নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অব্যাহত গণতন্ত্র চর্চার পথ ধরে গত ০৮ নভেম্বর ২০২০ মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন বা ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশনের (ইউ ই সি) মতে দেশের ৩৭ মিলিয়ন ভোটারের মধ্যে শতকরা ৭০ জন ভোটে অংশগ্রহণ করেছে। এই নির্বাচনে সর্বমোট ৫৬৩৯ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে, এর মধ্যে ৮৭ টা রাজনৈতিক দলের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। এই সব প্রার্থীরা নিম্নকক্ষের ৩১৫টা, উচ্চকক্ষের ১৬১টা, প্রাদেশিক ৬১২টা এবং ২৯টা জাতিসত্ত্বার আসনের জন্য প্রতিযোগিতা করে। শান এবং রাখাইন প্রদেশের নির্বাচন বাতিল হওয়াতে ৬৬৪টা আসনের মধ্যে ২২টি আসন বাদ পড়ে। এই নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করার যোগ্যতা অর্জন করতে হলে যে কোন দলকে কমপক্ষে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ৩২২টা আসনে বিজয়ী হতে হবে। মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসী (এনএলডি) ইউনিয়ন পার্লামেন্টে ৩৯৬ সিটে বিজয় অর্জন করেছে।
এই নির্বাচনে এনএলডির ইতিবাচক অর্জন হলো সীমান্তবর্তী ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জন গোষ্ঠী অধ্যুষিত প্রদেশ গুলোর প্রায় সবগুলোতেই এনএলডির প্রার্থী জয়ী হয়েছে এবং তাদেরকে জাতীয় সরকারের সাথে একত্রে কাজ করার জন্য সম্মত করতে পেরেছে।। এটা প্রমাণ করে যে এনএলডি গত ৫ বছরে গঠনমূলক কাজের মাধ্যমে সে সব অঞ্চলের জনগণকে তাদের স্বপক্ষে আনতে সমর্থ হয়েছে। নির্বাচনী জয়ের পর এনএলডি জাতিগত দলগুলোকে একটা ফেডারেল গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করার জন্য চিঠির মাধ্যমে আহবান জানিয়েছে। সু চি’র নেতৃত্বে এনএলডি চলমান সহিংসতা বন্ধে সফলতা লাভ করলে দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে এবং দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে আশা করা যায়।
২০২০ সালে ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে মিয়ানমার পার্লামেন্টে সংবিধান সংশোধনের কিছু প্রস্তাব নিয়ে চূড়ান্ত বিতর্ক হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সংস্কার প্রস্তাব গুলো পার্লামেন্টে আশানুরূপ সমর্থন না †পয়ে বাতিল হয়ে যায়। গণতন্ত্রের উত্তরণের এই চলমান প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যতে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকার এই সব পরিবর্তন ও সংশোধনী আসতে সক্ষমতা লাভ করবে বলে আশা করা যায়। এই সক্ষমতা অর্জন হলে †রাহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আরো সহজ হবে। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন হলে রাখাইন প্রদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাড়ানো গেলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত হবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আরেকটা প্রধান অন্তরায় হলো রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদান। এটা একটা সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া এবং এর জন্য ২০০৮ সালে প্রণীত সংবিধানের সংশোধন আনা প্রয়োজন। আশা করা যায় সামনের দিনগুলোতে এনএলডির নেতৃত্বে গঠিত সরকার নানা মহলের প্রভাবমুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার সক্ষমতা অর্জন করলে এই পদক্ষেপ নেয়ার পথ সুগম হবে।
গত ১৮ নভেম্বর ২০২০, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে ওআইসি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যথাযথভাবে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি শীর্ষক রেজুল্যুশনটি উপস্থাপন করা হয় এবং এতে ১০৪টি দেশ সমর্থন দেয়। ১৩২টি দেশ রেজুল্যুশনটির পক্ষে ভোট দেয়। বিপক্ষে ভোট দেয় ৯টি দেশ এবং ৩১টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, আর্জেটিনা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, ওআইসির সদস্য রাষ্ট্র সহ বেশ কিছু সংখ্যক আন্তর্জাতিক জোটের সমর্থনও পায় এই রেজুল্যুশনটি। রোহিঙ্গা সংকটের জরুরী ভিত্তিতে সমাধানের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানকে এই রেজুল্যুশন আরো জোরদার করবে।
নির্বাচিত এনএলডি সরকার আভ্যন্তরীন উন্নয়নে চীনের চলমান সহযোগিতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে চীনের সমর্থন পাবে বলে আশা করা যায়। আগামী ৫ বছরে মিয়ানমার আঞ্চলিক সহোযাগী ভারত, চীন, জাপান, থাইল্যান্ড, সাউথ কোরীয়া ও সিঙ্গাপুরের সাথে তাদের সম্পর্ক উন্নয়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে। এই রাষ্ট্র গুলোর সাথে মিয়ানমারের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এই দেশ গুলোই পারে মিয়ানমারকে নমনীয় হয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিতে। অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার বিষয়ে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যায়। এর ধারাবাহিকতায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান এবং রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে নতুন সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ত এই দেশগুলোকে তাদের উন্নয়ন কার্যক্রম, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবেলায় মিয়ানমারকে দ্রুত এবং টেকসই পদক্ষেপ নিতে সম্মত করার ব্যাপারে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।মিয়ানমারের এই নির্বাচনে এনএলডির বিজয় ভবিষ্যতে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আরো ত্বরান্বিত ও টেকসই হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০২
শোভন শামস বলেছেন: গণতন্ত্র চলমান থাকার পথে বাধা সৃষ্টির জন্য।
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " গণতন্ত্র চলমান থাকার পথে বাধা সৃষ্টির জন্য। "
-এর আগের ভোটেও সুচীর দল মেজোরিটি পেয়েছিলো; তখন তো কিছু করেনি।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৬
শোভন শামস বলেছেন: সময় ক্ষমতাকে সংহত, পরিনত আর শক্তিশালী করে। এটা প্রতিপক্ষের জন্য সবসময় মঙ্গলজনক নয়।
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ তথ্যমূলক পোস্ট। পোস্টে ভাল লাগা+ +।
এই সেনা অভ্যুল্থানের পেছনে কোন বিদেশী শক্তির মদদ ছিল কিনা এবং থাকলে কতটুকু ছিল?
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২১
শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ +++, সাথে থাকবেন
বাংলাদেশের ফোকাস হবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান, আঞ্চলিক সুসম্পর্ক এবং প্রতিবেশী দেশের সাথে সদ্ভাব। আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে কি হয় তা দেখার জন্য। এখন ও কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় হয়নি।
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: আর কিছু দিন গেলে অব পানির মতোন পরিস্কার হবে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২১
শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ ++, সাথে থাকবেন
বাংলাদেশের ফোকাস হবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান, আঞ্চলিক সুসম্পর্ক এবং প্রতিবেশী দেশের সাথে সদ্ভাব। আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে কি হয় তা দেখার জন্য। এখন ও কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় হয়নি।
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:০৪
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: পশ্চিমা বিশ্ব ও চীনের এই পাশা খেলায় বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়বে বই কমবে না। বাংলাদেশের জন্য লিল্লাহ পাওয়ার পথ সুগম হয়ে গেলো। রিলিফ আসার ও রিলিফ মারার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২২
শোভন শামস বলেছেন: বাংলাদেশের ফোকাস হবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান, আঞ্চলিক সুসম্পর্ক এবং প্রতিবেশী দেশের সাথে সদ্ভাব। আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে কি হয় তা দেখার জন্য। এখন ও কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় হয়নি।
৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৭
জুন বলেছেন: রোহিঙ্গারা কিন্ত সুচির মুক্তির জন্য অনেক আন্দোলন মিছিল করেছে। কিন্ত সুচি মুক্তি পেয়ে অকৃতজ্ঞের মত সেই সেনাবাহিনী যারা তাকে দীর্ঘদিন গৃহবন্দী করে রেখেছিল সেই সেনাবাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে রোহিঙ্গা নিপীড়ন করেছে ইভেন তাদের নাগরিকত্ব পর্যন্ত কেড়ে নেয়া হয়েছে এই সুচির আমলেই। অনেকে হয়তো বলবে তার করার ক্ষমতা ছিল না কিন্ত তার স্বদিচ্ছা বা সহানুভূতিও তো ছিলনা এই নৃশংস গনহত্যায় আর অত্যাচারে জর্জরিত রোহিঙ্গাদের প্রতি শোভন শামস।
বাংলাদেশের রোহিঙ্গারা সুচির পতনে খুশী।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬
শোভন শামস বলেছেন: মিয়ানমারের ইতিহাস একটু জটিল, আবেগ এখানে বেশ কম কারন এর বাস্তবতা। দেশটাকে এক করে রাখা এবং শান্তি নিশ্চিত করা গত ৭০ বছরে সম্ভব হচ্ছে না। সে দেশের সম্পদ এবং অবস্থান অনেক দুর্ভোগের কারন।
রোহিঙ্গারা এই জটিলতার মধ্যে পড়ে ক্রমাগত দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
কবে মিয়ানমারে শান্তি ফিরে আসবে তা দেখার অপেক্ষায়।
৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৩
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: মিয়ানমার - আগামী ৫০ বছরেও গনতন্ত্র আনতে পারবে না।
সেনা বাহিনী - একবার ক্ষমতার মজা পাইলে, ছাড়া কঠিন।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬
শোভন শামস বলেছেন: কবে মিয়ানমারে শান্তি ফিরে আসবে তা দেখার অপেক্ষায়।
৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: জুন এর মন্তব্যটা ভাল লেগেছে। আমি ওনার কথার সাথে একমত।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭
শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ , সাথে থাকবেন
কবে মিয়ানমারে শান্তি ফিরে আসবে তা দেখার অপেক্ষায়।
৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১৫
এম ডি মুসা বলেছেন: মায়ানমার , ওদের দেখলে আমার বিরক্ত লাগে, জাতির মত আদি যুগের মত খেত খেত লাগে ওদের দেশের মেয়েরা বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতা ফেল মারবে একশ একশ মায়ানমার কে চীন সহযোগিতা।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১৮
শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ , সাথে থাকবেন
কবে মিয়ানমারে শান্তি ফিরে আসবে তা দেখার অপেক্ষায়।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
সুচি'কে গ্রেফটার করার কারণ কি?