নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেবল কার আসার পরে এ বার নীচের দিকে রওয়ানা হই এবং এই ডেকের দৃশ্য গুলো দেখার জন্য এগিয়ে যাই।
এখান থেকে দুই পাহাড়ের সংযোগকারী স্কাই ব্রিজ দেখা য়ায়। ব্রিজটা যেন ঝুলে আছে দুই পাহাড়ের চুড়াকে জড়িয়ে । নীচে গভীর খাদ। ব্রিজ বন্ধ ছিল তাই লোকজন নেই । বহু পর্যটক এ ব্রিজ দেখার ও ব্রিজে উঠার জন্য হেঁটে হেঁটে উপরে উঠে ।
কেবল কারে করে এবার ফেরার পালা। একটু অপেক্ষা করতে হলো খালি কার পেতে। সবাই ফিরে যাচ্ছে, শেষ ষ্টেশন থেকে। এখানে কম লোকজন নামে। খাড়া ভাবে নীচে নামাও বেশ রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, যেন একদম নীচে পড়ে যাচ্ছি। এই কার গুলোর গতিও বেশ দ্রুত। নীচে নেমে পাশের হেরিটেজ ভিলেজে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। একবার মনে হলো পথ কি হারিয়ে ফেলেছি ? মোবাইলে ড্রাইবার মুসাকে ডাকলাম এবং বাইরে এসে পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলোম। এলাকাটা এত সুন্দর ভাবে প্রকৃতিকে ব্যবহার করে সাজানো, যেন মনে হয় প্রকৃতি নিজেই নানা রঙে রাঙ্গিয়ে দিয়েছে পুরো এলাকা। যদিও এটা পরিকল্পনা মাফিক প্রকৃতিকে নষ্ট না করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
অপূর্ব লাগল কেবল কারে চড়ার অভিজ্ঞতা। এখানে আন্ডার ওয়াটার ওয়ার্ল্ড আছে। তবে সিংগাপুরে এধরনের দর্শনীয় জায়গা স্যান্তোষা আইলান্ডে আছে এবং তা ঘুরেছি বলে এখানকারটাতে যাওয়া হলো না। আরো একদিন লংকাউইতে থাকব তাই হোটেল বুকিং বাড়ানোর জন্য ইন্টারনেট ক্যাফেতে গেলাম। দোকানের একপাশে ছোট একটু জায়গায় ৩ টা কম্পিউটার রেখেছে । এই ক্যাফেতে ঘন্টায় ২ রিংগিত বিল । দোকানী দোকানের অন্যান্য জিনিষ বিক্রির পাশাপাশি এই ক্যাফের ব্যবহারকারীদের হিসাব রাখছে । হোটেলের কাউন্টারে একদিনের জন্য ভাড়া লাগত ২২০ রিংগিত আর ইন্টারনেটে বুকিং দেয়াতে লেগেছে ১৬০ রিংগিত। ক্রেডিট কার্ড লাগে এ ধরনের বুকিং দিতে।
এরপর গাড়ীতে করে ব্লাক স্যান্ড বিচে গেলাম। বিচের বালির রং কালো । এখানে বালিতে লোহার ভাগ বেশী বলে বালির রং এরকম। বিচে হাঁটতে ইচ্ছা করেনি তবে এর পাশে বেশ বড় মার্কেট । এই মার্কেট থেকে কিছু সুভেনির, কয়েকটা বুটিক এবং নাইটি কেনা হলো। ইতিমধ্যে দুপুর হয়েগেছে। তাই ভাবীদেরকে মার্কেটে রেখে আমরা একটা মসজিদে নামাজ পড়ে এলাম। দুপুর বেলা কিলিম জিওফরেষ্ট পার্ক এ যাবার জন্য কাউন্টারে এলাম ।
©somewhere in net ltd.