নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কৃত্রিম লেকের উপর ব্রিজ, পুত্রজায়া
পুত্রজায়ার বিশাল কৃত্রিম লেকের উপর অনেক গুলো ব্রিজ, প্রতিটা ব্রিজই আলাদা ডিজাইন এবং দৃষ্টিনন্দন। বিকেল হয়ে যাচ্ছে, এখানে সন্ধ্যা হয় ৭ টার দিকে, এসময় দেখলাম ফেরী করে লেক ভ্রমন করা যায় । দ্রুত সেখানে গেলাম, শেষ ট্রিপ বিকেল ৬ টায় । টিকেট কিনলাম, হাতে আরো ৩০ মিনিটের মত সময় আছে। জেটির আশে পাশে ঘোরাঘুরি করে সুভেনির সপে ঢুকলাম ।
পুত্রজায়ার সুভেনির আছে সব চীনের তৈরী, দাম একটু বেশীই মনে হলো। দোকানী মহিলা বলল সাতটার সময় দোকান বন্ধ হয়ে যায় । হাতে করে সুভেনির নিয়ে ফেরীতে যাব এটাও ইচ্ছা করছিল না, তাই ফেরীতে উঠে বসলাম, সুন্দর বসার ব্যবস্থা । জানালা দিয়ে চারিদিকের দৃশ্যদেখা যায়, ছাদে ওঠার সিড়ি আছে । ফেরীর সামনে দাঁড়িয়ে আসে পাশের দৃশ্য দেখার ব্যবস্থা আছে । ফেরী চলতে শুরু করল । একদিক থেকে যাত্রাকরে লেকের শেষ পর্যন্ত গিয়ে আবার ফেরত যাত্রা প্রায় ১ ঘন্টার মতো সময় লাগে পুরো ভ্রমনে। যেতে যেতে ব্রিজ গুলোর নীচ দিয়ে পার হলাম । একটা ব্রিজ অসম্পন্ন বাকী গুলোতে পারাপার হয় ।
লেকের দুপাশে গড়ে উঠা পুত্রজায়া শহর ও এর মনোরম ইমারত গুলো দেখছিলাম আর ক্যামেরাতে জুম করে ছবি তুলছিলাম । বাচ্চারাও বেশ মজা পেল ফেরী ভ্রমনে । সব দেখে যখন ফেরী জেটিতে ফিরে আসে তখন সন্ধা হয়ে গেছে। দেখলাম সুভেনিরের দোকান খোলা, ভিতরে গিয়ে পছন্দের একটা সুভেনির কিনলাম । কোয়ালিটি যদিও ভাল তবে একই ধরনের এই সুভেনির অনেক কম দামে পাওয়া যায় ।
ড্রাইভার মোহাম্মদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল । মোবাইলে কল করলাম, গোধুলীর আলোতে পুত্রজায়ার কিছু ছবি তুলে কুয়ালালামপুরে ফিরতি পথে রওয়ানা হলাম । আসার পথে সরকারী অফিসারদের বাসা গুলো দেখলাম, সাজানো গোছানো ফ্লাট বাড়ী । লোকজন ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে গেছে । তাই জন মানুষ শুন্য মনে হচ্ছিল এলাকা । রাতের কুয়ালালামপুরের দৃশ্য দুর থেকে দেখতে দেখতে এগুচ্ছি।
দুর থেকে টুইন টাওয়ার ও কে এল টাওয়ার এর ঝলমলে আলো দেখা যায় । চলতে চলতে টোল প্লাজায় চলে এলাম । আমাদের হোটেল পরিবর্তন করতে হবে । তাই একটা হোটেল ঠিক করার জন্য বললাম মোহাম্মাদকে । বুকিং বিনতাং এলাকায় এসে একটা হোটেলের সামনে থামলাম । লংকাউই থেকে ফিরে এসে এখানে থাকব ঠিক করলাম । রেট একটু বেশি । তবে হোটেল ভাল হবে বলে মনে হল্ ো। পরে অবশ্য রুম না চেক করার জন্য এক রাত ভুগেছি । রাতে হোটেলে আসতে আসতে সাড়ে নয়টা বেজে গেল। একটু গুছিয়ে খাবার খেতে বের হলাম ।
দুপুরে জালান পেটালিং এলাকা লোকজনে গমগম করছিল। এখন তা নীরব । সব দোকান পাট বন্ধ । সব হোটেল ৮টা/৯টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় । একটা হোটেল খোলা পেলাম । শুধু বিরিয়ানী আছে । বাঙ্গালী ওয়েটার, তাই ভেতরে গেলাম। রাতে হোটেল এর পাশে চায়না টাউনে বেড়াতে বের হলাম। চায়না টাউনে দোকান পাট, ফুটপাত তখন ক্রেতা বিক্রেতায় ভর্তি । রাত এগারোটা পর্যন্ত এটা খোলা থাকে । প্রায় সব জিনিসি এখানে পাওয়া যায় । অনেক বাঙ্গালী বিক্রেতা আছে । বেশিক্ষণ বাহিরে না থেকে কাল সকালে যেহেতু গেনটিং যেতে হবে তাই রুমে ফিরে এলাম । কুয়ালালামপুরে প্রথম দিনের বেড়ানো ভালভাবেই শেষ হলো ।
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ । অন্য লিখা পরবেন আশাকরি ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
আনমনে বলেছেন: ভালো লাগলো .।২০১০ এ গিয়েছিলাম..সুন্দর জায়গা....।