নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মায়ামন বড় নিঃসঙ্গ কাটে অনাথ রাত্রীযাপন

কবিতা তুমি বুকে মাংশ গোলাপ নিয়ে শুয়ে থাকো,আমি হাত ভরে পান করি জ্যোৎস্না

সোমহেপি

আমি কিছুই না।বুদবুদ।

সোমহেপি › বিস্তারিত পোস্টঃ

১লা বৈশাখে পান্তা কেনো খাই? (আসুন জানি)

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

১লা বৈশাখে পান্তা কেনো খাই?



এখানে বলে রাখা ভাল পান্তাভাত বলতে অনেকে গরীবের খাবার বুঝে থাকে।কিন্ত্ত গাধারা এটা বুঝে না যে ভাত গরম না খেয়ে তারা কেনো পান্তা খেতে যায়? এ বিষয়ে তারা একটু চিন্তাও করে না। ভাত পান্তা হয় কখন? গরম গরম ভাতে পানি দিলে কি সেটা পান্তা হয়? না খাওয়া দাওয়ার পর যেসব ভাত পূর্তি থেকে যায় সেগুলোকে পচনের হাত থেকে বাঁচােনার জন্য পানি ঢেলে রাখে -যাতে পরের দিন খাওয়া যায় । যেহেতু আগে ফ্রিজ ছিলো না যে বাটিতে ভরে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখা যাবে। পান্তা আসলে এভাবেই তৈরী হয়। আমরা যারা গ্রামে থাকি,চাষাভূষার পোলা আমাদের চেয়ে পান্তার রহস্য কেউ বেশি জানে না। এমন কি হাল আমাদের নট-নটী যারা বটগাছের নীচে বসে পান্তা খাবার রীতি চালু করেছে তারাও না।



এখন কথা হলো পান্তা এমন এক ধরনের ভাত যা আগের দিনের পূর্তি বা খাবার শেষ হবার পরও বেঁচে যায় সেরকমের ভাত। এখান থেকে বুঝা যায় পান্তা ফকিন্নির ঐতিহ্য বহন করে না বরং প্রাচুর্য্যের পরিচয় বহন করে। যে শালারা পান্তাকে গরীবী খাবার মনে করে তাদের জ্ঞাতার্থে একথাগুলো সবাইকে জানানো প্রয়োজন।



এখন আসা যাক ১লা বোমেখে আমরা কেনো পান্তা খাই সে প্রশ্নে। ছোট বেলায় আম্মা খুব আয়েস করে ১লা বৈশাখের আয়োজন করতেন। আগের দিন তেতো শাক,ভাল মাছ, মাংশ,এবং হরেক পদের শাক-সবজি। তেতো শাকের নামটা ছিলো 'গিমা' শাক। আম্মাকে জিজ্ঞেস করতাম তেতো শাক খাবার কারণ। আম্মা বলতেন সবার আগে তেতো শাক খাবি কারণ - আগে তিতা পাছে মিঠা।

আরেকটা আসল কথা বলি গ্রামের মানুষের মধ্যে যেটা ১লা বোশেখে পান্তা খাবার আসল কারণ।

আমি আগেই বলেছি যে পান্তা হচ্ছে আগের দিনের ভাত। গরম গরম রেধে তাতে পানি দিলেই সেটা যথার্থ পান্তা হয় না। আম্মা বলতেন আমরা পান্তা খাচ্ছি মানে হচ্ছে একবছরের ভাত আরেক বছর খাচ্ছি।অর্থাৎ ১লা বোশেখের আগের রাত ছিল আগের বছর আর রাত যেহেতু শেষ, নতুন সূর্য উঠেছে তাই নতুন বছরে পান্তা খাওয়া মানে আগের বছরের খাবার খাওয়া হচ্ছে। তার মানে আমাদের ঘরে অনেক আয় উন্নতি আছে।এমন আয় উন্নতি যেনো যুগ যুগ বহাল থাকে সেজন্যই পান্তার আয়োজন।



এমন সংস্কার মেনেই গ্রামে পান্তা খাওয়া হয় ১লা বৈশাখে। অনেক শিক্ষিত বাঙালীও আজকাল পান্তাকে গরীবী খাবার ভাবে এটা ভেবে খারাপ লাগে। তাছাড়া পান্তার অনেক উপকারিতাও রয়েছে। যারা আলসারে ভোগেন তাদের জন্য। এছাড়া পান্তা মেজাজ ও শরীর শান্তা রাখে। অনেকে বলে থাকেন পান্তা খেলে সর্দি ঠাণ্ডা ইত্যাদি ইত্যাদি হয়...আরে তোরা কি খাটি দুধ খেয়ে খরম করতে পারিস আজকাল? খেয়ে দ্যাখ? কয়বার বাথরূমে আসা যাওয়া করিস?

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
সোমহেপি,

জানলাম, কেনো কি খাই !

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো বলেছেন। একমত।

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

মামুন রশিদ বলেছেন: 'গিমা' শাক আমার খুব প্রিয়, পাশের থানার লোকজন বলে 'চটাচটি' শাক । পুকুরের পাড়ে আর জমির আইলে অনাদরে বেড়ে উঠত । নিদানের সময় এটা নিয়ে সবাই কাড়াকাড়ি করলেও এমনিতে মানুষ এটা সখ করে খেত । আমার মায়ের টাকি মাছ দিয়ে গিমা শাক রান্নার স্বাদ যেন এখনো জিভে লেগে আছে । এখন আর এই শাক খুব একটা দেখি না ।

পান্তার ব্যাপারে আপনার বক্তব্যে সহমত । আমাদের বাড়িতেও রাতের বাড়তি ভাত পানি দিয়ে রাখা হত । বড়রা সকালে সেই পান্তা কাঁচামরিচ দিয়ে আয়েশ করে খেত ।

অনেকদিন পর এলেন । নববর্ষের শুভেচ্ছা ।

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: এসব কিছুই জানতাম না।

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১৫

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: আমার মনের কথাটাই আপনি সুন্দর করে বুঝিয়ে লিখেছেন। প্লাস ও ধন্যবাদ।

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আমাদের যৌথ পরিবার যখন ছিলো, তখন পান্তা ভাতের ব্যাপারটা নিয়মিত ব্যাপার ছিলো। রাতের অতিরিক্ত ভাতগুলো ভিজিয়ে রাখা হত, সকালে উঠে পান্তাভাত খেয়ে কাজে ছুটতো সবাই। গ্রামে অবশ্য পান্তা ভাতের ব্যাপারটা কমে গেছে। তবে পান্তাভাত-মরিচ-পেয়াজের আলাদা একটা স্বাদ ছিলো, এটা গ্রামে যারা বড় হয়েছি তারাই কেবল জানি। একদিন শখ করে খেয়ে সম্ভব না।

পান্তা কখনোই গরিবি খাবার হতে পারে না। অনেক পরিবার এমনকি আমার নিজের পরিবারেও দেখেছি সকালে গরম ভাত রেখে পান্তা নিয়ে কাড়াকাড়ি।

৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
দারুন পোস্টে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শুভ নববর্ষ।

৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫৯

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: জানা ছিল না । ধন্যবাদ ।

৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পান্তা এখনও নিয়মিত খাই!

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০১

অদৃশ্য বলেছেন:






পান্তা হলো পল্লীর জনপ্রিয় খাবার... ভেতো বাঙ্গালির জন্য পান্তাই সেরা... গরমের সময় বাড়িতে গেলেই সকালে আমিতো কমপক্ষে ২টা লাল(শুকনো) মরিচ ভাজা দিয়ে পান্তা খাই, যদিও এখনো আম্মা-ই আমার পান্তা মেখে দেন, সাথে আলুভর্তাতো থাকতেই হবে... ওহ্‌ কি স্বাদ... অমৃত

অনেকদিন পর ''গিমা'' শাকের নামটা চোখে পড়লো বা শুনলাম... অতীতে অনেকবার এই শাক সংগ্রহ করেছি অন্যদের সাথে... খুবই মজা পেলাম লিখাটি পড়ে...

শুভকামনা...

১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ইখতামিন বলেছেন:
জানলাম.

এই গরমের দিনে এতো রাগলে চলে?

১২| ২২ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার ফেইসবুক আইডি জানা নেই।

এখানে আপনার জন্য একটা মেসেজ আছে। আশা করি শীঘ্র জবাব দেবেন।

শুভেচ্ছা।

১৩| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকে খুঁজছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.