নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকালে উঠেই ঠিক করে নিলাম কোথায় যাব। আজ সারাদিন ফ্রি টাইম। বিদেশে এসেছি তাই সবাই চাইবে কিছু না কিছু গিফ্ট। এ কারনেই একটা দিন দেশ দেখা ছাড়তে হলো। প্রথমে ভেবেিেছলাম মালোশিয়ার ইষ্ট কোষ্ট অর্থাৎ সাউথ চায়না সি বন্দর এবং সেই প্রদেশটা দেখব। আমাদের ড্রাইভার ও রাজী ছিল। পরে তা বাদ দিতে হলো। আজকে আর মোহম্মদ নেই আমাদের সাথে। হোটেলে নাস্তা খেয়ে আশেপাশের বাংলাদেশী দোকানগুলোতে গেলাম। সেলসম্যানরা বলল তামিল ক্যাব ড্রাইভারের গাড়ীতে কখনও যাবেন না। মালয়ী বা চাইনিজ নিলে সমস্যা অনেক কম।
আমাকে বলল- ‘কোথায় যাবেন?’
মসজিদ ইন্ডিয়া রোডে।
ওখানে কি দরকার, এখানেই প্রায় সব পাওয়া যায়।
আগের বার ছিলাম ওখানে তাই একটু ঘুরে আসব।
দেখলাম তেমন আগ্রহী না। ঠিক আছে। ট্যাক্সি দেখছি। দুই তিনটা পার হলো। তামিল ড্রাইভার যাত্রী নিতে বেশ আগ্রহী, নিলাম না।
বুড়ো চাইনিজ ড্রাইবার পেলাম একজন, উঠে বসলাম। গাড়ী চলছি। বললাম মসজিদ ইন্ডিয়া। হু হু বলে উঠল পরে চলছে তো চলছে। কি করা। মোহাম্মদকে ফোন করে ড্রাইভারকে বোঝাতে বললাম। কিছুক্ষন পর এক জায়গায় ট্যাক্সি থামালো। মসজিদ ইন্ডিয়া বলে বসে রইল। নেমেই গেলাম সেখানে।
কিছু কেনাকাটা ছিল ভাল দামেরই কিনতে পেলাম এখান থেকে। এখানে বড় একটা ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর আছে হানিফা, মনে হলো মধ্যবিত্তের জন্য। বহু লোকের ভিড়, কেনাকাটা ধুমছে চলছে। প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস এখান থেকেও নিলাম। এক লিটারের আইসক্রিম বক্স নিলাম একটা। সবাই মিলে খাচ্ছি তবুও শেষ হয় না। এটা টানাও একটা ঝামেলা।
এরপর পশ একটা ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে ঢুকলাম। নীচ তালায় কসমেটিকস্ এর ষ্টল। সব ভাল ভাল ব্র্যান্ডের কসমেটিকস আছে। ক্লিনিক, বডিসপ আরো অন্যান্য দোকান। দোকানগুলোতে বেশ সুন্দর বিপনন ব্যবস্থা। সেলস গার্ল প্রায় সবাই মহিলা।
এই মেগাসপে নানান জিনিস সেল চলছে। জুতা, গেঞ্জি, হাতব্যাগ, ট্রাউজার বাচ্চাদের পোশাক ও বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী রয়েছে। জিনিসপত্র কেনাকাটায় অনেক সময় লাগল। এখানেই কে এফ সিতে বসে লাঞ্চ সেরে ফেললাম।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হচ্ছে আাকাশে একটু মেঘও উঁকি দিচ্ছে। আমরা ঘুরতে ঘুরতে পথ হারিয়ে ফেললাম। এদিকে সন্ধ্যা হয়ে গেছে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ্একটা দোকানে ঢুকে কিছুক্ষন অপেক্ষা তারপর ট্যাক্সি নিয়ে সোজা হোটেলে।
আজ মনে হয় প্রান ভরে মার্কেট ঘোরা হলো। তবুও শুনতে পেলাম অনেক কিছু কেনা হয়নি। কাকে কি দেবে ঠিক করা যাচ্ছে না।
যাই হোক আর মার্কেট নয়। এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলাম। তবে কে শোনে কার কথা। টায়ার্ড তবুও রাতে ডিনারের পর খোলা দোকানগুলোতে আরেকটু ঢু মারা যদি কিছু ভাল লেগে যায়। কেনা যায়। বাধা দেই কি করে।
আজ শেষ রাত এই কুয়ালালামপুরে। রুমে এসে গোছাতে হচ্ছে জিনিসপত্র। সবাই লেগে গেছে কাজে। পরদিন উঠতে বেশ দেরী হলো। বিকেল ৫টার মধ্যে এয়ারপোর্টে থাকতে হবে।
আজ একটা খারাপ খবর পেলাম। মোহাম্মদ তার গাড়ীসহ এক্সিডেন্ট করেছে। হাসপাতালে আছে। আহত হয়েছে তবে আঘাত তেমন গুরুতর নয় কিন্তু গাড়ীর অবস্থা খরাপ। আমদের জন্য সে তার এক বন্ধুকে পাঠিয়ে দিয়েছে।
যথাসময়ে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে চলে এলাম। বিশাল খোলা এলাকা। মানুষজন তেমন নেই। বিমান বন্দর থেকে সামনে তাকালেই দূরে কে এল টাওয়ার দেখা যাচ্ছে।
ভেতরে সব উন্নত ও অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। সাজানো গোছানো এবং খুব সহজে সাইনপোষ্ট থেকে গন্তব্যে যাওয়া যায়। চেক ইন শেষে হাতে সময় ছিল। বাচ্চারা কে এফ সিতে খেতে চাইল। এয়ারপোর্টের ভেতরেই কে এফ সি কর্ণার। মাগরেবের নামাজও পড়া হলো ভেতরে। সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। এয়ারপোর্টের বুক শপ থেকে একটা বই কিনলাম। তারপর ইমিগ্রেশন ও কাষ্টমস্ শেষ করে ওয়েটিং এরিয়াতে চলে এলাম। ভালই কেটেছে এই কয়েকটা দিন।
বিমানের বোডিং শুরু হলো। কিছুক্ষনের মধ্যেই বিমান মালোশিয়ার রাত্রের আকাশে উড়াল দিল। আমরা ফিরে যাচ্ছি আমাদের ভালবাসার বাংলাদেশে।
১২ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩
শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ ++
২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭
েবনিটগ বলেছেন: +
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ ।
সাথে থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩২
েবনিটগ বলেছেন: +