![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।
১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে ভারতে আশ্রয়ে ছিলেন তখন মুজিবনগর সরকারকে দিয়ে ভারত গোপনে ৭ দফা চুক্তিগুলো করিয়ে নেয়। যার সারমর্ম ছিল রক্ষীবাহিনী গঠন, ভারত ছাড়া অন্য কোনো দেশের কাছ থেকে অস্ত্র কেনায় নিষেধাজ্ঞা, বাংলাদেশের বহির্বাণিজ্য ভারতের নিয়ন্ত্রণে রাখা, বাংলাদেশের বার্ষিক ও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ভারতকে দিয়ে অনুমোদন করিয়ে নেওয়া ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ভারতের পররাষ্ট্রনীতির অনুবর্তী রাখা।
কী ছিল সেই ৭ চুক্তিতে :
১. ‘বাংলাদেশে ভারত তার ইচ্ছামতো, পছন্দসই লোক দিয়ে পছন্দসই নেতৃত্ব পাঠিয়ে একটি সামরিক বাহিনী গঠন করবে, যারা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আধাসামরিক বলে পরিচিত হবে। কিন্তু এদের গুরুত্ব এবং সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের মূল সামরিক বাহিনী থেকে বড় ও তাৎপর্যপূর্ণ রাখা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই বাহিনীটি হচ্ছে রক্ষীবাহিনী। ভারতীয় সৈন্যের পোশাক, ভারতীয় সেনানীমণ্ডলীর নেতৃত্ব ও ভারতের অভিরুচি অনুযায়ী বিশেষ শ্রেণির লোককে শতকরা ৮০ জন এবং ‘বিশেষ বাদ’-এর সমর্থক ২০ জন করে নিয়ে এই বাহিনী গড়ে তোলা হচ্ছে। অস্ত্র, গাড়ি, পোশাক, সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়ে এই বাহিনীটি মূল বাহিনীকে ছাড়িয়ে গেছে। এ বাহিনীটি ব্যবহার করা হবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। ভারতবিরোধী কোনো সরকার ঢাকার ক্ষমতায় বসলেও বাহিনী দিয়ে তাকে উৎখাত করা হবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতবিরোধী রাজনীতি সমর্থকদের এই বাহিনী দিয়েই দমন করা হবে। এ বাহিনীর মধ্যে ভারতপ্রেমী বিশেষ শ্রেণির লোকরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় কোনোদিন এদের ভারতের বিরুদ্ধে লাগানো যাবে না। এ দেশের জনগণ কোনোদিন বিপ্লবে অবতীর্ণ হলে, রক্ষীবাহিনীর পোশাক পরে ভারতীয় সৈন্যরা লাখে লাখে রক্ষীবাহিনী সেজে এ দেশের অভ্যন্তরে জনগণকে দমন করতে পারবে।’
২. ‘বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে যে সামরিক সাহায্য নিয়েছে তা পরিশোধ করতে হবে বিভিন্নভাবে যেমন-ভারত ছাড়া অন্য কোনো দেশের কাছ থেকে বাংলাদেশ অস্ত্র কিনতে পারবে না। মাঝে মাঝে ঘোষণা করা হবে ভারত থেকে এত কোটি টাকার অস্ত্র কেনা হলো। এর দাম ভারতই ঠিক করে দেবে। সরবরাহ দেওয়া হবে অর্ধেক অস্ত্র। সরবরাহকৃত অস্ত্রও ভারত ইচ্ছামতো নিজ দেশে নিয়ে যেতে পারবে। অর্থাৎ একই অস্ত্র বারবার দেখিয়ে ১৯৭১-এর পাওনা এবং ভারতের সম্পূর্ণ যুদ্ধ খরচ আদায় করা হবে। অভ্যন্তরীণ গোলযোগ দমনের অস্ত্র ছাড়া কোনো ভারী অস্ত্র সাঁজোয়া, গাড়ি বা ট্যাংক বাংলাদেশকে দেওয়া হবে না।’ ৩. ‘বাংলাদেশের বহির্বাণিজ্য ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ভারতের অনুমতি ছাড়া কোনো পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা যাবে না। কোন পণ্য কত দরে বাইরে রপ্তানি করতে হবে ভারত সেই দর বেঁধে দেবে। এসব পণ্য ভারত নিজে কিনতে চাইলে বাংলাদেশ আর কারও সঙ্গে সে পণ্য বিক্রির কথা আলোচনা করতে পারবে না। বাংলাদেশের আমদানি তালিকা ভারতের কাছ থেকে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। (বাংলাদেশে বিদেশি পণ্য আমদানির ব্যাপারে ভারত উদার থাকবে-যেসব পণ্য ভারতকেও আমদানি করতে হয় সেগুলো আমদানি করানো হবে বাংলাদেশকে দিয়ে? বাংলাদেশ তার বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল ভেঙে বিদেশ থেকে যেসব সামগ্রী আমদানি করবে সেগুলো ভারত নিজে আমদানি করবে না। চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশ থেকে সেই মালগুলো ভারতীয় টাকায় জোগাড় করবে। বিলাতের সেভেন ও রুক বেডর বেলায় এসব এবার ঘটেছে। ভারত সেভেন ও ক্লক আমদানি করেনি। বাংলাদেশকে দিয়ে বিপুল পরিমাণে দেড় কোটি টাকার ব্লেড আমদানি করিয়েছে- এখন ভারত নিখরচায় সে ব্লেড নিয়ে গেছে।’
৪. ‘বাংলাদেশের বার্ষিক ও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাগুলো ভারতকে দিয়ে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। (বাংলাদেশ যেন স্বাবলম্বী না হতে পারে ভারত সেভাবে পরিকল্পনাগুলো কেটেছিঁড়ে ঠিক করবে। আইয়ুবি আমলে, বাংলাদেশে পরিকল্পনায় অর্থ ব্যয় হয়েছে কিন্তু সবই অনুৎপাদনশীল খাতে। পশ্চিম পাকিস্তানে সব অর্থ ঢালা হয়েছে উৎপাদনশীল খাতে। ভারতও বাংলাদেশের উন্নয়নকে অনুৎপাদনশীল রেখে দিতে চায়। ইতোমধ্যে সরকার কর্তৃক ঘোষিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও বাজেটে একই অবস্থা দেখা গেছে। আগামী মহাপরিকল্পনা এখন ভারতের কাছে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে তাতেও অনুৎপাদনশীল খাত প্রাধান্য পাবে।)’
৫. ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ভারতের পররাষ্ট্রনীতির অনুবর্তী রাখতে হবে। অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ক্ষেত্রে ভারতের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।’
৬. ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার চুক্তিগুলো বাংলাদেশ একতরফাভাবে অস্বীকার করতে পারবে না। তবে ভারত এ চুক্তিগুলোর কার্যকারিতা অস্বীকার না করলে বছর-বছরান্তে এ চুক্তিমালা বলবৎ থাকবে।’
৭. ‘ডিসেম্বর যুদ্ধের অব্যবহিত পূর্বে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বলা হয়েছিল যে, ভারতীয় সৈন্যরা যে কোনো সংখ্যায় যে কোনো সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবে এবং বাধাদানকারী যে কোনো মহলকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারবে। ভারতীয় বাহিনীর এ ধরনের অভিযানের প্রতি বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃতি দিচ্ছে। ভারত চুক্তিটি নাকচ না করলে বছর-বছরান্তে এ চুক্তি কার্যকর থাকবে।’
১৯৭১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি সই হয়েছে এবং এখনো প্রকাশিত হয়নি ভারতের সঙ্গে এমন চুক্তি থাকলে তা সরকার নথিপত্র খুঁজে প্রকাশ করলে জনগণ জানতে পারবে সেসব চুক্তিতে জাতীয় স্বত্বার কতটুকু লাভ বা ক্ষতি হয়েছে। এটা এখন সময়ের দাবী।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:১৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ওরা ভারতকেই বেশি আপন ভাবে।
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:২২
অরণি বলেছেন: আওয়ামীলীগ শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য সবই করতে পারে; এরা দেশকে বিক্রি করতে একবিন্দু সময়ও দেরি করবেনা।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:২৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আম্লিগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি চেয়েছিল শুধুমাত্র ক্ষমতা।
৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৪৭
বাকপ্রবাস বলেছেন: তাজ কন্য এই চুক্তি অস্বিকার করছে, তিনি বলছে এমন কোন চুক্তি হয়নাই
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:২২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বাপের কথা কেউ খারাপ বলতে চায়না।
৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৫৭
এ পথের পথিক বলেছেন: আম্লিক ক্ষমতার মসনদে মরন কামড় দিয়ে টিকে থাকার জন্য নিজের দেশের মানুষকে নির্মম ভাবে হত্যা করবে করে এসেছে, এমকি দেশ বিক্রি করবে করে এসেছে, এটা প্রমাণিত সত্য । এরপরও যারা আম্লিক করবে তারা মানুষ না, পুরাই আম্লিক ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আম্লিগ শব্দটাই এখন গালিতে পরিনত হয়েছে। মানুষ এখন কথায় কথায় বলে তুই মানুষ না আম্লিগ?
৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:০২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
এরকম চুক্তি হয়ে থাকলে তা বাংলাদেশের জন্যে খুবই অপমানজনক। এ অনেকটা দাসখত।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অবশ্যই ইহা দাসখত।
৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:১৪
যামিনী সুধা বলেছেন:
আপনার কি মনে হয় যে, শেখ ও তাজউদ্দিন আপনার থেকে কম বুঝতেন ও আপনার থেকে কম পেট্রিয়ট ছিলেন? কিছু লেখার আগে ভাববেন, আপনি যতটুকু বুঝেন, উহা সঠিক কিনা? টং দোকানের ভাবনা ব্লগে ছাড়বেন না।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:২৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: যাক আপনি আবার এসেছেন দেখে ভালো লাগলো। তা আপনি কেমন আছেন?
ওনারা পেট্রিয়ট কোনভাবেই ছিলেন না ওনারা ছিলেন ক্ষমতার লোভে লোভী। শেখ কি স্বাধীনতা চেয়েছিল (?) চায়নি। শেখ ঝড়ে বক মরার মতো দন্ডমুন্ডের কর্তা বনে যান।
৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৪১
যামিনী সুধা বলেছেন:
শেখ ও তাজউদ্দিন ছিলেন জাতীয় নেতা; এঁদের ২ জনের স্হান শেরে বাংলা ও মওলানার পরেই; আপনি এঁদের সন্মান দেখাচ্ছেন না বলে উনারা ছোট হচ্ছেন না, আপনার সঠিক জ্ঞানের অভাবটাই প্রকাশ পাচ্ছে।
শেখ ও তাজউদ্দিনকে দেখেছিলেন, উনাদের বক্তব্য শুনেছিলেন? সাড়ে ৭ কোটীর মাঝে ৮০ ভাগ মানুষ কেন উনাদের সন্মান করতেন? ২০ ভাগ বাংগালী উনাদের সন্মান করতেন না, আপনি সেই ২০ ভাগের ১ জন!
৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৬
যামিনী সুধা বলেছেন:
আপনি বলেছেন, "...শেখ ঝড়ে বক মরার মতো দন্ডমুন্ডের কর্তা বনে যান। "
১৯৭০ সালের ভোটে কার দল জিতেছিলেন। মানুষ কার নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন করেছিলেন? গোলাম আজমের নেতৃত্বে?
৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: উফ আল্লাহ!!!
আপনি পারেনও!!!!
১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: উফ আল্লাহ!!!
আপনি পারেনও!!!!
১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৪
নতুন বলেছেন: এই ৭ দফা নিয়ে অনেক কথা শুনেছি।
কিন্তু এটা সহী রেফারেন্স কি আপনার কাছে আছে?
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: তার প্রমান স্বৈরাচার হাসিনা দেখে দিয়েছে ভারতে গিয়েছে
আমরা জনগণ একটু বুঝার চেষ্টা করি ভারত আমাদের বন্ধু না
সময় থাকতে ভারত ছাড়ি----------------