নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
রাজা ডেভিডের রাজত্বের সীমা
বেশ কিছুদিন আগে ইজরাইলীদের ইতিহাস লেখা শুরু করছিলাম। এক পর্যায়ে দুই পর্ব লিখেও ফেলছিলাম বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতেঃ
ইসরাইলিয়দের ইতিহাস যেভাবে তাদের উৎপত্তি (প্রথম পর্ব)
ইসরাইলিয়দের ইতিহাস যেভাবে তাদের উৎপত্তি (দ্বিতীয় পর্ব)
কিন্তু সমস্যা হল ইজরাইলীদের ইতিহাস লিখতে গেলে কোন প্রমান্য পাওয়া যায় না, মুলতঃ ওল্ড টেষ্টামেন্ট বা তাওরাত বা তোরাহ ওপর নির্ভরশীল এই ইতিহাস। তারপরো এর মাঝ থেকে যেটুকু নির্যাস সম্ভব হয়েছে সেটুকু লিখে যাবার প্রচেষ্টা। এইই শেষ এ সংক্রান্ত পোষ্ট আর লিখব না।
নবী স্যামুয়েল রাজা সলকে অভিষেক করাচ্ছেন
১৪৪৫ খ্রিষ্টপূর্বে কোনান বিজয়ের মাধ্যমেই শুরু হয় ইহুদীদের বিজয় ইতিহাস। ১০৯৫ খ্রিষ্টপূর্ব পর্যন্ত সল এর সম্রাট হিসাবে অভিহিত হবার আগে “জিহোভা”র (ইহুদীরা সৃষ্টিকর্তাকে এই নামেই ডাকত) নামে এক ধর্ম ভিত্তিক শাষন ব্যাবস্থা। শাষক ছিলেন বিচারকরা। তাদের বলা হত ইজরাইলের নেতাদের প্রধান। মোজেস বা মুসা (অঃ) দিয়ে ইজরাইলীদের শুরু এরপর জোসুয়া এসে কোনান বিজয়ের মাধ্যমে একে একটা রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে এই বিচারক ভিত্তিক শাষন ব্যাবস্থা নষ্ট হয়ে যায়, তখন সাধারন মানুষের ওপর নির্দেশ থাকে তাদের দৃষ্টিতে যা ভালো সে অনুযায়ী কাজ করার। মুলতঃ এতে কোনানে এক বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে জনগন একজন রাজা দাবী করে। জনগনের দাবীর মুখে বেঞ্জামিন গোত্রের কিশের পুত্র সলকে রাজা হিসাবে নির্বাচিত করা হয়, এবং তৎকালীন নবী স্যামুয়েল তার অভিষেক প্রদান করেন। এই ঘটনার সাথে সাথে শুরু হয় ইজরাইলের ইতিহাসের দ্বিতীয় অধ্যায়।
সুরা বাক্কারার আয়াত
আমার এই লেখা তোরাহ এবং পশ্চিমি ইতিহাসবিদদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে লেখা কিন্তু এখানে মুসলমানদের দৃষ্টিকোন থেকে প্রসঙ্গক্রমে এই রাজা সল এবং স্যামুয়েল কে সামান্য দু চার লাইন লেখার লোভ সামলাতে পারলাম না। তোরাহ তে উল্লেখিত রাজা সল (কোরানে উল্লেখিত তালুত) যার উল্লেখ্য পাবেন সুরা বাক্কারা ২৪৮, ২৪৯ আয়াতে। আর স্যামুয়েল হল ইসলামিক স্কলারদের উল্লেখিত হযরত শামাবিল (আঃ) যার কথা কোরান শরীফে সরাসরি উল্লেখ্য না থাকলেও সুরা বাক্কারা ২৪৭-২৬৪ আয়াতে যে নবীর কথা উল্লেখ্য আছে ইনিই হযরত শামাবিল (আঃ) যাকে তোরাহতে স্যামুয়েল নামে উল্লেখ্য করা হয়েছে। যাই হোক এ ব্যাপারে আপাততঃ প্রসঙ্গ বাড়াব না সেক্ষেত্রে মুল ব্যাপার থেকে দৃষ্টি অন্য দিকে সরে যাবে।
সল ছিলেন একজন যোদ্ধা। ফলে কোনানের পুরোহিতরা তাকে সহ্য করতে পারত না। সিংহাসনে বসেই তিনি আশেপাশের অঞ্চলগুলোর সাথে যুদ্ধ ঘোষনা করেন। যার মধ্যে প্রথম ছিল আমোনিয়ার, এরপর প্যালেষ্টাইন হামলা করেন তিনি যা “ব্যাটল অভ মিশমাচ” নামে খ্যাত। এরপর একে একে আরো যুদ্ধ হয়। রাজার এই যুদ্ধবাজ মনোবৃত্তি পুরোহিত এবং সাধারন জনগনের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এই পর্যায়ে পটভুমিতে আবির্ভাব হয় ডেভিডের ( যাকে ইসলামে দাউদ (আঃ) নামে অভিহিত করা হয়)।
হার্প বাজিয়ে ডেভিড রাজা সলকে সুস্থ্য করে তোলেন
ডেভিড ছিলেন ইতিহাসের একজন শ্রেষ্ঠ রাজা। বাইবেলের তথ্য অনুযায়ী তিনি ছিলেন জেসের পুত্র, জন্ম জুডাহর বেথেলহেমে ১০৮৫ খ্রিষ্টপূর্বে। জেস ছিলেন ওবেদের পুত্র এবং বোয়াজ ও রুথের নাতি। বোয়াজ ছিলেন জুডাহের পুত্র ফারেজের বংশধর। যৌবন ডেভিড খুব সুরেলা গলার অধিকারী ছিল (একই কথা কোরান শরীফেও উল্লেখ্য আছে)। বলা হয়, যৌবনে রাজা সল “অশুভ শক্তি”র কারনে খুব পীড়িত হয়ে পরে। ডেভিড হার্প বাজিয়ে তাকে সুস্থ্য করে তোলেন।
ডেভিড এবং গোলিয়াথ এর যুদ্ধ
১০৬৩ খ্রিষ্টপূর্বে যখন ইজরাইলের সাথে প্যালেষ্টাইনের যুদ্ধ বাজে তখন ডেভিড রাজা সলের প্রসাদ থেকে বিদায় নিয়ে বেথেলহেমে নিজের বাড়ীতে ফিরে আসেন। এক পর্যায়ে দেখেন দুই সেনাবাহিনী পরস্পর যুদ্ধ সাজে যুদ্ধের প্রস্ততি নিচ্ছে তখন তিনি কোনানের (যা ইজরাইল নামে পরিচিত) রাজা সলের অনুমতি নিয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্রে আসেন কারন ততদিনে কোনানের রাজা সলের সাথে তার খুব ভালো সম্পর্ক তৈরী হয়েছে যদিও তিনি প্যালেষ্টাইনের অধিবাসী ছিলেন, সেখানে প্যালেষ্টাইনী দৈত্য গোলিয়াথ ডেভিডকে দ্বৈত যুদ্ধের জন্য আহ্বান জানান। ডেভিড একটা গুলতি হাতে নিয়ে পাচটি পাথর নিয়ে গোলিয়াথের মুখোমুখি হন এবং গুলতি দিয়ে গোলিয়াথকে আঘাত করেন যাতে গোলিয়াথ পরাজয় বরন করে। মিথোলজিতে এটা ডেভিড গোলিয়াথের যুদ্ধ নামে পরিচিত। (ইসলামে এটা তালুত জালুতের যুদ্ধ নামে পরিচিত।)
ডেভিড পালিয়ে গিয়ে জুডিয়ার বুনো অঞ্চলে আশ্রয় নেয়
এরপর রাজা সল খুশী হয়ে ডেভিডের সাথে তার মেয়ে মিচালের বিয়ে দেন এবং সেনাবাহিনীতে চাকুরী দেন। খুব অল্প সময়ের মাঝে ডেভিড সেনাবাহিনীতে উন্নতি করেন এবং সাধারনের ভালোবাসা পান। কিন্তু এটা তার জন্য ভালো কিছুই আনে না কারন রাজা সল ডেভিডের উপর হিংসাবোধ করেন। এবং কয়েকবার তাকে হত্যা চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ডেভিড পালিয়ে গিয়ে জুডিয়ার বুনো অঞ্চলে আশ্রয় নেয় (১০৫৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। এখানে কিছু সৈন্য তার সাথে যোগ দেয়। ডেভিড কয়েকবার সুযোগ পেয়েও নিজ শ্বশুর রাজা সলকে হত্যা করেনা কারন সে রাজার রক্তে নিজ হাত রঞ্জিত করতে চায় না।
এরপর ডেভিড প্যালেষ্টাইন পালিয়ে যায়। সেখানে তাকে সল এবং ইজরাইলের শত্রু হিসাবে সাদরে গ্রহন করা হয়। প্যালেষ্টাইনের রাজা তাকে এবং তার অনুসারীদের জিকলাগ শহরে বসবাসের অনুমতি দেয়। ১০৫৫ খ্রিষ্ট পূর্বে প্যালেষ্টাইনের সেনাবাহিনী ইজরাইলের ওপর আক্রমনের নিমিত্তে জড়ো হলে ডেভিড প্যালেষ্টাইনের পক্ষে যুদ্ধ করতে চায়। কিন্তু প্যালেষ্টাইনের সেনাপ্রধানরা ডেভিডকে বিশ্বাস করে না। কারন তার শ্বশুর ইজরাইলের রাজা সল। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ডেভিড যুদ্ধে অংশ না নিয়ে নিজ শহর জিকলাগে ফিরে আসেন।
ডেভিড কর্তৃক আমালকিয়াদের হত্যা
সেখানে এসে দেখেন আমালকিয়ারা জিকলাগ আক্রমন করে ডেভিডের স্ত্রী পুত্র কন্যাদের বন্দী করে পুরা জিকলাগ শহর মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে, এ পরিস্থিতিতে ডেভিড আমালকিয়াদের পিছু ধাওয়া করে নিজ স্ত্রী সন্তানদের উদ্ধার করে সব আমালকিয়াদের হত্যা করে এবং তাদের লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করে। মাত্র ৪০০ আমালকিয়া তার হাত থেকে পালিয়ে বেচেছিল।
ওদিকে প্যালেষ্টাইন এবং ইজরাইলীদের মাঝে যুদ্ধে প্যালেষ্টাইনীরা বিজয়ী হন। ইজরাইলীরা গিলবোয়া পাহাড়ে পালিয়ে যায় সেখানে সলের এক পুত্র বাদে সবাই নিহত হয়। এবং গুরুতর আহত সল তলোয়ারের ওপর ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। সলের বেচে যাওয়া পুত্র ইশবোশেথকে ইজরাইলের রাজা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ওদিকে এক মাত্র জুডাহ গোত্র ছাড়া সবাই ইশবোশেথকে মেনে নেয়। এই জুডাহ গোত্রের প্রধান ছিল ডেভিড। প্রায় সাত বছর ইশবোশেথ রাজত্ব করার পর আততায়ীর হাতে নিহত হলে ডেভিডের জন্য ইজরাইলের সিংহাসনে বসার পথ খুলে যায়।
কিং ডেভিড
সিংহাসনে বসেই ডেভিড জেরুজালেম দখল করেন। যা ছিল জেবুসীয়দের প্রধান নগরী। যাকে তারা বলত জেবুস। ১০৫৫ খ্রিষ্টপূর্বে ডেভিড রাজা হবার পর জেবুস সালেম বা জেরুজালেমকে নিজের রাজধানী ঘোষনা করেন। পরবর্তী তেত্রিশ বছর এখান থেকেই রাজা ডেভিড রাজত্ব করে। ১০৪৫ খ্রিষ্টপূর্বে রাজা ডেভিডের নির্দেশে আর্ক অভ কভেন্যান্ট কিরজাথ জিয়ারিম থেকে জেরুজালেমে নিয়ে আসা হয় এবং একটি অস্থায়ী উপাসনালয়ে রেখে দেয়া হয়। ১০১৫ খ্রিষ্টপূর্বে চল্লিশ বছর রাজত্ব করার পর মারা যান ডেভিড। ইজরাইলের সিংহাসনে বসা শাষকদের মাঝে তিনি ছিলেন সব থেকে বিখ্যাত। তারপর সিংহাসনে বসেন তার পুত্র সলোমন। যিনি ছিলেন বাথসেবার গর্ভে ডেভিডের পুত্র। রাজা ডেভিড ছিলেন প্রথম ব্যাক্তি যিনি অস্থায়ী উপাসনালয়ের বদলে স্থায়ী তীর্থ স্থানের প্রস্তাব দেন। মন্দিরের নকশা এবং স্থান ডেভিড নির্বাচন করলেও মন্দির নির্মানের ঐশী নির্দেশ তার ওপর ছিল না, সে দায়িত্ব বর্তায় তার ছেলে সলোমনের ওপর।
কিং সলোমন টেম্পল
রাজা সলোমন তার রাজত্বের চতুর্থ বছরে, ১০১২ খিষ্টপূর্বে রাজা সলোমন এই মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ইতিহাসে যা কিং সলোমন টেম্পল নামে প্রসিদ্ধ। সে আর এক মহা ইতিহাস। আগেই এনিয়ে পোষ্ট দিয়েছিলাম। জানতে চাইলে এক নজর ঘুরে আসুন কিং সলোমন টেম্পল
সুত্রঃ দ্যা অরিজিন অভ ফ্রি ম্যাসনারি, কাসাসুল আম্বিয়া, হিব্রু থেকে ইহুদী এবং অন্তর্জাল। ছবি অন্তর্জাল।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৪৮
শের শায়রী বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন। পাঠান্তে কেমন লাগল জানালে খুশী হব ভাই।
২| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট টি পড়ে শেষ করলাম।
এখন রাত ৩ টা ৭ মিনিট।
ঘুমাতে যাই। শুভ রাত্রী।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:১২
শের শায়রী বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা সহকারে শুভ রাত্রি রাজীব ভাই। আমিও ঘুমাতে যাব আবার ফযরের সময় উঠতে হবে।
৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার পোষ্টের ১ম লাইনে লিখেছেন, " বেশ কিছুদিন আগে ইজরায়েলীদের ইতিহাস লেখা শুরু করেছিলাম।"
-আপনিই কি ইজরায়েলীদের ইতিহাস লিখেছেন?
২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:২২
শের শায়রী বলেছেন: পড়তে পড়তে কিছু টুকে রেখেছিলাম, সেখান থেকে তিনটার একটা সিরিজ করছি। পাশাপাশি আরো দুটো আলাদা পোষ্ট দিয়েছি। এর বেশি কিছু না মুরুব্বী। আর লিখব না খুব ঝামেলার কাজ। প্রায় জায়গায় ই সময়ের গড়মিল দেখা যায় খাপ খাওয়ানো খুব মুশকিল।
৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি ইজরায়েলের ইতিহাস রিভিউ করছেন, আপনি উহা লিখেননি। ইতিহাস রিভিউ করে, এনালাইসিস করে, উহাকে সঠিভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, একটা বড় ধরণের কাজ।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৬
শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী আপনি ঠিক আমি ইতিহাস লিখি না। ইতিহাস লিখিত হয়ে আছে, সেটাকে কেউ কেউ কাগজে তুলে আনে হয়ত তার মাঝে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি যোগ দিয়ে তাকে বিকৃত করে, তাতে ইতিহাসের কিছুই হয় না, আক্ষরিক অর্থে আপনি ঠিক, আপনি লিখছেন আপনি ইজরায়েলের ইতিহাস রিভিউ করছেন, আপনি উহা লিখেননি আমার মত সাধারনের পক্ষে এই জিনিস লেখা কোন ভাবেই সম্ভব না, হ্যা রিভিউ ই বলতে পারেন।
আবার আপনি লিখছেন ইতিহাস রিভিউ করে, এনালাইসিস করে, উহাকে সঠিভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, একটা বড় ধরণের কাজ। আমি এটাকে এক ধরনের প্রশংসা হিসাবেই নিলাম। যা আপনার কাছ থেকে বিরল কিছু পাওয়া মুরুব্বী। থ্যাংকস মুরুব্বী। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:৩৭
কাতিআশা বলেছেন: সময় করে সব গুলো পোসট পড়ব ভাইয়া, আর আপনার লেখা তো জাদুকরী, পড়তেই হবে!
২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৭
শের শায়রী বলেছেন: আপনার পড়ার এবং মন্তব্যের অপেক্ষায় বোন।
৬| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:২৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ইসরাইল নিয়ে জানতে চাই । আপনার লেখা মনোযোগী হয়ে দেখলাম।
২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৫৯
শের শায়রী বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা নেওয়াজ ভাই।
৭| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৪৩
ইসিয়াক বলেছেন: আপনাকে পেয়ে খুব ভালো লাগলো প্রিয় ব্লগার।নিশ্চয় ভালো আছেন?
পোস্ট পড়ে মন্তব্যে আসছি।
শুভকামনা রইলো।
২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:০০
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় কবি আল্লাহর ইচ্ছায় ভালো আছি। আপনি ভালো আছেন তো? জীবন এখন অনেক কঠিন হয়ে গেছে। ভালো থাকুন শুভ কামনায়।
৮| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:২৭
সোহানী বলেছেন: লেখা পড়ে পড়ুম, আগে কন ছিলেন কই??? চাপা কান্না কাঁদতে শেষ পর্যন্ত কই গেলেন? আমিতো হারিকেন দিয়া খোজেঁ নামছিলাম।.......
২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:১৫
শের শায়রী বলেছেন: আমি যখন কান্দি তখন চাপা চুপা থাকে না, বাথরুমে ডুইকা শাওয়ার আর বাকী দুইটা পানির কল খুইলা হাউমাউ কইরা কান্দি । কান্দার দেখলেন কি, সবে তো শুরু, আর কইয়েন না বোন অবস্থা কেরোসিন। আপনার হারিকেনে যদি কেরোসিন লাগে কইয়েন, ফ্রি দেয়ার মত অবস্থায় আছি। আসলে মাঝে মাঝে কিছুই ভালো লাগে না।
৯| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গভীর নিশিথে ম্যা'ভাই পোষ্ট দিয়েছে
অনেক দিনের শুন্যতা পূরণে ধণ্যবাদ
দেখলেন তো আপনাকে হারিকেন দিয়েও থৌঁজা হচ্ছিল হা হা হা
বনি ইসলাইলিদের নিয়ে কোরআনে আলাদা সূরা ছাড়াও বহু বহুবার তাদের আহবান করে আয়াত নাজিল হয়েছে।
তারা শুধু আজকে সন্ত্রানী নয়, ফূর্ব থেকেই ছিল। তাইতো শত শত নবী রাসূল দিয়ে তাদের হেদায়েতের চেষ্টা করেছৈন আল্লাহ।
কিন্তু তারা অবাধ্যতায় সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।
তাদের গ্রন্থ, তাদের জ্ঞান এবং তাদের আল্লাহদর্শন নিয়েও সত্যায়িত করা আছে।
অথচ তারপরো তারা বিরুদ্ধাচারী!
তারা তাদের সত্যকে আড়াল করা মিথ্যাকেই যেভাবে আকড়ে আছে , দু:খ আমাদের কাছে পরম সত্য থকাার পরো আমরা তার সিকিভাগ চেতনাও ধারন করিনা। বরং তাদেরই পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে নিজেরা বিভক্ত হয়ে রই!
দারুন সিরিজে ধন্যবাদ আবারো
ভাল থাকুন ম্যা'ভাই
২৬ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৪৮
শের শায়রী বলেছেন: এই বনি ইসরাইলরা এক অদ্ভুদ জাতি। এদের হেদায়েত করার জন্য যে পরিমান নবী রাসুল তাদের কওমে আসছে অন্য কোন কওমে মনে হয় তার ধারে কাছেও আসে নাই।
এরা বিভিন্ন সময় অভিশপ্ত ধর্মীয় দৃষ্টি কোন থেকে তবে যেভাবেই হোক আজকে কিন্তু অতি অল্প সংখ্যক হয়েও এরা ক্ষমতার শীর্ষে।
পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ম্যা'ভাই।
১০| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৫
আল ইফরান বলেছেন: শের শায়েরি ভাই, আপনাকে অনেক দিন থেকেই দেখছিলাম না ব্লগে। মনের মধ্যে দুঃশ্চিন্তা উকিঝুকি দিচ্ছিলো। আল্লাহর রহমতে ফিরে এসেছেন তাতেই আমাদের আনন্দ। আশা করি আপনার লেখা আমাদের এই ব্লগস্ফিয়ারকে আরো সম্বৃদ্ধ করবে সামনের দিনগুলোতে।
ভালো থাকবেন।
২৬ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৭:৩৫
শের শায়রী বলেছেন: ইফরান ভাই আমার সালাম জানবেন। আল্লাহর ইচ্ছায় আমি ভালো আছি। কিছুটা বিক্ষিপ্ত মানসিকতার কারনে লেখায় মন বসাতে পারছিলাম না, তাই লেখা হয়ে ওঠে নি। আপনি ভালো আছেন তো?
১১| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: ডেভিড কি তেত্রিশ নাকি ৪০ বছর রাজত্ব করেছিলেন? খৃস্টপূর্ব ও খৃস্ট সাল খানিকটা এলোমেলো হয়ে গেছে।
সঠিক তথ্যের জন্য অনেক খাটা খাটুনি করতে হয়েছে বোঝা যায়। অনেক ধন্যবাদ এমন একটা তথ্য বহুল লেখা শেয়ার করার জন্য
২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০১
শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই আমার শুভেচ্ছা জানুন ভাই। এই ধরনের মন্তব্যে খুব পরিস্কার বোঝা যায় আপনি পুরা লেখাটা খুটিয়ে দেখছেন। অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনি যদি জন রিচার্ডস বেনেট এর "দ্যা অরিজিন অভ ...." বইটি দেখেন তবে সেখানে লেখা আছে রাজা ডেভিড চল্লিশ বছর রাজত্ব করে ১০৫৫ খ্রিষ্টপূর্ব থেকে ১০১৫ খ্রিষ্টপূর্ব। (পোষ্টে এর আগে আমি ভুল বশতঃ ১০৪৫ খ্রিষ্ট পূর্ব লিখেছিলাম, মার্জনা প্রার্থনীয়)। আবার ইসলামী কিছু স্কলার লিখছে ৭০ বছর, যেহেতু আমি মুলতঃ পশ্চিমা ইতিহাসবিদদের অনুকরন করছি তাই তাদের তথ্যই এখানে প্রাধান্য দিয়েছি। আপনার মন্তব্যের পর আমি আবার সাল এবং খ্রিষ্টপূর্ব যথাসম্ভব ঠিক করে দিয়েছি। তারপরো ভুল থাকলে ধরিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
সহায়তা মুলক মন্তব্যের জন্য আবারো কৃতজ্ঞতা জানুন ভাই।
১২| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১০
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: রাজা সল খুশী হয়ে ডেভিডের সাথে তার মেয়ে মিচালের বিয়ে দেন
এবং সেনাবাহিনীতে চাকুরী দেন।
...........................................................................................
রাজনৈতিক খেলা এমনই , শশুর জামাই কে হত্যা করতে চায় ।
ইজরাইলীদের ইতিহাস লেখায় তাদের সর্ম্পকে কিছু ধারনা হলো ।
২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২০
শের শায়রী বলেছেন: ঠিকই বলছেন শঙ্খচিল ভাই, ক্ষমতার রাজনীতি এমন একটা বিষয় যেখান শ্বশুর জামাইকে তো বটেই, বাপ ছেলেকে বা ছেলে বাবাকে তলোয়ারের নীচে দিয়ে দেয়।
পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক পরিশ্রম করে সুন্দর পোস্ট লিখেছেন।
২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২১
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন সাড়ে চুয়াত্তর ভাই।
১৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০৯
ইসিয়াক বলেছেন: পোস্টে ভালো লাগা জানবেন প্রিয় ভাইজান।অনেক কিছু জানা হলো।
নিরন্তর শুভকামনা।
২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২২
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রিয় কবি।
১৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পোষ্ট কিছুটা পড়লাম। ভালোই তো লাগলো। তয় কিছু মিসিং লিঙ্ক জোড়া লাগাইতে আগের পর্বগুলি দেখতে হইবো সময় কইরা। এডভান্স লাইক দিয়া কাম আগায়া রাখলাম।
আগে কন, কই আছিলেন? সুন্দরবনে গেছিলেন নি? ট্রিপটা কেমন হইলো? আমাগো ভাই-বেরাদারেরা ঠিকঠাক মতোন আছে তো? এই করোনায় হ্যাগো লয়া বহুত টেনশানে আছি।
২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:০৮
শের শায়রী বলেছেন: আর কইয়েন না, জীবনের প্যারায় আছি, কিছুই ভালো লাগে না, সুন্দরবন না গিয়াও সুন্দরবন দেখতাছি চোখের সামনে। ভাই বেরাদার সব ভালো আছে, আপনের খবর কি আমি এখন হোরাসের কল্লা খুজতাছি আসান থেকে মুক্তি পাবার জন্য। আসলে কিছুই ভালো লাগছে না এখন। লেখায় ও মন বসে না।
১৬| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী,
অন্যের ইতিহাস বাদ দিয়ে বেশ কিছুদিন যে গুম হয়ে ছিলেন তার ইতিহাস আগে লিখুন, তারপরে কথা ।
স্বস্তি লাগছে আপনাকে দেখে। আবার গুম হয়ে যাবেন না যেন!
২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:১১
শের শায়রী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভাই, কিছুই ভালো লাগে না, আসলে শহরে যখন আগুন লাগে তখন কেউই রেহাই পায় না, আর আমার আগুন অনেক আগে থেকেই লাগছে। কোন কিছুই মন বসে না। নিজের এক মাত্র ছোট ভাই করোনাক্রান্ত হয়েছিল এখন সুস্থ্য, নিজের ব্যাক্তিগত ঝামেলা তো আছেই। জানি না কি হয়, আসলে কিছু ভালো লাগছে না। দোয়া রাখবেন।
১৭| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১২
রাশিয়া বলেছেন: আমি খুব ছোটবেলায় কাসাসুল আম্বিয়া পড়ে এর ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। পরে জানলাম এর অধিকাংশ কাহিনীই অতিরঞ্জিত। মানে এইসব তালমুদ টালমুদ থেকে নেয়া। এই বিশ্বাস আরো শক্ত হয় দাউদ (আ) কে পরকীয়ায় লিপ্ত হবার কাহিনী দেখে। ইসলামী ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী কোন নবীর পক্ষে এতবড় পাপে লিপ্ত হওয়া কখোনো সম্ভব নয়। কাসাসুল আম্বিয়ার লেখকের এই বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত ছিল। লেখক পাপাচারী জুলেখার সাথে নবী ইউসুফের বিয়ে পর্যন্ত দিয়ে সেরেছিল - কিন্তু কোন ধর্মগ্রন্থে তার সমর্থন নেই। আর নবী সুলাইমান সম্পর্কে এত এত আজেবাজে কথা লেখা আছে - বিশ্বাস করতেই কষ্ট হয় কোন মুসলিমের পক্ষে কি কাসাসুল আম্বিয়ার মত বই লেখা সম্ভব?
২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:১৯
শের শায়রী বলেছেন: রাশিয়া ভাই, ইনফ্যাক্ট "কাসাসুল আম্বিয়া" বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে কিছু ঘটনা সাজিয়েছে, সেখানে মুলতঃ কোরান শরীফের উদ্ধৃতিই বেশি পাশাপাশি আলোচনার জন্য মাঝে মাঝে তোরাহ বা তালমুদ থেকেও ঘটনা টানছে আপনি যে ঘটনার উল্লেখ্য করছেন তা কাসাসুল আম্বিয়ার ৩৩৯ পৃষ্টায় পাবেন যেখানে পরিস্কার ভাবে লেখা আছে এটা তোরাহের বর্ননা। তাই আসলে এখানে লেখকের দোষ দেয়া ঠিক হবে না বলেই আমি মনে করি, আর ইউসুফ (আঃ) এর সাথে জুলেখার বিয়ের কোন ঘটনাও আমি কাসাসুল আম্বিয়ায় পাই নি। আপনি দয়া করে আবার একবার বইটা পড়েন। যদিও এমন গাল গল্প কোথাও থেকে থাকে মেহেরবানি করে একটু জানান, আমিও অবশ্যই এর প্রতিবাদ করব।
পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।
১৮| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪১
শোভন শামস বলেছেন: শুভকামনা রইলো।
২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২০
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা।
১৯| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:১৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
খুবই পরিশ্রমের পোস্ট।
শুভ কামনা রইলো।
ভালো থাকবেন।
২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২১
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই, ভালো আছেন তো?
২০| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০৩
জুন বলেছেন: ইতিহাসের ছাত্রী ছিলাম তাই ইতিহাস সব সময়ই আমার প্রিয় বিষয় শের শায়েরী । ইসরাইলিয়দের উৎপত্তি ও বিকাশ নিয়ে ঝরঝরে বর্ননা নতুন করে আরেকবার পড়া হলো । আপনি এই বিষয়টি প্রথম পর্বগুলো বেশ আগে লিখেছিলেন । অনেক পরে আবার শেষ পর্ব লিখলেন । আমিও আপনার প্রথম পর্বের মতই একটা ছোট ভ্রমন/ইতিহাস পোষ্ট লিখেছিলাম ইজিপ্ট ভ্রমন শেষে ।
দেখতে পারেন এখানে ধীরে বহে নীল(শেষ পর্ব)
এতদিন কই ডুব দিয়ে ছিলেন ? সবাই কত চিন্তা করছিলাম । ভালো থাকুন অনেক অনেক ।
+
২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩০
শের শায়রী বলেছেন: বোন প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাই যে, এই সামান্যজনকে স্মরন রেখেছিলেন দেখে। আসলে দিন এখন খুব কঠিন হয়ে গেছে সব দিক দিয়ে হিম শিম খাচ্ছি, মনোযোগ দিতে পারছি না, লেখায়। কিছু দিন চুপ ছিলাম তাই।
অবশ্যই পড়ব। ভালো থাকুন বোন।
২১| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:২৩
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা; অনেক ভালো লেগেছে।
২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় ভাই।
২২| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:৫৮
সোহানী বলেছেন: আপনার থেইকা কেরোসিন ধার নেয়া লাগবো না কারন আমিও কেরোসিন এর মাঝে ঢুইবা আছি। হোম অফিস যে এমন প্যারা জানা ছিল না।
আর শুনেন একটু উপদেশ দেই, বেশী চিন্তা, দেশের চিন্তা, দশের চিন্তা, পরিবারের চিন্তা, জনগণের চিন্তা, সামাজিক চিন্তা, অর্থনৈতিক চিন্তা, রাজিনৈতিক চিন্তা, সুফিবাদি চিন্তা, ভবিষ্যত চিন্তা, প্রাক্তন প্রেমিকার চিন্তা, ক্যাচাল চিন্তা, প্যাচাল চিন্তা......... এরকম হাজারো চিন্তা মাথায় নিয়া সাতদিন কাটান। তারপর বুড়িগঙ্গা থুক্কু মিরপুর কিংবা ঢাবি বা পয়সা থাকলে শেরাটনের সুইমিং পুলে সাতটা ঢুব দিয়া মাথা ফকফকা কইরা লিখতে/পড়তে বসেন ।
৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬
শের শায়রী বলেছেন: বুড়িগঙ্গা, শেরাটন যাওয়া লাগবে না, একটু বৃষ্টি হইলেই বাড়ীর সামনে রাস্তায়ই ডুব দিবার পারি। কেমুন জানি একটা ঝামেলার মধ্যে আছি বোনডি।
লেখায় আসলেই মন বসে না।
২৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৪
হাসান রাজু বলেছেন: পুরো দুনিয়া ঘাঁটলেন তারপর শৈল্পিক পরিবেশন। একেবারে প্লেটে তুলে সাজিয়ে দিয়েছেন। তিনটা পোস্ট পড়ে আমার তাই মনে হয়েছে। এতো কষ্ট করলেন সামান্য ধন্যবাদটুকু দেয়া ছাড়া এই নাদানের দেয়ায় কিছু নাই। অশেষ ধন্যবাদ।
৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮
শের শায়রী বলেছেন: এই যে ধন্যবাদ টুকু দিলেন হাসান ভাই, এতেই সব পাওয়া হয়ে যায়, অশেষ কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ জানবেন।
২৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৪
রাশিয়া বলেছেন: কাসাসুল আম্বিয়া আমার হাতে নেই, তাই পৃষ্ঠা উল্লেখ করতে পারলাম না। কিন্তু আমি নিশ্চিত জুলেখার সাথে ইউসুফের (আ) বিয়ের ঘটনা আমি সেখানেই পেয়েছি। লেখক ঘটনাটা সাজিয়েছেন এভাবে, 'ইউসুফ (আ) জেল থেকে মুক্তি পাবার পর জুলেখার অপকীর্তি প্রকাশ পেয়ে যায় এবং জুলেখার স্বামী আজিজ মিসর ক্ষোভে দুঃখে রাজ পদবী থেকে ইস্তফা দেন এবং বনবাসে চলে যান। এরপর জুলেখা যে অপমানের মুখে পড়েন, তা থেকে তাঁকে রক্ষা করার জন্য ইউসুফ (আ) তাঁকে বিয়ে করে মহানুভবতার পরিচয় দেন। পাপাচারী জুলেখা পরবর্তীতে এতই পরহেজগার হয়ে গিয়েছিলেন যে, ইউসুফ (আ) শারীরিক মিলনের প্রয়োজনেও তাকে কাছে পেতেন না। এরকম একদিন ইউসুফ (আ) রেগে গিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে গিয়ে জুলেখাকে তাড়া করে তার জামা ধরে ফেলেন এবং পেছনের অংশ ছিড়ে ফেলেন। এভাবে আল্লাহ্ পাপাচারী জুলেখার পাপ মোচনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
আজগুবির একটা লিমিট থাকা দরকার। কাসাসুল আম্বিয়ার লেখক নবী রাসূলদের নিয়ে গালগপ্পো লিখতে কোন সৌজন্য ভদ্রতা বা শালীনতার লিমিট মেন্টেইন করেন নি।
৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩
শের শায়রী বলেছেন: রাশিয়া ভাই, আমি জানি না আপনি কাসাসুল আম্বিয়ার কোথায় এই ঘটনা পড়ছেন, আপনি বলার পর আমি আবার হযরত ইউসুফ (আঃ) অধ্যায় পড়লাম। কোথাও এমন ঘটনার উল্লেখ্য পেলাম না,
দয়া করে ভাববেন না আমি কাসসুল আম্বিয়ার অন্ধভক্ত। এক মাত্র কোরান আর হাদীস ছাড়া আমি কোন কিছুর অন্ধ তো ভাল ভক্তও না, খুব খোলা ভাবেই পড়ি, আমি মহাভারত, রামায়ন যে কয়বার পড়ছি অনেক হিন্দুও তা পড়ে নাই। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, তা হল কাসাসুল আম্বিয়ায় কিছু ঘটনা আছে কিন্তু তা রেফারেন্স দিয়ে বলে দিয়েছে অমুক জায়গা থেকে নেয়া, কিন্তু আপনার উল্লেখিত ঘটনার কোন উল্লেখ নাই।
পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।
২৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৪
মা.হাসান বলেছেন: জেনারেল থেকে সেফ হইলেন কবে?
মোবারকবাদ লউন।
আপনার টঙ ঘর বন্ধ থাকায় কারো কারো কোষ্ঠকাঠিন্য বৃদ্ধ পাইযাছিলো।
ঐ সময়ের ইতিহাস নিয়ে রিলিজিয়াস স্কলার আর ইতিহাসবিদদের মাঝে সন-তারিখের বেশ কিছু অমিল আছে , জায়গায় জায়গায় আমি ১৫০-২০০ বছরের পার্থক্যের কথাও পেয়েছি। ফার্স্ট টেম্পলের এরিয়ায় কিছু খনন/ গবেষনার কাজ চলছিলো, কিন্তু আমার জানা মতে এটা থেকে বিরোধ খুব একটা মেটে নি। ইহুদিরা কোন জিনিসটা আসলে বিকৃত করেছে আর কোনটা করেনি বলা মুশকিল। আপনি পোস্টের শুরুতেই বিষয়টা খোলাসা করে দিয়ে বলেছেন- প্রামান্য কম, ওল্ড টেস্টামেন্ট মূল ভিত্তি।
কেহ কেহ বলছেন ফার্স্ট টেম্পল সোলোমন নির্মান করেন নি, আরো পরে নির্মিত। সেই হিসাবে কিং ডেভিডে সাথে ইসা নবির সময়ের পার্থক্য আরো বেশি হতে পারে। কিছুই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব না।
পাঠে অনেক আনন্দ পেয়েছি।
প্রচন্ড পরিশ্রম করেছেন। এবার ব্লগে প্রেয়সিকে কিছু সময় দিন ।
২৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
করুণাধারা বলেছেন: আমার দৌড় ওল্ড টেস্টামেন্ট পর্যন্ত- তার অনেক কাহিনীই মেলাতে পারতাম না; কেমন করে জানি না অদ্ভুত নাম আর সময় সবকিছুতেই গোলমাল করে ফেলতাম। প্রচুর পরিশ্রম করে আপনি গোলমেলে বিষয়গুলো সহজবোধ্য করে লিখেছেন। শুধু একটা জিনিস বুঝতে পারছি না- ডেভিড নিজে প্যালেস্টাইনী হয়েও প্যালেস্টাইনীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন শ্বশুর সলকে সাহায্য করতে, তাহলে পরে আবার প্যালেস্টাইনীদের সাথে গেলেন কেন!!
এই পোস্টের লিঙ্ক ধরে আরো চারটা পোস্ট পড়া হয়ে গেল। এত জটিল জিনিস সহজ করে লিখলেন কীভাবে ভেবে অবাক হচ্ছি...
মাঝে মাঝে কিছুই ভালো লাগে না। সোহানীর মন্তব্যের উত্তরে বলা আপনার একথা শুনে মনে হলো প্রতিধ্বনি শুনলাম!! আমি সবসময়ই এই কথাটা শুনি, শুনতে শুনতে আমারও আর কিছুই ভালো লাগে না...
ভালো না লাগা নিয়ে লেখা খুঁজে খুঁজে পড়ি, এই লেখাটা view this link পড়ে কিছু বুঝলাম। আপনি পড়ে দেখতে পারেন। অনেক শুভকামনা।
২৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৯
হাসান রাজু বলেছেন: @রাশিয়া, আপনার জন্য কোরআনের অনুবাদ থেকে কিছু সংগ্রহ করলাম - সূরা- ইউসুফ
২৪. আর সে মহিলা তো তার প্রতি আসক্ত হয়েছিল এবং তিনিও তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়তেন যদি না তিনি তার রবের নিদর্শন দেখতে পেতেন। এভাবেই (তা হয়েছিল), যাতে আমরা তার থেকে মন্দকাজ ও অশ্লীলতা দূর করে দেই। তিনি তো ছিলেন আমাদের মুখলিস বা বিশুদ্ধচিত্ত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
২৫. আর তারা উভয়ে দৌড়ে দরজার দিকে গেল এবং স্ত্রীলোকটি পিছন হতে তার জামা ছিড়ে ফেলল, আর তারা দু’জন স্ত্রীলোকটির স্বামীকে দরজার কাছে পেল। স্ত্রীলোকটি বলল, যে তোমার পরিবারের সাথে মন্দ কাজ করার ইচ্ছা করে তার জন্য কারাগারে প্রেরণ বা অন্য কোন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ছাড়া আর কি দণ্ড হতে পারে?
২৬. ইউসুফ বললেন, সে-ই আমাকে কুপ্ররোচনা দিয়েছে। আর স্ত্রীলোকটির পরিবারের একজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিল, যদি তার জামা সামনের দিক থেকে ছিঁড়ে থাকে তবে স্ত্রীলোকটি সত্য কথা বলেছে এবং সে পুরুষটি মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত।
২৭. আর তার জামা যদি পিছন দিক থেকে ছিঁড়ে থাকে তবে স্ত্রীলোকটি মিথ্যা বলেছে এবং সে পুরুষটি সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত।
২৮. অতঃপর গৃহস্বামী যখন দেখল যে, তার জামা পিছন দিক থেকে ছেঁড়া হয়েছে তখন সে বলল, নিশ্চয় এটা তোমাদের নারীদের ছলনা, তোমাদের ছলনা তো ভীষণ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৪৭
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অত্যন্ত আগ্রহ জনক টপিক,
অনেক রাত্র তাই সবটা পড়লামনা, সকালে আবার পড়ব
............................................................................
ধন্যবাদ, এই লেখার জন্য ।