নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিথ্যা মামলায় হয়রানির ক্ষেত্রে করণীয়

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪২



কোনো অপরাধ না করার পরও শত্রুতাবশত কেউ আপনার বিরুদ্ধে থানা বা আদালতে মামলা ঠুকে দিল। জানার পর ‘বিনা মেঘে বজ্রপাত’ হলো আপনার মাথায়। ভাবছেন উপায় কী? উত্তর হলো, আইনি লড়াই চালিয়ে সহজেই আকস্মিক এই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারেন আপনি।

মামলা চলার সময়ে করণীয়
যদি মিথ্যা মামলার শিকার হয়েই যান কেউ, তাহলে আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মামলাটি লড়ে যেতে হবে। যদি দলিলপত্র ও সাক্ষ্যপ্রমাণ ঠিক থাকে, তাহলে মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই মিলবে। মামলা থেকে পালিয়ে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এতে আপনার অনুপস্থিতিতেই সাজা হয়ে যেতে পারে। তবে ফৌজদারি মামলায় জামিনের বিষয় জড়িত থাকে। জামিন বিষয়ে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে। মিথ্যা মামলা হলে রেহাই মিলে। থানায় মামলা হলে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে যথাযথ সত্যতাসহ যাবতীয় দলিল উপস্থাপন করতে হবে। পুলিশ ইচ্ছে করলে গ্রেপ্তার না করে মামলার বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষেÿআপনাকে নির্দোষ দেখিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দায়ের করতে পারে।

পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান দিলে জামিনের আবেদন করতে হবে। পরবর্তী সময়ে অভিযোগ গঠনের দিন মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করতে হবে। নিম্ন আদালতে অব্যাহতি না পেলে পর্যায়ক্রমে উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। যদি আদালতে সরাসরি মামলা হয়, তাহলেও আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে হবে এবং পরবর্তী সময়ে মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। মামলা সাক্ষ্য পর্যায়ে গেলে উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। যদিও মামলার অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ যিনি মামলা করেন তাঁর ওপর বর্তায়।
দেওয়ানি মামলা হলে
দেওয়ানি মামলা হলে জবাব দাখিলের জন্য আদালত আসামির কাছে সমন পাঠাবেন। নির্ধারিত তারিখে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জবাব দাখিল করতে হবে। পরবর্তী সময়ে মামলা ধারাবাহিকভাবে চলবে।

মিথ্যা মামলায় হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান


ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০ ধারায় মিথ্যা অভিযোগের শাস্তির বিধান রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট যদি আসামিকে খালাস দেওয়ার সময় প্রমাণ পান যে মামলাটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক, তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট বাদীকে কারণ দর্শানোর নোটিশসহ ক্ষতিপূরণের আদেশ দিতে পারেন। দণ্ডবিধির ১৯১ ও ১৯৩ ধারায় মিথ্যা সাক্ষ্যদানের শাস্তির জন্য সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের কথা উল্লেখ আছে। দণ্ডবিধির ২০৯ ধারামতে, মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করলে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে। আবার ২১১ ধারায় মিথ্যা ফৌজদারি মামলা দায়ের করার শাস্তির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে কোনো অভিযোগ দায়ের করলে অথবা কোনো অপরাধ সংঘটিত করেছে মর্মে মিথ্যা মামলা দায়ের করলে মামলা দায়েরকারীকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করারও বিধান রয়েছে। তবে অভিযোগের বিষয় যদি এমন হয় যে যার কারণে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন বা সাত বছরের ওপর সাজা হওয়ার আশঙ্কা ছিল, তাহলে দায়ী অভিযোগকারীর সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর ১৭ ধারায়ও মিথ্যা মামলা দায়েরের শাস্তির কথা উল্লেখ আছে। এখানে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি কারও ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে এই আইনের অন্য কোনো ধারায় মামলা করার জন্য আইনানুগ কারণ নেই জেনেও মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন অথবা করান, তবে সেই অভিযোগকারী অনধিক সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১০

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
এটা নির্বাচিত পৃষ্ঠায় যাওয়ার দাবী রাখে।

খুবই উপকারী প্রকাশ। ধন্যবাদ ও শুভকামনা আপনার জন্য

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

এম টি উল্লাহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৫৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আপনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে একটা পোস্ট দিন। উদাহরণ সহ দেবেন, যাতে সহজে বুঝা যায়....

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

এম টি উল্লাহ বলেছেন: কঠিন কাজ!

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১১

রাজীব নুর বলেছেন: ক্ষমতাবানরা সব কিছুর উরদ্ধে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

এম টি উল্লাহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

আরজু পনি বলেছেন: আমার জীবনে এমন শত্রু না আসুক।
:(

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

এম টি উল্লাহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

এমজেডএফ বলেছেন: আইন বিষয়ক ভালো একটি সিরিজ, লেখককে ধন্যবাদ।
একটি মামলার বিভিন্ন ধাপগুলোর (এফ আই আর বা এজাহার থেকে শুরু করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ) বিবরণ দিয়ে একটি পোস্ট দিতে পারেন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

এম টি উল্লাহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.