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । কিন্তু ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সীমানা অনুসারে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সাধারণ যে ৩০০ আসন নির্ধারিত হয়েছিল, তা আজও অপরিবর্তিত রয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনি আসন সাড়ে চারশ থেকে পাঁচশ করার দাবি তুলেছে।
**আইন কি বলে আসন বিন্যাসে:
সংবিধান ও সীমানা নির্ধারণ আইন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সংবিধানের ১১৯ (গ) অনুচ্ছেদে ইসিকে সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। সংবিধানের ১২৪ অনুচ্ছেদে ইসিকে ‘সংসদ আইনের দ্বারা নির্বাচনি এলাকার সীমা নির্ধারণ’ করার কথা বলা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ‘সংসদ নির্বাচন এলাকা সীমানা নির্ধারণ বিধান অধ্যাদেশ, ১৯৭৬’ জারি করা হয়। এরপর থেকেই এই অধ্যাদেশ মোতাবেক কমিশন প্রশাসনিক সুবিধা (Administrative Convenience), আঞ্চলিক অখন্ডতা ( Compact Area), ও জনসংখ্যার বিভাজন (Distribution of Population) কে বিবেচনায় রেখে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারন করে। বিশেষ করে প্রশাসনিক সুবিধা ও জনসংখ্যার বিভাজনের উপর ভিত্তি করে সংসদ নির্বাচনের সীমানা পুনঃবিন্যাস হয়ে আসছে।
আইনে (৮ ধারা) বলা হয়েছে ‘আঞ্চলিক নির্বাচনি এলাকাগুলোর সীমানা (ক) প্রত্যেক আদমশুমারির সমাপ্তির পর, অনুরূপ আদমশুমারির পরে অনুষ্ঠিতব্য সংসদের সাধারণ নির্বাচনের উদ্দেশ্যে; এবং (খ) কমিশন লিখিতভাবে উল্লেখপূর্বক ভিন্নরূপ নির্দেশ না দিলে, সংসদের প্রত্যেক সাধারণ নির্বাচনের আগে নতুনভাবে চিহ্নিত হবে।’ এ ছাড়া ৬ (২) ধারায় বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনি এলাকাগুলোর সীমানা, প্রশাসনিক সুবিধার বিষয় বিবেচনাক্রমে এমনভাবে চিহ্নিত করতে হবে, যেন প্রতিটি নির্বাচনি এলাকা নিবিড় হয় এবং এটি করার সময় সর্বশেষ আদমশুমারির প্রতিবেদনে প্রদত্ত জনসংখ্যা বণ্টনের বিষয়টি যতদূর সম্ভব যথাযথভাবে বিবেচনায় রাখতে হবে।’
** আলাদা আসন পেতে
আমরা সুবর্ণচরবাসী কি করতে পারি?
যেহেতু আমাদের সুবর্ণচরের আয়তন বেড়েছে, জনসংখ্যা বেড়েছে। একটি সংসদীয় আসনের জন্য যে জনসংখ্যা ও আয়তন প্রয়োজন তাও আমাদের রয়েছে। নোয়াখালীর দক্ষিণে বিশাল আয়তন বেড়ে চলছে যার মধ্যে সুবর্ণচরের সীমানা ঘেসে জেগে উঠেছে চর,জন বসতি। নতুন আসন বিন্যাসের ক্ষেত্রে ওইসব এলাকাকেও বিবেচনা করা যেতে পারে সুবর্ণচরের অন্তভুক্ত করে।
সংসদীয় আসনের সীমানা বিন্যাসের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে আবেদন জমা দিতে হয়। সংসদীয় ৩০০ আসনের বিপরীতে এখনো শতাধিক আবেদন জমা হলেও আমরা কি করেছি কোন আবেদন? সুবর্ণচর থেকে কম সীমানা ও জনসংখ্যা নিয়ে অনেকটি আসন হতে পারলে আমরা কেন নয়? এ ব্যাপারে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন সময়ে আমার পর্যায় থেকে খোঁজ খবর নিলেও, স্থানীয় কয়েকজন নেতার সাথে কথা বললেও বিষয়টি নিয়ে কারো আগ্রহ দেখিনি । জটিলতার কথা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। হ্যাঁ, ৩০০ আসন না বাড়লেও দেশের অন্যত্র যে সকল আসনে জনসংখ্যা কম এবং আয়তন অপেক্ষাকৃত কম সে সকল আসন একভূত করেও আসন কমিয়ে আমাদের সুবর্ণচর কে একক আসন করা কি যায় না?।
যেমন,২০০৮ সালের আসন পুনঃবিন্যাস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওই সময় ঢাকার নির্বাচনি আসন ১৩টি থেকে বেড়ে একবারেই ২০টি করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর নির্বাচনি আসন একটি করে বেড়েছে। এর বাইরে পার্বত্য জেলায় একটি আসন বাড়ে। বিপরীতে সিরাজগঞ্জ, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পিরোজপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, কুমিল্লা ও চাঁদপুরে ১টি করে আসন কমে যায়। তাছাড়াও,আমাদের পাশ্ববর্তী হাতিয়া ও সন্দ্বিপের ভাঙ্গন ও ভৌগলিক গুরুত্বের কারণে সুবর্ণচরের জনসংখ্যা, আয়তন বেড়ে চলছে। সব মিলিয়ে সুবর্ণচর প্রায় ০৫(পাঁচ) লক্ষ লোকের জনবসতি । যাতে করে বাজেটের সুষম বন্টন সহ সার্বিক জীবন যাত্রার মানের বিকাশ ঘটাতে প্রশাসনিক কাঠামোর ক্ষেত্রে সুবর্ণচরকে আসন হওয়া আবশ্যক। বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর ক্ষেত্রে সুবর্ণচরকে আমরা মডেল হিসাবে কল্পনা করতে হলে এটি আলাদা আসন হতেই হবে।
** মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ (MT Ullah)
আইনজীবী
[email protected]
+৮৮০১৭৩৩৫৯৪২৭০
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৬
এম টি উল্লাহ বলেছেন: Noakhali
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার একটা ডকুমেন্টারি করতে একবার সুবর্ণচরের প্রান্তরে প্রান্তরে ঘুরতে হয়েছিলো... বেশ বড় এলাকা।
৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: সুবর্নচর নামটা খুব সুন্দর।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৬
এম টি উল্লাহ বলেছেন: Thanks
৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০২
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: এই এলাকাটি স্বম্পূর্ণ কৃযি নির্ভর এলাকা। খাদ্য শস্যের নতুন সম্ভার। কৃষিকে প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪০
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
সুবর্ণচর কোথায় অবস্হিত?