নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশা নিয়ে বসে আছি ।

রানার ব্লগ

দুরে থাকুন তারা যারা ধর্ম কে পুজি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দূরে থাকুন তারা যারা ১৯৭১ থেকে অদ্যাবদি বাংলাদেশ বিরধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এবং সকল পাকিস্থানী প্রেমী গন।

রানার ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে থেকে শহুরে বাস্তবতায় একটু স্নেহ মমতার পরশ পাবার লোভে প্রেমে পরটা জরুরী হয়ে পরে । আমিও প্রেম পরলাম, যার প্রেমে পরেছিলাম তার নাম টা আপতত নাইবা বললাম, আমার নাম টা না হয় জেনে নিন । শুভ্র, আমার নাম । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আই বি এ তে কোন রকমে চান্স পেয়েও নিজের জীবন চালানর জন্য টানা দু বছর পায়ের চপ্পল ঘসেও যখন কোন চাকুরী পেলাম না তখন প্রেমের ভুত আমায় চেপে বসলো । তা যেই সেই প্রেমের ভুত না , এক্কে বারে রাজসিক প্রেম । ব্যাপার টা সেই বাংলা সিনেমার মাজাঘসা গল্পের মতই। গরীবের ছেলে বড়লোকের মেয়ে ইত্যাদী ইত্যাদী ।

আমার ডেরা ছিলো নাখালপাড়ার ভাঙ্গা খোয়ার সরু রাস্তা দিয়ে ঢুকে কিছুটা এগলেই মিস্ত্রী লেন। ওখানেই একটা আদিম কালের প্লাসটার খসা অর্ধেক বানানো এক বিল্ডিঙের ছাঁদ কুঠুরিতে । দিনের বেলায় যেখানে আলো ঢুকতে সাহস করে না রাতের বেল কি হয় সে তো বুঝতে পারা যায় । মশক কুলের অভয় আশ্রম । প্রশ্ন করতে পারেন শহর জুড়ে এতো ভালো ভালো বাসা থাকতে এমন একটা জায়গায় কেনো এলাম । আমার এক দূর সম্পর্কের মামার বাড়ি এটা। তাদের বাড়ি দেখে রাখার মতো কেউ কে পাচ্ছিলো না , তো যখন আমি তাদের কাছে যেয়ে থাকার জন্য হাত পাতলাম, তারা হাতে স্বর্গ পেয়ে গেলো । তারা আমাকে তাদের বাড়ির বিনা বৈতনিক কেয়ার টেকারের কাজের সম্মানে সম্মানিত করলেন ।

ধান ভানতে শিবের গীত গেয়ে ফেললাম । কোথায় আমার প্রেমের গল্প বলবো তা না করে নিজের বাহারী ছাঁদ কুঠুরীর বন্দনা গাইতে বসে গেলাম । যাইহোক মূল ঘটনায় আসি, একদিন সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরছি, বাড়ি মানে আমার ছাদে ফিরছি যেখানে একটা ছেড়া অতান্ত ময়লা তেল চিটচিটে মশারী আর ঘামে ভেজা তিলা পরা বালিশ যার বিভিন্ন অংশ দিয়ে তুলা নামক বস্তু বেড়িয়ে আসার আপ্রান চেষ্টায় ব্যাস্ত আর এক পা ভাঙ্গা খান কতেক ইট দিয়ে ঠেক দেয়া নাম না জানা কাঠের বিছানা অপেক্ষা করছে। যথারিতী লোড শেডিং , ঘুট ঘুটে অন্ধকার, মিস্ত্রী লেনের ঢোকার মুখেই ঠক করে পায়ে শক্ত কিছু ঠোক্কর খেয়ে যেন দূর সরে গেলো ।পায়ে ব্যাথা না পেলেও কৌতূহলী হয়ে উঠলাম । আঁধারের ও এক প্রকার আলো আছে, মিশমিশে আঁধারের মাঝে হালকা আবছা মতোন আলো, চোখ যখন আঁধার সয়ে যায় তখন বোধয় নিজেই জমিয়ে রাখা কিছু আলো দিয়ে দেখতে চেষ্টা করে ঠিক তেমনি একটা আলোর মতো অবস্থায় দেখলাম কালো চৌকোনা জাতীয় কিছু টা দূরে পরে আছে । পায়ের ঠোক্কর খেয়ে বেচারা দূরে একটা আধ খাওয়া ভাঙ্গা এক টুকরা ইটের উপর আছড়ে পরে আছে । খপ করে তুলে পকেটে নিয়ে দ্রুত হাটা দিলাম । অভাবীর কাছে পরে পাওয়া বস্তু সোনার মতোন । যা পাবো তাতেই লাভ ।

ঘরে ফিরে হাতিয়ে হাতিয়ে জলের কলশি খানা খুঁজে ঢক ঢক করে জল খেয়ে ভাড়ি নিঃশ্বাস ফেললাম । সকালের পর থেকে এই জলের উপরেই আছি । পেটের ভেতর ছুঁচোর পাল ডিগবাজি দিচ্ছে । আঁধারে পুরা ঘর হাতিয়েও খাবার মতো কিছু পেলাম না । শেষে নিজের কপাল কে হাজার টা গালি দিয়ে ভাঙ্গা খাটের কোনায় গিয়ে বসে পরলাম । এরি মধ্যে বিদ্যুৎ বাবাজির আগমন ঘটেই গেলো । বাড়ি ওয়ালার কৃপায় একটা ফ্যান পেয়েছি যা ঘোরার থেকে বিভিন্ন সাংকেতিক ভাষায় ক্যাচর ম্যাচর করে । মাঝে মাঝে আমার এই ফ্যান টা কে মঙ্গল গ্রহের কোন যোগাযোগ মাধ্যম মনে হয় । তারা হয় তো আমার দুরাবস্থা দেখে আমাকে সংকেত দিচ্ছে, ও হে শুভ্র, মঙ্গলে আসো এখানে খাদ্য ও বাসস্থান দুই টাই আছে । কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না বলে যাওয়াটা ঠিক হয়ে উঠছে না । যাই হোক পকেট থেকে কালো বস্তু খানা বের করে দেখলাম উহা আর কিছুই নয় একটা বাটন মোবাইল। খানিক টা খুশি হলাম । ওটা বেচে কিছু আয় উন্নতি হবে । কিন্তু মোবাইল টা বন্ধ এর চার্জার আমার কাছে নাই । হাঁসি পেলো খুব, উপরের দিকে তাকিয়ে বললাম, ও খোঁদা এইটা কেমন তামাশা মোবাইল দিলা বিনা চার্জারে ওটা দিয়ে আমি কি করবো। তারপরেও মোবাইল টা টেপা টিপি করতে লাগলাম । আমার অত্যাধিক কৌতহল আর টেপা টিপের ধাক্কায় মোবাইল বেচারার আলো জ্বলে উঠলো । স্ক্রিনে বড় বড় করে লেখা ইন্সার্ট সিম । মুচকি হাসি দিয়ে মোবাইল টা দূরে ছুড়ে ফেলে বিছানায় নিজেকে এলিয়ে দিলাম ।

ধুরুম দড়াম শব্দে প্রতিদিনের মতোই ঘুম ভেঙ্গে গেলো । বাড়ির আশে পাশে হাজারো বিল্ডিং এর কাজ হচ্ছে । আমি মাঝে মাঝে ভাবি এতো বিল্ডিং এ কারা থাকবে । তিব্র ক্ষুধায় পেটের নাড়িভুঁড়ি বেড়িয়ে আশার উপক্রম। ছাঁদ কুঠুরির পাশে সাপ্লাইয়ের পানির নল থেকে গড়গড়িয়ে জল পরছে । হাত মুখ ওই জলে ধুয়ে, মোবাইল খানা পকেটে নিয়ে বেড়িয়ে পরলাম। আশেপাশে কোন মোবাইলের দোকানে গিয়ে বেচে দিলে সকালের নাস্তার টাকা হয়ে যাবে ভাগ্য ভালো থাকলে দুপুরের খাবারের টাকাও হয়ে যেতে পারে । নিচে নামতেই বেলায়েত মামার সাথে দেখা ।কিরে শুভ্র কই যাস, পেছন থেকে ডাক দিলেন বেলায়েত মামা । দেখি নাস্তা করবো ভাবছি , বিরক্ত হয়ে বলি । তোর মামী তোকে একটু বাজারে যেতে বলেছে, তুই বাজার টা করে তার পরে নাস্তা করিস। হাতে একটা মস্ত বাজারের ব্যাগ গছিয়ে দিলো সাথে এক হাজার টাকা । টাকা দেখে মন ফুর ফুরা হয়ে গেলো । বাজারে গিয়ে পঞ্চাশ টাকার নাস্তা করলাম, পঞ্চাশ টাকা রাখলাম দুপরের খাবারের জন্য আর এক’শ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাবার খরচ । ব্যাস লাইফ আজকে জিংগালালা ।

নীলক্ষেতের চিপায় বসে দুপরে হালফ তেহেরি খেয়ে ঢেকুর তুলে বেড়িয়ে পকেটে হাত দিতে মোবাইলে হাত ঠেকে গেলো । যাহ বাবা, মোবাইলটার কোন হিল্লা করা হলো না । সাথের বড় ভাই কে দেখিয়ে বিস্তারিত বললাম, তিনি মোবাইল টা হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করে বললো, চল ! কোন মোবাইল রিপিয়ারের দোকানে গিয়ে দেখি কি বলে? দোকানী মোবাইল খানা ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে দেখে বলে চার্জের পিন গেছে । চার্জের পিন ঠিক করতে দুই’শ লাগবে । বড় ভাই হাঁসি দিয়া বললো, তাইলে আর কি, ঠিক করে ফেলো ভাই সেই সাথে একটা চার্জার ও দাও, আমাদের শুভ্র ভাইয়ের মোবাইলের একটা হিল্লে হয়ে যাক । আমি চমকে উঠলাম, না, না, আমার কাছে টাকা নাই । আরে চিন্তা নাই বালক, আমি ধার দিচ্ছি পরে দিস, বেশ কিছু খোঁচা খুঁচি করার পর মোবাইল টা জীবিত হয়ে গেলো ।বড় ভাই তার মানি ব্যাগ হাতরিয়ে একটা সিম বের করে বললেন, আমার আরো চার পাঁচ টা আছে তুই এটা নে । এটা ধার না, বাকি টাকা কিন্তু ধার, পরে দিয়ে দিবি কিন্তু । মাথা চুলকে বললাম, ভাই ধার তো দিলেন, শোধ করার জন্য একটা বা দুই টা টিউশানি যদি লাগিয়ে দেন তাইলে ভালো হতো। আচ্ছা যা কাল আসিস একটা টিউশানি আছে হাতে ওটা তোকে দিয়ে দেব ।

হাতে মোবাইল পেয়ে বেশ ফুরফুরা লাগছে, কাকে কাকে কল দেয়া যায় তার একটা লম্বা লিস্ট করে ফেললাম । কিছুক্ষন পরিচিতদের কল করলাম কেউই ফোন ধরলো না , ধুত্তরিকা- কেউ ফোন ধরছে না কেন? ডায়েল প্যাডে নাম না জানা বিভিন্ন নাম্বারে কল দেয়া শুরু করলাম । কারোই ইচ্ছে হলো না আমার কল ধরার । ফোন টা বিছানায় আঁছড়ে ফেলে বিছানায় সটান হয়ে ঘুমিয়ে গেলাম । টিং টিং শব্দে মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। অন্ধকারে এক আদ্ভুত নীলচে আলোয় ঘর ভরে আছে আর কোথা থেকে যেনো টিং টিং শব্দ ভেসে আসছে । এতো দিন জানতাম কেবল সিলিং ফ্যানটাই কেবল মঙ্গল গ্রহের বার্তা দেয় এখন কি সত্যি সত্যি মঙ্গলের কোন প্রানী এলো নাকি । পিঠের নিচে কেমন ঝিনঝিন করে উঠলো। এ বাবা , এ কি হচ্ছে আমার সাথে , তিড়িং করে লাফিয়ে উঠে দেখি মোবাইল খানা নিজ প্রচেষ্টায় বাজচ্ছে । অচেনা এক নাম্বার থেকে কল এসেছে । কাঁপা হাতে কল টা রিসিভ করে কানের কাছে ধরতেই ওপাশ থেকে মিস্টি কিন্নর কন্ঠি কিচির মিচির করে উঠলো । আপনি আমাকে কল দিয়েছিলেন?
আমি বেমালুম চেপে গেলাম , জ্বী না, আমি কল দেই নাই ।
ইস বললেই হলো, আপনার নাম্বার আমার মোবাইলে মিস কল হয়ে আছে যে, ওপাশ থেকে কিচির মিচির করে বলতে লাগলো । কেনো কল করেছেন, আমি কি আপনাকে চিনি ?
আপনি আমাকে চেনেন কি না জানি না, কিন্তু আপনার গলা কিন্তু চিনির মতো মিষ্টি ।
ফ্ল্যার্ট করছেন, মধ্য রাতে ফ্ল্যার্ট করে কিন্তু বদমাইশ লোক জন । চিনির সাথে খানিক টা করল্লা মিশে গেলো মনে হয় ।
জ্বি না ফ্ল্যার্ট করছি না, সত্য কথা বললাম ।
ও আচ্ছা, তো এইবার সত্য বাগিশ মশায় কি বলবেন কেন আমাকে মিস কল দিয়েছিলেন ।
অমন রিনিঝিনি কন্ঠে জিজ্ঞাসা করলে না বলে কি আর পারি
চুপ, একদম চুপ, ঠিক করে বলেন কেন মিস কল দিলেন ।
আসলে আজ আমি নতুন মোবাইল নিয়েছি, পরিচিত অনেক কেই কল করেছি কেউই কল রিসিভ করে নাই, তখন কিছু অচেনা নাম্বারে কল করেছিলাম, এর মধ্যে হয়তো আপনার নাম্বার ও ছিলো ।
বললেই হলো, এই সব ঢঙ্গের কথা আমি অনেক শুনেছি, সত্য করে বলেন কই থেকে আমার নাম্বার পেয়েছেন , না বললে আমি পুলিশে কমপ্লেইন করবো । রিনিঝিনি কন্ঠ এইবার ঝনঝনিয়ে বেজে উঠলো ।
আমি সত্যি বলছি, কারো কাছ থেকে নাম্বার নেই নাই ।
হুম, শুনুন আর কখনো আমাকে কল করবেন না । মনে থাকবে ? বেশ কাটা কাটা গলায় ওপাশ থেকে বলে উঠলো ।
জ্বী অবশ্যই করবো না।
মনে থাকে জেনো, রাখলাম । কুটুস করে মোবাইল টা কেটে গেলো। মনে হলো শতাব্দী পরে কে যেন মনে দড়জায় টোকা দিয়ে পালিয়ে গেলো । তিব্র হাহাকার এসে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো আঁছড়ে পরলো ছোট্ট হৃদয় সৈকতে । আপন কেউ কে হারানর বেদনায় মন নীল হয়ে গেলো । তিব্র পানির পিপাসা পেলে যেমন ঠোঁট শুকিয়ে যায় ঠিক তেমনি যেন কলিজা শুকিয়ে গেলো এক অচেনা পিপাসায় ।

সারা রাত আর ঘুম এলো না, মাথার মধ্যে কেবলি বাঁজতে লাগলো মিষ্টী কন্ঠির কিচির মিচির । চোখ বন্ধ করলেই মনে হলো, আবার মনে হয়তো কল দেবে। মোবাইল টা তাই হাতের কাছে রেখে শতেক ছিদ্র মশারী দিয়ে টিনের চাল দেখতে লাগলাম । সারা রাতে আর কল এলো না। এমন করেই ভোর হয়ে গেলো । অপেক্ষা করতে করতে কখন যে চোখ লেগে গেছিলো জানা ছিলো নাই, ঘটর ঘটং শব্দে তন্দ্রা ভেঙ্গে চৌচির হয়ে গেলো । রাজ্যের বিরক্ত নিয়ে জেগে উঠলাম ।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৯

শায়মা বলেছেন: :P

একটু পর এসে কমেন্ট দিচ্ছি!!

০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:১৩

রানার ব্লগ বলেছেন: আচ্ছা !! B-)

২| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:১১

এম ডি মুসা বলেছেন: এটা কি বাস্তব ঘটনা নাকি? কল্পনা

০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:১৩

রানার ব্লগ বলেছেন: পৃথিবীর কোন কিছুই কল্পনা নয় ! কিছু না কিছু বাস্তবতা থেকেই যায় !!!

৩| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:২০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেশ জমেছে কিন্তু।

০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:২১

রানার ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ !! সাথে থাকুন আশাকরি হতাস করবো না ।

৪| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: গল্প ভালো লাগলো!

নীলক্ষেতের তেহারি অর্ধেকেই হয়ে গেল? আমাদের সময় কিন্তু অর্ধেকের পরে আমরা একটা কোয়ার্টার নিতাম। তেহারি খেয়ে অর্ধেক তেহারির দাম শুভ্র কত দিল এই তথ্যটা থাকলে আরো ভালো হতো, সময়কালটা সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যেত। :)

০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৮

রানার ব্লগ বলেছেন: শুভ্র তেহেরী খেতে পছন্দ করে না, উপায় নাই তাই খেয়েছে। গল্প ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। সাথে থাকুন। সামনে আরো পর্ব আসবে।

৫| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:১৩

জনারণ্যে একজন বলেছেন: @রানা, আপনার গল্পটা পড়া শুরু করেছিলাম। প্রথম অনুচ্ছেদ পড়েই আর এগুতে ইচ্ছা করলো না।

আইবিএ তে কোনোরকমে (!!) চান্স পেয়েছে আপনার গল্পের প্রধান চরিত্র ? তারপর আইবিএ থেকে (ধরে নিলাম বিবিএ অথবা এমবিএ করেছেন ) পড়াশুনা শেষ করে টানা দুই বছর পায়ের চপ্পল ঘষেও চাকরি পায়নি কোনো?!

গল্পের গরু একেবারে গাছে উঠিয়ে দিয়েছেন আপনি।

অনুরোধ করছি একবার আইবিএ তে এডমিশন টেস্ট দিন, প্লিজ। তারপর আবার এই গল্প লিখুন নতুন করে।

০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:১৯

রানার ব্লগ বলেছেন: প্রথমে ধন্যবাদ পড়তে ইচ্ছা না হবার পরেও লম্বা কমেন্ট করেছেন । আমি কোথাও বলি নাই চরিত্র তার কোর্স শেষ করেছে । গল্পের গরু গাছেই ওঠে এটাই নিয়ম ।

আপনার হয়তো ধারনাই নাই এমন অনেক ছাত্র আছেন যারা ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও অর্থের অভাবে দিনের পর দিন অভুক্ত কাটিয়েছে , টিউশানি করেও নিজের পড়ার খরচ জোগাতে না পেরে পড়াশুনাই ছেড়ে দিয়েছে । আপনি টাকার এক দিকের চিত্র জানেন ভিন্ন দিকের চিত্র আপনার জানা নাই ।

৬| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:১৯

শায়মা বলেছেন: গুড গুড মজার গল্প!!! :)


ছাঁদকুঠুরীর গপ্পো!!! :P

০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২১

রানার ব্লগ বলেছেন: হুম মজার । সামনে আরো মজা আছে । এতো তাড়াতাড়ি খুশি হয়ে যেও না ।

৭| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২০

শায়মা বলেছেন: মনিরা আপু ভালো করে পড়ে দেখো কিন্তুক!

০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

রানার ব্লগ বলেছেন: উনি ভালো করেই পড়েছেন । তুমি যেনো হার্ট এ্যাটাক না করো সেই দিকে নজর দাও ।

৮| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩

শায়মা বলেছেন: খুশি হইনি!
হাসি দিয়েছি.......
মির্চা ইলিয়াদকে মনে পড়লো তাই.....

০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৪

রানার ব্লগ বলেছেন: আচ্ছা !! কে এই ভদ্র মহিলা !! হা হা হা !!!!

৯| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: @ জনারণ্যে একজন এর খোঁচাটা সিরিয়াস! আইবিএ'র কুলীন ছাত্ররা বেজায় গোস্যা করবে এমন চাকুরির জন্য চপ্পল ঘষা তাদের একজন পাশ করা ছাত্রের জন্য- তা যতই সে টেনে হিচড়ে পাশ করুক। একাডেমিক যোগ্যতার ওজন কিন্তু বুঝতে হবে।

যাক আমাদের বহিরাগতদের জন্য এটা কোন ব্যাপার না। আমরা 'মন লাগা কে হেইস্যা'র মত পড়ে গেলাম :)

০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৬

রানার ব্লগ বলেছেন: সাব্জেক্ট যেহেতু কুলীন, ওনার ধারনা শিক্ষার্থী ও কুলীন হবে । গ্রাম থেকে অনেক মেধাবী আসেন ভালো বিষয়ে সুজুগ পেয়েও হারিয়ে যায় কেবল টিকতে না পেরে ।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

১০| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯

জনারণ্যে একজন বলেছেন: আমি নিজেই ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলাম। যদি হলে থাকা হয়নি কখনো কিন্তু যাতায়াত ছিল প্রতিনিয়তই। প্রতিমন্তব্যে যা বললেন, ঐসব কাহিনী অন্ততঃ আপনার চেয়ে ভালো জানি।

মনেহয়না গল্প শোনা ছাড়া আইবিএ তে কখনো পা দিয়েছেন। পা রাখলে কিংবা জানাশোনা কেউ থাকলেই জানতেন, ওখানের খানে ছাত্র/ছাত্রীরা যদি চায়, তবে ছাত্রাবস্থাতেই টুইশনি করে যে উপার্জন করে, তা অনেকের কাছেই বেশ ঈর্ষণীয়। গল্প লিখবেন, কিন্তু গাল-গপ্পো যেন না হয়।

পুনশ্চ: প্রথম অনুচ্ছেদঃ পড়েই লম্বা মন্তব্যের জন্য দুঃখিত, বুঝিনি ওটা আপনার বদহজমের কারণ হবে।

০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:৪৯

রানার ব্লগ বলেছেন: হজম নিয়ে কোন সমস্যা নাই । ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।

১১| ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১২:০৭

জনারণ্যে একজন বলেছেন: @ রানা, আশাকরি কিছু মনে করেননি। এবং এটাও জানি, হয়তো আপনি বুঝতে পেরেছেন কেন প্রথম অনুচ্ছেদ পড়েই এতটা রিয়্যাক্ট করেছিলাম।

পাঠক (শুধুমাত্র গল্প/উপন্যাস/কবিতা) হিসেবে আমি একটু সিরিয়াস - এই সিরিয়াসনেস যদি আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকে; দুঃখিত।

ভালো থাকবেন, গল্প এগিয়ে যাক।

০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৪

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার প্রথম মন্তব্যেই আমি জেনে গেছি আপনার উত্তেজিত হবার কারন। সমস্যা নাই, পাঠক মাত্রই তার অনুভুতি প্রকাশ করবে, হতে পারে তা নেগেটিভ বা পজেটিভ। লেখক হিসেবে পাঠকের সকল প্রতিকৃয়াই আমার কাছে মূল্যবান। আপনার মতো আরো কিছু সিরয়াস পাঠক পেলে আমি খুশিতে আত্মহারা হয়ে যেতাম। ধন্যবাদ।

প্রতিটা গল্পের পেছনে আরো অনেক গল্প থাকে, সেই গল্প লিখতে বসলে আমার এই গল্প বাধাগ্রস্থ হবে।

১২| ০৩ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:২২

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখাটা অফলাইন থেকে পড়েছি।
রানার এরকম লেখার আমি ভীষণ ভক্ত!
can't wait for next part.

০৩ রা মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪১

রানার ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আগামী শুক্রবার পাবেন। প্রতি শুক্রবার একটি করে পর্ব প্রকাশ করবো আশা রাখি।

১৩| ০৩ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩০

মিরোরডডল বলেছেন:





জনারণ্যের এই বিষয়টা ভালো, ভুল করলে স্যরি বলে যেটা অনেকেই করেনা।
অনেক স্নব আছে, কখনও স্যরি বলেনা।

জনারণ্যে বাংলাদেশ থেকে ঘুরে আসলো, স্বপ্নপূরণ হয়েছিলো?
গিয়েই পছন্দের সব খাবারের ওপর ঝাপ দেওয়ার কথা! :)

১৪| ০৩ রা মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৩

শায়মা বলেছেন: এক সপ্তাহ পর পর অনেক দেরী হয়ে যায় ভাইয়াজান। ৩/৪ দিন পর পর দিতে হয়!! :)

০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯

রানার ব্লগ বলেছেন: কাজের চাপ একটু বেশি। দেখি চেষ্টা করবো তবে শুক্রবার কনফার্ম।

১৫| ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৪

করুণাধারা বলেছেন: গল্প বরাবরের মতোই, শেষ পর্যন্ত আগ্রহ ধরে রেখেছে। শুধু শুরুর তথ্যটা মনে খচখচ করছিল; আই বি এ থেকে পাস করে কেউ এমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে পারে জানা ছিল না, তাই।

০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫১

রানার ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। গল্পের চরিত্র পাশ করে নাই। দুই বছরে কেউ আইবিএ পাশ করে না। সে এখনো ছাত্র।

১৬| ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৫০

জনারণ্যে একজন বলেছেন: @ মিররডডল, নাহ - স্বপ্নপূরণ হয়নি। দেশে যাওয়ার পর কিছুই খেতে ইচ্ছা করতো না, অদ্ভুত এক ব্যাপার!

এখানে ফিরে যখন আসলাম, দেখি ছয় পাউন্ডস এর মতো ওজন কমে গেছে। মাত্র এগারো দিনেই।

০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫১

রানার ব্লগ বলেছেন: দেশে যাওয়ার পর কিছুই খেতে ইচ্ছা করতো না, অদ্ভুত এক ব্যাপার!

এর পর দেশে যখন আসবেন কোন রকম বড় সর প্রত্যাশা নিয়ে আসবেন না, যে এটা খাবো ওটা খাবো । দেখবেন খেতে সমস্যা হবে না । আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ।

১৭| ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৫০

জনারণ্যে একজন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। গল্পের চরিত্র পাশ করে নাই। দুই বছরে কেউ আইবিএ পাশ করে না। সে এখনো ছাত্র।

-- করে, যদি এমবিএর স্টুডেন্ট হয়। আন্ডারগ্রেড করলে অবশ্য ভিন্ন কথা।

০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪০

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি গল্পে মনোযোগ দিন । এখানে চরিত্রের প্রেম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে । তার শিক্ষা দিক্ষা নিয়ে না ।

১৮| ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: @শায়মা পড়েছি ;)
এখন কিছু না বলি, পানি কোনদিকে গড়ায় আগে দেখি।

০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ২:০০

রানার ব্লগ বলেছেন: প্রেমের জল সব সময় নিম্ন গামি।

১৯| ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১২:০৮

জুন বলেছেন: গল্পর গল্পটা বেশ আকর্ষণীয়। কিন্ত নায়ক এত গরীব ক্যান :-/ তেল চিটচিটে মশারী, তুলা বের করা বালিশ :((
যাইহোক চিনি কন্ঠওয়ালী আপনাকে কতদূর নিয়ে যায় তার অপেক্ষায় রইলাম রানার ব্লগ #:-S
অনেক ভালোলাগা
+

০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ২:০২

রানার ব্লগ বলেছেন: পৃথীবির সকল নায়ক গরীব আর তারা সব সময় ধনী নায়িকা খোজে।

২০| ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১২:৩১

জনারণ্যে একজন বলেছেন: -- গল্পে মনোযোগ দিতে যেয়েই তো ওই প্রশ্নের উদ্রেক হলো। গোঁজামিল দেয়া কোনো গল্প পড়তে ভালো লাগার কথা নয়।

-- ন্যাকা ন্যাকা প্রেম-পিরিতি হইতে ভীত (অপাদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি)।

-- দেশে যাওয়া হয় খুবই কম। হয়তো এজন্যই যাওয়ার আগে প্রত্যাশা থাকে অনেক বেশিই। ঘুমোতে পারিনা ঠিকমতো যাওয়ার আগের কয়েকটা দিন ....কত কত স্মৃতি- সব মনে পড়ে। যাওয়ার আগে থেকেই কত প্ল্যান, কত স্বপ্ন বোনা ......এবং ফলাফল - স্বপ্নভঙ্গ।

যাইহোক, পরেরবারও হয়তো এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। একটা লুপের মধ্যে পড়ে গেছি আসলে। বের হওয়ার চেষ্টা করেও পারছি না।

ভালো থাকবেন।

০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ২:০৪

রানার ব্লগ বলেছেন: এটা খুবি স্বাভাবিক। মানুষ ভাবে এক হয় আর এক।

পৃথীবির সকল প্রেম ন্যাকা ন্যাকা। ন্যাকামি না হলে প্রেম ঠিক জমে না। নতুবা কার এতো সখ বুড়া এক লাফাংগা অর্ধ পাগল লোক কে বাবু বলে ডাকার।

২১| ১৩ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:





জনারণ্যে একজন বলেছেন: একটা লুপের মধ্যে পড়ে গেছি আসলে। বের হওয়ার চেষ্টা করেও পারছি না।

সত্যি তাই।
এখানে থাকলে ঢাকার লাইফ মিস করি, ফিরে ফিরে যাই।
আবার ওখানে গেলে অল্প দিনেই এখানকার লাইফ মিস করি, মনে হয় কখন ফিরে আসবো।

ওখানে যাবার আগে অনেক প্ল্যান নিয়ে যাই, অনেক কিছুই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়, কিন্তু ফিরে আসার পর আবার অস্থির হয়ে যাই কখন যাবো। দুটো জীবনের ভালো দিকগুলো চাই, মন্দটা চাইনা। আবার এর থেকে বের হওয়াও যায় না।

চার মাস হয়েছে আসলাম, এখনই মনে হচ্ছে আবার কবে যাবো।
সত্যিই একটা লুপের মধ্যে পড়ে গেছি।
বাকি জীবন এভাবেই যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.