নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হো চি মিন সিটিতে আমাদের পরবর্তী গন্তব্য রিউনিফিকেশান প্যালেস, এটা আমেরিকান দখলদারিত্বের সময় দক্ষিণ ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের বাসভবন ছিল। এখন এটা মিউজিয়াম এবং পর্যটকদের জন্য উম্মূক্ত। প্রাসাদের সামনে বিশাল সবুজ ঘাসের লন। লনের মাঝেই বিশাল পানির ফোয়ারা। সুন্দর তকতকে সাজানো এলাকা। টিকেট কেটে ভেতরে যেতে হয়। গাইড আমাদের টিকেট নেয়ার ব্যবস্থা করে দিল। প্রাসাদ এবং গেইটের মাঝে বিশাল সবুজ ঘাসে ঢাকা চত্তর। এই চত্তরের চারধারে রাস্তা। দর্শকদেরকে মুল দরজা দিয়ে ভেতরে না নিয়ে এক পাশের একটা দরজা প্রবেশ পথ হিসেবে ব্যবহার করার নির্দেশ দেয়া আছে। এর কাছেই সুভেনির শপ। রাস্তা থেকে বেশ কিছু সিঁড়ি পাড় হয়ে উপরে উঠে সেই দরজা। এখানে বেশ বড় কাউন্টার আছে। সবাইকে একটা হেড ফোন এবং রিসিভার দেয় এখান থেকে। গ্রুপে গেলে গাইড এসবের ব্যবহার বুঝিয়ে দেয়। একা গেলে ও সাথে গাইড নেয়া যায় কিছু ডং এর বিনিময়ে।
রিউনিফিকেশান প্যালেস, মুল প্রবেশপথ
রিউনিফিকেশান প্যালেস থেকে বাহিরের রাস্তা,
রিউনিফিকেশান প্যালেসের সামনে
ভেতরে যাওয়ার আগে এই সুভেনির শপ
প্রাসাদের সামনের সবুজ ঘাসের লন
রিউনিফিকেশান প্যালেসের ভেতরে দোতালায়
প্রেসিডেন্টের খাবার ঘর
বসার ঘর
বসার ঘর
বসার ঘর – অতিথদের জন্য
প্রেসিডেন্টের শয়ন কক্ষ
বিভিন্ন দেশ থেকে ভিয়েতনাম যুদ্ধে যোগ দেয়া সৈন্য সংখ্যা
ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার পক্ষে কোন দেশ থেকে কত সৈন্য যোগ দিয়েছিল তাঁর ও একটা তালিকা এই প্রাসাদে আছে। সমস্ত তথ্য তারা সুন্দর ভাবে গুছিয়ে ইতিহাসের অংশ করে রেখেছে। দীর্ঘ দিনের সংগ্রাম আর আত্মত্যাগ তাদেরকে নিরব প্রতিবাদী বানিয়েছে, তবে একই সাথে তারা তাদের সেই আপোষহীনতার কথাও পৃথিবীর মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিয়েছে। তাদের সেই শত্রু দেশের অনেক পর্যটকর এখন এখানে এসে আগেকার নৃশংসতা দেখে লজ্জাবোধ করে। প্রায় ছয় লাখ চৌদ্দ হাজার বিদেশি এই দেশে আমেরিকান সৈন্যদের সাথে ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল।
প্রেসিডেন্টের যুদ্ধ কক্ষ – মাটির নীচে
রিউনিফিকেশান প্যালেস থেকে বাহিরের দৃশ্য
রিউনিফিকেশান প্যালেসের ছাদে হেলিপ্যাড ও স্ট্যান্ডবাই হেলিকপ্টার
দক্ষিণ ভিয়েতনামের তৎকালীন প্রেসিডেন্টের জন্য তাঁর প্রাসাদের দোতালার ছাদে হেলিপাড আছে, এখানে একটা হেলিকপ্টারের মডেল ও রাখা আছে। এসবই দেখানো হয় প্রাচুর্য বুঝানোর জন্য কারন তাদের জাতির পিতা হো চি মিন অতি সাধারন জীবন যাপন করতেন।
রিউনিফিকেশান প্যালেসের নিচ তালায় বাহিরে যাওয়ার পথে সুন্দর সুভেনির সপ আছে। পর্যটকরা এখানে ঢুকে নানা ধরনের জিনিস কিনছে। সারা প্রাসাদে এ সি নেই আর এখানে ঠাণ্ডা, সবাই একটু হাঁফ ছাড়তে এখানে আসে সাথে এদের বাণিজ্য ও এগিয়ে যায় এর পাশেই এখানে দক্ষিণ ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের ব্যবহার করা কয়েটা গাড়ি রাখা আছে। শেষ বিকেলের দিকে সব ঘুরে দেখে বাহিরে চলে এলাম।
আগের পর্ব কু চি টানেল ভ্রমণ,
http://www.somewhereinblog.net/blog/shovonshams/30167232
১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯
শোভন শামস বলেছেন: খাবারের কোন সমস্যা হয়নি। সবই এখন এখানে পাওয়া যায়।
সাথে থাকবেন, ধন্যবাদ।
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: nice
১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯
শোভন শামস বলেছেন: সাথে থাকবেন, ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩১
কালীদাস বলেছেন: সুন্দর।
ভিয়েতনামিজরা তো কুকুর, বিড়াল থেকে শুরু করে সাপ কুমির সবই খায়। খাবার নিয়ে কোন সমস্যা হয়নি আপনার?