নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
প্রথমেই আসুন দেখি পবিত্র কোরান শরীফে খিযির (আঃ) (আমি এখানে তার নাম উল্লেখ্য করছি বোঝার স্বার্থে, লেখার সাথে থাকলে আপনি নিজেই বুজতে পারবেন আসল ঘটনা) কে নিয়ে কোন সুরায় উল্লেখ্য আছে? সুরা আল কাহফে একজন জ্ঞানী ব্যাক্তির কথা উল্লেখ্য হয়েছে কিন্তু কোন নাম বলা হয়নি, চলুন দেখি “এরপর তারা সাক্ষাৎ পেল আমাদের বান্দাদের মধ্যে একজনের, যাকে আমরা আমাদের কাছ থেকে অনুগ্রহ দান করেছিলাম ও আমাদের কাছ থেকে শিক্ষা দিয়েছিলাম এক বিশেষ জ্ঞান (সুরা আল কাহফ, আয়াত ৬৫)। তার মানে নাম বিহীন একজন জ্ঞানী ব্যাক্তির উল্লেখ্য আছে এই সুরায়, তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে কেন ইনাকে খিজির বা খাদির (আঃ) নামে অভিহিত করা হচ্ছে?
এখানে চলে আসে হাদীসের প্রসঙ্গ। বুখারীর হাদীসে তার নাম “খাদির” উল্লেখ করা হয়েছে। খাদির অর্থ “সবুজ শ্যামল” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার নামকরণের কারণ প্রসঙ্গে বলেন যে, তিনি যেখানে বসতেন, সেখানেই ঘাস উৎপন্ন হয়ে যেত, মাটি যেরূপই হোক না কেন। [বুখারীঃ ৩৪০২]। তার মানে আমরা সুরা আল কাহফে উল্লেখিত একজন জ্ঞানী ব্যাক্তির সন্ধান পাই এবং সহীহ হাদীস দ্ধারা তার একটি নাম পাই। এ পর্যায়ে আমি অনুরোধ করব আপনাকে সুরা আল কাহফ পড়ার জন্য (সুরা কাহফের লিঙ্ক বাংলা অনুবাদ সহ সূরাঃ আল-কাহফ )। সুরা আল কাহফের ৬৫-৮২ আয়াত পর্যন্ত সুস্পষ্ট ভাবে মুসা (আঃ) এর সাথে এই জ্ঞানী ব্যাক্তির (খিজির আঃ) এর কিছু কর্মকান্ড বর্ননা আছে। চলুন সহজ ভাবে তা জেনে নেই।
একদিন হযরত মুসা (আঃ) বনী ইসরাইলীদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় বক্তব্য দিচ্ছিলেন, এমন সময় একজন তাকে জিজ্ঞাস করেন “এ জমানায় সর্বশ্রেষ্ঠ আলেম কে?” জবাবে মুসা (আঃ) বলেন “আল্লাহপাক আমাকেই সর্বাপেক্ষা অধিক ইলম (জ্ঞান) দান করছেন।” আল্লাহ পাক এই জবাব পছন্দ করলেন না, সাথে সাথে আল্লাহ পাক বললেন, “ তোমার তো উচিত ছিল উক্ত প্রশ্নের উত্তর আল্লাহর জ্ঞানের ওপর সোপর্দ করে দিয়ে বলতে, আল্লাহ পাকই অধিক অবগত আছে।” অতঃপর তার ওপর ওহী নাযিল করলেন, দু’ সাগরের সংযোগ স্থলে আমার এক বান্দা আছে, সে কোন কোন বিষয়ে তোমার থেকে অধিক জ্ঞানী। হযরত মুসা (আঃ) জিজ্ঞাস করলেন, “হে পরওয়ারদিগার, আপনার সে বান্দার নিকট কোন পথে যাওয়া যাবে?”
আল্লাহপাক বললেন তোমার থলের ভেতর একটা ভাজা (রান্না করা) মাছ রাখ, যে স্থানে ওই মাছটি হারিয়ে যাবে সেখানেই আমার ওই বান্দাকে পাবে। যথাবিহিত, হযরত মুসা (আঃ) তার খলিফা ইউশা ইবনে নুন ( এই নামটাও কিন্তু কোরান শরীফে নাই, তবে তাফসীর কারকদের মতে ইনিই হবেন) কে নিয়ে সমুদ্র অভিমুখে যাত্রা করে, এক জায়গায় গিয়ে হযরত মুসা (আঃ) ঘুমিয়ে পড়লে মাছটিতে প্রানের সঞ্চার হয় এবং লাফ দিয়ে সাগরে পরে সাতরে চলতে থাকে যা ইউশা (আঃ) দেখেন কারন তখন তিনি জাগ্রত ছিলেন। (আমি এখানে এই ঘটনা কিছুটা সংক্ষিপ্ত করে লিখব)। এখানে কিছু ঘটনার পর (যা কোরান শরীফে লিপিবদ্ধ আছে তারা মাছটিকে সাগরের মাঝে অনুসরন করেন, কারন মাছটি যে পথে যাচ্ছিল সে পথের পানি জমাট বেধে শক্ত হয়ে সরু রাস্তার মত হয়ে যাচ্ছিল।
তারা সে রাস্তা অনুসরন দুই সমুদ্রের মিলন স্থালে পৌছালেন এবং সেখানে একজন মানুষ কে দেখলেন বসে থাকতে। ইনিই খিযির (আঃ)। হযরত মুসা (আঃ) তাকে সালাম দিলেন। এবং বললেন তার কাছে ইলম (জ্ঞান) শিখতে এসেছেন যা আল্লাহ পাক শুধু তাকেই দিয়েছেন। খিযির (আঃ) তাকে বললেন, “আপনি আমার আমার সাথে থেকে ধৈর্য্য রাখতে পারবেন না। উত্তরে মুসা (আঃ) বললেন, “আপনি আমাকে ধৈর্য্য শীল পাবেন”। জবাবে খিযির (আঃ) বললেন “আসল তথ্য যখন আপনার জানা নেই, তখন ধৈর্য্য ধরবেনই বা কেমন করে? উদ্দেশ্য এই যে, আমি যে জ্ঞান লাভ করেছি, তা আপনার জ্ঞান থেকে ভিন্ন ধরণের। তাই আমার কাজকর্ম আপনার কাছে আপত্তিকর ঠেকবে। আসল তথ্য আপনাকে না বলা পর্যন্ত আপনি নিজের কর্তব্যের খাতিরে আপত্তি করবেন।” জবাবে মুসা (আঃ) বললেন তিনি অবশ্যই ধৈর্য্য ধারন করবেন, এবং খিযির (আঃ) কে কোন বিরক্ত করবেন না। খিযির (আঃ) তাকে শর্ত দিলেন তার কাজ মুসা (আঃ) এর কাছে যতই আজব লাগুক না কেন সে কোন প্রশ্ন করতে পারবেন না, পরে তিনি ঐ কাজের ব্যাখ্যা নিজেই মুসা (আঃ) কে দিবেন।
মুসা (আঃ) ওই শর্ত মেনে খিযির (আঃ) এর সাথে চললেন। কিছু দূর যাবার পর তাদের সামনে একটি বড় নদী পড়ল, খেয়া মাঝি খিযির (আঃ) কে চিনতেন তাই তার কাছ থেকে কোন ভাড়া নিল না। খিযির (আঃ) নৌকা দিয়ে অপর পাড়ে নেমেই নৌকার একটা তক্তা খুলে নৌকাটি ফুটো করে দিল। মুসা (আঃ) সাথে সাথে এর প্রতিবাদ করলেন, “বললেন নৌকার মাঝি তার সাথে এত ভালো ব্যাবহার করল আর সে কিনা নৌকাটি ফুটো করে দিলেন?” খিযির (আঃ) বললেন, “আমিতো পূর্বেই আপনাকে সাবধান করে দিয়েছিলাম যে আপনি আমার কার্য্য কলাপের ওপর ধৈর্য্য রাখতে পারবেন না।” মুসা (আঃ) সাথে সাথে তার প্রতিশ্রুতি স্বরন করে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে খিযির (আঃ) এর সাথে চলতে থাকলেন।
কিছুদুর চলার পর তারা দেখতে পেলেন কয়েকটি শিশু খেলা করছে, খিযির (আঃ) তার থেকে একটি শিশুকে হত্যা করলেন। মুসা (আঃ) ধৈর্য্য হারা হয়ে বললেন, “এ আপনি কি করলেন একটি নিস্পাপ শিশুকে হত্যা করলেন?” খিযির (আঃ), মুসা (আঃ)কে তার প্রতিশ্রুতির কথা স্বরন করিয়ে দিলে মুসা (আঃ) ক্ষমা চেয়ে তার সাথে আবার পথ চলতে শুরু করলেন। কিছুদুর চলার পর তারা একটি লোকালয়ে পৌছালে সেখানকার অধিবাসীদের কাছে মুসাফির হিসাবে সাহায্যের আবেদন জানালেন, সেখানকার লোকজন যথেষ্ট স্বচ্ছল হবার পরো তাদেরকে কোনরূপ সহায়তা দিল না, এমতাবস্থায় ওই লোকালয়ের একটি বাড়ীর দেয়াল ভেঙ্গে পরার উপক্রম দেখে খিজির (আঃ) স্বপ্রনোদিত হয়ে কোনরূপ পারিশ্রমিক ছাড়াই তা ঠিক করে দিলেন।
মুসা (আঃ) আর সহ্য করতে পারলেন না, তিনি খিযির (আঃ) কে বললেন, “যে লোকালয় আমাদের ক্ষুৎ পিপাসায় কাতর দেখেও সামান্য সহায়তা দিল না, আপনি কিনা সেই লোকালয়েরই একটি বাড়ির দেয়াল বিনা পারিশ্রমিকে ঠিক করে দিলেন?” খিযির (আঃ) বললেন, “আপনার আর আমার মাঝে আলাদা হবার সময় হয়ে এসেছে, কারন আমি যে কাজ গুলো করছি বা সামনে করব তা বোঝার জ্ঞান আল্লাহ পাক আপনাকে দেয় নি, তবে বিচ্ছেদের আগে আপনি আপনাকে বুজিয়ে দেব কেন আমি এই কাজ গুলো করছি।”
প্রথমতঃ নৌকাটির ব্যাপারে কথা এই যে, ওটা ছিল কতিপয় দরিদ্র ব্যক্তির। তারা সমুদ্রে কাজ করত; আমি ইচ্ছা করলাম নৌকাটিকে ত্রুটিযুক্ত করতে, কারণ আমাদের পেছন পেছন আসছিল এক অত্যাচারী রাজা, যে বল প্রয়োগে সকল নিখুঁত নৌকা ছিনিয়ে নিত। আমি যদি এটা না করতাম তবে পেছনের ওই রাজা নৌকাটি দখল করে এই দরিদ্র জেলেদের জীবিকার পথ বন্ধ করে দিত। দ্বিতীয়তঃ শিশুটির ব্যাপার এই যে, এর পিতা মাতা অতিশয় মুমিন বান্দা, বড় হয়ে শিশুটি জালিম এবং কুফরী করে তার মুমিন বাবা মা কে কষ্টে নিপাতিত করবে, তাই এই শিশুকে হত্যা করে আমি আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করলাম তাদের যেন এর পরিবর্তে আর একটি উত্তম শিশু দেয়। তৃতীয়তঃ আর ঐ প্রাচীরটি - ওটা ছিল নগরবাসী দুই পিতৃহীন কিশোরের, তাদের পিতা মাতা তাদের জন্য কিছু সম্পদ ওই প্রাচীরের নিচে রেখে যায়, আল্লাহতায়ালার ইচ্ছা কিশোর দুজন বড় হয়ে ওই সম্পদের অধিকারী হোক, তাই আমি ভঙ্গুর প্রায় প্রাচীরটি আবার ঠিক করে দেই।
পবিত্র কোরানে সুরা আল কাহফে উক্ত জ্ঞানী ব্যাক্তি ( হাদীস দ্ধারা সমর্থিত নাম খিযির আঃ) সন্মন্ধ্যে এই পর্যন্তই আছে। এর বাইরে যা আছে তা বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত অথবা দুর্বল হাদীস যেগুলোর বিশ্বাস যোগ্যতা নেই। যেমন, অনেকেই বলেন খিযির (আঃ) নাকি এখনো জীবিত আছেন? তিনি নাকি “আবে হায়াত” পান করে কেয়ামত পর্যন্ত অমর হয়ে গেছেন, তার সাথে কোরানে বর্নিত যুলকারনাইন বাদশাহর সম্পর্ক নিয়েও অনেক ঘটনা বর্ননা আছে, কিন্তু এগুলোর কোন ভিত্তি নেই। তার জন্ম নিয়েও আছে নানা মত, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া র প্রথম খন্ডে এ নিয়ে বিষদ আলোচনা হয়েছে তবে তার কোনটাই কোরান হাদীস সমর্থিত না।
চলুন এই সব প্রচলিত কাহিনী কিছু জেনে নেই যেমন খিযির (আঃ) কি এখনো জীবিত আছেন? খাদির ‘আলাইহিস সালাম জীবিত আছেন, না ওফাত হয়ে গেছেঃ এ বিষয়ের সাথে কুরআনে বর্ণিত ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই। তাই কুরআন ও হাদীসে স্পষ্টতঃ এ সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। এ ব্যাপারে সর্বকালেই আলেমদের বিভিন্নরূপ মতামত পরিদৃষ্ট হয়েছে। যাদের মতে তিনি জীবিত আছেন, তাদের প্রমাণ হচ্ছে একটি বর্ণনা। যাতে বলা হয়েছেঃ ‘যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওফাত হয়ে যায়, তখন সাদা-কালো দাড়িওয়ালা জনৈক ব্যক্তি আগমন করে এবং ভীড় ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করে কান্নাকাটি করতে থাকে। এই আগন্তুক সাহাবায়ে কেরামের দিকে মুখ করে বলতে থাকেঃ আল্লাহর দরবারেই প্রত্যেক বিপদ থেকে সবর আছে, প্রত্যেক বিলুপ্ত বিষয়ের প্রতিদান আছে এবং তিনি প্রত্যেক ধ্বংসশীল বস্তুর স্থলাভিষিক্ত। তাই তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তন কর এবং তাঁর কাছেই আগ্রহ প্রকাশ কর। কেননা, যে ব্যক্তি বিপদের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়, সে-ই প্রকৃত বঞ্চিত। আগন্তুক উপরোক্ত বাক্য বলে বিদায় হয়ে গেলে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু ও আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেনঃ ইনি খিযির আলাইহিস সালাম। [মুস্তাদরাকঃ ৩/৫৯, ৬০] তবে বর্ণনাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। (পাচ খন্ডে মুস্তাদরাক হাদীস গ্রন্থ খানি লেখা হয় ১০০২-১০০৩ খ্রিঃ, হিজরী ৩৯৩ সালে হাকিম আল নিশাপুরী কর্তৃক যখন তার বয়স ৭২ বছর)
পক্ষান্তরে যারা খিযির ‘আলাইহিস সালাম-এর জীবদ্দশা অস্বীকার করে, তাদের বড় প্রমাণ হচ্ছে-
এক) আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ “আমরা আপনার আগেও কোন মানুষকে অনন্ত জীবন দান করিনি”। [সূরা আল-আম্বিয়ঃ ৩৪] সুতরাং খিযির আলাইহিস সালামও অনন্ত জীবন লাভ করতে পারেন না। তিনি নিশ্চয়ই অন্যান্য মানুষের মত মারা গেছেন।
দুই) আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনের শেষ দিকে এক রাতে আমাদেরকে নিয়ে এশার সালাত আদায় করেন। সালাত শেষে তিনি দাঁড়িয়ে যান এবং নিম্নোক্ত কথাগুলো বলেনঃ “তোমরা কি আজকের রাতটি লক্ষ্য করছ? এই রাত থেকে একশ’ বছর পর আজ যারা পৃথিবীতে আছে, তাদের কেউ জীবিত থাকবে না।’ [মুসলিমঃ ২৫৩৭]
তিন) অনুরূপভাবে, খিযির আলাইহিস সালাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আমলে জীবিত থাকলে তার কাছে উপস্থিত হয়ে ইসলামের সেবায় আত্মনিয়োগ করা তার জন্য অপরিহার্য ছিল। কেননা, হাদীসে বলা হয়েছে “মূসা জীবিত থাকলে আমার অনুসরণ করা ছাড়া তারও গত্যন্তর ছিল না।” [মুসনাদে আহমাদঃ ৩/৩৩৮] (কারণ, আমার আগমনের ফলে তার দ্বীন রহিত হয়ে গেছে।)
চার) বদরের প্রান্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেনঃ “যদি আপনি এ ক্ষুদ্র দলটিকে ধ্বংস করেন তবে যমীনের বুকে আপনার ইবাদতকারী কেউ থাকবে না”। [মুসলিমঃ ১৭৬৩] এতে বোঝা যাচ্ছে যে, খিযির নামক কেউ জীবিত নেই।
এ সব দলীল-প্রমাণ দ্বারা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে, খিযির ‘আলাইহিস সালাম জীবিত নেই। সুতরাং যারাই তার সাথে সাক্ষাতের দাবী করবে, তারাই ভুলের উপর রয়েছে। এটাও অসম্ভব নয় যে, শয়তান তাদেরকে খিযিরের রূপ ধরে বিভ্রান্ত করছে। কারণ, শয়তানের পক্ষে খিযির (আঃ) রূপ ধারণ করা অসম্ভব নয়। [বিস্তারিত দেখুন, ইবন কাসীর প্রথম খন্ড; ইবন তাইমিয়্যাহ, মাজমু ফাতাওয়া ৪/৩৩৭]
এই বার চলুন খিজির (আঃ) কে নিয়ে কিছু প্রচলিত ভ্রান্ত ধারনা জানি, অনেকেই বলেন খিযির (আঃ) বাদশাহ যুলকারনাইন ( অনেকে এই বাদশাহকে সম্রাট আলেকজান্ডার হিসাবে চিহ্নিত করার প্রয়াস পান যার কোন ভিত্তি তো নাইই উপরন্ত এগুলো বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে) এর সিপাহীশালার মতান্তরে তার আত্মীয় ছিলেন এবং তার সাথে আবে হায়াত খুজতে গিয়ে তিনি “আবে হায়াত” পান করে অমর হয়েছেন। সুরা “আল কাহফে” জ্ঞানী ব্যাক্তি (খিযির (আঃ)) এর সাথে মুসা (আঃ) এর ঘটনা বর্ননা করার পরই পর বাদশাহ যুলকারনাইন এর ঘটনা বর্ননা হয়েছে তাই খুব সম্ভবতঃ এমন ভ্রান্ত ধারনা হয়েছে। কিন্তু কোরান শরীফ বা হাদীসের কোথাও এ ব্যাপারে কোন উল্লেখ্য না থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই এই মত গ্রহনযোগ্য হতে পারে না।
আবার অনেক জায়গায় লেখা আছে তিনি তিনি হযরত আদম (আঃ) এর বংশধর (দেখুন আল বিদায়া ওয়ান নিহানা প্রথম খন্ড পৃষ্টা ৭১৯) যাকে অত্যন্ত দুর্বল হাদীস বলা হয়েছে। এর থেকেও মজার ব্যাপার হল কোথাও কোথাও খিযির (আঃ) কে ফেরেশতাও বলা হয়েছে, যা শুধু অযৌক্তিক না নিতান্ত হাস্যকর বলেই প্রতীয়মান।
পবিত্র কোরান আর হাদীসের আলোকে এ কথা সুস্পষ্ট প্রতীয়মান যে খিযির (আঃ) হযরত মুসা (আঃ) এর সমসাময়িক একজন মরনশীল মানুষ মানুষ ছিলেন যাকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কিছু বিশেষ ইলম (জ্ঞান) দিয়েছিলেন। কোরান মাজীদ এবং সহীহ হাদীসের বাইরে যাই থাকুক তা কোন মতেই প্রমান্য হতে পারে না। আল্লাহ সবাইকে সঠিকভাবে কোরান এবং হাদীস বোঝার তৌফিক দান করুক।।
খিযির (আঃ) নিয়ে বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন সাংস্কৃতিতে অনেক প্রথা বিশ্বাস প্রচলিত, অল্প কথায় তা জানতে চাইলে দেখুন Khidr
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৪
শের শায়রী বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ প্রিয় কবি, আপনি কেমন আছেন? সবাইকে নিয়ে সুস্থ্য থাকুন এই কামনায়।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দারুণ একটা টপিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। হযরত খিজির (আঃ ) সত্যিই একজন রহস্যময় মহাপুরুষ ছিলেন।
আরেকটা গল্প প্রচলিত আছে। আল্লাহ হযরত মুসা (আঃ )-এর কাছে মানুষের কলজের মাংস চেয়েছিলেন। হযরত মুসা (আঃ ) কোথাও পান নি, পেয়েছিলেন হযরত খিযির )আঃ )-এর কাছে। কলজের মাংস খাওয়ার গল্পটা ধরতে পেরে থাকলে ওটার উপর আলোকপাত করুন।
এরকম রহস্যময় মহাপুরুষ হযরত আব্দুল কাদের জিলানী, রাবেয়া বসরী, শেখ ফরিদ, মানসুর হাল্লাজ। এদেরসহ ইমাম মাহাদিকে নিয়ে সময় পেলে এরকম রহস্য উদ্ঘাটনমূলক পোস্ট দিয়েন।
৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০
শের শায়রী বলেছেন: সোনাবীজ ভাই, আমি আসলে মানুষের কলজে খাবার গল্পটা জানি না, খিযির (আঃ) কে নিয়ে পবিত্র কোরানে সুরা আল কাহফে ৬৫-৮২ আয়াতে যা কিছু লেখা আছে এর বাইরে যাই থাকুক না কেন তা ধর্মীয় দৃষ্টি কোন থেকে গল্পই শুধু। হ্যা বেশ কিছু মহাপুরুষের কিছু রহস্যময় ঘটনা আছে আপনি যাদের নাম উল্লেখ্য করছেন, সময় পেলে এবং যথাযথ ভাবে রেফারেন্স পেলে অবশ্যই লিখব।
পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: খিজির আঃ সম্পর্কে বেশি কিছু জানা কঠিনতম ব্যাপার। কোরনআনে বিশেষ কিছু লেখা নেই।
আমরা দোয়াও করতে পারি- হে আল্লাহ আমাকের হযরত খিজির (আঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দাও।
৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২
শের শায়রী বলেছেন: খিযির (আঃ) একজন মরনশীল মানুষ ছিলেন এবং স্বাভাবিক ভাবেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয় যা পোষ্টে আলোচনা করছি রাজীব ভাই, সুতারাং তার সাথে দেখা হবার সম্ভাবনা নাই বলেই আমার ধারনা।
পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
হযরত মুসা (আ: )'এর থলিতে রাখা ভাজা মাছ প্রাণ ফিরে পেয়ে পানিতে চলে গেছে, ইহা বিশ্বাস করে, আপনি ব্লগে পোষ্ট দিলেন! ভালো। দেশে শতকরা কতজন মানুষ এই ধরণের কথা বিশ্বাস করেন?
৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী আমার বিশ্বাসের কথা বাদ দেন, আপনার বিশ্বাস নিয়ে কিছু একাডেমিক প্রশ্ন করি,
১। ক্লোন করে যে হুবহু আর একটা প্রানী (অবশ্যই এখনো জানামতে মানুষ না শুধু পশুদের) তৈরী করছে সেটা কি আপনি বিশ্বাস করেন?
২। আমরা জানি, বাঘের পেটে বাঘ হবে, সিংহের পেটে সিংহ হবে, কিন্তু দুটোর মিলনে যে মানুষ একটা নতুন প্রজাতি তৈরী করছে তা কি আপনি বিশ্বাস করেন?
৩। ল্যাজারাস ইফেক্ট কি ভুয়া? যদি হয় তবে কেন বিজ্ঞানীরা এই টার্ম ইউজ করে, আর না হলে ব্যাখ্যা কি?
৪। কেন বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে আলোচিত স্থান এবং ব্যাক্তি বিশেষদের বর্তমান বিজ্ঞান খুজে চলছে যদি এই সব ধর্মগ্রন্থগুলোর কোন মুল্যই না থাকে? প্রসঙ্গত শেবার রানীর “ইরাম” নগরী খুজে পাবার দাবী কেন বিজ্ঞানীরা করছেন?
৫। পৃথিবী কি বিগ ব্যাং নামক এক বিস্ফোরন থেকে তৈরী হয়েছে? কিভাবে সামান্য এক বিন্দু থেকে এত বড় সম্প্রসারনশীল মহাবিশ্ব তৈরী হল?
প্রশ্ন আরো অনেক আছে, উত্তর আমি জানি না, যেহেতু আপনি যৌক্তিক একজন বিজ্ঞান মনস্ক আশা করি এগুলোর জবাব দেবেন।
আপনি প্রশ্ন রেখেছেন “দেশে শতকরা কতজন মানুষ এই ধরণের কথা বিশ্বাস করেন?” এর উত্তর হল দেশে না এই বিশ্বের এক বিলিয়নের ওপর মুসলমান এটা বিশ্বাস করে। তাদের কথা বাদ দিন, আপনার কাছ থেকে উপরোক্ত প্রশ্ন কয়টির জবাব পাবার পর অন্য আলোচনায় যাব।
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৪
আল ইফরান বলেছেন: সুন্দর বিষয়ে লিখেছেন, শের শায়েরি ভাই।
আমি ছোটবেলায় আব্বার মুখে অনেক গল্প শুনতাম ওনার সম্পর্কে, যার অধিকাংশই সিরাতুল আম্বিয়া ভিত্তিক ছিলো।
যতদুর জানি চট্রগ্রামের সাম্পানওয়ালারা তাদের দৈনন্দিন যাত্রা শুরু করে খিজিরের নামে।
সপ্ত আসমান আর সপ্ত জমিনের মধ্যে আল্লাহ আমাদের জন্য কত রহস্য তৈরি করে রেখেছেন !
৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৪
শের শায়রী বলেছেন: ইফরান ভাই, আপনি ইবনে হিশাম পড়ে দেখতে পারেন, এর পাশাপাশি অন্য তাফসির ও পড়তে পারেন, তবে তার আগে অবশ্যই সে সংক্রান্ত কোরান ও হাদীস দেখার অনুরোধ রইল সেক্ষেত্রে আপনি নিজেই জাজ করতে পারবেন কোনটা কতটুকু গল্প, কোনটা কতটুকু সত্য। সিরাতুল আম্বিয়া, বা কাসাসুল আম্বিয়া এই সব গ্রন্থ বিভিন্ন তাফসীরের রূপ, তবে এর মাঝেও অনেক কিছু ঢুকছে যার কোন ভিত্তি নেই, সেটা বুজতে গেলে আপনাকে কিছু ব্যাসিক বই দেখতে হবে, আপনিই তখন বুজবেন আসলে কোনটা কি।
পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:০৮
নতুন বলেছেন:
রাসুল সা: ভবিষ্যত জানতেন না। ভবিশ্যত জানার কথা শুধু সৃস্টিকতার। এটাই ইসলামের বিশ্বাস। খিজির আঃ যেই কাজগুলি করেছেন সেটা মোতাবেক তিনি ভবিশ্যত জানতেন।
ভাজা মাছ জ্যান্ত হয়ে আবার পানিতে চলে যাওয়া।
রাজার নিখুত নৌকা দখলে নেওয়া।
এবং সব চেয়ে হাস্যকর হলো একটা শিশু হত্যা করা।
শিশু হত্যা করার কোন যুক্তি হতে পারেনা। আল্লাহ যদি ঠিক করেই রাখে যে ঐ শিশুটি জালেম হবে তবে তিনি কি আল্লাহের পরিকল্পনা পাল্টে দিলো না?
ঐ শিশুটির হায়াত ছিলো সে বড় হয়ে জালেম হবে। তিনি যখন হত্যা করছেন তখন আজ্রাইল আ: ঐ ছেলেটির রুহু নিতে আসছে হয়েছে কিন্তু ঐ ছেলেটির হায়াত ছিলো।
তাহলে হায়াত থাকা অবস্থায় তিনি শিশু হত্যা করে আল্লাহের পরিকল্পনা পাল্টে দিলেন
৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৫:৫৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জের মানুষরা খিজির আঃ সম্পর্কে জানে উনি জীবিত।
মুলত ওয়াজের মাধ্যমেই জানে।
৮| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট নিঃসন্দেহে। আপনি খিজির (আঃ) সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়েছেন আর ভ্রান্ত তথ্য গুলি থেকে আমাদের সতর্ক করেছেন। কোরআন বা হাদিসে কিছু বর্ণনা আছে যা মুলত ইতিহাস বা প্রাচীন ঘটনা সম্পর্কিত। এগুলি নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কোনও প্রয়োজন নাই। আমাদের ইমান, আমল এগুলির সাথে সম্পৃক্ত নয়। তবে কোরআন ও সহি হাদিসে যতটুকু আছে ততটুকু বিশ্বাস করা জরুরী। এর বাইরে নয়। খিজির (আঃ) নবী ছিলেন কি না এটা নিয়ে মতভেদ আছে। অনেক আলেম ওনাকে নবী বলেছেন অনেকে বিপরীত বলেছেন। নবী ও রসুলদের মোজেজার ব্যাপারটা বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে। এটা খ্রিষ্টান ও ইহুদি ধর্মেও আছে। আমাদের রসুলও (সাঃ) কিছু মোজেজা প্রদর্শন করেছেন। মোজেজার মাধ্যমে নবীর সত্যতা প্রকাশ পায়। অবিশ্বাসীদের কাছে এসব কথা ভালো লাগবে না। অনেক অবিশ্বাসী বলে চাঁদ যদি দ্বিখণ্ডিত হয়ে থাকে তবে এতে বিজ্ঞানীরা ফাটল পেল না কেন। ব্যাপার হোল আল্লাহ কি ফাটল রেখে জোরা দেবেন। এই বিশ্ব জাহান যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি কি নিখুঁতভাবে চাঁদের ফাটল জোরা লাগাতে পারবেন না।
৯| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৩
রাশিয়া বলেছেন: নতুন একটা চমৎকার প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন। কোরআনে বর্ণীত বিষয় নিয়ে তর্ক করার কোন অবকাশই নেই, কিন্তু তারপরেও কুরআনে বর্ণীত সমস্ত ঘটনার যৌক্তিক ব্যখ্যা অবশ্যই আছে। কুরআনের বর্ণনা অনুসারে খিজিরকে কোন মহৎপ্রাণ ব্যক্তি বলে মনে হয়না, বরং খামখেয়ালী একজন একরোখা উদ্ধত ব্যক্তি বলেই মনে হয়। আল্লাহ্র নবী মূসা (আ) তার সঙ্গে থেকে অতিষ্ট হয়ে গিয়েছিলেন। খিজির যখন ঘটনাগুলোর ব্যখ্যা দিচ্ছিলেন, তখন মূসা (আ) যে তার যুক্তি গুলো মেনে নিয়েছিলেন - এমন কোন ইঙ্গিতও কুরআনে দেয়া হয়নি।
বলুন তো, আল্লাহ্ যদি কাউকে জানিয়েও দেন যে অমুক শিশুটি বড় হয়ে বাবা মায়ের জন্য অশান্তির কারণ হবে বা ডাকাত হবে - তারপরেও কি আল্লাহ্ কাউকে অনুমতি দেবেন ঐ শিশুকে হত্যা করার? হয়তো শিশুটিকে আল্লাহ্ হেদায়াতও করতে পারেন। মক্কা বিজয়ের সময় রাসূল (স) ঘোষণা দিয়েছিলেন, ইকরামা বিন আবু জেহেলকে যদি কাবা ঘরের গিলাফের নিচেও পাও, তাঁকে হত্যা কর। দেখুন তো, সেই ইকরামার যুদ্ধ মুতা'র যুদ্ধে কি গৌরবজনকভাবে হল!
খিজিরের কর্মকান্ডে আমি জ্ঞানী হবার কোন আলামত পাইনি।
১০| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে সবার মন্তব্য গুলো পড়ে ভালো লাগলো।
১১| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ইনফরমেটিভ পোস্ট। সূরা কাহফ পড়তে গিয়ে হযরত মূসা(আ) এর সাথে হয্রত খিযির(আ) এর ইন্টার্যাকশানের কথা জেনেছিলাম। তবে তিনি নবী ছিলেন কিনা সে বিষয়ে পোস্টে কোন আলোকপাত করা হয়নি।
আবে হায়াতের পানি পান করার কারণে তিনি কেয়ামত পর্যন্ত জীবিত থাকবেন-এমন কথা শুধু শুনেই এসেছি, কোন সলিড রেফারেন্স পাইনি। আল্লাহ ভাল জানেন।
পোস্টে ভাললাগা রইল।
১২| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:২৫
কানিজ রিনা বলেছেন: আল্লাহ্ বলেছেন আমি কোরআনের ব্যাখ্যা দিয়েছি বিস্তৃত ও বিস্তির্ন অনুবাদ স্বরুপ া অর্থাৎ কোরআন সংকলিত হয়েছে
সাতটি ভাষায়, কিছু ভাষায় কোরআনের ব্যাখ্যা মিলানো কঠিন , কারন কোরআনের গ্রামার খোদ আরবীয়রাও বুঝেনা াুু
আর আরবীয়রা সব সময় মুর্খ থেকেছে আরবী গ্রামারে া যাহারা কোরআনের আরবী গ্রামারে শিক্ষিত তারা বাংলা ভাষায়
তেমন ভাবে অর্থ লিপিবদ্ধ কতটুকু গ্রামার বুঝেছেন জানিনা া তথাপি জ্ঞানী বিশ্বাসীরা নিজের জ্ঞান পরিধির বিবেচনায় বুঝে
নেবেন ও অন্যকে বুঝতে সহায়তা করবেন া বিস্তির্ন ব্যাখ্যার বিস্তৃত অনুবাদ করবেন শুধু জ্ঞানী প্রজ্ঞাবান ব্যাক্তি এবং
জ্ঞানী ব্যাক্তিদের জন্যই কোরআন া যদুমদুদের গাল গল্পের জন্য নয় ,আপনার আমার বিশ্বাসও সাধারন মানুষের জন্য
নয় া তথাপি অবিশ্বাসীরা তাদের ব্লক্ড জ্ঞান দিয়ে যা বলার তাই বলবে া ধন্যবাদ,
১৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০৩
কল্পদ্রুম বলেছেন: কুর'আনের যে কটা আশ্চর্যজনক চরিত্র আছে তার ভিতরে খিজির (আঃ) অন্যতম।বাংলার পুথি সাহিত্যেও আলী,হামজা,সুলেমান নবীর মতো খিযির চরিত্রটাও আসতো।আহমদ ছফার লেখাতে পড়েছিলাম এরকমটা।যতদূর মনে পড়ছে।চট্টগ্রামে বাবা লোকনাথ এবং খিযির (আঃ) কে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার জন্য বেশ সমীহ করতে দেখেছি।খিযির (আঃ) যদি আদম (আঃ) এর বংশধর হওয়ার হাদীস দুর্বল হয়ে থাকে আর উনি যদি ফেরেশতা না হয়ে থাকেন তাহলে উনি কি? জ্বীন?এর পরের প্যারাতে আবার কুর'আন এবং হাদীসের আলোকে তিনি মরণশীল মানুষ ছিলেন লেখা।ব্যাপারটা ঠিক বুঝি নি।খিযির (আঃ) এবং মুসা (আঃ) এর ঘটনার বিশ্বাস অবিশ্বাস নিয়ে দুইরকম মন্তব্য দেখা যাচ্ছে।আমার চিন্তা একটু ভিন্ন।আলাদা করে লিখছি।
১৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালো লেগেছে আপনার পোষ্ট !
ডিটেইলস জানতাম না এই রহস্যময় মহাপুরুষের। বিভিন্ন সময়ে ছোট ছোট কাহিনি পড়েছি।
১৫| ০১ লা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮
ইসিয়াক বলেছেন:
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো প্রিয় ভাইজান/প্রিয় ব্লগার।
ঈদ মোবারক ।
১৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৪১
সোহানী বলেছেন: কিছুদিন পর পরই আপনার লাইগা হারানো বিজ্ঞপ্তি দিতে হয় । আবার কই হারাইলেন। ফিরা আসে তাড়াতাড়ি........
১৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
Good writings... +
১৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ম্যা ভাই,
বহুত জটিল কইরা ফেলছেন বিষয়টারে! না রইলেন বিশ্বাসে, না রইলেন ইয়াকিনে!
ইয়াকিনের ৪ প্রকারতো আপনি অবহিতই আছেন।
এখন বিল গায়বে ইয়াকিন দিয়ে যদি আয়নাল ইয়াকিন বা হাক্কাল ইয়াকিন ব্যাখ্যা করতে চান যা হবার তাই হয়েছে।
প্রথম কথা হলো উনার উপস্থিতর কথা মানুষ জানতো না। আল্লাহই অবগত করালেন মূসা আ: এর মাধ্যমে
তারপর সাক্ষাতের যে বিস্তারিত বর্ণনা, পথ পদ্ধতি সবই কিন্তু প্রচলিত বোধ এবং জ্ঞানের উর্ধের।
যা সকল ক্ষেত্রেই বিশেষায়িত স্তরের নির্দেশ করে।
এবং আল আমিন নবী মোহাম্মদ সা: এর কোন কথা নিয়েতো বিশ্বাসীদের কোন সন্দেহই থাকতে পারে না। তিনি উনার নামকরণে যে কথা বলে গেছেন তা কি বিস্ময়কর নয়? কোন সাধারণ মানুষের কি এই ক্ষমতা থাকতে পারে? তিনি্ আল্লাহর ঘোষিত আল্লাহর বিশেষায়িত অনুগ্রহ প্রাপ্তদের একজন।
মৃত মাছ, জীবিত হওয়া, পানিতে পথ করা, এবং দুই সমুদ্রের মিলন স্থলে উনার বসবাস/সন্ধান মেলানো!
এগুলোকি এতইটাই হালকা বিষয় যে শরয়ী দু চার পাতা জ্ঞান দিয়ে মিলিয়ে ফেলবেন। যদি মিলতো তবে মূসা আ: কে উনার সন্ধানই দেয়ার প্রয়োজন হতো না।
উনার জীবিত থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা আরেক বাতুলতা।
কারণ, হযরত মূসা আ: থেকে হযরত মোহাম্মদ সা: পর্যন্ত কত সময়?
এ পর্যন্ত কি কোন স্বাভাবিক মানুষ বেঁচে থাকার কথা? কিন্তু সাহাবায়ে কেরাম গণের উনার সাক্ষাৎলাভ প্রমাণ করে এই দীর্ঘ জীবন তিনি জীবিতই ছিলেন। নইলে দেখা পেলেন কি প্রকারে?
পুথিগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন।
মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমির পুথিগত সকল জ্ঞানকে কুয়োয় নিক্ষেপ করেছিলেন শামস তাবরেজ রহ:!
যা ফিরিয়েও দিয়েছিলেন পলকে। তারপর? সব বিসর্জন দিয়ে যে সত্য জ্ঞান লাভ সেই পথে গিয়েই রুমি রুমি হয়েছিলেন।
কাগুজে বিদ্যায় নয়।
আর উনার সাক্ষাত লাভকে শয়তান দর্শন বলেতো মহাপতাকির কাজ করেছেন ম্যা ভাই!
কারণ আল্লাহর পবিত্র বান্দাদের রুপ শয়তান কখনোই ধরতে পারে না। আর তিনিতো বিশেষ ভাবে পবিত্র কোরআনে স্থান পাওয়া এক অনন্য স্বত্তা। উনাকে নিয়ে এমন সন্দেহ বা ভাবনা আপনার বিশ্বাসের দুর্বলতাকেই নির্দেশ করবে।
আল্লাহ বলেন,
إِنَّهُ لَيْسَ لَهُ سُلْطَانٌ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ
‘যারা আল্লাহর ওপর ঈমান আনে এবং নিজেদের রবের ওপর নির্ভর করে, তাদের ওপর শয়তানের কোনো আধিপত্য নেই।’ (সূরা আন-নাহ্ল:১০০)
কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে (ইবলিস) বলল, হে আমার পালনকর্তা, আপনি যেমন আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, আমিও তাদের সবাইকে পৃথিবীতে নানা সৌন্দর্যে আকৃষ্ট করব এবং তাদের সবাইকে পথভ্রষ্ট করব। আপনার মনোনীত বান্দারা ছাড়া (তাদের কোনো ক্ষতি আমি করতে পারব না)।’ (সুরা হিজর, আয়াত : ৩৯-৪০)
কোরআনের আয়াত দিয়েই প্রমাণ হলো শয়তান আল্লাহর মনোনীত বান্দাদের কাছেও ভিড়তে পারে না। রুপ ধরাতো দু:স্বপ্নরে বিষয়। অলি আউলিয়া, গাউস, কুতুব সহ আল্লাহর প্রিয় সকল বান্দারাই আল্লাহর মনোনীত। আর খিজির আ: তো সরাসরি আল্লাহর কিতাবে বর্ণিত মনোনিত বান্দা।
তাই জ্ঞানের চতুর্মাত্রিক ভুবনে যদি এক মাত্রায় দাড়িয়ে কেউ বলে -আমি যা জানি এটাই সব, সে বোকার স্বর্গে বাস করছে।
পুথিগত বিদ্যার বাইরে আরো তিন প্রকারের বিদ্যা জ্ঞান রয়েছে ম্যা'ভাই! যদি পারেন সেই সমুদ্রে ডুব দিন। নিজেই নিজের ভাবনার অসরতা ভেবে জিভ কাটবেন!
ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা শুভকামনা রইল অন্তহীন
১৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।
২০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৪
সত্যপীরবাবা বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।
একই আশা এবং জিজ্ঞাসা আমারো --- আপনি অনেক দিন ব্লগে নাই।
২১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:০৮
অধীতি বলেছেন: বিষয়টি অনেক জটিল।এ নিয়ে নিশ্চিত ফয়সালা না দেয়াই ভালো। কারণ দু'পক্ষের বিশ্বাসীদের ভেতর আলেমগণ আছেন।
২২| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৬
মিরোরডডল বলেছেন:
কি অবস্থা শায়রী ? হোপ অল গুড ।
এর আগেও ডুব মারা হয়েছিলো ।
এখন আবারও মোর দেন টু মান্থস ।
মাঝে মাঝেতো একটু ঢু মেরে যেতে হয় ।
সবাই জানবে যে শায়রী ভালো আছে ।
তারপর না হয় আবার পাখি উড়াল দেবে ।
২৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার আশু প্রত্যাবর্তন কামনা করছি। কবে আসবেন সেটা অন্তত বলে দেন আমাদের।
২৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২
সোহানী বলেছেন: আরে আর কতদিন আত্মগোপনে থাকবেন। আপনার জন্য অপেক্ষা করতে করতে ধৈর্য্যহারা হয়ে গেছি।
যেখানেই থাকেন যেমনই থাকেন তাড়াতাড়ি আসেন......................
২৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: এ বিষয়ে আমার খুব বেশি জানা ছিল না, শুধু সুরা কাহফ এ উল্লেখিত অংশটুকু ছাড়া। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানলাম, আবার বিদ্রোহী ভৃগু এর মন্তব্যটা পড়েও মনে অনেক ভাবনার উদয় হলো। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন আমাদের সবাইকে উপকারী জ্ঞান দান করুন!
আপনার অকস্মাৎ অনুপস্থিতিতে আরো অনেকের মত আমিও উদ্বিগ্ন বোধ করছি। আশাকরি দ্রুত ব্লগে এসে আপনার কুশল জানিয়ে যাবেন।
আপনার প্রথম পোস্টটাতে একটা মন্তব্য রেখে এসেছি।
২৬| ২০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:০৬
২৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:০০
ইসিয়াক বলেছেন: ভাইজান আপনি কি আর ব্লগে আসবেন না? আপনার নতুন পোস্টের আশায় রইলাম। নিশ্চয় ভালো আছেন?
২৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
খিজিরের বয়স বাড়ছে, আপনি কোথায়?
২৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৩৪
আলামিন১০৪ বলেছেন: ব্রো আপনি কোথায়, আওয়াজ দেন।
৩০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৯
বিজন রয় বলেছেন: আপনি কেমন আছেন?
লগইন সমস্যা না হলে নতুন পোস্ট নিয়ে চলে আসুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৮
ইসিয়াক বলেছেন: কেমন আছেন প্রিয় ভাইজান?