নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপি চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার ফিরিস্তি ও আইনি প্রক্রিয়ার বর্তমান অবস্হান

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৫


জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট্ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার ২৫ দিনের মাথায় জামিন পেলেও একের পর এক আইনি জটিলতায় আটকে আছে বিএনপি চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। ইতোমধ্যে পেরিয়ে গেছে সাড়ে ছয় মাস। ওনার বিরুদ্ধে করা ৩৬টি মামলার মধ্যে ৩৪টিতে তিনি জামিনে রয়েছেন, বাকি কুমিল্লার দু’টি মামলা (নাশকতা ও হত্যার অভিযোগে করা বাকি দু’টি মামলায় ) নিম্ন আদালতে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। যার একটি আগামীকাল ৩০ আগস্ট আদেশের জন্য কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ কে এম সামছুল আলম ধার্য্য করেন অন্যটি নথি পাওয়া সাপেক্ষে সেপ্টম্বরের ০৫ তারিখ আদেশের জন্য রয়েছে কুমিল্লাতে। ওখানে জামিন না হলে জামিনের জন্য উচ্চতর আদালতে আসা হবে।
এখানে উল্লেখ্য যে, কুমিল্লার হত্যা মামলাটিতে হাইকোর্টে বেগম খালেদা জিয়া জামিন পেয়েছিলেন; কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টকে শুনানি করে রুল নিষ্পত্তি করার আদেশ দেন। কিন্তু বিএনপির আইনজীবীরা ওই শুনানিতে অংশ নেননি। কারণ নিম্ন আদালতে এই মামলার আইনি প্রক্রিয়া শেষ করেই উচ্চ আদালতে আসতে হবে। উচ্চ আদালতও নিম্ন আদালতকে এই দু’টি মামলা একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে শুনানি করতে বলেছেন। ( সংক্ষেপে ঘটনা হলো-
ওই মামলায় চলতি বছরের গত ২৩ এপ্রিল কুমিল্লার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এ জামিন চেয়ে আবেদন দাখিল করেন তার পক্ষের আইনজীবীরা। ট্রাইব্যুনাল গত ৭ জুন ওই আবেদনের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন।এ অবস্থায় ওই ট্রাইব্যুনালে শুনানি না করেই আইনজীবীরা সরাসরি হাইকোর্টে জামিন চান। গত ২৮ মে হাইকোর্ট এই মামলায় ৬ মাসের জামিন আদেশ দেয়। রাষ্ট্রপক্ষ ওই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে। ওই আবেদন নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ গত ২৬ জুন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রাখার আদেশ দেয়। একইসঙ্গে ট্রাইব্যুনালে শুনানি ও নিষ্পত্তি না করে সরাসরি হাইকোর্টে জামিন চাওয়ার আবেদনটি আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য হয়েছে কিনা তার ওপর শুনানির জন্য হাইকোর্টকে নির্দেশনা দেয়া হয়। ওই নির্দেশনার পর হাইকোর্টে আবেদনের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট গত ১৩ আগস্ট আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেয়)।

উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আদালতে দুর্নীতি,ইতিহাস বিকৃতি, ভুয়া জন্মদিন, হত্যা, নাশকতা, মানহানিসহ নানা অভিযোগে ৩৬টি মামলার মধ্যে গ্যাটকো, নাইকো, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি চারটি মামলা দুর্নীতির এবং এ চারটি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে, বাকি মামলা বর্তমান সরকারের আমলে করা হয় যার মধ্যে ১৯টি মামলা বিচারাধীন এবং তদন্তাধীন রয়েছে আরও ১২টি মামলা।
২০১৪ সালের পর বিভিন্ন সময়ে পুলিশ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও আইনজীবীরা ৩০টি মামলা করেন। এর মধ্যে ২৫টি মামলা হয়েছে ঢাকায়। এছাড়া কুমিল্লায় তিনটি এবং পঞ্চগড় ও নড়াইলে একটি করে মামলা রয়েছে।
৩৬ টি মামলার মধ্যে স্থান সংকুলান না হওয়া ও নিরাপত্তার কারণে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ২-এ বিচারাধীন শাহবাগ থানার একটি মামলা [মামলা নং- ৫৩(২)০৮], তেজগাঁও থানার ২০(১২)০৭ নম্বর, ৫(৯)০৭ নম্বর, ১৫(০৮)১১ নম্বর ও দুদকের করা রমনা থানার ৮(৭)০৮ , বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা দারুসসালাম থানার ৬২(১)১৫ নম্বর, ৩(৩)১৫ নম্বর, ৮(২)১৫, ৫(২)১৫, ৬(২)১৫, ৩১(২)১৫, ১২(২)১৫ ও ২৯(২)১৫, যাত্রাবাড়ী থানায় করা বিশেষ মামলা ৫৯(১)১৫ এবং মহানগর হাকিম আদালতে (আদালত-৭) বিচারাধীন পিটিশন মামলা ১০৯৬/১৬ ও ১১০/১৫, জিয়া অরফানেজ,গ্যাটকো, নাইকো, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি চারটি বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিশেষ এজলাসে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জানা থাকা ভালো, খালেদা জিয়া এ নিয়ে পাঁচবার কারাবন্দী হয়েছেন। ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে দলে যোগ দেবার পর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর গ্রেফতার হন। এরপর ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর গ্রেফতার হন। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর ৩ তারিখে দুর্নীতির অভিযোগে পুত্রসহ গ্রেফতার হন। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তিলাভ করেন। সর্বশেষ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জেলে রয়েছেন।





মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: দেশের বিচার ব্যবস্থা সচ্ছ হলে একজন নেতাও ফাটকের বাইরে থাকবে কিনা সন্দেহ...:D

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যে দেশে প্রধান বিচারপতিকেই রাজনীতিকদের কথা মতো দেশ ছাড়া হতে হয়! সেখানে বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে বৈকি!

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৫

রাফা বলেছেন: খালেদা জিয়াদের জন্য বিচারের বাণী নিভ্বতে কাঁদেনা ।কাঁদে তাদের ক্বতকর্মের জন্য অশহায় যারা।একজন লোভি রাজনিতীবিদের পেছনে দাড়ানোর মত চাটুকারের অভাব বাংলাদেশে অন্তত নেই।@বি.ভ্বগু।

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো কে?
কোন রাজনীতিবিদ ভালো?

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাকি সময় গুলিতে জেলে যাওয়া আর এবার জেলে যাওয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.