নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
জাতীয় পতাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা অসচেতনার পরিচয় দিয়ে থাকি মাঝে মাঝে। অথচ জাতীয় পতাকা ব্যবহারের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট বিধিমালা, যা প্রত্যেক সচেতন ব্যক্তি মাত্রই জানা উচিত আর তারই আলোকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালে একটা বিধিমালা (ৎঁষবং) প্রণয়ন করে যা ‘জাতীয় পতাকা বিধিমালা ১৯৭২’ নামে পরিচিত/অবহিত। আর তারই কিছু সাধারণ ও ব্যবহার্য বিধিমালা তুলে ধরার প্রয়াসে এ লিখা। উক্ত বিধিমালার ৪নং বিধিতে উল্লেখ রয়েছে ; যে সমস্ত (অনুষ্ঠান) উপলক্ষে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোরণ করিতে হইবে ;
(১ম) নিম্নলিখিত দিবস এবং উপলক্ষসমূহ বাংলাদেশের সমস্ত সরকারী, বেসরকারী ভবন এবং বিদেশে অবিস্থিত বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনসমূহের প্রাঙ্গনে এবং কনসুলার কেন্দ্রসমূহে নিম্নবর্ণিতভাবে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করিতে হইবে;
ক) মহানবীর (স.) জন্ম দিবস (ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী)
খ) ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস
গ) ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস
ঘ) সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত অন্য কোন দিবস।
(২য়) নিম্নলিখিত দিবসসমূহে ‘পতাকা’ অর্ধনিমিত থাকিবে;
ক) ২১ ফেব্র“য়ারী, শহীদ দিবস, জাতীয় শোক দিবস এবং
খ) সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত অন্য কোন দিবস।
৬নং বিধিতে বলা হয়েছে সরকারী ভবন, সরকারী বাসভবন ও মোটর গাড়ী ইত্যাদিতে পতাকা ব্যবহার
(১ম) সমস্ত কার্য দিবসে, গুরুত্বর্পূ সরকারী ভবন এবং দফতর সমূহে যেমন রাষ্ট্রপতির ভবন, আইনসভা ভবন ইত্যাদি সমস্ত মন্ত্রণালয় এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সচিবালয় ভবন সমূহ, হাইকোর্টের দফতর সমূহ, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, বিভাগীয় কমিশনা, ডেপুটি কমিশনার/ কালেক্টর, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, কেন্দ্রীয় ও জেলা কারাগার, থানা, কাস্টমস কেন্দ্র এবং সময় সময় সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত অন্যান ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করিতে হইবে।
(২য়) নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণের বাসভবনে পতাকা উত্তোলন করিত হইবে ;
ক) রাষ্ট্রপতি
খ) উপ-রাষ্ট্রপতি
গ) পার্লামেন্টের স্পীকার
ঘ) প্রধানমন্ত্রী
ঙ) কেবিনেট মন্ত্রী
চ) কেবিনেট মন্ত্রীর পদ মর্যাদা প্রদত্ত লোক
ছ) পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পীকার
ছ-ছ) চীপ হুইপ
ছ-ছ-ছ) পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় নেতা
জ) প্রতিমন্ত্রী
জ-জ) প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যায় পদত্ত লোক
ঝ) বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন/ কনসুলার মিশনের প্রধান
ঞ) বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি।
বিঃ দঃ অর্ডার অব প্রেসিডেন্সের প্রাধিকারক্রমে সাজানো নহে।
(৩য়) রাষ্ট্রপতি, তাহার মোটরগাড়ি, নৌ-যান এবং বিমান বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের অধিকারী হইবেন ;
(৪র্থ) নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ মোটরগাড়ি ও নৌ-যান পতাকা উত্তোলনের অধিকারী হইবে ;
ক) উপ-রাষ্ট্রপতি
খ) পার্লামেন্টের স্পীকার
গ) প্রধানমন্ত্রী
ঘ) কেবিনেট মন্ত্রী
ঘ-ঘ) কেবিনেট মন্ত্রীর পদমর্যাদা প্রদত্ত লোক
ঙ) পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পীকার
চ) চীপ হুইপ
ছ) পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় নেতা
জ) বহিবিশ্বে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন/ কনসুলার মিশনের প্রধান।
(৫ম) প্রতিমন্ত্রীবর্গ এবং প্রতিমন্ত্রী পর্যাদাপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ রাজধানীর বাহিরে ভ্রমণকালে অথবা বহিবিশ্বে মোটরগাড়ি কিংবা জলযানে পতাকা ব্যবহার করিবার অধিকারী হইবেন।
দ্রষ্টব্য ঃ মোটরগাড়ী কিংবা জলযানে থাকিলেই শুধুমাত্র পতাকা উত্তোলিত হইবে।
৭নং বিধিতে বলা হয়েছে ;
পতাকার মর্যাদা রক্ষা ঃ
১) সকল সময়ে ‘পতাকা’র পতি যথাযথ সম্মান এবং শ্রদ্ধা প্রদর্শন করিতে হইবে।
২) কোন অবস্থাতেই গাড়ি বা কোন যানের রেল অথবা নৌকার যানে, উপরিভাগে বা পিছনে পতাকা উড়ানো যাবে না।
৩) বিদেশী পতাকা বা রঙিন পতাকার সহিত ‘বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনকালে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ উত্তোলনের জন্য সম্মানজনক স্থানে সংরক্ষণ করিতে হইবে।
৭) বাংলাদেশের পতাকার সহিত এই পতাকার হইতে উচ্চতার অন্য কোন পতাকা বা রঙিন পতাকা উড়ানো যাইবে না।
৮) কোন মিছিলে পতাকা বহন করা হইলে ইহা ঐ মিছিলের কেন্দ্র কিংবা মিছিলের অগ্রগমন পথের ডান দিকে বহন করিতে হইবে।
১০) অন্য কোন দেশের পতাকারসহিত বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পতাকা সর্বপ্রথম উত্তোলিত হইবে এবং সর্বশেষ (অবনমিত) নামানো হইবে।
১৩) কোন দেওয়াল হইতে দন্ডবিহীন পতাকা প্রদর্শিত হইলে, উহা উল্লম্বভাবে দেখাইতে হইবে। যদি কোন গণমিলনায়তন অথবা সভায় পতাকা প্রদর্শন করা হয় তবে বক্তারা পিছনে ও উর্ধ্বে পতাকা স্থাপন কেিত হইবে। যখন কোন রাস্তার উপরে পতাকা প্রদর্শন করা হয় তখন উহা উল্লম্বভাবে প্রদর্শন করিতে হইবে
১৪) কবরের উপর স্থাপন করিবার সময় পতাকাটি কোনভাবেই কবরে নামানো যাইবে না অথবা লাঠি স্পর্শ করিয়া এমনভাবে স্থাপন করা যাইবে না।
১৫) কোন অবস্থাতেই পতাকা কোন লোক বা জড় পদার্থের সহিত জড়ানো যাইবে না।
১৬) কোন অবস্থাতেই পতাকা উহার নিম্নে অবস্থিত কোন বস্তু যেমন- মেঝে, পানি, পণ্যদ্রব্য স্পর্শ করিবে না।
১৭) পতাকা কোন অবস্থাতেই সমতল বা সমান্তরালভাবে বহন করা যাইবে না, সব সময়ই উহা উচোক্তভাবে (বাহিত) হইবে।
১৮) বাংলাদেশের পতাকা কোন কোমল বস্তুর আচ্ছাদন হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে না তাহা যেইভাবেই হোক না কেন। (তবে সামরিক মর্যাদায় দাফন এর ক্ষেত্রে করা যাবে)
২৪) পতাকা উত্তোলন, অবনমন, প্যারেড, অতিক্রমন বা কোন নিরীক্ষা আনুষ্ঠানিকতার সময় সম্মুখে হাজির লোককে পতাকামুখী হইয়া রুজু ও স্থির হইয়া দাঁড়াইতে হইবে।
২৬) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি ব্যতিত ‘পতাকা’ কোন অবস্থাতেই অর্ধনির্মিত রাখা যাইবে না। (তবে বহিবিশ্বে কোন মিশনের ক্ষেত্রে তা বিবেচনাযোগ্য)
৮নং বিধিতে সাধারণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ;
(৩) পতাকার উপর কোন কিছু লেখা বা মুদ্রিত করা যাইবে না কিংবা কোন অনুষ্ঠান উপলক্ষে কোন চিহ্ন অংকন করা যাইবে না।
জাতীয় পতাকা অবমাননার সাজা
জাতীয় পতাকা অবমাননার সাজা ১০০০ (এক হাজার) টাকা।
মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
আইন বিভাগ (৪র্থ বর্ষ)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]
২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৬
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: আবেগ ভালবাসায় আঈন চলে না ।
৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২৭
মেহেদী হাসান '' বলেছেন: পতাকা থাকে মস্তিষ্কে, আর থাকে অন্তরে
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
অনেকেই অনেক স্থানে এবং সাম্প্রতিক শাহবাগে তো তাইলে ব্যাপক ধারায় পতাকার অবমাননা হইতেছে দেখা যাচ্ছে!!!!! কিভাবে সম্ভব???
কিন্তু ধারা গুলো তো স্পষ্ট!!!
তবে?