নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
একবার এক আদালতে চোরাই মাল সমেত এক চোরকে পেশ করল পুলিশ।
অভিযোগ সম্পর্কে বিচারকের জিজ্ঞাসায় পুলিশ বলল : হুজুর, এই লোকটি একটি কাপড়ের পুঁটুলিতে কিছু মোবাইল-ট্যাব, স্বর্ণালংকার, কাপড়-চোপড় ও নগদ টাকা নিয়ে একটি বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে মাঝরাতে চুপি চুপি বেরিয়ে পালাবার চেষ্টা করছিল। আমি হাতেনাতে ধরে ফেলেছি। সারারাত লকআপে রেখে আজ আদালতে পেশ করলাম
বিচারক চোরকে জিজ্ঞাসা করলেন : তুমি চুরি করেছ?
চোর : না হুজুর, আমি 'কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের নির্দেশ পালন করেছি শুধু'।
বিচারক অবাক হয়ে : তার মানে?
চোর : কাল মাঝরাতে আমি শুনতে পেলাম একটা গান ভেসে আসছে -
'আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে...'। তাই ভাবলাম আমিই বা বসে থাকি কেন? আমিও যাই- তাই বেড়িয়ে পড়লাম। রাস্তা একেবারে শুনশান- বুঝলাম সবাই নিশ্চয়ই বনে চলে গেছে- তখন তাড়াতাড়ি পা চালালাম। হঠাৎ একটা বাড়ির সামনে শুনতে পেলাম ভেতর থেকে সুরেলা কণ্ঠে কেউ বলছে- এসো এসো আমার ঘরে, এসো আমার ঘরে...'তাকিয়ে দেখলাম পাশেই একটা ফাঁকা বাড়ি- দরজা জানালা খোলা, কাউকে দেখা যাচ্ছে না- সোজা ঢুকে পড়লাম আর ঢুকেই শুনতে পেলাম- 'ঘরেতে ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে...'। এটা শুনে খুব খুশি হলাম আর তখনই কানে ভেসে এলো- 'এবার উজাড় করে লও হে আমার যা কিছু সম্বল...'। তো, কী আর করি, স্যার! আমি যেই হই, হাজার হোক রবীন্দ্রনাথের নির্দেশ তো আর অমান্য করা উচিত হবে না- পাশেই দেখলাম এই কাপড়টা ঝুলছে - এতে সব মালপত্র বেঁধেছি সঙ্গে সঙ্গে কানে ভেসে এলো- 'আজ দখিন দুয়ার খোলা...'। বুঝলাম পেছনের দরজা খোলা- সেখান দিয়েই বেরিয়ে পড়লাম- সঙ্গে সঙ্গে এই পুলিশ ভাই এসে আমায় ধরল- ওনাকে কত বোঝাবার চেষ্টা করলাম যে আমি চুরি করিনি, শুধু রবীন্দ্রনাথের নির্দেশ পালন করেছি! কিন্তু হুজুর, ব্যাটা বোধহয় রবীন্দ্রনাথের নামই শোনেনি- সোজা ধরে নিয়ে হাজতে ভরে দিল। তারপর আজ আপনার কাছে নিয়ে এসেছে। আপনিই বলুন হুজুর, আমার কী দোষ?
চোরের লম্বা ফিরিস্তি শুনে বিচারক বললেন : ঠিক আছে, তোমাকে ছয় মাসের সাজা দিলাম! এই বিষয়ে তোমাকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ কিছু বলেছেন?
চোর : 'এ পথে আমি যে গেছি বারেবার, ভুলিনিতো একদিনও...'।
বিচারক : জেলে যখন থাকবে- তখনও কি কবিগুরু তোমাকে কিছু বলবেন?
চোর : আলবৎ স্যার। তখনকার জন্য তিনি লিখে রেখে গেছেন, 'ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে...'
বিচারক এবার পুলিশকে বললেন, একে জেলে নিয়ে যাও জলদি। (সংগৃহীত, মূল গল্পকারের সন্ধান পাই নি)
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অল্প বিদ্যা যে ভয়ংকর হয় এটা তারই প্রমাণ।
কপোল ভিজিয়া গেলো নয়নের জলে!!
এর যথাযথ অর্থ না জানলে
পা দুটি কদমের ডালে ঝুলিয়ে বুঝাতে হবে
নয়নের জলে কি করে কপোল ভিজে
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: নিজে কিছু লিখুন।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৬
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৪
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: বেশ মজার তো
৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৬
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: বেশ!
এমন রসিক চোরেরই দরকার...
৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৭
শামচুল হক বলেছেন: চমৎকার কাহিনী।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৯
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৯
আলআমিন১২৩ বলেছেন: মজা পেলাম।রবীন্দ্রভক্ত চোরের কাহিনী নিয়ে কৌতুক এই প্রথম পড়লাম।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সনেট কবি বলেছেন: গুড