নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
৫৪ ধারা শব্দটা আমাদের নিকট বড়ই পরিচিত একটা শব্দ। অনেক সময় দেখা যায়, রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করলে সরকার বিরোধী দল গুলোকে দমানোর জন্য পুলিশকে এই ধারার অধীনে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করার জন্য উদ্ভুদ্ধ করে। শুধু তাই নয়, শান্তির সময়েও পুলিশ সাধারণ বা অসাধারণ সকল ধরনের মানুষকে গ্রেফতার বা হয়রানি করতে এই ধারার বিশেষ ব্যবহার করে থাকে। আমরা সাধারণত ৫৪ ধারায় গ্রেফতার মানে সন্দেহজনক গ্রেফতার বুঝি? এই সন্দেহজনক গ্রেফতার কি? আমলযোগ্য অপরাধ সংগঠন করার সন্দেহজনক সম্ভাবনা।
৯টি বিশেষ শ্রেণীর অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ ৫৪ ধারার অধীনে, এই ৯ শ্রেনীর অপরাধীকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে পুলিশের আদালতের আদেশ লাগেনা, অবশ্য এই ৯ শ্রেনীর বাইরে খুব কমই অপরাধী আছে। এবার দেখা যাক এগুলো কি কি :
▶১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় বলা হয়েছে :
➡কেউ আমলযোগ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে বা
➡জড়িত থাকার যুক্তিসঙ্গত অভিযোগ বা সন্দেহ থাকলে,
➡আইনসঙ্গত অজুহাত ছাড়া কারও কাছে ঘর ভাঙার সরঞ্জাম থাকলে,
➡সংবাদপত্র বা গেজেটের মাধ্যমে ঘোষিত অপরাধী হলে,
➡প্রতিরক্ষা বাহিনী থেকে পালিয়ে গেলে,
➡পুলিশের কাজে বাধা দিলে বা
➡পুলিশের হেফাজতে থেকে পালিয়ে গেলে,
➡ দেশের বাইরে অপরাধ করে পালিয়ে এলে,
➡চোরাই মাল থাকলে বা অন্য কোন থানা থেকে গ্রেফতারের অনুরোধ থাকলে যে কোন ব্যক্তিকে পুলিশ সন্দেহবশত গ্রেফতার করতে পারবে।
যে কোনো নাগরিককে ওয়ারেন্ট ছাড়া কিংবা কোনোরুপ অন্যায় ছাড়াই আমলযোগ্য অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে সন্দেহ হলেই কোনো ব্যক্তিকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে পুলিশকে। তাই এই ধারার সঠিক ব্যবহার নিশ্চতকরনে আমাদের সবার সচেতন হওয়া উচিত।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮
এম টি উল্লাহ বলেছেন: দেশে মোট কয়টি আইন তার কোন হিসাব নেই। নিত্য নতুন অনেক আইন হচ্ছে আবার কিছু আইন বাতিলও হচ্ছে। ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৬০ সালের দন্ডবিধি, ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইন,১৯০৮ সালের দেওয়ানি কার্যবিধি এখনো বিদ্যমান তবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কিছু সংস্কার করা হয়েছে।
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আমার মতে,এই ধারাটি জন-মানুষের কাছে খুবই আপত্তিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে বিগত কয়েকবছর থেকে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৪
এম টি উল্লাহ বলেছেন: যথাযথ বলেছেন।
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০২
মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: পুলিশ হলেই এত সুবিধা! সন্দেহজনক গ্রেফতার!! মানতে পারলাম না
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩
এম টি উল্লাহ বলেছেন: বাস্তবতা বড়ই নির্মম!
৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো বিষয়।
জানছি।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @যে কোনো নাগরিককে ওয়ারেন্ট ছাড়া কিংবা কোনোরুপ অন্যায় ছাড়াই আমলযোগ্য অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে সন্দেহ হলেই কোনো ব্যক্তিকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেয়াহয়েছে পুলিশকে।
.. ঘুষখোর পুলিশদের জন্য এটা একটা বোনাস আইন।
আমাদের আইনগুলো মান্ধাতার আমলের(১৮৯৮) কেন?
দেশে মোট আইনের সংখ্যা কত? ১১২৯টি?
ফৌজদারি কতটা? ৫১১?(সম্ভবত)