নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নানা দেশ কত কথা

শোভন শামস

আমার দেখা নানা দেশের কথা সবার জন্য - পাঠকের ভাল লাগাতেই আনন্দ

শোভন শামস › বিস্তারিত পোস্টঃ

পেনাং শহর

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৫











গোটা পাহাড় এলাকা চারদিক খোলা ইলেকট্রিক কারে করে ঘোরার ব্যবস্থা আছে । ৩০ রিংগিতে বিশ মিনিটে ঘুরিয়ে আনবে এলাকাটা । গাড়ীতে করে করে কয়েকটা স্পটে গেলাম, সেখানে ছবি তোলার ব্যবস্থা আছে । স্পটগুলো থেকে নীচের অপূর্ব দৃশ্য ও সাগর দেখা যায় । ড্রাইভার তামিল বংশদ্ভুত মালয়ী, আমাদের ছবি তুলে দিল । পাহাড়ের মাঝে ১০০/২০০ বছরের পুরানো বাংলো, ব্রিটিশ পোষ্টাল সার্ভিস এর পোষ্ট বক্স, সব সাজিয়ে রাখা । একটা বাংলোতে এখনো তার আসল ব্রিটিশ মালিক থাকে । বাংলোটা অসম্ভব সুন্দর সামনে সাদা রং এর কাঠের গেইট । লতা পাতা দিয়ে ঘেরা দেয়াল । বাংলোর পাশে ছবি তোলা হলো । বেশ সুন্দর ছবি উঠেছে । পাহাড়ের এক পাশে মালেশিয়ান আর্মি ক্যাম্প, তার আগেই গাড়ী ঘুরিয়ে ­মষধ শ¡œ¡, থেমে থেমে কয়েক জাগায় ছবি তুললাম, প্রায় ৪টার কাছাকাছি সময় হয়েছে। দুপুরে গাওয়া হয়নি।





ষ্টেশন থেকে বের হয়ে টেক্সি করে পেনাং এর বিখ্যাত নাসি কন্দর হোটেলে গেলাম। নাসি মানে ভাত, কন্দর মানে কাঁধ। আগে কাঁধে করে ভাত ফেরী করত সেই থেকে খাবারের নাম নাসি কন্দর।



হোটেল মালিক ভারতীয় মুসলিম, চিকেন, সব্জি বিফ, পরোটা, ভাত, বিরিয়ানী কি নেই হোটেলে। মহাম্মদকে আমাদের সাথে দাওয়াত দিলাম খাওয়ার, আমি ভাত সব্জী নিলাম, বিল তেমন বেশী না ৬০ রিংগিতের মত, চা খেলাম তৃপ্তির সাথে।





এবার ফিরতী যাত্রা টাউনের রাস্তা ধরে পেনাং ব্রিজ । বিশাল পেনাং ব্রিজ মালাক্ক¡ প্রণালীকে শাসন করে বানানো । ব্রিজ থেকে ছোট ছোট ২/৩ টা দ্বীপ দেখা যায়। দ্বীপগুলো অবশ্য জন শুন্য। ব্রিজ পার হতে হতে বেলা পড়তে শুরু করেছে। পেনাং ব্রিজের উপর থেকে হেলে পড়া বিকেলের সূর্য দেখতে দেখতে নর্থ সাউথ হাইওয়েতে চলে এলাম। এখানে সন্ধ্যা হয় ৭-৩০এ তাই তখনো বিকেলের অনেক আলো ছিল। পেনাং প্রদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আমরা পেরাক প্রদেশে ঢুকলাম । আস্তে আস্তে পাহাড়ী এলাকা এসে যাচ্ছে।



আছরের নামাজের সময় মোহম্মদ ব্রেক নিল একটা রেষ্ট এরিয়াতে। সুন্দর নামাজের ব্যবস্থা ও টয়লেট ফ্যাসিলিটি আছে। অনেক দোকানপাট, বাংলাদেশী দোকানীর সাথে দেখা হলো। ভালই ব্যবসা করছে এখানে। জিনিসের দাম একটু বেশী এই এলাকাতে । আইসক্রিম কেনা হলো। নামাজ শেষে রওয়ানা হলাম, সন্ধা আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে। পেরাক এর রাজধানী ইপোহতে যখন পৌঁছালাম তখন শহরের আলো জ্বলে উঠেছে। দূরে পাহাড়ের উপর বড় করে ইংরেজীতে লিখা ইপোহ । নিয়ন সাইনে জানিয়ে দিচ্ছে এটা রাজধানী শহর । শরীর আস্তে আস্তে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। বাচ্চারা একটু ঘুম ঘুম করছে। কুয়ালালামপুর আরো শ-দুয়েক মাইল । পথে মাঝে মাঝে টোল প্লাজা আছে। প্রত্যেকটা প্রদেশের জন্য হাইওয়েতে আলাদা আলাদা ব্যবস্থা । পেরাক প্রদেশ পার হয়ে আমরা সেলানগড় প্রদেশে চলে এলাম। এর রাজধানী শাহআলম, হাইওয়েতে শাহআলম যাওয়ার এক্সিট দেখা যাচ্ছে। আস্তে আস্তে অন্ধকার গাঢ় হচ্ছে ।



হাইওয়েতে মার্কারগুলো হেডলাইটের আলোতে ঝকমক করে সব কিছু সুন্দরভাবে দেখিয়ে দিচ্ছে। যাত্রাপথ এখন শেষ দিকে, কুয়ালালামপুর টোল প্লাজা দিয়ে ভেতরে ঢুকেই ট্রাফিক জ্যামে পড়লাল। আস্তে আস্তে গাড়ী এগুচ্ছে আমাদের গন্তব্য বুকিত বিনতাং। গন্তব্য এখনো অনেক দুর । কেএল টাওয়ার ও টুইন টাওয়ারের আলো দেখতে দেখতে একসময় হোটেলের সামনে গাড়ী থামল। শেষ হলো লংকাউই ও পেনাং দ্বীপ ভ্রমন। অনেক ঘোরা হলো, অনেক মজা হলো এবার আবার ব্যস্ত কুয়ালালামপুরের কয়েকদিন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.