নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
▶পুলিশ আইনগতভাবে আপনাকে যে কোনো সন্দেহবশত তল্লাশীর অধিকার
রাখে। তাই তল্লাশীতে বাধা দেয়া বা তাদের সঙ্গে অসাদাচারণ করা উচিত না। কেননা এসব ক্ষেত্রে ‘সন্দেহ প্রবল’ হলে তারা আপনাকে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৪ ধারায় বিনা
পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে পারে।
▶তাই হতাশ না হয়ে তল্লাশীকালে পুলিশকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি তল্লাশীর বিষয়গুলো আইনগতভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কি-না সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।কারণ,তল্লাসীর স্বচ্ছতা নিয়ে অনেক কথা শুনা যায়
▶ফৌজদারী কার্যবিধি(Criminal Procedure )-এর ১০৩
ধারায় তল্লাশীর বিভিন্ন পদ্ধতি
উল্লেখ করা হয়েছে:
▶ফৌজদারী কার্যবিধির-১০৩ ধারার
উপধারা (১) এ বলা হয়েছে,
➡পুলিশ অফিসার বা অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো এলাকায় কোনো স্থানে তল্লাশী
চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিলে অবশ্যই
সেই এলাকার
বা
স্থানের দুই বা ততোধিক সম্মানিত বসবাসকারী
ব্যক্তিকে তল্লাশীর সময় হাজির
থাকতে
এবং
➡ঘটনার সাক্ষি হওয়ার জন্য
আহ্বান করবেন।
➡ তবে সেক্ষেত্রে পুলিশ
অবশ্যই স্থানীয় ব্যক্তিদের যে কোনো
একজনকে উপস্থিত থাকার জন্য লিখিত
আদেশ দিতে পারবেন।
➡ আবার তল্লাশীকালে স্থানীয় এলাকার
সম্মানিত সাক্ষি না পাওয়া গেলে
ভিন্ন স্থান থেকে সাক্ষি নেয়া
যেতে পারে
▶উপধারা (২) এ বলা
হয়েছে,
➡পুলিশ অবশ্যই স্থানীয়
বসবাসকারী ব্যক্তিদের সামনে
তল্লাশী পরিচালনা করবেন
এবং
➡তল্লাশীর সময় জব্দকৃত সব জিনিসের
(কোনটি কোন স্থানে পাওয়া গেছে)
একটিতালিকা তৈরি করবেন। এসময়
স্থানীয় বসবাসকারী সাক্ষিরা ওই
তালিকায় স্বাক্ষর দেবেন।
➡তবে বিশেষ কারণ ছাড়া এসব
সাক্ষিদেরকে আদালতে সাক্ষি
হিসেবে হাজিরের নির্দেশ দেয়া
হবে না
▶**উপধারা (৩) এ বলা হয়েছে,
➡পুলিশ তল্লাশীর সময় যেখানেই যাবে
সেখানে সাক্ষিকে সঙ্গে রাখতে
হবে। তল্লাশীর জব্দকৃত মালামাল
সাক্ষিকে দেখাতে হবে এবং এর
একটি তালিকা করে তৈরি করতে
হবে।
➡ স্থানীয় সম্মানিত সাক্ষি
চাইলে এই তালিকার একটি কপি
তাকেও সরবরাহ করা যাবে
উপধারা (৪) এ বলা হয়েছে,
➡ যে স্থানে তল্লাশী
করা হয় সে স্থানে স্থানীয়
বাসিন্দাদের উপস্থিতি থাকতে হবে
এবং
মালামাল জব্দ তালিকায় সে সব
স্থানীয় সাক্ষির নাম উল্লেখ রাখতে
হবে।
▶উপধারা (৫) এ বলা হয়েছে,
➡কারো বিরুদ্ধে ‘তল্লাশী পরোয়ানা’
থাকলে স্থানীয় ব্যক্তি বা
বাসিন্দাকে উপস্থিত থাকার জন্য
লিখিত আদেশ দেয়া হতে পারে
এমন তল্লাশীর সময় যদি কেউ উপস্থিত থাকতে আপত্তি জানায় তবে সে
দণ্ডবিধির ১৮৭ ধারায় বর্ণিত অপরাধ
করেছেন বলে ধরা হবে।
▶**দণ্ডবিধির ১৮৭ ধারায় বলা হয়েছে, ‘➡কোনো
ব্যক্তি সরকারি কর্মকর্তাকে সরকারি
কোনো কাজে সহযোগিতায়
ইচ্ছাকৃতভাবে অস্বীকৃতি জানালে
বা
বাধা দিলে তাকে একমাস পর্যন্ত যে
কোনো মেয়াদের বিনাশ্রম কারাদণ্ড
অথবা দুইশত টাকা পর্যন্ত যে কোনো
পরিমাণ জরিমানা দণ্ডে বা উভয়দণ্ডে
দণ্ডিত করা হবে।’
▶তাই পুলিশ বা অন্যকোনো অফিসার অথবা
কোনো ম্যাজিস্ট্রেট কর্মকর্তা দিয়ে
তল্লাশীর সময়ে স্থানীয় এক বা দু’জন
সম্মানিত ব্যক্তি সে স্থানে উপস্থিত
আছে কি-না এবং তাদেরকে
দেখিয়ে সব মালামাল তল্লাশী করা
হচ্ছে কি-না এ বিষয়ে জনসাধারণকে
লক্ষ্য রাখতে হবে
-এম টি উল্যাহ
০১৭৩৩ ৫৯৪ ২৭০
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৩
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৪
ইমরান আশফাক বলেছেন: ধন্যবাদ।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৩
এম টি উল্লাহ বলেছেন: স্বাগতম।
৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩২
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: উপকারী পোস্ট।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৪
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩০
নতুন বলেছেন: সমস্যা হইলো আমাদের দেশের পুলিশের শিক্ষা/ট্রেইনিং....
তাদের জবাবদিহিতা নাই তাই পুলিশ যখন তখন জনগনের উপরে হাত তোলে...আঘাত করে....
পুলিশ যদি আইন মানে তবে অন্যায় করার আগে দুইবার ভাববে.... তখন জনগনের অধিকার ক্ষুন্ন করবেনা।
তখন জনগন পুলিশকে জিঙ্গাসা করবে... পুলিশ উত্তর দেবে।
এখন পুলিশ তল্লাসির নামে আপনার ব্যাগে/ঘরে ইয়াবা রেখে টাকার ধান্দা করে.... এখন পুলিশ তল্লাসি করতে এলো পুরো বিষয়টা ভিডিও করে রাখতে হবে... নিজের নিরাপত্তার জন্য...
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৫
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ভালো বলেছেন।
৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সব পুলিশ কি এ ধারাগুলি জানে?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৪
এম টি উল্লাহ বলেছেন: তা জানিনা। তবে জানা উচিত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সচেতনা মূলক পোষ্ট পড়ছি আর সচেতন হচ্ছি।