নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিইসি মোড়ের মেয়েটি

১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫২



রিয়া (ছদ্মনাম)। দশম শ্রেণীর ছাত্রী। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। থাকা হয় চট্টগ্রামেই। রূপ ও গঠনে চোখে পড়ার মতো তরুণী। মিলন তার পাড়ারই বড় ভাই। অফিসার গোছের চাকুরী ও চলাফেরা। সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার সাথে। পরণতিতে বিয়েও। পরিবারের অমতে। থাকে মিলনের সাথেই। নতুন বাসাই। কিন্তু রিয়ার বড় পোড়া কপাল। শ্বাশুর-শ্বাশুড়ির নির্যাতন নয় শুধু, স্বামীও মদ্যপায়ী। রাত করে ফেরে। এসেই মারধর মধ্যরাতে। ভালবাসার মানুষটির চোখে চোখ রাখাও হয়ে ওঠেনা। দিন দিন অবস্থা আরো অপরবর্তনীয়। বুকের চাপা কষ্ট নিয়েই নির্ঘুম রাত পার করতে হয় তাকে। পৃথিবীতে আর কেউ রইলনা মনের কথাটি বলার। এরই মাঝে আসিক (ব্যাচেলর) নামের এক সমধুর কণ্ঠের, মিষ্টিভাষী এক মানুষের সাথে পরিচয় রঙ নাম্বারে। আসিক শিক্ষিত গোছের। চাকুরী একটি বেসরকারী কোম্পানীতে। রিয়া মনের কথা একটু আধুটু শেয়ার করে আসিক সাহেবের সাথে। আসিক সাহেব প্রতিবাদী। তীব্র নিন্দা জানায় মিলনদের মত পুরুষ জাতির। এক পর্যারে রিয়ারও আদর্শিক পুরুষটি হয়ে ওঠে আসিক। যুগলদ্বয়ের ভালবাসার সম্পর্কও হয়ে যায়। আসিক বিয়ের প্রস্তাব দেয় রিয়াকে। ইতিমধ্যে ডিভোর্সও করিয়ে নেয় আসিক রিয়াকে। রিয়া আসিকের হাত ধরে ওঠে আসিক এর বাসায়। আসিক ছোট একটি রুম নিয়ে থাকে। রিয়াও আজকে সে ঘরের বাসিন্দা। বিয়ের আগেই প্রণয় আদান প্রদান হয়ে যায় তাদের। আসিক নামি-দামি রেস্টুরেন্টে নিয়ে রিয়াকে ডিনার করাচ্ছে। আর রিয়াও নিজের মত করে সংসারে মেতে উঠেছে। আর রক্ষাও পেলো মধ্য রাতের নির্ঘুম অত্যাচার থেকে। আশে-পাশের সবাই জানে তারা বিবাহিত। রিয়া চাপ দেয় আসিককে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি করার জন্য। আসিক এর তো সময় হয়ে ওঠে না। একদিন নিজ থেকেই ও নিয়ে যায় কাজী অফিসে। কিন্তু রিয়ার কেমন কেমন লাগতেছে। মন ধরতেছে না। রিয়াকে বসিয়ে আসিক কাজীকে ডেকে আনতে যাই। একটু পরেই লম্বা, কালো একটা লোক প্রবেশ করে রিয়ার রুমে। রিয়া আসিকের কথা জিজ্ঞেস করে। লোকটা হাসি দিয়ে একটা মহিলাকে ডাকে। মহিলার কথা শুনে রিয়া আত্মহননের চেষ্টা করে। কিন্তু বৃথা চেষ্টা। আঘাতে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। যখন জ্ঞান ফিরে তখন সে নিজেকে আবিস্কার করে অন্য একটি জগতে। আসিকও আর কাজী নিয়ে আসে না। দশম শ্রেনীর ছাত্রীই রয়ে গেল সে। আসিকদের পুরুষ সমাজ আজ তার দিকে বাঁকা চোখে তাকায়। আজ সে সমাজের চোখে সবচেয়ে নিকৃষ্ট মেয়েটি। প্রতিদিন সন্ধ্যা হলে দাঁড়িয়ে থাকে সে জিইসি মোড়ে, অন্যদের সাথে। নতুন কারো সন্ধানে ...



মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ। আইন বিভাগ (৪র্থ বর্ষ)

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।





মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

বাকি বিল্লাহ বলেছেন: হায়রে দুনিয়া হায়রে মানুষ............. X((

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

এম টি উল্লাহ বলেছেন: হায়রে বাস্তবতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.