নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মায়ামন বড় নিঃসঙ্গ কাটে অনাথ রাত্রীযাপন

কবিতা তুমি বুকে মাংশ গোলাপ নিয়ে শুয়ে থাকো,আমি হাত ভরে পান করি জ্যোৎস্না

সোমহেপি

আমি কিছুই না।বুদবুদ।

সোমহেপি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফসলের ইতিকথা

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১০

অমাবস্যার রাত। ঘোর অন্ধকার । ছাড়াবাড়ির দিক থেকে একটা বাঁশির সুর ভেসে আসছে । করুণ সুর । শুকতারা বেগম কেমন আনচান করতে থাকেন । সুফিয়া জানে কে অন্ধকার রাতে বাঁশি বাজায় । কিন্ত্ত মুখে কিছু বলে না । শুকতারা বেগমের বয়স ষাট ছুঁইছুঁই । বাঁশির সুর তাকে কেন উতলা করে সুফিয়া ভেবে পায় না । শুকতারা বেগম ঘরের ভেতর বাহির করতে থাকেন ।-
ধুর! এমুন সময়ে কে মরার বাঁশি বাঁজায় ? অলক্ষী কোনখানের !
সুফিয়া হেসে ফেলে । ডাক দিয়ে বলে - মা ঘরে আও। যে-ই বাজাইতাছে ভালোইতো বাজাইতাছে । তোমার ভালা লাগতাছে না ? শুকতারা লজ্জিত মুখে মেয়ের পাশে এসে বসে । যেন সে একটা অপরাধ করে ফেলেছে । তোমার কি বাঁশি ভালা লাগে না মা ? শুকতারা মেয়ের এমন প্রশ্নের উত্তরে বলে- না রে মা, লাগে । তয় বুকের ভিতরডা য্যান কিমুন কিমুন করে । কষ্ট কষ্ট লাগে । বৃদ্ধ মায়ের এমন জবাবে সুফিয়া আনমনা হয়ে ভাবে । সবার ভেতরেই আছে একটা নদী । দুখের নদী । সে নদীতে কতশত দুঃখ বয়ে যায় কেউ জানে না । বাঁশির করুণ সুর যেনো শুকতারাদের সে নদীর স্রোতকে নতুন গতি এনে দেয় ।

আজ দিয়ারিশা । জুলহাস মিয়ার বাড়িতে পুলা -বুড়ো সকলে উৎসবে মেতেছে । অনেক জমির মালিক । সবই ফসলি জমি । প্রতিবছর তিনি এমন করেই জমির ফসল কাটান । গান বাজনা করে আনন্দ উল্লাসের মধ্যেই ধান কাটা চলতে থাকে । কেউ কাটে । কেউ তা বোঝা করে বাড়ি আনে। কেউ ইস্পাতের ড্রামে ধান গাছ আছড়িয়ে ধান গুলোকে আলাদা করে। কেউ মাড়াইয়ের কাজ করে । এরই ফাঁকে বাড়ির বউ ঝিয়েরা কুলা নিয়ে ধান ঝাড়তে বসে যায় । সুর করে গীত গায়। সেই সুরে সকলেই সুর মিলায় । হাসি আনন্দ ঠাট্টা মস্করা চলে ।
-এই মাইয়া বুনিত কাপড় দে -আর ঠ্যাং দুইডা মিশাইয়া ব। এত ছড়াইয়া রাখছস ক্যা? দেখ জোয়ান পোলা রহিম্মা কিমুন ড্যাব ড্যাব করে চাইয়্যা রইছে ।
ধান ঝাড়তে ঝাড়তে সুফিয়ার বুক থেকে কাপড় নেমে যায় । পাশের বাড়ির ভাবি সম্পর্কীয় কেউ সেই সুযোগটা নিয়ে নেয় । সুফিয়া সে কথা শুনে চড়াক করে উঠে দাঁড়ায় । বুকে কাপড় টেনে দেয়। একবার রহিমের দিকে চেয়ে দ্যাখে । না- সে কাজ করছে । এদিকে তাকায়নি । আর অমনি ভাবিটা হিলহিল করে হেসে উঠে । সাথে আরো দুই চারজন মেয়ে ছেলে।
-নটী-মাগী করলাম না তোর কাম। এই বলে সুফিয়া কুলাটা হাতে নিয়ে একটা আছাড় দিয়ে ফেলে চলে যায়। হাসির দমক আরো বাড়ে ।

জুলহাস মিয়া দিন শেষে সবাইকে নিজ হাতে আপ্যায়ন করেন।
খাবার খেতে দেন। গল্প করেন । জীবনের গল্প । উথ্থানের । পতনের ।
সেই সাথে পান সিগারেট সেবন চলতে থাকে । জুলহাস মিয়া আভিজাত্য নিয়ে পিতলের হুকােয় টান দেন । মিষ্টি একটা শব্দ বের হয় । থেমে থেমে।
-বুঝলা মিয়া অনেক তো অইল, কি কউ এবারের পর আর না । শরীর আর মনে অহন আর কুলায় না । তাছাড়া ক্ষ্যাত কইরা অহন আর কোন লাভ নাই লুকসান ছাড়া ।
জুলহাস মিয়া বিঘাপ্রতি ফসলের উৎপাদন খরচের একটা খসরা হিসেব তুলে ধরেন সবার কাছে । প্রতিমণ ধানের উৎপাদন খরচ যেখানে একহাজার টাকা সেখানে বিক্রি করতে হয় সাতশত টাকা ।
পোলা দুইডা ভারসিটি পাশ দিয়া বাইর হইতাছে । চাকরি বাকরি করব । অহন থাইকা যা করনের তারাই করব। কি কউ মিয়ারা ?
-হ,হ ঠিক কইছেন মিয়া সাব । ঠিক কইছেন ।

সবাই নিরবে জুলহাস মিয়ার কথা শুনে। মাঝে মাঝে হু-হ্যা করে। মেয়ে ছেলেরা খায় সবার শেষে। জুলহাস মিয়ার দুই ছেলে এক মেয়ে। ছেলেদের পড়াশোনার পাঠ চুকলো বলে। মেয়ে সুফিয়া ইন্টামিডিয়েট পরীক্ষা দেবে । ছেলে- মেয়ের লেখা পড়া নিয়ে জুলহাস মিয়ার ভেতরে একটা অহংকার আছে । সেটা তিনি গোপন করেন না । সুযোগ পেলেই তিনি মানুষের কাছে বিষয়টা জানান দিতে চেষ্টা করেন ।

সুফিয়া আড়ালে কয়েকবার রহিম মিয়ার দিকে চোখ বোলিয়ে যায় । ঠিক মত খেল কিনা । পেল কিনা ।

ভালো নাম রফিক । রফিকুল ইসলাম । লোকে রহিম মিয়া বলেই তাকে ডাকে । স্থানীয় একটা কলেজে ডিগ্রী পরীক্ষা দেবে। গাঁয়ে শক্তি এবং মেধা দুটোই আছে। গ্রামের সবাই তা জানেও । কিন্ত্ত টাকা পয়সা নেই বলেই জুলজাস মিয়ার ছেলেদের মত ভার্সিটি তে পড়তে পারল না । তুখোড় তাস খেলতে জানে । খেলে আর বলে টেক্কা । টেক্কা। রাত বিরাতে এ গ্রামে ও গ্রামে গান গেয়ে বেড়ায় । বাঁশি বাজায় ।
রহিম মিয়া সুফিয়াকে পছন্দ করে । তা অবশ্য অনেকেই করে । সুফিয়া দেখতে সুন্দরী । ধনী বাবার একমাত্র মেয়ে। ভাইয়েরা শিক্ষিত । ।এলাকায় নাম ডাক আছে। কলেজে আসা যাবার পথে অনেক ছেলে সুফিয়াকে প্রস্তাব দেয় । সুফিয়া বাড়ি এসে বাবার কাছে সে কথা বলে নালিশ করে। রহিম মিয়া তাকে পছন্দ করে । সে কথা সুফিয়া জানে । কিভাবে যেনো ব্যাপারটা জানা হয়ে গেল । সুফিয়া চায় রহিম তাকে কিছু বলুক। সে সুযোগও সে রহিম মিয়াকে দিয়েছে । কিন্ত্ত রহিম মিয়া সরাসরি কিছু বলতে সাহস করে না। অন্ধকার রাতে ছাড়াবাড়ির উদোম উঠোনে বসে একা একা বাঁশি বাজায়। করুণ সুর তোলে সে বাঁশিতে । সুফিয়া জানে সে কথা। পাড়ার যবতী বউদের কোমড় থেকে কলসি পড়ে যায় সে সুর শোনে। সে কথা সুফিয়া জানে । আর সে এও জানে রহিম কেনো বাঁশি বাজায় ?

রহিম মিয়া একদিন সকল জড়তা ভেঙ্গে সুফিয়ার হাতে ভাজ করা একটি কাগজ গুঁজে দেয় । সুফিয়ার কম্পন লেগে যায় । সে চিঠি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে কাঁপতে থাকে ।
- কি করমু কও? তোমারে যে আমার ভালো লাগে। জানি তোমার বাপে জানলে আমার বিচার করবো , তয় আমি ডরাই না । বুঝলা!

কথাগুলো বলে রহিম মিয়া দ্রুত চলে গেলে সুফিয়া যেনো হাফ ছেঁড়ে বাঁচে ।
সুফিয়ার ফাগুন লেগে যায় ।কপোলে রক্ত পলাশ ফোটে । চিঠিটা সুফিয়া নিরবে গভীর রাতে পড়বে বলে রেখে দেয় বইয়ের ভাঁজে । কিন্ত্ত সে এক মূহুর্তের জন্যও স্থির থাকতে পারে না । তার ভেতরে বাহিরে কেবল ছলাৎ ছলাৎ করে । এমন অনুভূতি সে প্রথমবারের মত অনুভব করে ।
-ওই মাইয়া তোর কি হইছে এমন করতাছস ক্যান? শুকতারা প্রশ্ন করে মেয়েকে ।সুফিয়া কিছুই বলতে পারে না । শুধুই হাঁসে । উন্মাদের মত হাসি । যে হাসি দেখলে মনে হবে মুখে হাসলেও ভেতরে কোথাও আগুন লেগেছে।
ব্যাপারটা শুকতারার চোখ এড়ায় না । শুকতারা আকাশ পাতাল ভাবতে থাকেন ।

সুফিয়া গভীর রাতে অতি গোপনে চিঠি খোলে । সে চিঠি হাত ফসকে বারবার পড়ে যায় । আবেগ উত্তেজনায় ঘেমে শরীর নেয়ে যেতে থাকে । প্রথম প্রেমের আনন্দ । প্রথম শিহরণ । প্রথম কালবোশেখির ঝড় । সে ঝড়ে সুফিয়া উড়ে যায় । দাঁতে দাঁত চেপে নিজেকে সামলায় । সুফিয়ার জীবনে প্রথম ফাগুন ।

সুফিয়া চিঠির জবাব লিখতে বসে । সাদা খাতার দিকে চোখ মেলে তাকিয়ে থাকে । কি লিখবে ? ভাবনার অথৈ রাজ্যে সুফিয়া হাবুডুবু খায় । কথা খুঁজে পায় না । অথচ কত কথা তার মাঝে ! সুফিয়া একটি দুটো শব্দ লিখে আর লিখতে পারে না ।
সুফিয়ার কিছুই লেখা হয়ে ওঠে না । তার ভাব ভাষার চেয়ে প্রখর তাই ভাব ভাষাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় অচীন গন্তব্যে ।

সুফিয়াদের বাড়িতে অনেক আনন্দ । সুফিয়ার ভাই ভার্সিটি পাশ দিয়ে চাকরি পেয়েছে । এ বাড়ি সে বাড়ি মিষ্টি বিতরণ করে জুলহাস মিয়া ।
-দোয়া কইরো মিয়া আমার পোলা চাকরি পাইছে! মিষ্টি খাও।
-কোনডা ডাঙর টা?
-হ, হ ।
শুকতারা লক্ষ করে অনেক দিন থেকে ছাড়াবাড়িতে আর বাঁশি বাজে না ।
বাঁশির সুর না শুনতে পেযে তার মনটা কেমন কেমন করে ।
- পেলাডার কি হইছে ?
- কার মা?
- রহিম্মার ?
-ক্যান ? কোন কিছু হইছে?
-অহন আর বাঁশি বাঁজায় না ক্যান?
-মা তুমি না বাঁশি পছন্দ করো না! অহন আবার শুনবার চাও ক্যান?
শুকতারা আর কিছু বলে না ।

জুলহাস মিয়ার বাড়িতে একটা আভিজাত্যের ছাপ আছে । চৌচালা ঘর সবগুলো । বৈঠক খানা, বারান্দা সবই আছে । ঘরের আসবাবপত্রেও আছে একটা পুরুনো ছাপ । বাড়ির একদিকে পুকুর । পুকুরপাড়ে নানান ফলের গাছ । উঠোনের এককোণে একটা ফুলের বাগান বাড়ির সৌন্দর্য্যে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে । রাতবিরাতে ফুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়ে । ঘরের জানালা মেলতেই নাকে লাগে সুগন্ধি ফুলের ঘ্রাণ। হাস্নাহেনা ,বেলি,শিউলি , গন্ধরাজ ,দোলনচাঁপাসহ আরো অনেক ফুল । সুফিয়া সুযোগ পেলেই বাগান সমৃদ্ধ করার কাজটা করে । কোথাও বেড়াতে গেলে বন্ধুদের বাড়ি যদি নতুন কোন ফুলের সন্ধান পায় তাহলে সেখান থেকে সেই গাছের ডালপালা কেটে এনে বাগানে পুতে রাখে । বৃষ্টি বাদলার দিন হলে সহজেই সেই ডালে নতুন পাতা গজায় ।

সুফিয়ার থাকার রুমটা একটা জানালার পাশে । জানালাটা মেলতেই সেই ফুলের বাগান । সাথে দখিনা বাতাস । নিকটাত্বীয় কেউ এলে অবশ্য এই রুমটা সুফিয়াকে ছেড়ে দিতে হয় ।

একদিন জুলহাস মিয়া বাড়িতে ছিল না । রহিম সে সুযোগটা নেয় । সুফিয়ার খোলা জানালা দিয়ে হঠাৎ লাফ দিয়ে প্রবেশ করে । সুফিয়া দেখে ভয়ে আর শিহরণে কাঁপতে থাকে । করণীয় বুঝে উঠতে পারে না । কাঁদবে কি চিৎকার করবে । রহিম ফিসফিস করে কথা বলে । ভয় পেয়ো না । কির করমু কও - তোমারে না দেইখা থাকতে পারতেছিনা । তুমিতো আমারে কিছুই জানাইলানা । আমারে ভালোবাসো কিনা ?
-আপনি অহন যান । বাপজান জানলে আমারে কাইটা ফেলব । রহিম ভাই দয়া কইরা আপনি যান ।
-না আমি যামু না । আইজ এই ঘরে থাকমু । তোমার মুখ থাইকা একটা উত্তর না পাইয়া আমি যামু না ।
সুফিয়া কিংকর্তব্যবিমূঢ় । এদিক সেদিক খেয়াল করে । কেউ আশে পাশে আছে কিনা । শেষে তার কক্ষের দরজাটা খিল এঁটে বন্ধ করে ।
এগিয়ে আসে রহিমের দিকে । হঠাৎ থমকে যায় সুফিয়া । রহিমও নির্বাক তাকিয়ে থাকে । তারপর ভয় কাটিয়ে রহিম হাতে একটা নতুন ব্লেড নেয় ।
- বলো আমারে ভালোবাসো কিনা ?
সুফিয়া কিছুই বুঝে উঠতে পারেনা ।
-উত্তর না দিলে আমি আমার হাতের আঙ্গুলগুলো কুচি কুচি কইরা কাটমু ।
এই বলে সে সুফিয়ার সামনে একটু আঙ্গুলে ব্লেডের আঁচড় লাগায় । সাথে সাথে রক্ত ফোঁটায় ফোঁটায় ঘরের মেঝেতে পড়তে থাকে ।
-কি কিছু কইবা না?
সুফিয়ার মুখ থেকে কিছুই বের হয় না। সে রহিমের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে । ব্লেডসহ রহিমের দুহাতকে সে মুঠো করে চেপে ধরে । ব্লেডটাকে দুজনেই দখলে নিতে চায় । এভাবে দুজনেই রক্তাক্ত হতে থাকে । কারো কোন ব্যথা নেই । কারো মুখে কোন কথা নেই । একসময় দুজন দুজনের রক্তাক্ত হাত মুঠোয় পুরে বসে থাকে । কতক্ষণ ? সে সময়ের হিসাব কেউ রাখে না। তারা পরষ্পর যেনো আর কিছুই জানতে চায় না । এভাবে হাত ধরে বসে থাকতে চায় । এরপর দুজনেই ফুঁফিয়ে কাঁদতে থাকে ।

সুফিয়া আর রহিম মিয়ার গোপনে দেখা হয় , কথা হয় । ছাড়াবাড়িতে দুজনে নিরালে বসে হাজারো কথা বলে । ভয়ে ভয়ে থাকে পাছে কেউ না আবার দেখে ফেলে । এরা পরষ্পর কাছে আসতে থাকে ।দুজন দুজনকে কখনো ছেড়ে যাবে না এমন কমিটমেন্ট করে ।
প্রেম এদের কাছে এক লুকোচুরি খেলার মত । শুধুই এক আরেকজনকে এক পলক দেখা । এ দেখায়ই যেনো রাজ্যের যত সুখ ।
তাদের এখন কোন দুঃখ নেই । বিকেলের মৃদু আলো তাদের ভালো লাগে । ভালো লাগে গোধূলি । পাখি । গাছ। মানুষ। সব। যা কিছু চোখে দর্শনযোগ্য এবং যা নয় সবই । ভালোবাসার স্পর্শে এরা যেনো ক্রমশ শিশু হয়ে উঠে । কোমল থেকে কোমলতর।

কিন্ত্ত তাদের এ সুখটা বেশিদিন সয় না । জানাজানি হয়ে যায় ব্যাপারটা তাদের । লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে । ছড়িয়ে পড়ে রসালো কাহিনি । জুলহাস মিয়া আকাশ থেকে পড়েন । এমন একটা ছেলের সাথে তার মেয়ে ভাবভালোবাসা করবে এটা তিনি ভাবতেও পারেন না। মেয়েকে শাসন করেন । সেই সাথে জুলহাস মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার মাকে অপমান করে আসেন । মামলার ভয় দেখিয়ে আসেন ।
- আর আমার মেয়ের দিকে মুখ বাড়ালে আমি তাকে চৌদ্দ শিকের ভাত খাইয়ে ছাড়ব ।
জুলহাস মিয়া মেয়েকে আর ঘর হতে বের হতে দেন না। নজর বন্দি করে রাখেন । কলেজেও যেতে দেন না।

এদিকে দুটি কোমল প্রাণ জ্বলে পুড়ে খাক হয় ।জুলহাস মিয়া চিন্তা ভাবনা করতে থাকেন । কিভাবে এর সমাধা করা যায় । ছেলেদের খবর দেন । এরা এসে বোনকে শাসন করে । বোঝাতে থাকে । তোমার বয়স কম । ভালোমন্দ বোঝ না । এসব পাগলামী ছাড় ।

সুফিয়ার বিয়ের সমন্ধ আসে । জুলহাস মিয়ার বড় ছেলে এর সন্ধান দেয় । পাত্র একটা প্রাইভেট ব্যাংকের চাকুরে । পরিবার ও বংশ ভালো । কন্যা দেখে পাত্র পক্ষেরও পছন্দ হয় । ধুমধামে বিয়ে আয়োজন চলতে থাকে । জুলহাস মিয়ার ছেলেরা ভাড়াটে গুণ্ডা এনে চারদিকে একটা নিরাপত্বা বলয় তৈরী করে রাখে যাতে রহিমা আর সুফিয়ার মাঝে কোন যোগাযোগ না হয় ।

তবুও বিয়ের পূর্ব রাতে সুফিয়া কৌশলে পালিয়ে রহিমদের বাড়িতে যায় । গিয়ে রহিমের মায়ের পায়ে পড়ে কাঁদতে থাকে । রহিম চোখ বুঝে কান্না সামলায় ।
-মা তোমার বাপ মায় তোমারে অনেক আদর যত্ন করে মানুষ করছে । আগামীকাল আল্লাহ চাইলে তোমার বিয়া । অহন যদি জানাজনি হয় তুমি ভাইগা গেছ তাইলে তোমার বাপে গলায় দড়ি দিব । সন্তান হিসাবে তোমার বাপের সম্মান তোমার দেখতে অইব । তোমাদের অহন বয়স কম একটু আধটু ছেলে মানুষি করতেই পারো । তাই বলে এত বড় ভুল তুমি কইরো না মা । তুমি বাড়ি চইলা যাও । রহিম তোমারে নিয়া বাড়িত দিয়া আসব ।
মাথায় হাত বুলিয়ে রহিমের মা সুফিয়া কে বোঝান । রহিম চোখে বালিশ চাপা দিয়ে কাঁদতে থাকে । সে জানে এ ভার অনেক বড় । সেটা বইবার ক্ষমতা তার এখনো হয় নি । তার বিত্ত নেই । সামাজিক প্রভাব বলয় নেই । শুধু মনের নিভৃতে পোষে রাখা অঢেল ভালোবাসা আছে ।

রহিম সুফিয়াকে নিয়ে তাদের বাড়ির দিকে বের হয় । আমারে তুমি মাফ কইরো সুফিয়া । আমি তোমারে ভালোবাসি ঠিক কিন্ত্ত এত তাড়াতাড়ি তোমার ভার আমি বইতে পারুম না । যদি পারতাম তাইলে তোমারে আমি নিজ হাতে এমন কোরবানি হইতে দিতাম না।
আমি তোমারে আইজ আমার লগে নিয়া কোথাও চইলা গেলেও পারি কিন্ত্ত তোমারে সুখি করার আমার কোন অবলম্বন নাই সুফিয়া । এত শীঘ্র এসব ঘইটা যাইবো আমি ভাবতেও পারি নাই । আমারে মাফ কইরো।
-ক্যান আমরা অনেক দূরে গিয়া দুইজনে কামলা দিয়া চলুম তবুও....
- তোমারে আমি ভালবাসি সুফিয়া আমার ভালোবাসার কসম লাগে ,আমি কি কই শোন - আমার অনেক দায়িত্ব আমার বাপ নাই । দুইডা ছোড বোন । ওগো বিয়া দিতে অইব । মায়েরে দেকতে অইব । আমি এইভাবে চইলা গেলে শেষে তুমি কিংবা আমি কেউই সুখি অইতে পারুম না । মানুষরে কষ্ট দিয়া সুখ পাওন যায় না সুফিয়া । তবুও একটা কথা কই-?আমারে ভুইলা যাইও না সুফিয়া আমি তোমারে ভালোবাসি ।
হাউ মাউ করে কেঁদে ওঠে দুজন । অন্ধকারে একে অপরকে জড়িয়ে কাঁদতে থাকে ।

যখন সুফিয়াদের বাড়িতে একটা চাপা সাড়া পড়ে যায় সুফিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তখনই রহিম সুফিয়াকে নিয়ে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে । এলাকার মানুষ জানে রহিম কাউকে ভয়ের পাত্র নয় । রহিম আস্তে করে সুফিয়াদের ঘরে গিয়ে সুফিয়ার মা এবং বাবা বসে যেখানে দুশ্চিন্তায় মগ্ন ছিলো সুফিয়াকে তাদের দিকে ঠেলে দিয়ে বলল মাফ করবেন চাচা মিয়া - আমরা একটা ভুল করতে ছিলাম । আমরা গরীব মানুষ ! গরীব ভুল করলে মরণ ছাড়া উপায় থাকে না । আপনার মেয়েরে ভাল জায়গায় বিয়া দেন । সুখে থাকুক । আমার ভাঙ্গা ঘরে তারে মানাইবো না ।
বলে সে সুফিয়ার দিকে একবার তাকায় এরপর ছলছল চোখে হনহন করে বেরিয়ে যায় ।

ধুমধাম করে পরের দিন সুফিয়ার বিয়ে হয়ে যায় । বাসর হয় সুফিয়াদের বাড়িতেই । জানলার পাশ থেকে ছড়িয়ে পড়ে মিষ্টিফুলের সুবাস । আর ওদিকে ছাড়াবাড়িতে রহিমের বাঁশি বেঁজে উঠে । সুফিয়ার বাসর রাতে রহিমের এক অপরূপ উপহার । সুফিয়ার বর অনেক খুশি । এমন একটা রাত যেখানে কেউ শানাই না বাজালেও গ্রাম্য সহজিয়া পরিবেশে এমন সুন্দর বাঁশি বাজাচ্ছে কেউ । সুফিয়ার মনে প্লাবন বয়ে যেতে থাকে ।

ভালবাসার শহরে সুফিয়া আর রহিম ক্ষণিকের অতিথি । তাদের ভালোবাসা নিখাদ । পৃথিবীতে যত নিখাদ ভালোবাসা আছে সবই অবুঝ । নিকেষের ঘরে তাদের কোন অংকই কষা থাকে না । আর তাই পরিণতি বিরহ । অংক কষার ক্ষণ থেকেই প্রেম ভালোবাসাগুলো ক্রমশ চুক্তির দিকে ধাবিত হয় । সেদিক থেকে সুফিয়া আর রহিমের ভালোবাসা প্রকৃতই ভালোবাসা ।


পাঁচ বছর পর ।

সুফিয়ার একটি ফুটফুটে ছেলে হয় । জুলহাস মিয়া আর তার ছেলেরা প্রায়ই সুফিয়াকে দেখতে শহরে আসে । জামাই খুব একটা সময় বের করতে পারে না। শ্বশুর বাড়িতে বেড়ানোটা তাই খুব একটা হয়ে ওঠে না । সুফিয়াও বাবার বাড়িতে আসার কোন সুযোগ পায় না ।
সুফিয়া ক্লান্ত অনুভব করে ।শহরের বিলাসি জীবনও তার কাছে অসহ্য ঠেকে । সারাদিন সে যেনো শুধুমাত্র কারো বিছানার সঙ্গী হবার জন্য অপেক্ষা করে । সন্তান দেখাশোনা করা রান্না করা ছাড়া সংসারে তার ভিন্ন কোন ভূমিকায় দেখতে পায় না সে নিজেকে । সংসারে থেকেও সে নিজেকে কোথাও খুঁজে পায় না । তার গ্রামের কথা মনে পড়ে । মনে পড়ে রহিম মিয়ার কথা । মনটা হাহাকারে ভরে উঠে । মন চায়তো এখনি চলে যায় মানুষটার কাছে । একনজর দেখে আসে । কেমন আছে কি করে অনেক জানতে ইচ্ছে করে । মানুষের জীবনটাই এমন যে পাওয়ার আনন্দের চেয়ে না পাওয়ার বেদনা প্রকট দাগ কেটে যায় ।

একদিন সেই মোক্ষম সময়টা আসে সুফিয়ার জীবনে । সুফিয়ার ব্যাংকার স্বামী ঈদের ছুটি এবার শ্বশুর বাড়িতে কাটাতে রাজি হয় । সেই মত সুফিয়াকে সপ্তাহখানেক আগেই শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দেয় । অফিস থাকাতে সে বউয়ের সাথে আসতে পারে না । ঈদের ঠিক আগের দিন আসবে বলে সে সুফিয়াকে পাঠায় । সুফিয়াও যেনো এমনটাই চেয়েছিলো ।
সুফিয়া বাড়ি আসলে পাড়াপড়শিদের মাঝে সাড়া পড়ে যায় । সকলেই দেখতে আসে । কেমন আছে জানতে চায় । সুফিয়ার দামি গয়না পোষাক আষাক,গায়ের বর্ণ সবই বলে সুফিয়া ভালৈা আছে । অনেক সুখে আছে । সুফিয়ার সখিরা নিজেদের কপাল নিয়ে আপসোস করে । তারা ভাগ্যকে দোষারোপ করে । সুফিয়ার সন্তানটাও যেনো হয়েছে রাজপুত্তুরের মত ।
বাড়িতে আসার পর শুকরারা বেগম মেয়ের জন্য ভালো ভালো খাবার রান্না করেন । সুফিয়ার পছন্দের সব খাবার । কিন্ত্ত সুফিয়ার মন পড়ে থাকে অন্য খানে । শুকতারা বেগম সেটা বুঝতে পারেন ।
-ও সুফিয়া যাবি নাকি রহিম্মাদের বাড়িত ? দেখে আয় একদিন । পোলাডার মা মারা গেলো কদিন হয় । বিদেশ গেছিলো জমি জিরাত বেঁইচা কিন্ত্ত সফল অইতে পারে নাই । কি যেনো ঝামেলা অইল আবার ফেরত আসল । এখনো বিয়ে করে নাই । বোন দুইডারে বিয়া দিছে অনেক কষ্টে । যা একবার জামাই আসার আগে একবার দেইখা আয় ।
কথা শুনে সুফিয়ার চোখ বিস্ফোরিত হয় । ভাবতে থাকে মা কিভাবে তার মনের খবর জানে । সে মায়ের চোখের দিকে তাকায় । ততক্ষণে শুকতারা তার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয় । আনন্দে সুফিয়ার কান্না চলে আসে । ইচ্ছে করে মাকে জড়িয়ে ধরে । পৃথিবীতে মায়েরাই সন্তানের মনের খবর বেশি রাখে ।

দিনের কাজ শেষে রহিম বাড়ির উঠোনে চেয়ারে বসে পায়ের নখ কাটছিলো । সুফিয়া তার ছেলেকে এক হাতে ধরে চুপিচুপি এসে রহিমের সামনে দাঁড়ায় । সুফিয়া এক বুক আবেগ নিয়ে এসেছে । তাকিয়ে থাকে রহিমের দিকে । রহিম কিছুই বলতে পারে না । সুফিয়া দেখে
রহিম কেমন নির্জীব হয়ে গেছে । চোখের সেই দগদগে আগুন কেমন নিস্প্রভ । একেবারে ভেঙে পড়া একটা মানুষ ।

-কেমন আছেন রহিম ভাই ?

অনেক ভেবে সুফিয়া প্রশ্ন করে । রহিম প্রথমটাতে কোন কথাই বলতে পারে না। অবশেষে বলতে পারে - হ ভালা আছি । তুমি কেমন আছো ?
- আমি ভাল আছি রহিম ভাই । এক বান্ধবীর বাড়িতে গিয়েছিলাম । আসার পথে ভাবলাম আপনাকে একটু দেখে যাই । তাই আসা ।

রহিম তার চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় ।

-বও সুফিয়া একটু বও ।
- না না । বসব না । সন্ধা হয়ে যাচ্ছে । বাড়ি যেতে হবে । তাছাড়া ছেলের বাবা আসবে আজকে সন্ধ্যার দিকে । আমি যাই রহিম ভাই ।

সুফিয়া তড়িঘড়ি চলে আসে ।
রহিম ফ্যালফ্যাল চোখে চেয়ে থাকে ।


রহিমের দিনগুলো একরকম কেটে যাচ্ছিল । কাজ শেষ করে এসে নিজেই রান্না চড়ায় । চারটে ডালভাত খেয়ে চুপচাপ । সে খুব একা । একথা এতদিন মনে হয় নি । আজ সে অনুভব করে সমস্ত পৃথিবীতে সে খুব একা । তার সমস্ত শরীর জুড়ে ক্ষত । আর সেই ক্ষতে কে যেনো লবন ছিটিয়ে গেছে । রহিমের বাড়িটাও রহিমের মত একেবারে নিঃসঙ্গ । দুটো ঘর নিস্প্রাণ দাঁড়িয়ে আছে । পাশের ঝোপে থেকে একটা পাখি কুউক কুউক ডেকে চলে ।








বাড়ি এসে সুফিয়া পরিপাটি হতে শুরু করে । গায়ে সুগন্ধি মাখে ।
চোখে কালি লাগিয়ে চোখ কালো আর টানাটানা করে । সন্ধ্যায় তার স্বামী আসে । ছেলে বাবার কোলে ঝাপিয়ে পড়ে । শুকতারা বেগম জামাইকে ভালো ভালো খাবার পরিবেশন করে । জামাই অনেকদিন পর গ্রামের ফ্রেশ খাবার খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে ।

সুফিয়াদের বাগানটা অনেকদিনের অযত্নে বুনো একটা ভাব পেয়েছে । কতক ফুল ফুটেছে । জুলহাস মিয়া এখন আর জমিতে নিজে চাষবাস করে না । ছেলেরা চাকরি বাকরি করছে । বড়জন বিয়ে করেছে । বৃদ্ধ-বৃদ্ধা দুজনে বাড়িতে থাকে । জুলহাস মিয়া তসবি জপেন । একটা লাঠি হাতে নিয়ে পাঁচবার মসজিদে যাতায়াত করে । শুকতারা বেগমও ধর্ম-কর্ম করে । সুর করে ধর্মগ্রন্থ পাঠ করে ।

জামাইকে বাগানের পাশের ঘরে থাকতে দেয়া হয় । জানালা খোলা । বাগানে জোনাকিরা জ্বলে উঠে । এমন সময় ছাড়াবাড়ির দিক থেকে বাঁশির সুর ভেসে আসে ।
- আহ ! অসাধারণ !
জামাই আবেগ নিয়েই কথাগুলো বলে ।
-কি অসাধারণ ?
সুফিয়া প্রশ্ন করে ।
- বাগানে ফুলের গন্ধ, জোনাক, বাঁশির সুর সব । আমার খুব ভাল লাগছে । আচ্ছা কে এত সুন্দর বাঁশি বাজায় ?
-্আমাদের এক পাগল চাচা আছে পাশের বাড়ির সে বাজায় ।

কথা বলতে বলতে সে জানালা বন্ধ করতে যায় । জামাই মৃদু বাধা দেয় - থাক না ! ফুলের গন্ধ আসছে ভালোইতো লাগছে ।
সুফিয়া শোনে না । জানালাটা সে বন্ধই করে দেয় । বন্ধ করে দিয়েই স্বামীকে ঝাপটে ধরে । তার বুকে স্বামীর মুখ চেপে ধরে ।
-ফুলের গন্ধ ভালো লাগে না ? দেখো আমার বুকেও অনেক গন্ধ আছে । তোমার ভালো লাগবে ।
কিছুদিনের বিরতিতে জামাইয়ের শরীরও কেমন টানটান হয়ে আছে । এক ঝটকায় স্ত্রীকে কোলে তোলে নেয় । খুলে ফেলে সমস্ত বসন । সুফিয়ার সারা দেহ ভরে দিতে থাকে চুমোয় চুমোয় । সুফিয়াও আজ যেনো একটা জ্বলন্ত অঙ্গার ! দুটি শরীর একে অপরের সাথে লেপ্টে যায় । শরীরে শরীর জড়িয়ে পেঁচিয়ে যায় ।

আর ওদিকে ? ছাড়াবাড়িতে বাঁশির সুর ক্রমশ করুণ হতে থাকে ।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

রোমেন রুমি বলেছেন: গল্প পড়লাম ; ভাল লেগেছে।
গল্পের শেষ দিকে সুফিয়ার বাড়ি আসা এবং মায়ের সম্মতিতে রহিমদের বাড়ি যাওয়ার বিষয়টি পাঠকের মধ্যে একটা সাসপেন্স তৈরি করেছে। এবং সাসপেন্স পরবর্তীতে দক্ষতার সাথেই অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। রিয়্যালিটির প্রাধান্য চমৎকার লেগেছে।
কিন্তু আরও সুখপাঠ্য হবে আশা করেছিলাম। গ্রাম, মাটি, রাত্রি, অন্ধকার, বর্ণনায় একটা ঝঙ্কার আশা করেছিলাম ।

চরিত্রদের নাম নির্বাচন পছন্দ হয়নি ; এছাড়া পরবর্তী প্রজন্মের নামের তুলনায় পূর্ববর্তী প্রজন্মের মানুষদের নাম অপেক্ষাকৃত আধুনিক !!

লেখকের জন্য শুভ কামনা।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২১

সোমহেপি বলেছেন: অনেকদিন কিছু লিখতে পারিনি । লেখাটা শেষ করতে পেরে যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলাম । গল্পটা এখন আবার পড়লাম । সবকিছুর বর্ণনা ডিটেইলে আসেনি । তাও অনেক লম্বা হয়ে গেছে । যাক পরে কিছু যোগ করতে পারি কিনা দেখি !


ধন্যবাদ

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: মনে হচ্ছিলো যে বিটিভিতে ৯০ দশকে প্রচারিত হিরামন এর কোনো পর্ব দেখছি। ভালো লেগেছে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০১

সোমহেপি বলেছেন: হিরামন জিনিসটা কি ?

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: মিথনির্ভর গ্রামবাংলার নাটক। যা পূর্বে বিটিভিতে দেখাতো।

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
নিকেষের ঘরে তাদের কোন অংকই কষা থাকে না
গল্পে তারই অবগাহন হলো। বাঁশির সুর পাঠক মনে দাগ কাটলো বটে ...

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

সোমহেপি বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০০

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক মনছোঁঁয়া ছবির আনাগোণা লেখায়!!!

ভালো লাগালো। অনেক।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪

সোমহেপি বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.