নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রুয়ান্ডার ভেতর দিয়ে বাস চলতে শুরু করলো । এখানে রাস্তার ডান দিক দিয়ে গাড়ী চলে। দুপাশেই পাহাড় এর মাঝ দিয়ে রাস্তা, মাঝে মাঝে পাহাড় কেটে বানানো হয়েছে , কখনও পাহাড়ের উপর দিয়ে রাস্তা চলে গেছে। বেশ উঁচু ও ঘন পাহাড়ের সন্নিবেশ। উগান্ডার রাস্তা থেকে এই রাস্তা গুলো সরু এবং আঁকা বাঁকা। পাহাড়ী এই অঞ্চলে বেশ বৃষ্টি হয়। এতে রাস্তার ক্ষতি হয়। পথে পথে রাস্তার মেরামতের কাজ চলছে।
রাস্তার দুপাশে পাহাড়ের ঢালে চা বাগান , কিছু নতুন কিছু পুরানো। রাস্তায় যানবাহন তেমন নেই । মাঝে মাঝে বড় বাস চলছে উগান্ডার পথে। আছে কিছু ছোটো ভ্যান, মোটর সাইকেল আড় সাইকেল। মানুষদের দেখে বেশ গরীব মনে হল।পাহাড়ের চূড়ার রাস্তা থেকে নীচের ছোট গ্রাম ও জনপদ দেখা যায়। রাস্তার পাশ দিয়েই মাঝে মাঝে খাড়া পাহাড়। কিছু বেশ খাড়া পাহাড় আছে একটু দূরে। রাস্তার দুপাশের চা বাগান দেখতে দেখতে চলছি। মাঝে মাঝে দুই একটা যানবাহনের সাথে ক্রসিং হচ্ছে। রাতের আঁধার নেমে আসছে, হালকা ঘুম দিলাম।
ঘুম থেকে উঠে টের পেলাম বাস স্টপেজের দিকে জাচ্ছে।কিগালি আন্তর্জাতিক বাস টারমিনালে আমাদের বাস এসে গেল। বাস থেকে নেমে প্রথম কাজ ফেরার টিকেট করা। একই বাস কাউন্টারে গেলাম। আমরা এক দিন পর ফিরব। সেদিনের সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। শেষে বিকেল বেলার বাসের টিকেট নিতে হল। রাতে জার্নি যদিও চাইনি। অন্য বাস গুলোতেও একই অবস্থা। এখান থেকে তাকওয়া বাস সার্ভিস আছে। এদের বাস তানজানিয়া, কঙ্গোর লুবুম্বাসি, জাম্বিয়া, কেনিয়া, বুরুন্ডি ইত্যাদি সব দেশে যায়। এতে সময় লাগে আর আমাদের জন্য ভিসার দরকার হতে পারে।
একটা ট্যাক্সি ড্রাইভার পেলাম নাম জন, আমাদেরকে হোটেলে নিয়ে এল।কিগালি শহরের মাঝামাঝি জায়গাতে এই হোটেল । অনেক গেস্ট আছে এখানে। আমরা জিনিষ পত্র রেখে রাতের ডিনারের জন্য বের হলাম। বাস স্ট্যান্ডেই ডলার বদলের সব ব্যবস্থা আছে। এক ডলারে ৬৫০ রুয়ান্ডা ফ্রাঙ্ক। ড্রাইভার আমাদেরকে খানা খাজানা রেস্টুরেন্টে নিয়ে এল। পশ রেস্টুরেন্ট, ভারতীয় খাবারের সমাহার। অনেক বিদেশী বেশীরভাগ ইউরোপীয়। ভর্তি লোকজনে। আমরা বসে তুন্দুরি চিকেন অর্ডার দিলাম। রাতে খেয়ে শহরটা একটু চক্কর দিয়ে হোটেলে ফিরে এলাম। সুন্দর সাজান মনে হল শহর দেখে। রাস্তা পরিষ্কার , মানুষ অল্পই দেখলাম। মোটর সাইকেলে যাত্রী চলাচল করে।রুমে এসে ঘুম দিলাম। সারা দিনের জার্নিতে সবাই ক্লান্ত।
সকাল বেলা বেশ আগে ঘুম থেকে উঠে হোটেলের বাইরে এলাম। কিগালি তখনও পুরপুরি জেগে উঠেনি। আমাদের হোটেলটাও পাহাড়ের উপর।এক টু নীচে ধাপ কেটে ক্যাম্পিং এর ব্যবস্থা আছে। বেশ কিছু ছোট বড় তাঁবু লাগানো আছে। এরা সবাই সাফারি থেকে ফিরে এক রাতের জন্য এখানে আছে।কিগালি শহরের বাইরে গরিলা ট্র্যাকিং , লায়ন সাফারি ইত্যাদিতে যাওয়া যায়। হোটেলের ভাড়ার সাথেই ব্রেকফাস্টের ব্যবস্থা আছে। নাস্তা খেয়ে বাইরে যাওয়ার জন্য রেডি হলাম।
ট্যাক্সি নিয়ে চলে এলাম রুয়ান্ডা জেনসাইড মিউজিয়ামে।সুন্দর মসৃণ ঢেউ খেলানো পাকা রাস্তা দিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে চলে এলাম। ফ্রি এন্ট্রি , কোন টিকেট লাগে না। প্রথমেই মিউজিয়ামের নাম লিখা গেইট। তারপর সিঁড়ি দিয়ে নেমে খোলা জায়গা। সেখানে সবুজ ঘাসের বাঁধান এক চত্তরে রুয়ান্ডার পতাকা উড়ছে। একটু দূরে বসার ব্যবস্থা আছে। সামনে কিছু পাম গাছ। এক চিলতে ফুলের বাগান। পাহাড়টা ধাপে ধাপে নেমে গেছে নীচে। এই জায়গাতে দাড়িয়ে কিগালি সিটি সেন্টার দেখা যায়। ঝকঝকে কিগালি টাওয়ার ও সুন্দর নতুন ভবন গুলো চমৎকার লাগে।
মিউজিয়ামের ভিতরে গেলাম আমরা। ভিতরের তথ্য ছোট ছোট সেটে রেকর্ড করা আছে , সাথে গাইড নেয়া যায়। ১৫ ডলার প্রতিজন। পরিচ্ছন্ন ব্যবস্থা, অ্যারো মারকিং করা আছে। স্পটের নাম্বার লিখা আছে , সেখানে একটা একটা করে এই গন হত্যার ইতিহাস ছবি সহ বর্ণনা দেয়া আছে। দেয়ালে টিভি আছে, সেখানে এই ঘটনার ডকুমেন্টরই ফিল্ম চলছে। এরকম প্রায় ২০ টা পয়েন্ট আছে। ছোট একটা অধ্যায় হবে এই ইতিহাস লিখলে, সামনে লিখব আশা করি।
এখানেই আছে হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের ছবি। আছে মানুষের হাড় , মাথার খুলি। সবকিছু কাঁচের ক্যাসকেডের মধ্যে। নিহত মানুষের জিনিষ পত্র, কাপড়চোপড় রাখা আছে আরেকটা রুমে। আলো ছায়া দিয়ে অত্যাধুনিক উপায়ে এই মিউজিয়াম সাজানো হয়েছে। দোতালায় পৃথিবীর অন্য সব দেশে ঘটে যাওয়া নারকীয় হত্যাগুলোর ইতিহাস আলাদা আলাদা ব্লকে আছে। আছে আর্মেনিয়ার গনহত্যার কথা, বসনিয়া ও কসভোতে সার্বদের অত্যাচার, কম্বোডিয়ার পলপটের নির্যাতন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ইহুদি নিধন এসব সবই আছে।
আরেকটা রুমে যুদ্ধে নিহত শিশুদের ছবি ও তাদের জীবনী লিখা রয়েছে। তারা কিভাবে মারা গিয়েছে তার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আছে ডিসপ্লেতে । ভারাক্লান্ত মন নিয়ে বেরিয়ে এলাম। ডোনেশনের জন্য বাক্স আছে কিছু ফ্রাঙ্ক দিলাম সেখানে। বাইরে এসে লাইব্রেরি ও সাইবার কাফেতে ঢুকলাম। আজ বন্ধ তারপরও আমাদেরকে ব্রিফ করল এখানকার কেয়ার টেকার । খুব সুন্দর লাইব্রেরি , সব জেনসাইডের ইতিহাস এখানে সংগ্রহ করে রাখা আছে। যে কেউ গবেষণা করতে চাইলে সারা পৃথিবীর এসংক্রান্ত প্রায় সব বই এখানে পাওয়া যাবে।
কাফেটরিয়া ও ফ্রেসআপের ব্যবস্থা ও আছে এখানে। ঘুরে ফিরে গিফট শপে গেলাম। রুয়ান্ডার হাতের কাজ ও জেনসাইড বিষয়ে বেশ কিছু বই এখানে আছে। এখান থেকে সিঁড়ি দিয়ে নিচের ধাপে নামলাম। অনেক লাশ দাফন করা আছে এখানে। সব সুন্দর ভাবে সারিবদ্ধ করে। উপরে পাথরের স্লাব বসানো। আজানা শহীদদের সাথে যাদের নাম পরিচয় উদ্ধার করা গেছে তাদের নাম বড় মেটালিক প্লেটে লিখা আছে। কবর গুলোর উপর মাচা বানানো এবং এতে আঙ্গুর গাছের লতার ছায়া মাখা। সেখান থেকে এগিয়ে গেলে একটা বড় জায়গাতে কাঁচ দিয়ে ঢাকা কিছু কবর আছে। কিভাবে মৃতদেহ গুলো সংরক্ষন করা হয়েছে এখানে তা দেখানো হয়েছে। ছবি তোলা মানা। তবে ২০ ডলার দিয়ে অনুমতি নিলে যে কোন ছবি তোলা যায়।
সামনে এগিয়ে গেলে বাগান, একটু বিশ্রাম নিয়ে শহীদদের কথা মনে করার সুযোগ পাওয়া যায় এখানে। সব ঘুরে ফিরে শহর দেখতে চললাম। দুপুর হয়ে আসছে। সূর্যের তাপ বেশ। দিনটা স্বর্ণালী, আকাশ মেঘহীন তীব্র নীল। সব মিলিয়ে নতুন দেশে ভালই লাগছে, যদিও দুঃখ জাগানিয়া কিছু সময় পার করেছি। আমরা বর্তমান নিয়ে বাঁচি তাই এগিয়ে চলাই আমাদের ধর্ম।
বাসে করে শহরটার চারদিকে ঘুরব ঠিক করলাম। হেঁটে নিচের দিকে নামছি। নীচে সমতলে ফাঁকা জায়গাতে সুন্দর বাগান । আমরা বেশ কিছুদুর হেঁটে বাস স্ট্যান্ডে চলে এলাম। এখানে মোটর সাইকেলেও আসা যায়। উগান্ডায় এগুলোকে বোদা বোদা বলে। এখানে তিন রকমের বাস দেখলাম। নরমাল মাইক্রোবাস, একটু বড় নতুন মাইক্রোবাস এবং চীনের বানানো সুন্দর বড় বাস। যাতায়াত খরচ তেমন বেশি না। ট্যাক্সিতে গেলে চার থেকে পাঁচ ডলার, মোটর সাইকেলে এক হাজার ফ্রাঙ্ক, বাসে ২০০/৩০০ ফ্রাঙ্ক।
বাসে করে সিটি সেন্টারে চলে আসলাম। এখানে আফ্রিকার নকুমার্ট ডি পার্ট মেণ্টাল ষ্টোরে গেলাম। বিশাল মার্কেট কমপ্লেক্স। একটূ গলা ভেজালাম এখানে। তারপর দুপুরের খাবার খেতে ভারতীয় রেস্টুরেন্টে চললাম।হেঁটেই রওয়ানা হলাম। হঠাথ বৃষ্টি এসে গেল। একটু ভিজে গেলাম। ভারতীয় রেস্টুরেন্ট, আজও বিরিয়ানি খেলাম। ভাল রান্না করেছে। ব্যাংক অব রুয়ান্ডার সামনে ছবি তুললাম। কিগালির রাস্তায় কিছুক্ষণ হেঁটে একটা চার্চের কাছে গেলাম। আজ এখানে বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে। আমরা তার পাশের কুটির শিল্পের দোকানে গেলাম। বেশ সুন্দর করে সাজানো দোকান। অনেক হাতের কাজের জিনিষ পাওয়া যায়।
কিছু সুভেনির কিনে বাস স্ট্যান্ডের দিকে রওয়ানা হলাম।আজ বেশ ভিড় বাসে। ছুটির দিন তাই। আমরা একটা সুন্দর বাস পেয়ে গেলাম। একদম শেষ স্টেশনে এসে নামলাম। এখান থেকে কিগালি বিমান বন্দর দেখা যায়। তাছাড়া শহরের দৃশ্য ও দেখা যায় এখান থেকে। বেশ ভাল লাগল এলাকাটা। এখানে একটা আফ্রিকান কফি শপে গেলাম, আফ্রিকান চা ও কফির অর্ডার দিলাম। কফি দুধ ছাড়া, চা দুধ চিনি বেশি করে দিয়ে বানানো। এরপর আদা চায়ের অর্ডার দিলাম। একটু ঝাল ঝাল , বেশ ভাল লাগলো।
দোতালার বারান্দাতে বসে রাস্তার দৃশ্য দেখতে দেখতে আমরা গল্প করে সময় কাটালাম । কিছু ছবি তোলা হলো। শেষ বিকেলে আবার বাসে করে ফেরত যাত্রা। আমরা একটা স্ট্যান্ডে নামলাম। হেঁটে গেলে বেশ কাছে আমাদের হোটেল। কিন্তু আমরা যেহেতু পথ চিনিনা তাই পথ হারিয়ে ফেললাম। রাস্তা পাহাড়ি আমরা অনেক উঁচু থেকে হেঁটে হেঁটে নামতে লাগলাম। পুলিশের হেল্প ও নিলাম। কাজ হল না। আমরা ভাবলাম হেঁটে ফিরব তাই মোটর সাইকেল ও চড়া হয়নি। প্রায় এক দেড় ঘণ্টা হাঁটা হল। পথে একটা সুভেনিরের দোকান থেকে হাতে বানানো রুয়ান্ডার সুভেনির আগাসিকি কিনলাম। ছোট পাত্রের মত। দড়ি জাতীয় জিনিষ দিয়ে বানানো।
আরও হাঁটা লাগছে, আসলেই পথ হারিয়ে ফেলেছি। শেষে অনেক ঘুরে একটা বড় দোকানে এলাম। কিছু খাবার ও পানি কিনলাম। আর পারা যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ট্যাক্সি নিয়ে হোটেলে ফিরে এলাম। ফ্রেস হয়ে হোটেলের কাছেই একটা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে রাতের ডিনার খেতে গেলাম। হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল তখন। মজা করে চাইনিজ খেলাম। রাতে ফিরে এসে দেরি না করে ঘুম।
রুয়ান্ডা এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে, প্রথমে তারা তাদের রাজধানীকে উন্নত করছে তারপর অন্যান্য শহর ও গ্রাম পর্যায়ক্রমে উন্নত হবে। সব নাগরিক আশাবাদী এবং তারা সঠিক নেতার পেছনে কাজ করে যাচ্ছে।
পরদিন সকালে উঠে নাস্তা সেরে রেডি হয়ে গেলাম। হোটেল থেকে মেইন রোডে এসে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। কিছুক্ষণ পর বাস এলো। বাস একটু পরে একটা চার্চের কাছে এসে লোকজন নামিয়ে দিল। তারপর আবার যাত্রা শুরু। এখানে অনেক খালি পাহাড় দেখলাম। প্রথমে পাহাড়ের ধাপে ধাপে রাস্তা ও প্লট বানানো হচ্ছে। তারপর প্লান মত অন্যান্য ঘরবাড়ি হবে। শেষ মাথায় এসে আমরা নেমে পড়লাম। এরপর ছোট মাইক্রোতে করে আরেক স্টপেজে এলাম। এর কাছেই ইসলামিক সেন্টার। বড় মসজিদ আছে এখানে। স্কুল আছে ছেলেদের , আছে খেলার ব্যবস্থা। আমরা কিছু ছবি তুললাম । তারপর আরেকটা মাইক্রোতে উঠে শহরের অনুন্নত এলাকার দিকে রওয়ানা হলাম।
এখানে এলে দারিদ্রের কিছু নমুনা দেখা যায়, মানুষ এখনো উন্নতির সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারেনি পুরোপুরি। এখানে ময়লা আবর্জনা, একটু বস্তির মত এলাকা সবই আছে। এখানে এলে আফ্রিকার অনুভূতি আসে যেটা কিগালি টাওয়ার বা সিটি সেন্টারে দেখা যায় না। তবে রাস্তা গুলো সুন্দর, মুসলিম প্রধান এলাকা মনে হল এখানটায় এসে।
অবশেষে কিগালির কাঁচা বাজারে এসে পড়লাম। এখানে সস্তাতে ভাল সুভেনির পাওয়া যায়। কিনলাম কয়েকটা। কলা কিনলাম, এদেশের কলা বেশ মজা। আমরা কলা কিনেই খেতে শুরু করলাম। কলার খোসা আমাদের থেকে নিয়ে নিল। যদি ভুলে আমরা তা যেখানে সেখানে ফেলে দেই। এত বড় কাঁচা বাজার, বেশ পরিষ্কার ভাল লাগল।
সেখান থেকে আবার বাসে করে একটা মার্কেটে এলাম। আমাদের প্লান ছিল লেবানিজ হোটেলে দুপুরের খাবার খাব। ট্যাক্সি করে সেখানে রওয়ানা হলাম। আজকের এই শহর পরিক্রমায় অনেক গুরুত্ব পূর্ণ জায়গা দেখা হল। দেখলাম কিগালি স্টেডিয়াম , এই জায়গা থেকেই বহু বছর আগে জাতিসংঘের সৈন্যদের দ্রুত সরিয়ে নিতে হয়েছিল। এখন এটা বিশাল সুন্দর দেখার জায়গা। প্রেসিডেন্টশিয়াল প্যালেস দেখলাম যাওয়ার পথে, পার্লামেন্ট ভবনের উপরে গার্ড পাহারা দিচ্ছে। দুপুরে এটা বন্ধ। তাই হোটেলের পাশের চাইনিজে চলে আসলাম। এখানে ভাল করে খেয়ে রুমে এলাম। আজ সকালেই চেক আউট করে মালপত্র স্টোরে রেখে এসে ছিলাম। একটু ফ্রেস হয়ে ট্যাক্সি ঠিক করলাম বাস স্টপেজে যাওয়ার জন্য।
সময় মত পৌঁছে গেলাম বাস স্টপেজে। বাস ছাড়তে আরো এক ঘণ্টা দেরি। সব কাজ শেষ করে বাসেই বসে গেলাম। ৫ টা ৩০ মিনিটে বাস ছেড়ে দিল কাম্পালার উদ্দেশ্যে ।
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৬
এম আর ইকবাল বলেছেন: চলুক ।শুভকামনা সাথে ।
৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
এহসান সাবির বলেছেন: চলুক.... আরো কিছু ছবি দিয়েন।
৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪
শোভন শামস বলেছেন: অনুপ্রেরনার জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, সাথে থাকবেন
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সুন্দর একটি পোস্টের জন্য শুভকামনা রইল।