নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টিকেট করে ফরবিডেন সিটির ভেতরে গেলাম। ঢুকতে প্রথমেই এক জায়গাতে ফরবিডেন সিটির রেকর্ডেড প্রোগ্রাম পাওয়া যায়, এই যন্ত্র দিয়ে জায়গাগুলোর ইতিহাস ও তথ্য জানা যায়, এছাড়া গাইড ও আছে, ঘণ্টায় ১৫০ বা ২০০ আর এম বি তাকে দিতে হবে। আমরা নিজেরাই ভেতরে চলে আসলাম। বিশাল এই নগরে রাজা বাদশাহ থাকতেন, সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল এই এলাকায়। এখন এই নগর সবার জন্য উম্মুক্ত।
ফরবিডেন সিটি
আমরা আস্তে আস্তে ভেতরে এগিয়ে চলেছি। এখানে সারাদিন কাটানো যায়। তারপর ও এই নগর পুরো দেখে শেষ করা সম্ভব হবে না। সম্রাটদের সবকিছুই বিশাল এলাকা নিয়ে। ধাপে ধাপে প্রাসাদ গুলো বানানো। এক স্তরের পর বেশ ফাঁকা জায়গা তারপর আবার প্রাসাদ। এখনে রাজ দরবার, রাজ অন্তপুর এবং আরও অনেক দরবার কক্ষ আছে। এক দিকে হাঁটতে শুরু করে আমরা চলছি তো চলছি। প্রাসাদ গুলো প্রথমে প্রায় একরকম লাগে । তবে একটু ভাল করে দেখলে এগুলোর মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায়।
দুপুর দুইটা পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে দেখে সবাই ক্লান্ত হয়ে গেলাম। মাঝে একটা প্রাসাদের খোলা বারান্দায় আইসক্রিম বিক্রি হচ্ছে দেখে সেখান থেকে আইসক্রিম কিনলাম। এখানে দুই দিকে দুটো সুভেনির সপ আছে। ফরবিডেন সিটি, তিয়েনআনমেন স্কোয়ার ও চীনের প্রাচীরের অনেক সুন্দর সুন্দর সুভেনির এখানে পাওয়া যায়। আবার হাঁটা শুরু করলাম। এক পাশে বসার জন্য বেঞ্চ পাতা দেখে বসে পড়লাম। আমাদের মত অনেকে এখানে বসে বিশ্রাম নিচ্ছে। এই এলাকাতে প্রথম শ্রেণীর আন্তর্জাতিক মানের টয়লেট সুবিধা আছে। বেশ সুন্দর এ পরিস্কার এলাকা। ফ্রেস হয়ে নিলাম। তারপর একটু দূরে বেশ বড় একটা সুভেনির সপ দেখালাম, এখান থেকে কিছু সুভেনির নিলাম, দাম একটু বেশী হলে ও কোয়ালিটি ভাল। এই এলাকায় দুই প্রাসাদের মাঝে বসার জন্য অনেক বেঞ্চ পাতা। একটু ছায়া দেখে বসে পড়লাম।
আর এই প্রাসাদ দেখার শখ নেই কারুর, তাই কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আমরা তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের দিকে রওয়ানা হলাম। ফরবিডেন সিটি থেকে বের হলেই অনেক দোকানপাট এখানেও অনেক সুভেনির পাওয়া যায়। এই জায়গাতে চীনা মিষ্টির দোকান দেখলাম। নানা ধরনের শুকনা ফল দিয়ে এখানে মিষ্টি বানায়। কয়েকটা টেস্ট করলাম। আমার কাছে ভাল লাগল। কিছু মিষ্টি কিনলাম এখান থেকে। বিকেল বেলা তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে বেড়াতে এলাম। বিশাল এই ঐতিহাসিক চত্তর দেখে মনটা ভরে গেল। এই এলাকা সুন্দর ভাবে সাজানো, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিস বেশ তৎপর। চেয়ারম্যান মাও সে তুং এর মমি এখানে আছে তবে তা দেখা হয়নি। চীনের বিশাল লাল পতাকা বাতাসে পত পত করে উড়ছে এখানে। রাস্তার অন্য পাড়ে মূল স্কোয়ার। এই স্কোয়ার নানা রঙের ফুলের বাগান ও সুন্দর সুন্দর ভাস্কর্য দিয়ে সাজানো।
তিয়েনআনমেন স্কোয়ার
রাস্তা পার হয়ে আমরা সেখানে গেলাম। অনেক হাঁটতে হল, দশ বার লেনের রাস্তা পার হতে হয়, সেখানে ট্রাফিক পুলিস সিগনাল দিয়ে দর্শকদের পারাপারে সাহায্য করছে। ছবি তোলার অনেক স্পট আছে এই স্কোয়ারে, আমরা ঘুরে ঘুরে ছবি তুললাম। এই চত্তরেই এক সময় অনেক বিক্ষোভকারীকে ট্যাংক চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়ছিল। এখন সেই ঘটনা ইতিহাস হয়ে গেছে। এখানে ফেরী করে চীনের পোস্টকার্ড বিক্রি করছে কয়েকজন হকার। সারা চীন দেশের অনেক সুন্দর ছবি প্রিন্ট করে পর্যটকদের কাছে বিক্রি করছে এরা। অনেকে কিনছে। বিদেশী কমই দেখলাম। চীনের মানুষেই গমগম করছে এলাকাটা।
শেষ বিকেলে ফেরার পথে এই চত্বরের কাছেআমরা দুই নাম্বার লাইনের কুইয়ানমেন মেট্রো স্টেশনথেকে জিয়াংগোমেন মেট্রো স্টেশনে এসে আমাদের এপার্টমেন্টে ফিরে এলাম। এই স্টেশনঅন্য লাইনের হলেও এই লাইন থেকে প্রায় সব লাইনে যাওয়া যায়। আমাদের এলাকার কাছেই ইয়ংআনলি মেট্রো স্টেশন, এখনেই সিল্ক সিটি নামের বেশ বড় মার্কেট, এই মার্কেটে দরাদরি করে জিনিষপত্র কিনতে হয়। আমরা এই মার্কেটে চলে এলাম। বিশাল মার্কেট সব জিনিসই এখানে পাওয়া যায়, দেখে এবং চিনে জিনিষ কিনতে হয়, তা না হলে দামে এবং কোয়ালিটিতেও ঠগার সম্ভাবনা আছে।
রাতে কিছু কেনাকাটা করে এখানে ডিনার করে নিলাম। পাঁচ কিংবা ছয় তালায় ফুড কোর্ট, এখানে দেশী খাবার পাওয়া যায়, তাই সেখানে খাবারের অর্ডার দিলাম। রাতের বেলা মজা করে ভুরিভোজন শেষে হেঁটে হেঁটে আমাদের আবাসে ফিরে এলাম। পরের দিন গ্রেট ওয়াল দেখার জন্য রেডি হলাম। একটা প্যাকেজ ট্যুরের সাথে আমরা সেখানে যাব ঠিক করলাম।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৬
শোভন শামস বলেছেন: সামনে সময় নিয়ে একটু বড় করব আশা করি
সাথে থাকবেন,
আপনাদের ভাল লাগাতেই আনন্দ
ধন্যবাদ +++++
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
এনামুল রেজা বলেছেন: আপনার চিন ভ্রমণ নিঃসন্দেহে মজার। আমাদের সাথে সে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার জন্য ধন্যবাদ.. তবে তিয়েনানমেন স্কয়ার সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিত লিখলে ভালো লাগতো...
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৭
শোভন শামস বলেছেন: সামনে সময় নিয়ে তিয়েনানমেন স্কয়ার সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিত লিখব আশা করি
সাথে থাকবেন,
আপনাদের ভাল লাগাতেই আনন্দ
ধন্যবাদ +++++
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দেখলাম ঘুরলাম আপনার সাথে ।।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৮
শোভন শামস বলেছেন: সাথে থাকবেন, ভাল থাকুন অনেক শুভেচ্ছা
ধন্যবাদ +++++
৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৫
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ২য় ভালোলাগা +++++
চমৎকার আরও একটি পর্ব ।
ভালো থাকবেন ভ্রাতা
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৯
শোভন শামস বলেছেন: সাথে থাকবেন
আপনাদের ভাল লাগাতেই আনন্দ
ধন্যবাদ+++++++++
৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৭
আবু শাকিল বলেছেন: আপ্নার পোস্টের মাধ্যমে নিষিদ্ধ নগরী ঘুরে আসলাম।
ভাল লাগল
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৯
শোভন শামস বলেছেন: সাথে থাকবেন
আপনাদের ভাল লাগাতেই আনন্দ
ধন্যবাদ++++++++
৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯
সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার চীন ভ্রমন তবে আরো ছবি চাই........ আর তিয়েনআনমেন স্কোয়ার এর সে ছাত্র আন্দোলনের কাহিনীতে যে আর গেলেন না...... তাদের জন্য কি কোন স্মৃতিসৈাধ আছে??
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪
শোভন শামস বলেছেন: সামনে সময় নিয়ে তিয়েনানমেন স্কয়ার সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিত লিখব আশা করি
সাথে থাকবেন,
আপনাদের ভাল লাগাতেই আনন্দ
ধন্যবাদ +++++
তিয়েনআনমেন টাওয়ার
পিপলস হিরোস যাও স্মৃতিস্তম্ভ
গ্রেট হল
চেয়ারম্যান মাও এর মেমোরিয়াল হল
এসব এখানে আছে।
৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮
ডট কম ০০৯ বলেছেন: তাড়াহুরো করে লিখেছেন বোঝা যাচ্ছে।
আরো গুছিয়ে লিখলে পড়ে আরাম হত। যাই হোক কিছু বিষয় তো জানলাম।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫
শোভন শামস বলেছেন: সামনে সময় নিয়ে আরেকটু বিস্তারিত লিখব আশা করি
সাথে থাকবেন,
আপনাদের ভাল লাগাতেই আনন্দ
ধন্যবাদ +++++
৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভ্রমন পোষ্ট ভাল লাগলো ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫
শোভন শামস বলেছেন: সাথে থাকবেন
আপনাদের ভাল লাগাতেই আনন্দ
ধন্যবাদ++++
৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৫
তুষার কাব্য বলেছেন: চমৎকার ভ্রমন পোস্ট।আপনার সাথে সাথে আমরাও ঘুরে বেড়ালাম।শুভেচ্ছা
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫
শোভন শামস বলেছেন: সাথে থাকবেন
আপনাদের ভাল লাগাতেই আনন্দ
ধন্যবাদ++++
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২১
ঘানার রাজপুত্র বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।কিনতু অল্পের মধ্যে সেরে ফেলেছেন।