নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
লস আলমাস যেখানে প্রথম এ্যাটম বোমার ডিজাইন করা হয়েছিল
যুদ্ধ শেষ। লস আলমাসে যেখানে এই এ্যাটম বোমা তৈরীর ডিজাইন করা হয়েছিল এবং বোমা বানানো হয়েছিল ( রবার্ট ওপেনহাইমার এই লস আলমাস ল্যাবরেটরির ডিরেক্টর ছিলেন) সে জায়গার কি হবে? ওপেনহাইমার জানালেন “যাদের জায়গা তাদের ফিরিয়ে দেয়া হোক” মুল জায়গা ছিল রেড ইন্ডিয়ানদের। অর্থ্যাৎ ভেঙে ফেলা হোক কারখানা। বলা বাহুল্য এটাই ওপেনহাইমারের জীবনে প্রথম কাল হয়ে দেখা দিল। প্রশাসন তো অবশ্যই সেই সাথে নিজের কিছু সতীর্থও তার বিরুদ্ধে লেগে গেল। নিজের সতীর্থদের মাঝে যে মানুষটি সব থেকে কঠোর ভাবে ওপেন হাইমারের পেছনে লাগলেন তিনি হলেন এডওয়ার্ড টেলর। যিনি কিনা আইনষ্টাইনকে বোমা তৈরির তাল দিয়েছিলেন।
টেলর ওপেনহাইমারকে দেখতে পারতেন না, না দেখতে পারার কারন হল যখন এ্যাটম বোমা তৈরী হচ্ছিল তখন একটা ইউনিটের প্রধান হবার দাবীদার ছিল টেলর, কিন্তু তার দাবী অগ্রাহ্য করে ওপেনহাইমার আর একজনকে ওই ইউনিটের প্রধান করেন। প্রতিবাদে টেলর পারমানবিক বোমার থেকে আরো ভয়ংকর হাইড্রোজেন বোমা বানানোর গবেষনায় মন দেন। হাইড্রোজেন বোমা সে আবার কি জিনিস যা কিনা এ্যাটম বোমার থেকে মারাত্মক?
হাইড্রোজেন বোমার মুল উপাদান হাইড্রোজেন মৌল। এ্যাটম বোমা বানানোর মুল থিওরী হল পরমানুকে বিভাজন করে তা থেকে শক্তি পাওয়া যাকে ফিশন প্রক্রিয়া বলা হয়, অন্য দিকে হাইড্রোজেন বোমা তৈরীর মুল থিওরী হল চারটা হাইড্রোজেন পরমানুর সংযোজনে একটা হিলিয়াম উৎপাদন। যে প্রক্রিয়ায় এটা ঘটে মানে সংযোজন এটাকে বলে ফিউশন। এখানেও কিছুটা ভর হারিয়ে যাবার ব্যাপার আছে, আসলে এটা হারিয়ে না গিয়ে আইনষ্টাইনের থিওরী E=mc² মেনে শক্তি মানে এনার্জিতে (E) রূপান্তরিত হয়।
আমাদের চোখের সামনে সূর্য কিংবা অন্যান্য নক্ষত্রে কিন্তু এরকম ফিউশন চলছে সব সময়। সেক্ষেত্রে সেখানে কেন বোমা ফাটছে না? আসলে সুর্য বা নক্ষত্রে ফিউশন প্রক্রিয়া চলছে তিলে তিলে একটু একটু করে, তাই ওখানে এনার্জি প্রকাশিত হচ্ছে আলো এবং তাপের মাধ্যমে। কিন্তু হাইড্রোজেন বোমায় এনার্জি পাওয়া যায় মুহুর্তের মধ্যে প্রচন্ড তাপ এবং আলোর সাথে উপরি পাওনা ধাক্কার মাধ্যমে। হাইড্রোজেন বোমার ধ্বংস ক্ষমতা এ্যাটম বোমার থেকে হাজার গুন। লস এ্যালমাসে যখন এ্যাটম বোমার তৈরীর কাজ চলছে তখন বস ওপেনহাইমারকে হাইড্রোজেন বোমা তৈরীর অনুরোধ করে টেলর। ওপেনহাইমার তা খারিজ করে দেন। সে রাগও ছিল টেলরের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হাইড্রোজেন বোমা তৈরী হয়।
এডোয়ার্ড টেলর
সে সাফল্য আসল কিছুটা বিচিত্র পন্থায়। যুদ্ধের পর টেলর এবং তার সমমনা বিজ্ঞানীরা উঠে পড়ে লাগলেন সরকারকে বুজাতে যে তাদের হাইড্রোজেন বোমা তৈরীর দিকে এগোন উচিত। কিন্তু ওপেনহাইমার তখন এ্যাটম বোমার ধ্বংসযজ্ঞ দেখে অনুতপ্ত। তিনি চাচ্ছিলেন না, আর কোন নতুন কিছু তৈরী হোক। উপরন্ত এ্যাটম বোমা সংক্রান্ত সমস্ত গোপনীয়তা উঠে যাক যুদ্ধকালীন মিত্র সোভিয়েত ইউনিয়নের ওপর থেকে। আসলে তা গোপন থাকেনি, ঠিকই গুপ্তচর মারফতে ষ্ট্যালিন সব খবর পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সে অন্য গল্প অন্য কোন দিন শোনাব। ওপেনহাইমারের ইচ্ছা ছিল যদি এ্যাটম বোমা তৈরীর কৌশল সবাই জানে সে ক্ষেত্রে এর ওপর একটা আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রন থাকবে, এবং ভবিষ্যতে কেউ আর এই মারনাস্ত্র তৈরীতে সাহস পাবে না।
ওপেনহাইমারের এই মত গুরুত্বপূর্ন হয়ে দাড়াল আর একটা জায়গায় সেটা হল আমেরিকার এ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের বিশেষ শাখা জেনারেল এ্যাডভাইসারি কমিটিতে। ওপেনহাইমার নিজে এই কমিটির চেয়ারম্যান এবং এর সদস্য হল সেকালের সব বাঘা বাঘা বিজ্ঞানী। তাদের ওপর দায়িত্ব ছিল এ্যাটম বোমার পর আমেরিকা কি হাইড্রোজেন বোমা বানানোর দিক অগ্রসর হবে কিনা, এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে সরকার কে। অনেক দীর্ঘ আলোচনার পর ওপেনহাইমারের নেতৃত্বাধীন কমিটি রিপোর্ট দিল না উচিত হবে না। এক্ষেত্রে ধ্বংস বিরোধী হিসাবে তার একটা ইমেজ তৈরী হল কিন্তু একই সাথে কট্টর জাতীয়তাবাদীদের বিরোধিতার মুখেও পড়লেন।
ওপেনহাইমারের কমিটি তার রিপোর্ট দিল ১৯৪৯ সালের নভেম্ভরের গোড়ার দিকে, তার কিছুটা আগেই শুরু হয়ে গেছে বিশ্ব রাজনীতির গুরুত্বপূর্ন পট পরিবর্তন। ১৯৪৮ সালে চেকোশ্লাভাকিয়ার ক্ষমতা দখল করে নেয় কম্যুনিষ্টরা। তৈরী হয়েছে রাশিয়ার তাবেদার সরকার। একই বছর “বার্লিন ব্লকেড” ( কোল্ড ওয়ারের সময় প্রথম মেজর ক্রাইসিস) । রাশিয়া পশ্চিমা বিশ্বকে বুজিয়ে দিয়েছে তাদের সে মোটেই কেয়ার করে না। ওদিকে ১৯৪৯ সালের গোড়ার দিকে বেইজিং সরকারকে হঠিয়ে মাও জে দং এর কম্যুনিষ্ট সরকার ক্ষমতা দখল করছে। পুজিবাদী আমেরিকার জন্য সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছিল।
এমন পরিস্থিতিতে ঘটে আর এক ঘটনা, আমেরিকার হিসাব ছিল সব মিলিয়ে ৫২-৫৩ র আগে রাশিয়া এ্যাটম বোমা ফাটাতে পারবে না, কিন্তু ১৯৪৯ সালের শরতে রাশিয়া পরীক্ষামুলক এ্যাটম বোমার বিস্ফোরন ঘটায়। রুশ বিজ্ঞানীদের এমন সাফল্যে ঘুম হারাম হয়ে গেল আমেরিকার। কিভাবে ষ্ট্যালিন এত তাড়াতাড়ি এ্যাটম বোমা বানানোর প্রযুক্তি পেয়ে গেল? এই প্রশ্নের জবাব জানার জন্য আমেরিকা হন্যে হয়ে ঘুরছে।
জার্মান গুপ্তচর ক্লস ফুকস
জবাব জানা গেল ১৯৫০ সালের ২৭শে জানুয়ারি। লন্ডনের ওয়ার অফিসে গিয়ে জার্মান গুপ্তচর ক্লস ফুকস স্বীকারোক্তি দিলেন ১৯৪২ সাল থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত গবেষক হিসাবে ব্রিটিশ মার্কিন বোমা প্রকল্পের সাথে যুক্ত থাকার সময় সব তথ্য রাশিয়ায় পাচার করেছে। কতখানি তথ্য? এ্যাটম বোমা থেকে শুরু করে টেলরের হাইড্রোজেন বোমা সংক্রান্ত যত গবেষনা হয়েছে তার সবটাই রাশিয়ায় পাচার হয়েছে। এযেন বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা। প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান ততক্ষনে রেগে মেগে কাই। ১৯৫০ সালের ৩০শে জানুয়ারি বিশেষ নির্দেশে সই করলেন এক্ষুনি হাইড্রোজেন বোমা তৈরীর কাজ পুরোদমে শুরু হোক।
ফুকসের স্বীকারোক্তির পর বিপদে পরে গেলেন আমেরিকার অনেক বড় বড় মহারথীরা। সিনেটর জোসেফ ম্যাকার্থি চিৎকার জুড়ে দিলেন হলিউড থেকে শ্রমিক ইউনিয়ন সব জায়গায় নাকি ছেয়ে গেছে রাশিয়ান চরে। খুজে দেখা হোক সব ভি আই পির অতীত রেকর্ড। এ্যাটম বোমার জনক হিসাবে বাদ গেলেন না ওপেনহাইমার এই তল্লাশির শিকার হতে বাধ্য। ১৯৫৩ সালের নভেম্ভরে কংগ্রেসে জয়েন্ট এ্যাটমিক এনার্জির একজন সদস্য ওপেনহাইমারের রেকর্ড ঘেটে রায় দেনঃ “মোর প্রোবাললি দ্যান নট রবার্ট ওপেনহাইমার ইজ এ্যান এজেন্ট অব দ্যা সোভিয়েট ইউনিয়ন।” নতুন প্রেসিডেন্ট ডুইট আইজেনহাওয়ার তুলে নিলেন ওপেনহাইমারের সব সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স। অর্থ্যাৎ পরমানু বোমার জনক হিসাবে তার ওপর সাধারন নাগরিকদের জন্য এ সংক্রান্ত যে বিধি নিষেধ ছিল তা থেকে এত দিন মুক্ত ছিলেন, সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স তুলে নেয়ায় অন্য সবার সঙ্গে তিনিও এক কাতারে এসে দাড়ালেন।
এইবার প্রশাসন তৈরী করল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, যার মধ্যে অন্যতম ছিল আমেরিকাকে হাইড্রোজেন বোমা তৈরী থেকে পিছু হঠতে বলে, পক্ষান্তরে ষ্ট্যালিনকে মদদ দেয়া। ওপেনহেইমার ঘোষনা দিলেন এ অপবাদ মিথ্যা। তিনি দাড়াবেন কমিশনের পার্সোনাল সিকিউরিটি বোর্ডের সামনে। এতো তদন্ত না এ যে বিচার! আমেরিকার সাধারন মানুষের মনে তখন তিনি এ্যাটম বোমার জনক হিসাবে হিরো, সেই ওপেনহাইমার কিনা ষ্ট্যালিনের গুপ্তচর?
শুরু হল ওপেনহাইমারের বিচার। সহজ হল না সে বিচার। কয়েক দিন আগে এ্যাটম বোমা তৈরীর সর্বেসর্বা হিসাবে যিনি ছিলেন প্রায় অপরিমেয় ক্ষমতার অধিকারী তিনিই এখন বিচারের মুখোমুখি। যিনি ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম নিয়ন্ত্রা তিনিই কিনা আজকে সওয়াল জবাবের মুখোমুখি যে তিনি দেশোদ্রোহী কিনা? ফ্রিডম অভ ইনফরমেশান এ্যাক্ট অনুযায়ী তত দিনে প্রকাশ হয়ে গেছে বেশ কিছু নথিপত্র। ওপেনহাইমারের টেলিফোনে আড়িপেতে তার বন্ধু বান্ধবের সাথে যে কথা বলা হয়েছে, তাও প্রকাশিত।
এফ বি আই র প্রথম প্রধান জন এডগার হুভার
ক্ষমতার চুড়ান্তে যারা থাকে তাদের যখন পতন হয় তখন তাদের শত্রুও থাকে ক্ষমতার চুড়ান্তে, এটা প্রকৃতির নিয়ম। এ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান লুইস ষ্ট্রস, জয়েন্ট কমিটি অভ এ্যাটমিক এনার্জির ডিরেক্টর উইলিয়াম বোরডেন, এফ বি আই র প্রধান জন এডগার হুভার (ইনি কিন্তু এফ বি আই এর প্রথম ডিরেক্টর আন অফিশিয়ালি তাকে এফ বি আই এর প্রতিষ্ঠাতা ধরা হয়), সেনেটর ম্যাকার্থি। তবে সব থেকে বড় শত্রু হয়ে দেখা দেয় সেই বিজ্ঞানী টেলর। বিচারে তাকে সাক্ষ্য দিতে ডাকলে প্রশ্ন করা হয়, “আপনি কি মনে করেন ওপেনহাইমার দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ।”
টেলর জবাব দিলেন, “আমি ওকে অনেকবার এমন আচরন করতে দেখছি, যার মানে বোজা আমার পক্ষে দুঃসাধ্য….. তাই আমি বলব এই ধরনের কাজের ভার এমনকারো ওপর ন্যাস্ত করা হোক যাকে আর একটু ভালোভাবে বুজতে পারি এবং ভরসা করতে পারি”
আবারো টেলর কে প্রশ্ন করা হল, “ওপেনহাইমার কে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র দিলে, দেশের নিরাপত্তা কি বিঘ্নিত হবে?”
টেলরের উত্তর “ না দেয়াই বিচক্ষনতার লক্ষন হবে।”
সমস্ত সাক্ষ্য প্রমান বিচার করে ১৯৫৪ সালের ২৭শে মে পার্সোনাল সিকিউরিটি বোর্ড রায় দিল, “ওপেনহাইমার দেশোদ্রোহী না, তবে তার নিরাপত্তা ছাড়পত্রও আর দেয়া হবে না।” বোর্ডের জুড়িদের ২-১ ভোটে রায় দেয়া হয়। ২৯শে জুন এ্যাটমিক এনার্জি কমিশান একই রায় দেয় ৪-১ ভোটে। মানে হল যে লোকটা একটা বিশ্বের সব থেকে গোপন প্রজেক্ট চালিয়েছে (ম্যানহাটান প্রজেক্ট) সেই লোকটার আর কোন অধিকার রইল না আমেরিকার কোন সাধারন গোপন কিছু দেখার। মানে আর দশটা সাধারন মানুষের মাঝে তার কোন পার্থক্য রইল না।
আমেরিকা হাইড্রোজেন বোমা ফাটায় ১৯৫২ সালের ১ লা নভেম্ভর। সে পরীক্ষায় প্রশান্ত মহাসাগরের একটা আস্ত দ্বীপ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। হিরোশিমা নাগাসাকির এ্যাটম বোমার ক্ষত তখনো শুকায় নি এর মাঝে এ্যাটম বোমার থেকে হাজার গুন শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরনে অনেকেই নিন্দায় মুখর হয়ে ওঠে, সে সময় ওপেনহাইমারের এই বিচার তাকে নায়ক থেকে একজন খলনায়কে পরিনত করা প্রশাসনের জন্যও প্রয়োজন ছিল। শেষ জীবনে যারা তাকে কাছ থেকে দেখছে তারা বর্ননা করছেন তাকে একজন “ব্রোকেন ম্যান” হিসাবে। ১৯৬৭ সালের ১৮ই জানুয়ারী গলার ক্যান্সারে তার মৃত্যু হয়।
ওপেনহাইমার নায়ক না খলনায়ক? এ প্রশ্ন এখনো ঘুরপাক খাচ্ছে। ঐতিহাসিকরা ডিক্লাসিফায়েড হওয়া বিভিন্ন নথিপত্র ঘেটে চলছেন এখনো, এতে আস্তে আস্তে উন্মোচিত হচ্ছে এক অন্য ওপেনহাইমার। যেমন ধরা যাক একটা চিঠি যেটা ১৯৪৩ সালের ২৫শে লিখছিলেন তার সতীর্থ (পরে নোবেলজয়ী) বিজ্ঞানী এনরিকো ফার্মিকে। এ্যাটম বোমা আবিস্কার তখনো অনেক দেরী। সেখানে ফার্মি প্রস্তাব দিয়েছিলেন শত্রু দেশের নাগরিকদের ধ্বংস করার জন্য তাদের খাবার বা পানিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ষ্ট্রনশিয়াম মেশানো। প্রস্তাবে আপত্তি করেন নি ওপেনহাইমার। বলছিলেন একটু সবুর কর অন্তত পাচ লক্ষ মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত করতে না পারলে এ কাজে নামা ঠিক হবে না।
এ্যাটম বোমা বানানোর শেষ পর্যায়ে, এখন এর প্রয়োগ কোথায় করা হবে? কাদের লক্ষ্য করে? কোন বিবেচনায় কোন দেশে? এসব প্রশ্নের জবাব জানার জন্য যুদ্ধ সচিব হেনরি ষ্টিমসন সাত সদস্যের এক কমিটি বানান যাদের কাজ হবে এই সব প্রশ্নের জবাব ঠিক করে সরকারকে সাজেশান দেয়া কোথায় বোমা ফালানো যায়? ওপেনহাইমারের সহকর্মী বিজ্ঞানী আর্নেষ্ট লরেন্স (ইনিও নোবেলজয়ী) সাজেশান দিলেন, আগে ভাগে ঘোষনা দিয়ে কোন ফাঁকা জায়গায় বোমা ফাটানো যাক। জাপানীরা দেখুক এই বোমার দাপট, তাহলে ভয় পেয়ে আত্মসমর্পন করবে। এর বিপরীতে ওপেনহাইমারের বক্তব্য ছিলঃ মরুভুমিতে বাজির প্রদর্শনী দেখিয়ে ভয় পাওয়ানো যাবে না জাপানীদের। যুদ্ধ সচিব ষ্টিমসনের পছন্দ হল ওপেনহাইমারের বুদ্ধি। হিরোশিমার বুকে সফল বিস্ফোরনের পর জেনারেল গ্রোভস কনগ্রাচুলেট করে ওপেনহাইমারকে ফোন দিলেন –
গ্রোভসঃ আপনি ও আপনার সহকর্মীদের জন্য আমি দারুন গর্বিত
ওপেনহাইমারঃ সব কিছু ঠিক ঠাক ছিল?
গ্রোভারঃ বিস্ফোরন মনে হচ্ছে বিশালই ছিল।
ওপেনহাইমারঃ ঠিক। সবাই এ ব্যাপারে খুশী। আমার তরফ থেকে সবাইকে অভিনন্দন। অনেক দিনের কাজ আমাদের।
যে অভিযোগে ওপেনহাইমারকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল মানে কম্যুনিজমের সাথে সম্পর্কের কারনে যা আসলে এখনো প্রমানিত হয়নি, তবে ওপেনহাইমার যাকে বিয়ে করছিলো নাম ক্যাথেরিন। ক্যাথেরিনের আগের স্বামীর নাম ছিল জো ড্যালেট, স্পেনের কম্যুনিষ্ট পার্টির নেতা ছিল। ১৯৪৩ সালের জুন মাসে ওপেনহাইমার গোপনে এক রাত কাটান জিন তাতলকের সাথে। জিন ছিল কম্যুনিষ্ট পার্টির সদস্য। ওপেনহাইমারের ভাই ও তার স্ত্রী ছিল ওই কম্যুনিষ্ট পার্টির সদস্য।
রাশিয়ান গুপ্তচরেরা যে তার ভাই ফ্রাংকের সাথে যোগাযোগ করছিলো ওপেনহাইমার সে কথা জেনারেল গ্রোভসকে জানিয়ে দেয়, এবং কথা আদায় করে যে সে যেন এটা কারো কাছে না প্রকাশ করে, কিন্তু এ কথা চলে যায় এফ বি আই য়ের প্রধান হুভারের কাছে। ওপেনহাইমারের বিচারের সময় এফ বি আই প্রধান হুভার জেনারেল গ্রোভস কে শাসায় যদি সে বিচারের সাক্ষ্য প্রমানের সময় একথা চেপে যায় তবে তাকেও শাস্তি পেতে হবে। সাক্ষী দেবার সময় গ্রোভার বলে দেন যে ওপেনহাইমারের ভাইর সাথে সোভিয়েত গুপ্তচররা যোগাযোগ করছিলো। এই ঘটনা বিচারে ওপেনহাইমারের বিপক্ষে চলে যায়।
ওপেনহাইমার কি নিজে কম্যুনিষ্ট ছিল? এ প্রশ্নের জবাব পাবার জন্য লেখা হয়েছে লেখক গ্রেগ হারকেন লিখছেন “ব্রাদারহুড অভ দ্য বম্ব”। গ্রেগ হারকেন নিজে ইয়েল এবং ক্যালিফোর্নিয়া ইনিষ্টিটিউট অভ টেকনোলজির প্রাক্তন অধ্যাপক। ওয়াশিংটনে স্মিথসোনিয়ান ইনিষ্টিটিউটের এয়ার এ্যান্ড স্পেস মিউজিয়ামের কিউরেটর এই মানুষটি কাগজপত্র ঘেটে যা বের করেছেন ওপেনহাইমারের বিচারের সময় এফ বি আই ও তা পারে নি। ওই বইতেই হারকেন দেখিয়েছেন সরাসরি কম্যুনিষ্ট পার্টির সদস্য না হলেও ১৯৩৮ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত কম্যুনিষ্ট পার্টির একটা গোপন শাখার সদস্য ছিলেন ওপেনহাইমার। এছাড়া কম্যুনিষ্ট পার্টি অভ ক্যালিফোর্নিয়ার কলেজ ফ্যাকাল্টিজের প্রতিবেদনগুলো নাকি গোপনে ওপেনহাইমার নিজে লিখে দিয়েছেন। এর মানে কি তিনি সোভিয়েত চর ছিলেন? তার কোন সরাসরি প্রমান বইতে পাওয়া যায় না।
লাখ মানুষের হন্তারক এ্যাটম বোমার জনক ওপেনহাইমার আবার তার থেকেও ভয়ংকর হাইড্রোজেন বোমা বানানোর বিরোধিতা করে হিরো থেকে জিরো হয়েছেন, হয়েছেন বিচারের মুখোমুখি, রাষ্ট্রদ্রোহিতার (সে সময় কম্যুনিজমের সাথে গোপনে যোগাযোগ থাকা মানেই ছিল এক রকম রাষ্ট্রদ্রোহিতা বা গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ) অভিযোগে তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে হয় সব রকম সিক্যুরিটি ক্লিয়ারেন্স (এটা কিন্তু তার অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে মারাত্মক অপমান ছিল), কম্যুনিজমের সাথে পরোক্ষ যোগাযোগ (কম্যুনিজম ভালো কি মন্দ সে প্রশ্ন এখানে অবান্তর, তখন তার অবস্থানের প্রেক্ষিতে তা মারাত্মক অন্যায় বলে বিবেচিত হত) আমেরিকান সমাজে তাকে করেছে অপমানিত। যার কারনে শেষ জীবন কাটিয়েছে “ব্রোকেন ম্যান” হিসাবেই। একেই কি প্রকৃতির অভিশাপ বলে?
এর প্রথম পর্ব বিজ্ঞান যখন চলে যায় রাজনীতির অধীনেঃ একজন ওপেনহাইমারের উত্থানের গল্প, পতনের গল্প অন্যদিন
মুল লেখাঃ এ্যাটম ফর পীস এ্যান্ড ওয়ার বইটির লিঙ্ক (Atoms for Peace and War) এর সাথে আরো অনেক অন্তর্জাল প্রবন্ধ। ছবিঃ অন্তর্জাল।
প্রথম হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরন দেখুন
০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৪
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।
২| ০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৮
কল্পদ্রুম বলেছেন: সব মিলিয়ে তাকে একজন জ্ঞানপাপী বলেই মনে হচ্ছে।
০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৮
শের শায়রী বলেছেন: এক অর্থে তিনি তাই, অন্য অর্থে তিনি দেশ প্রেমিক। যুদ্ধ কালীন পরিস্থিতিতে তিনি তার দেশের স্বার্থে যা করার তাই করছেন। সবারই তাই করার দায়িত্ব। আবার দেখুন, উনি এ্যাটম বোমা দিয়ে যত মানুষ মেরেছেন তার থেকে হাজার গুন মানুষ মারা যাচ্ছে যে কিনা এ কে ৪৭ রাইফেল তৈরী করছে। এখন আপনি কিভাবে দেখবেন? আবার ভাববেন না আমি ওপেনহাইমারের সাপোর্ট নিচ্ছি আমি নিরপেক্ষ জায়গা থেকে বিচার করার চেষ্টা করছি।
পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৩| ০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি ভয়াবহ বিস্ফোরণ!!!!!!!!!!!!
হায় ক্ষমতার লালসা, দম্ভ আর পাগলা দৌড়...
পৃথিবীকে ধ্বংস করার পিছনে কি পরিমান অপচয় আর পরিবেশ প্রতিবেশের ধ্বংস তারা নিত্য করে চলেছে....
বেশ হয়েছে। করোনায় পৃকতি মন খুলে প্রতিশোধ নিচ্ছে।
তাদের যদি প্রকৃতির আদালতে বিচার করা হয়, একবার না শতবার তাদের ধ্বংস করলেও তাও বুঝি শাস্তি কম হয়ে যাবে।
শুভ এবং কল্যানের জন্য হোক জ্ঞান, বিজ্ঞান আর সভ্যতার যাত্রা।
+++++++
০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৬
শের শায়রী বলেছেন: ম্যা'ভাই এই বিজ্ঞান জিনিসটা না থাকলেই আমি খুশী হতাম। নিত্য নতুন আবিস্কার দিয়ে সেটা হোক মারনাস্ত্র হোক ওষুধ আমাদের জীবনকে কেমন যেন যান্ত্রিক বানিয়ে দিচ্ছে। বিজ্ঞান তো আমাকে অমরত্ব দেবে না, তবে কিসের বিজ্ঞান। ছোট কালে মোবাইল ছিল না, গাড়ীও তেমন ছিল না, কিন্তু জীবন ছিল মধুময়।
এই বিজ্ঞান আজকে আমাকে কম্প্যুটারের কাছে আমার জীবন জীবিকা ইজারা দিয়ে দিছে, আমাকে দাস বানিয়েছে মোবাইলের। লাভটা কি হল? আমার জীবন থেকে বা এই প্রজন্মের জীবন থেকে মানবিকতা কেড়ে নিয়েছে।
আবার যখন মহামারী আসল, কি করল বিজ্ঞান? হয়ত বলবেন আজ হোক কাল হোক টীকা আবিস্কার হবে, কিন্তু যে লাখ লাখ জীবন গুলো ঝড়ে গেল তার সাথে বিংশ শতাব্দীতে ডাইরিয়া (ওলাউঠা) মৃত্যুতে পার্থক্য কতটুকু?!
শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। দোয়া রাখবেন।
৪| ০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: রবার্ট ওপেনহাইমার নামক এক পদার্থবিদ ছিলেন সেই প্রলয়ংকারী পারমাণবিক বোমার পিতা।
জাপানিদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছিলো আকাশ-বাতাস, তখন এই বিজ্ঞানী বিড়বিড় করে বলছিলেন, “এখন আমি হলাম মৃত্যু, এই পৃথিবীর সবচেয়ে কুখ্যাত ধ্বংসকারী”।
০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৪
শের শায়রী বলেছেন: মুলতঃ এই লাইনটা ওপেনহাইমার গীতা থেকে ধার করেছেন, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণ যখন অর্জুনকে বিশ্বরূপ দেখাচ্ছিলেন তখন তিনি এটা উচ্চারন করেছিলেন।
অনেক ধন্যবাদ রাজীব ভাই।
৫| ০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০৬
নগর মানব বলেছেন: এটম বোমার চেয়ে এখন ভয়ংকর জীবাণু ও রাসায়নিক অস্ত্র । আপনাকে ধন্যবাদ তথ্যসমৃদ্ধ লেখার জন্য ।
০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৫
শের শায়রী বলেছেন: বায়ো কেমিক্যাল অস্ত্র গুলো খুব খারাপ নিঃসন্দেহে। পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৬| ০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অসাধারণ সুন্দর একটা পোস্ট।
০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৭
শের শায়রী বলেছেন: উদ্দীপনা মুলক মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন সাজ্জাদ ভাই।
৭| ০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: ওপেনহাইমারের পরিণতি এরকমই হয়ত হবার উচিৎ ছিল! এরকম বিধ্বংসী বোমা কখনো মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না, একেই বলে প্রকৃতির বিচার!
মানব ইতিহাসে হাইড্রোজেন বোমা, পারমানবিক বোমার কোন দরকার নাই! এখন যে সমস্ত দেশের কাছে আছে বোমাগুলো,
যদি এগুলোর কিছু ব্যাবহার হয় তাহলে মানব জাতির জন্য ভয়ঙ্কর হবে ব্যাপারটা।
শুভ বুদ্ধির উদয় হোক মানুষের।
০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০
শের শায়রী বলেছেন: দেখুন শুধু ওপেনহাইমারের এই পরিনতি না হয়ে এর সাথে জড়িত জেনারেল গ্রোভস, প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান এদেরও যদি একই পরিনতি হত আমি খুশী হতাম। কারন এগুলো কারো জন্যই শুভ কিছু বয়ে আনে না। তবে আমার কাছে মনে হয় এখানে ওপেনহাইমার প্রকৃতির একটা গুটি। না হলে সে খল নায়ক হলে এই বোমার ফালানোর নির্দেশের সাথে জড়িত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে বাকীরা কেন হিরোর মর্যদা পাবে?
মানুষ হত্যার সাথে জড়িত সবারই শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
৮| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৩
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ওপেনহাইমারকে আমি মূলত মানবতাবাদী হিসেবেই দেখবো। ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে বলছি, ওপেনহাইমার একজন পদার্থবিদ এবং অধ্যাপক হিসেবে তিনি তার অবদান রেখে গেছেন মানুষকে বিজ্ঞানের পথকে এগিয়ে দিয়ে। ক্রান্তিকালে দেশ থেকে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব তিনি সফলভাবে পালন করে একজন প্রকৃত নাগরিকের দায়িত্ব পালন করছেন। শেষ অবধি তিনি তার আবিষ্কারের মানবিক কুফল অনুধাবন করে পরমাণুর সঠিক ব্যবহারের প্রতি জোর দিয়েছেন। এটাকে আমি পজিটিভ হিসেবেই দেখবো আার আমার ধারনা ইতিহাস তাকে তার যোগ্য সম্মান টুকুই দেবে। ধন্যবাদ।
০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪০
শের শায়রী বলেছেন: এই পয়েন্টে আমিও আপনার সাথে এক মত ইফতেখার ভাই, কারন ম্যানহাটান প্রজেক্টে ওপেনহাইমার না হয়ে অন্য কেউ হলেও কিন্তু এ্যাটম বোমা তৈরী হত, সেক্ষেত্রে ওপেনহাইমারের অন্যায় ততটুকুই যত টুকু এক জন চাকুরীজীবি তার উপস্থর হুকুম পালন করছে। আরো মজার ব্যাপার এই ক্ষেত্রে কিন্তু আইনষ্টাইনকে দায়ী করছে না, অথচ এই বোমা বানানোর পেছন আইনষ্টাইনের বিশাল উস্কানি ছিল, এবং তার সূত্রই ধরেই এই বোমা আবিস্কার হয়েছে।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৯| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সে একজন অমানবিক জ্ঞানী লোক
০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪২
শের শায়রী বলেছেন: নেওয়াজ ভাই, উনার সাথে আরো অনেক জ্জানী জড়িত ছিলেন যারা অমানবিক। এক্ষেত্রে আমি প্রথমেই বলব আইনষ্টাইনের নাম।
১০| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১:১০
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪
শের শায়রী বলেছেন: আপনি ফিরে এসে ধন্যবাদ দেয়ায় আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানুন।
১১| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৩১
মানতাশা বলেছেন: চালায়ে যাও।আছ এখনও তাহলে।ভাল।
০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫
শের শায়রী বলেছেন: দেখা যাচ্ছে আপনি আমাকে অনেক আগে থেকেই চেনেন, কিন্তু আমি আপনাকে স্মরন করতে পারছি না। যাই হোক হ্যা আছি।
১২| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " ম্যা'ভাই এই বিজ্ঞান জিনিসটা না থাকলেই আমি খুশী হতাম। নিত্য নতুন আবিস্কার দিয়ে সেটা হোক মারনাস্ত্র হোক ওষুধ আমাদের জীবনকে কেমন যেন যান্ত্রিক বানিয়ে দিচ্ছে। বিজ্ঞান তো আমাকে অমরত্ব দেবে না, তবে কিসের বিজ্ঞান। ছোট কালে মোবাইল ছিল না, গাড়ীও তেমন ছিল না, কিন্তু জীবন ছিল মধুময়। "
-আপনার ছোটকালে জীবন যখন মধুময় ছিল, আপনার গ্রামের, আপনার বয়সী কি পরিমাণ বাচ্চা না খেয়ে থাকতো? কি পরিমাণ বাচ্চা জীবনে স্কুলে যেতে পারেনি? কি পরিমাণ বাচ্চা সামান্য একটা "এন্টিবাইওটিক"এর অভাবে মারা গেছে? কি বলছেন, একটু ভেবে দেখিয়েন।
আপনার ম্যা'ভাই (বিদ্রোহী ভৃগু) গুহায় বাস করতে চায় এখনো, আর মাঝে মাঝে সাপুড়ে কবিতা লেখেন; কিন্তু বিশ্বে কত কোটী শিশু আজও পরিস্কার পানি পায় না, সেটা জানে না।
০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫২
শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী, ম্যা'ভাইর মন্তব্যে আমি যে প্রতি উত্তর দিয়েছি তা অনুধাবন করার জন্য যেটুকু জ্ঞান লাগে তা আসলে আমেরিকার ইংরেজি পেপারের অনুবাদ দিয়ে ব্লগে পোষ্ট করে এর মর্মার্থ বুঝা অতি দুস্কর। আর এখানেই আপনি ব্যার্থ। মানসিকতার একটা লেভেলে পৌছালে আপনি এর মর্মার্থ বুজতে পারতেন। আফসুস!
যাক বাদ দেন মুরুব্বী, ম্যা'ভাই শুনছি এখনো গুহায় বাস করে, হাতে মুগুর আর পরনে থাকে হরিনের চামড়া.... বুজতেই পারছেন... একটু সাবধানে উনাকে ঘাটাবেন, গুহামানব কিনা উনি হয়ত জানেনা বিশ্বে কত কোটি শিশু পরিস্কার পানি পায় না, তবে এটা জানে ব্লগে কার কতটুকু ঘুলি আছে, অনেক দিন ধরেই তো এই সামু গুহায় বসবাস করে
১৩| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:৫২
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এ সব কিছুই পুঁজিবাদের শৃষ্টি।উৎপাদন ব্যবস্থায় বিকাশের এক স্তরে পুঁজির বিকাশ আবসম্ভাবী।পুঁজির আরো বিকাশ এবং রক্ষার জন্যই বোমা ফোমা এতো কিছু।পুঁজির বিকাশ চলছে শিল্প বিপ্লবের পর থেকেই।বিকাশ যখন শেষ হয়ে যাবে তখন উৎপাদন ব্যবস্থায় আসবে পরিবর্তন।তখন বোমা ফোমা কিছুই থাকবেনা এর প্রয়োজন ও থাকবেনা।
০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫
শের শায়রী বলেছেন: পারফেক্ট সমাজতান্ত্রিক ধারনার সাথে শান্তিবাদী ধারনা, তবে বোমার বিকাশে কিন্তু সমাজতান্ত্রিকরাও কম যায় না ভাই, কোন কোন ক্ষেত্রে এক পা আগানো।
পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১৪| ০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৯
হাসান রাজু বলেছেন: রাষ্ট্র তাকে যতই অপমান করুক। এই ছবিটা আমাকে তার ব্যাপারে সহমর্মী হতে দেয় না । কোন করুণা নয় তার জন্য -রাষ্ট্র তাকে যতই অপমান করুক। এই ছবিটা আমাকে তার ব্যাপারে সহমর্মী হতে দেয় না । কোন করুণা নয় তার জন্য -
০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭
শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই অবশ্যই কোণ করুনা নাই এদের জন্য, তবে যে ছবি দিয়েছেন, সম্ভবতঃ জাপানীদের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এদের নৃশংসতাও ছিল প্রবাদতুল্য।
১৫| ০৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৯
নতুন নকিব বলেছেন:
সুস্থ পৃথিবীর জন্য তিনি জ্বলজ্যান্ত অভিশাপ। তার জন্ম না হলে পৃথিবীতে পারমানবিক অস্ত্রের এত ঝনঝনানি কি দেখতে হত? মানব মৃত্যুর হার কি কিছুটা হলেও কমতো না?
পোস্টে +
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৪
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, ওপেনহাইমার না থাকলেও অন্য কেউ আসত এই বোমা বানানোর জন্য যেমন এসেছে হাইড্রোজেন বোমা সহ আরো মারাত্মক মারনাস্ত্রে। একটা পারমানবিক বোমা আর কত মানুষ মারছে? তার থেকে অনেক বেশী মারা গেছে একে ৪৭ রাইফেলের গুলিতে। যাই হোক তারপরো এগুলো কোন যুক্তি না। এরা মানব সমাজের জন্য অভিশাপ স্বরূপ।
পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১৬| ০৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তাকে আমি মানবতা বাদী বলবো না। তিনি যথার্থ ই হত্যাকারী। বিশাল সংখ্যক মানুষ হত্যার পর তাকে শুধু খুনিই বলা যায়। তিনি একজন ভয়াবহ খুনি। হাইড্রোজেন বোমা তৈরি ঠিকই হলো। অস্ত্রীকরণ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। এসব মানব বিধ্বংসী উপকরণ ধ্বংস করে ফেলা উচিত।
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৬
শের শায়রী বলেছেন: কোন সন্দেহ নাই কবি এরা মানব সভ্যতার অভিশাপ। তবে মানব বিধ্বংসী উপকরন কোনদিন ই ধ্বংস হবে না বরং আরো বাড়বে।
১৭| ০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩১
ইসিয়াক বলেছেন: এই খুনীর জন্য আমার কোন সহানুভুতি নাই।ছোট বেলায় কোন ক্লাসে ঠিক মনে পড়ছে না হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমাবর্ষণ নিয়ে একটা পাঠ ছিলো। আমি অনেকবার পড়েছি আর মন খারাপ করেছি সেই সব মানুষদের দূর্দশার কথা ভেবে। কি নৃশংস ! কিভাবে পারে মানুষ এসব?
#এসব মানব বিধ্বংসী অস্ত্র অবশ্যই ধ্বংস করে ফেলা উচিত।
#একটাই চাওয়া, মানুষ আরো মানবিক হোক। মনে রাখা উচিত সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই্।
#দুই পর্বের কমেন্ট একসাথে দিলাম ।
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:১৭
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় কবি এই বোমা বানানোর অর্ডার এবং ফালানোর আদেশ দিয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান, এবং আইনষ্টাইন এই বোমা বানাতে প্রেসিডেন্ট কে উদ্ধুদ্ধ করছে, সো তাদেরো ঘৃনা করতে হবে, তাদের কিন্তু হিরো হিসাবে দেখলে হবে না।
দুই পর্বের কমেন্ট এক সাথে দেয়ায় ডাবল ধন্যবাদ।
১৮| ০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এইসব বিজ্ঞানীদের প্রতি ঘৃণা ছাড়া আমার আর কোন অনুভূতি নাই।
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:১৮
শের শায়রী বলেছেন: স্বাভাবিক ভাবে তাইই হবার কথা আবুহেনা ভাই।
১৯| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: সাইন্স যখন মানব কল্যানে না হয়ে অকল্যানে ব্যবহ্রত হয় , তখন সেটাতে যুক্ত বিজ্ঞানীদের মানুষ বলে মনে করার কোন কারন নাই। হলিউডে এইসব খুনে বিজ্ঞানীদের নিয়ে অনেক মুভি তৈরী হয়।
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:১৯
শের শায়রী বলেছেন: এদের কে চালিত করছে রাজনীতিবিদরা। আর আইনষ্টাইন কিন্তু এই বোমা বানাওর সুত্র সহ প্রেসিডেন্ট কে উদ্ভুদ্ধ করছে ঢাবিয়ান ভাই
২০| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
অ্যাটম বোমা থেকে হাইড্রোজেন বোমার প্রস্তুতি ও তার ব্যাখ্যা ভালো লেগেছে। ভালো লেগেছে জার্মান ক্লক ফুকসের মাধ্যমে নথি পাছারের ঘটনাটা। ওপেন হাইমারের উত্থান যেমন ছিল পতনো অবশ্যম্ভাবী ছিল। কাজেই কোন প্রমাণ না পেলেও এফবিআই গোয়েন্দারা ওপেনহাইমারকে রুশ চর স্যাবস্ত করে। লক্ষাধিক লোকের হত্যাকারীকে তো জীবনের শেষপ্রান্তে হলেও এটুকু বিচারের দরকার ছিল।
পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:২০
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাই।
২১| ০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:১২
সোহানী বলেছেন: শিরোনামের উত্তর.... মানব হন্তাকারী ছিলেন। পরে যা করেছে তা লোক দেখানো। আর তা করতে যেয়েই নিষ্ঠুর ব্যুরোক্রেটরা তাকে ক্ষমা করেনি.............
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:২১
শের শায়রী বলেছেন: বোন ব্যুরোক্রাটরা কাউকে ক্ষমা করে না নিজেদের স্বার্থ শেষ হবার পর।
২২| ০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হঠাৎ এ্যাটম বোমা নিয়া পড়লেন যে???
এইবার হাইড্রোজেন বোমা নিয়া কিছু কন দেহি!!!!
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:২৩
শের শায়রী বলেছেন: এ্যাটম বুমা নিয়া কইলাম, এরপর হাইড্রোজেন বুমা, রাসায়নিকা বুমা, মানব বুমা নিয়া লিখলে আমার মুরুব্বী নির্ঘাত আমারে জঙ্গী উপাধি দেবে। আপনি কি তাই চান ?
২৩| ০৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: তিনি হয়তো তার দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ইটারন্যাল রিভেঞ্জ এর স্বীকারও হয়েছেন। সোহানী এবং হাসান রাজুর মন্তব্যর সাথে একমত।
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:২৪
শের শায়রী বলেছেন: আমি আসলে যা বুজলাম পদ্ম ভাই উনি আসলে দায়িত্ব পালনের পর বলির পাঠা হয়েছে।
২৪| ০৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৩
করুণাধারা বলেছেন: হন্তারক ছাড়া আর কিছু নয়! যে লোক হাসতে হাসতে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ধ্বংস করার কথা বলতে পারে, তাকে কোনভাবেই মানবদরদী বলা যায় না। অবশ্য এই প্রকল্পে যুক্ত প্রতিটি মানুষকেই আমি খুনি বলব।
এটম বোমা সম্পর্কে কিছু জানতাম, হাইড্রোজেন বোমা সম্পর্কে কিছু জানতাম না। অনেক কিছু জানা হলো।
তিন নম্বর প্রতিমন্তব্যে দেখলাম বলছেন শরীর ভালো নেই। সুস্থ হয়ে উঠুন- দোয়া রইল।
১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১:২২
শের শায়রী বলেছেন: ওপেনহাইমার একজন প্রহেলিকা। হাসতে হাসতে মানুষ পাচ লাখ মানুষ খুন করার কথা বলে আবার এ্যাটম বোমার ধ্বংস দেখে হাইড্রোজেন বোমা বানানোর বিরোধিতা করে দেশোদ্রোহী সাজে।
শরীরটা ভালো যাচ্ছে না আপাতত। দোয়া রাখবেন বোন।
২৫| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২৮
রাকু হাসান বলেছেন:
ইতিহাস পড়তে ভালো লাগে । আপনার এই পোস্টটি তৃপ্তি মেটালো অনেক প্রশ্নের । দুইটি পর্বের সাথে ছিলাম নিবিড় ভাবে। আসলে প্রকৃতির খেলটাই আসল। এ তো হিরো থেকে জিরো হওয়ার গল্প। আমার মাথায় খেলে না কিভাবে একজন মানুষ লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু কামনা করতে পারে ? এটা উগ্রদেশপ্রেম নাকি বিবৃত মানসিকতার প্রকাশ!!
ক্ষমতার চূড়ান্তে যারা থাকেন যখন তাদের পতন হয় তখন তাদের শত্রুও থাকে ক্ষমতার চূড়ান্তে ।--- লাইনটি বিশ্বাস করি এবং খুব ভালো লাগছে ভাইয়া। মহানায়কদের পতনের জন্য অবশ্যই প্রয়োজন মহা খলনায়ক । যেমনটা আমরা কারবালার প্রান্তর থেকে শুরু করে সব ইতিহাসে লক্ষমান । এর আগেও এমন ইতিহাস পাওয়া যায়। আর এটা প্রকৃতি নিজেই তৈরি করে নেয়। সামনে এনে দাঁড় করায় ,যোগ্য প্রতিপক্ষের । টেলরকে দেখলাম সেই ভূমিকায়।
স্টালিন অবশ্যই গোপন তথ্য পেয়েছে । যদিও বিষয়টি নিয়ে বির্তক আছে । তবে তারা যে গুপ্তচর বৃত্তির মাধ্যমে এটম বোমা নিয়ে আসছিলো সেটার পক্ষের যুক্তিই বেশি বলে হয়। আর এই কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই ,রাশিয়ানরা ফেলনা ছিল না । তবে এটা ঠিক মার্কিনীদের থেকে পিছিয়ে ছিল। এখন অবশ্য ভালো করছে। তবু আমি মার্কিনীদের এগিয়ে রাখবো ।
বুঝলাম ট্রেলর আর ওপেনহাইমারের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো ছিল না । হাইড্রোজেন বোমার ব্যাপারে তিনি ভালোর জন্যই না করে ছিলেন নাকি ঈর্ষা পরায়ণ হয়ে ? বোমা বিষ্পোরনের তারিখের ভিন্ন তারিখ দেখলাম । একটি সূত্র বলছে May 20th, 1956 তবে আপনার লেখা এবং বই ,সাথে উইটিপিডিয়া একই তথ্য দিচ্ছে। এটাই সঠিক বলে ধরলাম । বিশ্বাসযোগ্য ।
অনলাইনে একটি লেখা পেলাম । সংযুক্ত করছি। সে সময়ের ।
মুগ্ধ হয়ে পড়লাম । উপহারের জন্য শুধু ধন্যবাদ দিতে পারবো । কৃতজ্ঞতটা প্রকাশ করতে কৃপনতা নেই । করছিও । এভাবেই মুগ্ধ হতে চাই । ভালোবাসা অগ্রজ শের শায়রী ভাইয়া।
১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫৬
শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই দারুন এক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানুন। আমার ধারনা টেলর এই হাইড্রোজেন বোমা অনেকটা ঈর্ষাপরায়ন হয়ে অন্য কথায় নিজেকে প্রমান করার ইচ্ছা থেকে মানে সে যে ওপেনহাইমারের থেকে কোন অংশে কম না তা প্রমান করার জন্য হাইড্রোজেন বোমা তৈরী করেছিল।
আপনি কিন্তু দারুন লিখছেন, কন্টিনিউ করেন প্লীজ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৪
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই অনেক কিছুই জানলাম। অনেক কিছু জানতে পারলাম