নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
▶বিভিন্ন পরিস্হিতিতে পুলিশকে/প্রশাসন কে সহযোগিতা করার বাধ্যতামূলক বিধান রয়েছে সাধারণ নাগরিকের প্রতি ।অন্যথায় অাইনের অাওতায় তা শাস্তিযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।অাসুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন পরিস্হিতিতে সহযোগিতা করতে বাধ্য অামরা।
▶ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২ ধারা অনুসারে,
➡ কোনো পুলিশ কর্মকর্তা
অথবা
➡ম্যাজিস্ট্রেট (বিচারিক ) যখন যৌক্তিক কারণে কোনো ব্যক্তির সাহায্য দাবি করেন,
➡তখন সেই ব্যক্তি ওই পুলিশ কর্মকর্তা কিংবা ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা দিতে বাধ্য।
যে পরিস্হিতিতে এই ধরনের সহায়তা চাইতে পারেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা বা ম্যাজিস্ট্রেট
◼▶প্রথমত ,
যখন তিনি কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা রাখেন, সেই সময় ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে কিংবা তার পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করতে সাধারণ জনগণের সহায়তা চাইতে পারেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা বা ম্যাজিস্ট্রেট।
▶দ্বিতীয়ত,
শান্তি বিনষ্টকারী কোনো অপরাধ ঠেকাতে কিংবা
রেলওয়ে, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা
কিংবা
সরকারি সম্পত্তির প্রতি কারো আক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশ কর্মকর্তা বা ম্যাজিস্ট্রেট সাধারণ জনগণের সহায়তা চাইতে পারেন।
▶ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৩ ধারা অনুসারে,
➡পুলিশ ছাড়া অন্য ব্যক্তিকে যদি কাউকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা প্রদান করা হয়, সে ক্ষেত্রে যে ব্যক্তিকে ওই গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, তাকে সহায়তা করাও সাধারণ জনগণের কর্তব্য।
▶ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৪ ধারা অনুসারে
➡কোনো ব্যক্তি কিছু অপরাধ সংঘটনের বা
সংঘটনের ইচ্ছা সম্পর্কে অবহিত থাকলে যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে সে সম্পর্কিত তথ্য নিকটবর্তী ম্যাজিস্ট্রেট
বা
পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রদান করবেন।
▶৪৫ ধারা অনুসারে,
➡সরকারি কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি
কিংবা
সাধারণ জনগণ যখনই কোনো অপরাধ বা অপরাধী সম্পর্কে জানতে পারবে, তাৎক্ষণিকভাবে সে ব্যাপারে নিকটবর্তী ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা পুলিশ-কর্মকর্তাকে জানাতে হবে।
➡আইনে যাদের তথ্য প্রদানের এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তারা যদি তাদের কর্তব্যে গাফলতি করেন, তবে দণ্ডবিধি অনুসারে তাদের সাজা ভোগ করতে হবে।
▶তথ্য প্রদান না করলে সাজা:
▶দণ্ডবিধির ১৭৬ ধারা অনুসারে,
➡ যে ব্যক্তি কোনো সরকারি কর্মচারীর কাছে কোনো বিষয়ে কোনো নোটিশ দান বা
কোনো তথ্য সরবরাহ করার জন্য আইনত বাধ্য হয়ে, ইচ্ছাকৃতভাবে, আইনবলে আদিষ্ট পদ্ধতিতে ও সময়ে অনুরূপ সরকারি কর্মচারীর কাছ থেকে নোটিশদান বা
অনুরূপ তথ্য সরবরাহ না করেন, সেই ব্যক্তি কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
অথবা ➡যদি প্রদানের জন্য আদিষ্ট নোটিশ বা তথ্য কোনো অপরাধ সংঘটন সম্পর্কে হয় বা
কোনো অপরাধ সংঘটন নিবারণের উদ্দেশে প্রয়োজনীয় হয় বা কোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তারের জন্য উদ্দিষ্ট হয়, সে ক্ষেত্রে অথবা যদি প্রদানের জন্য আদিষ্ট নোটিশ বা তথ্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬৫ ধারা (১) উপধারার অধীনে প্রদত্ত কোনো আদেশ অনুযায়ী আবশ্যক হয়, তাহলে কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
https://www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
০১৭৩৩ ৫৯৪ ২৭০
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৫
এম টি উল্লাহ বলেছেন: মনে হয়।
২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৯
সনেট কবি বলেছেন: ভাল পোষ্ট।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৬
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে আইন গরীব মানুষদের জন্য।
ধনীরা টাকা দিয়ে অপরাধ করেও পার পেয়ে যায়।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৬
এম টি উল্লাহ বলেছেন: সেটাই
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৩
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পোস্টের এই ফটিক ভদ্রলোকটি কে? আপনার প্রায় পোস্টেই ওনার ছবি? মারা গেছে নাকি?