নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাবেক অস্ট্রো হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের অধীনস্থ ইউক্রেনীয় জনগণ ইউরোপের আন্তঃ যুদ্ধ কালীন সময়ে বৃহৎ জাতীয় সংখ্যালঘু জনগণে পরিণত হয়। প্রথম ইস্ট স্লাভিক স্টেট কিয়েভান রুশ কিয়েভকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল। প্রথম স্লাভিক দেশ কিয়েভান রুশ রাষ্ট্রের পতনের পর নিপ্রো নদীর পশ্চিম অংশ গ্র্যান্ড ডুচে অফ লিথুয়ানিয়ার ও পরে পোলিশ লিথুয়ানিয়ান কমনওয়েলথের অন্তর্ভুক্ত হয়। হাঙ্গেরি রাজ্য এবং রোমানিয়ান প্রিন্সিপালিটি মলদোভা ও বর্তমান ইউক্রেনের কিছু অংশ দখল করে। মলদোভা সে সময় অটোম্যান সাম্রাজ্যের করদ রাজ্য ছিল। বেশ কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত এই অঞ্চলগুলোর সাথে মাস্কভিট জারদের তেমন যোগাযোগ ছিল না। গ্র্যান্ড ডুচে অফ লিথুয়ানিয়ার বিস্তারিত আইনি কোড পুরানো স্লাভনিক ভাষায় লিখা হয়েছিল, এবং বইয়ের ভাষা ছিল কিয়েভান রুশ। বর্তমান ইউক্রেনের প্রায় অর্ধেক অংশ পোলিশ লিথুয়ানিয়ান কমনওয়েলথের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এখানে ধর্মীয় স্বাধীনতা ছিল যা রাশিয়াতে ছিল না। এই কারনে এখানকার সীমান্ত অঞ্চলে বেশ কিছু ইহুদী বসবাস করত। পশ্চিম ইউক্রেনের শহর লেভিভ ও চেরনিভিস্টের স্থাপত্য গুলোতে রুশীয় ছাপ প্রায় অনুপস্থিত। গালিসিয়া রিজিওনের তিনটা পশ্চিমের প্রদেশ ইউক্রেনীয় ক্যাথলিক চার্চের অনুসারী ছিল যারা পোপকে স্বীকার করে। অর্থোডক্স চার্চ পোপকে স্বীকার করে না।
রাশিয়া তার সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের মাধ্যমে আধুনিক ইউক্রেনের বেশির ভাগ এলাকা দখল করে নেয়। অস্পষ্ট একটা চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়া নিপ্রো নদীর পূর্ব দিকের ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড দখল করে। ১৬৫৪ সালে ইউক্রেনীয় কসাক ও জারের মধ্যে এই চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তির বলে ১৮ ‘ শ শতকে পোল্যান্ড বিভক্তির সময় জার ইউক্রেনীয় অঞ্চল ছাড়াও আশেপাশের আরও এলাকার দখল লাভ করে। তা ছাড়াও অটোম্যান সাম্রাজ্য থেকে দক্ষিণের স্তেপ অঞ্চলের ভুমিও রাশিয়ান অধিকারে চলে আসে।
রোমানভ বংশের রাশিয়ান জার ইউক্রেনীয় সংস্কৃতির অস্তিত্ব অস্বীকার করে এবং পর্যায়ক্রমে তা নিষিদ্ধ করে। গেলিসিয়া ও অন্যান্য ঐতিহাসিক অঞ্চলগুলো আরেকটা ক্রম বর্ধমান সাম্রাজ্য অর্থাৎ অস্ট্রিয়ান পরে অস্ট্রো হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের অংশে পরিণত হয়। হাবসবার্গ সাম্রাজ্য ইউক্রেনীয় ভাষায় শিক্ষা ও প্রকাশনার অনুমোদন দিয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে ১৯ শতকের শেষ ভাগে ইউক্রেনীয় সংস্কৃতিক ধারা ও জীবন পদ্ধতি সাময়িক ভাবে গেলিসিয়া কেন্দ্রিক বেড়ে উঠে। হাবসবার্গ সাম্রাজ্যের ভেতরে থেকে ইউক্রেনীয়রা প্রথম বারের মত আধুনিক রাজনীতিতে যোগদানের অভিজ্ঞতা অর্জন করে।
২৬ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:১৭
শোভন শামস বলেছেন: যুদ্ধে কার লাভ হচ্ছে তা দেখলে বোঝা যায় কাদের ভুলে এই যুদ্ধ হচ্ছে। এই যুদ্ধে গরীব দেশগুলো বেশী ক্ষতির মুখে পড়বে, ধনী দেশগুলো তাঁদের অর্থ আরও বাড়াবে যুদ্ধ উপকরন বানিয়ে।
২| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৩:১০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
সহজ ও ছোট করে লিখেছেন বটে, তবে ঐ এলাকা সম্পর্কে অতি অল্প বা প্রায় না জানার করণে পরিষ্কার একটা ছবি তৈরি হয়নি আমার সামনে।
২৬ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:২০
শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ , শুরু থেকে দেয়ার জন্য চেষ্টা করব।
পোল্যান্ড ও ইউক্রেন এক সময় বিভিন্ন সাম্রাজ্যের মধ্যে ভাগ ভাগ হয়ে ছিল, তাঁদের স্বাধীনতা খুব কম সময় থাকত। তবে জাতি হিসেবে তাঁরা এখন পৃথিবীর বুকে স্থান করে নিয়েছে।
পোল্যান্ড ও ইউক্রেনের ইতিহাস বেশ আকর্ষণীয়।
সাথে থাকবেন।
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট। তবে আমি চাই ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের অবসান হোক ।
২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২৪
শোভন শামস বলেছেন: কোভিড পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্ব এই কারনে ধুঁকছে, যুদ্ধ বন্ধ তাই সবারই কাম্য হওয়া উচিত, সাথে থাকবেন ধন্যবাদ।
৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোট পোস্ট, তবুও অনেক অজানা তথ্য জানা হলো। ধন্যবাদ, এ তথ্যগুলো উন্মুক্ত আলোচনার নিমিত্ত ব্লগে শেয়ার করার জন্য। ++
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৯
শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার, আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল। সাদা চোখে দেখলে ইউক্রেন যুদ্ধের অনেক কিছুই বোঝা যাবে না। ইউক্রেন নিয়ে একটু পড়ে দেখলাম অনেক কিছু জানতে হবে এই সংকট বুঝতে হলে। পশ্চিমা মিডিয়া যেভাবে বলে আমরা অনেক সময় তা বিশ্বাস করি তাঁরা তাদের দৃষ্টি ভঙ্গীতে লিখে। রাশিয়া ও তাদের মত তুলে ধরে তবে এ বিষয়ে এখন তাঁরা পিছিয়ে আছে। পরাশক্তি হতে গেলে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণে নিতে হয়। সাথে থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫০
সোনাগাজী বলেছেন:
বর্তমান যুদ্ধটা কার ভুলের জন্য শুরু হলো?