নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
অ্যারিস্টটলের মতে “মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই রাজনীতি প্রিয় প্রাণী” আর এই সত্যটি পরিপূর্ণভাবে প্রযোজ্য আমাদের দেশের ক্ষেত্রে। পাড়ার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে কর্পোরেট অফিসের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ সর্বত্রই চলে এই রাজনীতির বাহাস।
কিন্তু এই বাহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিক হলো এক কথায় রাজনৈতিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন করাটা। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নামিক অংশগ্রহণ ছাড়া (token participation) আমাদের সচেতন জনগণ তেমন রাজনীতি বিশ্লেষণ করা কিংবা রাজনীতি নিয়ে গভীরভাবে মাথা ঘামানের প্রয়োজন বোধ করে না।
আর শিক্ষত সচেতন অধিকাংশ তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করা তো দূরের কথা বরং রাজনীতি নিয়ে চিন্তা করাকে এক ধরনের অপরাধ হিসেবে ভাবে। শিক্ষিত, সম্ভাবনাময়ী, সচেতন দাবিদার তরুণ সমাজ মনে করে
“কোনো নির্দিষ্ট মতাদর্শের অনুসারী হওয়ার অর্থই হলো মুক্তচিন্তার ধারাকে সেই মতাদর্শের ধরা বাঁধা সীমার মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলা”। তাই মুক্ত চিন্তার পূর্বশর্ত হলো “মতাদর্শ থেকে মুক্তি”( Free from a certain poitical ideology) । এমন বিষয়টি আজকাল ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে তাদের মাঝে।
এর পিছনে অনেকগুলো কারণ বিদ্যমান। তবে মোটা দাগে বিবেচনা করলে শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক চর্চা ব্যহত করা, ছাত্র রাজনীতির নামে দলীয় লেজুড়বৃত্তি, শক্তি প্রদর্শনের মহড়া, টেন্ডারবাজী, ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ব অছাত্রদের হাতে তুলে দেয়া, বেকারত্ব বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের অভাব প্রভৃতি বিষয়গুলো তরুণদের করেছে হতাশ, করেছে রাজনীতি বিমুখ।
আবার কখনও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে, কখনও মজলুমের অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে, কখনও নানা রকম চেতনার তকমা লাগিয়ে, কখনও ধর্মীয় লেবাস লাগিয়ে মূলত মতান্ধতা, গোঁড়ামি ও চাটুকারিতামূলক রাজনীতির চরিত্র তারুণ্যের কাছে খোলাসা হয়ে গিয়েছে। তার সাথে নীতি-আদর্শ-মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার চেয়ে রাজনীতির বাণিজ্যিকীকরণও সামনে চলে এসেছে।
আর সচেতন-শিক্ষিত তরুণদের রাজনৈতিক বিমুখতার সুবিধা লুটছে অযোগ্য সুবিধাবাদি শ্রেণী। আমরা ভুলে যাই প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ না করলেও রাজনীতি সচেতনতা অতি জরুরি। রাজনৈতিক সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ উপলদ্ধি করতে না পারার কারণেই হয়তো কর্মজীবনে গিয়েও তরুণদের বিশাল একটি অংশ পেশা জীবনে গিয়েও রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হয়েও লেজুড়বৃত্তি, চাটুকারিতামূলক রাজনীতির নিকট ছায়া খুঁজে বেড়ায় সুবিধে লুটার জন্য। তাই আগ বাড়িয়ে রাজনীতিবিদের চেয়ে প্রতিক্রিয়াশীল ভূমিকা রেখে নীতিনির্ধারকদের আমলাতান্ত্রিক মুখী করে তুলে!
একটি বিষয় অনুধাবন করা উচিত, রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন হওয়া জরুরী; কিন্তু একজন রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিকে রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করা জরুরী নয়।
রাজনীতি সচেতনতা ও প্রত্যক্ষভাবে রাজনৈতিক মতাদর্শে লালন করা ভিন্ন বিষয়। কারণ রাজনৈতিক অসচেতনতার কুফল ভয়াবহ।
এ সংক্রান্তে প্লেটো বলেন “রাজনীতিতে অংশগ্রহণ না করার জন্য একটি দণ্ড হচ্ছে যে আপনি আপনার চেয়ে কম যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি দ্বারা শাসিত হবেন”।
রাজনীতিকে কার্যকর ও জনকল্যাণমুখী করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে অবদান রাখা সচেতন দায়িত্ব-কর্তব্য। রাষ্ট্রের তরে নাগরিকের শুধু অধিকারই থাকে না, তার দায়িত্ব-কর্তব্যও থাকে। তাই রাজনীতিকে অর্থবহ করতে যত বেশি সংখ্যক মেধাবীরা রাজনৈতিক সচেতনতাবোধের ভিত্তিতে মতামত প্রকাশ ও কার্যকর উদ্যোগ নেবেন, রাষ্ট্রের ভবিষ্যতের জন্য তত বেশি মঙ্গলকর হবে
- এম টি উল্যাহ,আইনজীবী
০১৭৩৩৫৯৪২৭০
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৭
এম টি উল্লাহ বলেছেন: Exactly
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:০১
রাজীব নুর বলেছেন: রাজনীতি এখন দুষ্টলোকোদের হাতিয়ার।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪১
এম টি উল্লাহ বলেছেন: যথাযথ
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রশ্নফাঁস করার পর, রাজনীতি?
৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:২০
রাকু হাসান বলেছেন:
তরুণ শিক্ষিত শ্রেণির অনুপস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে দুর্নীতিবাজরা । ভালোদের রাজনীতিতে আসতে হবে। ভালো বলছেন।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৭
এম টি উল্লাহ বলেছেন: Thanks
৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পৃথীবিতে এমন কোন মানুষ নেই যে রাজনীতি করে না।বুঝেই হোক বা না বুঝেই হোক রাজনীতি করে।যে অধিকারের কথা চিন্তা করে সেই রাজনীতি করে।তবে বিচ্ছিন্ন ভাবে।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪১
এম টি উল্লাহ বলেছেন: যথাযথ বলেছেন
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:১৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: রাজনীতিতে এখন মমতাজ ,বদি ,সাহেদ ,শামীম সম্রাট ও পাপীয়া আছে অন্যদের আর কি দরকার ।