নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ওয়ার রিমেনেন্ট মিউজিয়ামের সামনে
বিকেল তিনটার সময় ওয়ার রিমেনেন্ট মিউজিয়ামে গেলাম। শহরের কেন্দ্রে এই মিউজিয়াম। টিকেট কেটে ভেতরে যেতে হয়। প্রথমে খোলা প্রাঙ্গন, এখানে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়ে ব্যবহার করা সমরাস্ত্র ডিসপ্লে করা আছে।
এই মিউজিয়াম ১৯৭৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সবার জন্য উম্মুক্ত করা হয়। এটা ভিয়েতনাম মিউজিয়াম সিস্টেমের সদস্য এবং বিশ্ব শান্তি মিউজিয়াম ও আন্তর্জাতিক মিউজিয়াম কাউন্সিলের সদস্য।
এই মিউজিয়াম ভিয়েতনাম যুদ্ধের ঘটনা, যুদ্ধ অপরাধ এবং এর পরবর্তী ফলাফল এসবের প্রামাণ্য দলিল সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং প্রদর্শনের জন্য বিশেষ ভাবে বিখ্যাত। এর মাধ্যমে এই মিউজিয়াম সাধারন মানুষের কাছে যুদ্ধের প্রতি না, শান্তির জন্য হ্যাঁ আর বিশ্ব মানবের চিরন্তন ভ্রাতৃত্তের বন্ধনের কথা প্রচার করে।
এই মিউজিয়ামে নানা দেশের রাষ্ট্রীয় অতিথি, সরকার প্রধান, শান্তি ও বন্ধুত্বের বানী নিয়ে আসা প্রতিনিধি, সাধারন মানুষ এবং বিদেশি পর্যটক সবাই আসে।বছরে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ এই মিউজিয়াম দেখতে আসে। এই মিউজিয়াম ভিয়েতনামের জনগন এবং পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান।
এখানে ঐতিহাসিক সত্য ঘটনার ছবি, ইন্দোচীন যুদ্ধে নিহত এগারটা দেশের ১৩৪ জন জার্নালিস্টের তোলা প্রামাণ্য চিত্র, জাপানি দুইজন চিত্রগ্রাহকের তোলা গুরুত্ব পূর্ণ প্রামাণ্য ছবি গ্যালারিতে সাজানো আছে। যুদ্ধ কালীন নির্মমতা, যুদ্ধ বন্ধীদের প্রতি নির্মম আচরণ এবং তাদের করুন বন্ধিদশা এবং ভিয়েতনামের জনগনের এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে জেগে উঠার স্বপক্ষে বিশ্ব জনমতের সমর্থনের ছবি এখানে প্রদর্শনের জন্য রাখা আছে। ছোট শিশুদের শান্তির বানী জানিয়ে দিতে এখানে একটা রুম আছে, শিশুরা সেখানে শান্তির বানী নিয়ে ছবি আঁকে, এবং অনেক আকা ছবি এখানে আছে।
সারা পৃথিবী থেকে পর্যটকরা এখানে এসে যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে শান্তির বানী ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করে। ভিয়েতনামীদের শান্তির বানী জানানোর এই প্রচেষ্টা সার্থক।
ওয়ার রিমেনেন্ট মিউজিয়ামের বাহিরের সামরিক সরঞ্জামের ডিসপ্লে
ওয়ার রিমেনেন্ট মিউজিয়ামের বাহিরের সামরিক সরঞ্জামের ডিসপ্লে
মানুষ মারার কল, করুণ বন্ধী দশা
ওয়ার রিমেনেন্ট মিউজিয়ামের গ্যালারী
ওয়ার রিমেনেন্ট মিউজিয়ামের গ্যালারী
নানা জাতির সমর্থন ভিয়েতনামের স্বাধীনতার পক্ষে
নীচ তলার গ্যালারী
ওয়ার রিমেনেন্ট মিউজিয়ামের সুভেনির শপ
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২০
শোভন শামস বলেছেন: সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮
আহা রুবন বলেছেন: গিলোটিনের ছবি দেখে ভয় লাগল।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২০
শোভন শামস বলেছেন: সত্যি ভয় লাগে, আর যারা এর নিচে যেত তাদের কথা ভাবুন।
সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫
আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লাগল নতুন বিষয়ে জেনে। তবে আপনি ভিয়েতনাম বিষয়ে একটু বিস্তারিত লিখলে অারো ভাল লাগত। এই দেশটা অতি দ্রুত বিশ্বে নিজের জায়গা করে নিচ্ছে। হা লং বে সহ তাদের কিছু বিশ্ববিখ্যাত পর্যটন স্থান রয়েছে। ওখানে গিয়ে থাকলে ভ্রমণ বিষয়ক আরেকটা ব্লগ বিস্তারিত লিখলে ভালো লাগত।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৮
শোভন শামস বলেছেন: হা লং বের ছবি পোস্ট করেছিলাম এই ব্লগে। ভিয়েতনাম নিয়ে লিখার ইচ্ছে আছে। একটু সময় পেলে চেষ্টা করব।দেশটা দ্রুত উন্নত হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছর পর এর পরিকল্পিত উন্নয়ন সবার দৃষ্টি কেড়ে নেবে। সাথে থাকবেন ধন্যবাদ।
৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৭
কালীদাস বলেছেন: ভাল লাগল। এবং আখেনাটেনের সাথে সহমত। কখনও যাইনি, আমারও জানার ইচ্ছা। খালি জানি যে ভিয়েতনামিজরা সবকিছু খায়, কিন্তু বাংলাদেশি মুসলমানদের খাওয়ার যোগ্য আইটেমগুলো খেতে চমৎকার
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৮
শোভন শামস বলেছেন: ভিয়েতনাম নিয়ে লিখার ইচ্ছে আছে।
দেশটা দ্রুত উন্নত হচ্ছে।
আগামী পাঁচ বছর পর এর পরিকল্পিত উন্নয়ন সবার দৃষ্টি কেড়ে নেবে।
খাবার নিয়ে তেমন কোন সমস্যা নেই
সাথে থাকবেন ধন্যবাদ।
৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৩
অন্তু নীল বলেছেন:
বেশ ভাল লাগল।
ওয়ার রিমেনেন্ট মিউজিয়াম সম্পর্কে জানা হল।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২০
শোভন শামস বলেছেন: সাথে থাকবেন ধন্যবাদ।
৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০০
পাগলা রাশু বলেছেন: শোভন শামস, ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য। আপনার সাথে যোগাযোগ করবো কিভাবে? ভিয়েতনাম যাবো, তাই সাজেশন দরকার।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৩৯
শোভন শামস বলেছেন: আপনি যা জানতে চান লিখে দিন প্লিজ। যা পারি অবশ্যই চেষ্টা করব জানাতে।
ঢাকা থেকে চায়না সাউদার্ন , কিংবা মালয়েশিয়ান এয়ারে গেলে ভাল।
ভিসা লাগে বাংলাদেশীদের জন্য।
খরচ সহনীয় আশেপাশের দেশ গুলোর মত।
পছন্দের খাবার পাওয়া যাবে, ভারতীয় রেস্টুরেন্ট আছে।
ধন্যবাদ, সাথে থাকবেন
৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০২
জসীম অসীম বলেছেন: লেখা খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪০
শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ, সাথে থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন উদ্যোগ!
ইতিহাসকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বয়ে নেবার।
দারুন ভ্রমন ছবি ব্লগে ধন্যবাদ
+++