নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
কোন ব্যক্তি যৌক্তিক কোন কারনে অন্যকে আইনগতভাবে যে ক্ষমতা অর্পণ করে তাকে ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ বা আমমোক্তার বলে। সাধারণত সম্পত্তির ভোগদখল, রক্ষণাবেক্ষণ, কেনাবেচার জন্য বিশ্বস্ত কাউকে এ ক্ষমতা অর্থাৎ ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ বা আমমোক্তার দিয়ে থাকে।
ধরুন আপনি অঢেল সম্পত্তির মালিক। কিন্তু বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য চলে গেছেন। ছেলেমেয়েরাও চাকরি কিংবা বিয়ের সূত্রে আপনার সম্পত্তি থেকে দূরে অবস্থান করে। তাই আপনি ঠিক করলেন বিশ্বস্ত কাউকে জায়গা জমি দেখাশোনার দায়িত্ব দেবেন। কিন্তু কিভাবে দায়িত্ব দিতে হবে তা আপনি জানেন না । এজন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে ওই বিশ্বস্ত ব্যাক্তির ওপর ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ বা মোক্তারনামা করতে হবে। মোক্তারনামা এক ধরনের লিখিত আইনি দলিল। এর মাধ্যমে একজন অন্য আরেকজনকে ক্ষমতা প্রদান করেন। যাকে ক্ষমতা প্রদান করা হয়, তাকে ‘অ্যাটর্নি’ বা মোক্তার বলা হয়। যিনি ক্ষমতা প্রদান করেন তার পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি বা মোক্তার কাজ করেন।
করণীয়
কোনো দায়িত্ব বা ক্ষমতা অর্পণের জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বা আমমোক্তারনামা করতে হবে। তা হতে হবে লিখিত। এটি একটি আইনগত দলিল। যাকে মোক্তার নিয়োগ করা হলো তিনি মূল মালিকের পক্ষে কোনো সম্পত্তির দান, বিক্রি, হস্তান্তর, রক্ষণাবেক্ষণ, বন্ধক রাখা, খাজনা ইত্যাদি কাজ করে থাকেন। এতে মোক্তারনামা দলিলে এসব বিষয়ে শর্ত স্পষ্ট করে লেখা থাকতে হবে যে তাঁকে পাওয়ার দেওয়া হলো তিনি কী কী করতে পারবেন কিংবা পারবেন না।
সাধারণত মোক্তারনামা দুই প্রকার। একটি হচ্ছে সাধারণ মোক্তারনামা, যাকে আমমোক্তারনামা বলা হয়। আরেকটি হচ্ছে খাস মোক্তারনামা, যা বিশেষ মোক্তারনামা।
সাধারণত মোক্তারনামা মোক্তারদাতার পক্ষে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়, কিন্তু বিশেষ মোক্তারনামা সম্পাদন করতে হয় নির্দিষ্ট কাজের জন্য। সাধারণত আমমোক্তারনামা যেগুলো জমিজমা হস্তান্তরের সঙ্গে জড়িত নয়, সেগুলো নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে নোটারি করে নিলে হয়। কিন্তু জমিজমা-সংক্রান্ত মোক্তারনামা অবশ্যই রেজিস্ট্রি করাতে হবে, না হলে এর আইনগত ভিত্তি থাকে না। রেজিস্ট্রেশন দলিল সম্পাদনের তিন মাসের মধ্যে করতে হবে। কোনো মামলা-মোকদ্দমা পরিচালনার ক্ষেত্রেও পাওয়ার অ্যাটর্নি নিয়োগ করা যায়। এ ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি লাগবে। দলিলের ধরন বুঝে নির্দিষ্ট টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তা সম্পন্ন করতে হবে। কোন দলিল কত টাকার স্ট্যাম্পে করতে হবে তা জেনে নিতে হবে। বর্তমানে যেকোনো দলিল হস্তান্তর, ক্রয়-বিক্রয়, উন্নয়ন এবং ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে দাতা ও গ্রহীতা—উভয়ের ছবি দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বিদেশে অবস্থান করলে
বিদেশে বসবাস বা অবস্থানরত কোনো ব্যক্তি কাউকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিতে চাইলে দূতাবাসের মাধ্যমে দলিল সম্পন্ন ও প্রত্যয়ন করে পাঠাতে হবে। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তা সত্যায়িত করাতে হবে।
সতর্কতা
পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রধান যে বিষয়ে তা হচ্ছে, যে ব্যক্তিকে মোক্তার করা হচ্ছে, তিনি কতটা বিশ্বস্ত, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা। অনেক সময় দেখা যায়, মোক্তার নিজের নামে কিংবা প্রতারণামূলকভাবে জায়গাজমি হস্তান্তর বা বিক্রি করে দেন। তখন মূল মালিক বিপদে পড়েন। এ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমাও কম হয় না। তাই দলিলের শর্তগুলো স্পষ্ট করে লেখা থাকতে হবে। যাঁকে পাওয়ার দেওয়া হলো তাঁর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখাও মালিকের দায়িত্ব।
মোক্তারনামা বাতিল
যেকোনো সময় সাধারণ মোক্তারনামা বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বাতিল বা প্রত্যাহার করা যায়।
মোক্তারনামা বাতিলের পদ্ধতি
ক) মোক্তারনামা নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য করা হলে মেয়াদ শেষে বাতিল বলে গন্য হবে;
খ) মোক্তারনামা নির্দিষ্ট কোনো কার্যের জন্য করা হলে ঐকাজ সমাপ্তিতে তা বাতিল বলে গন্য হবে;
গ) যৌথ ক্ষমতার মোক্তারনামার পক্ষদের একজনের মৃত্যুতে তা বাতিল বলে গন্য হবে;
ঘ) মোক্তারনামা দাতা কোনো মোক্তারনামা বাতিল করতে ইচ্ছুক হলে যে রেজিস্ট্রি অফিসে মোক্তারনামা টি তস্দিক করা হয়েছিল সে স্থানের জেলা রেজিস্ট্রারের (ডি.আর) বরবরে মোক্তারনামা রদের জন্য আবেদন করতে হবে । মোক্তারনামার উপর তিনি “রদ করা“ কথাটি লিখে দিবেন এবং সে মোতাবেক রেজিস্টার সংশোধন করবেন । রেজিস্ট্রি অফিসার মোক্তারনামা বাতিলের আবেদন পাবার পর তার জেলার সকল রেজিস্ট্রারিং অফিসে বা অন্য কোনো জেলার সদর অফিসকে বিষয়টি নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন । নোটিশ জারীর ডাক টিকেটের খরচ আবেদন কারী বহন করবেন;
ঙ) তবে স্বার্থের সাথে যুক্ত মোক্তারনামা স্বার্থ পূর্ণ বা পরিত্যক্ত না হওয়া পর্যন্ত বাতিল করা যায় না ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০০
এম টি উল্লাহ বলেছেন: সত্য নয় তবে সহজও নয়! এক্ষেত্রে আদালতে মোকাদ্দমা করে প্রত্যাহারের আবেদন করতে হয়। বিস্তারিত ০১৭৩৩ ৫৯৪ ২৭০
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯
স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: ±
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৩
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: =ভালো।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৩
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য
৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬
সনেট কবি বলেছেন: ভাল পোষ্ট।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৩
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৬
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: একটি হচ্ছে সাধারণ মোক্তারনামা, যাকে আমমোক্তারনামা বলা হয়।
আরেকটি হচ্ছে খাস মোক্তারনামা, যা বিশেষ মোক্তারনামা।
.................................................................................................
আমরা জানি ইরিভোকেবল মোক্তারনামা বাতিল করা যায় না ।
এইটা কি সত্যি ???