নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞান যখন চলে যায় রাজনীতির অধীনেঃ একজন ওপেনহাইমারের উত্থানের গল্প, পতনের গল্প অন্যদিন

২৯ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৪৮



জন্ম ১৯০৪ সালের ২২ শে এপ্রিল। নিউইয়র্ক শহরে। বাবা জুলিয়াস ওপেনহাইমার ১৮৮৮ সালে জার্মানি থেকে নিউইয়র্ক শহরে পাড়ি জমান ১৭ বছর বয়সে এবং সেখানেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। জুলিয়াস বিয়ে করেন এলা ফ্রিডম্যানকে, জুলিয়াসের মতই জার্মান ইহুদি উদ্ধাস্তু। ১৯০৪ সালে তাদের ঘর আলো করে রবার্ট ওপেনহাইমার নামে পুত্র সন্তান। এর আট বছর পর তাদের আর এক পুত্র সন্তান জন্ম নেয় নাম ফ্রাংক। স্ত্রী আর দুই ছেলে নিয়ে জুলিয়াস এবং এলার সুখের সংসার। ছোট বেলায় রবার্টকে পড়তে পাঠান এথিকাল কালচার স্কুলে যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ফেলিক্স এ্যাডলার। ফেলিক্স জন্মসুত্রে ইহুদি হলেও গোড়া ধর্মচিন্তা থেকে দূরে ছিলেন। তিনি ডারউইনের বিবর্তনবাদের এক জন সমর্থক ছিলেন। এ্যাডলার বিশ্বাস করতেন বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিস্কারের ফলে ধর্ম বিশ্বাসও পরিবর্তিত হতে হবে। ছাত্রদের এক শোষনহীন সাম্যবাদী সমাজ ব্যাবস্থার স্বপ্ন দেখাতেন এ্যাডলার। এহেন শিক্ষা ব্যাবস্থার আদর্শ নিয়ে রবার্ট ওপেনহাইমার বড় হচ্ছিলেন।


ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবরেটরি

এ্যাটম বোমার জনক হিসাবে ওপেনহাইমারের পরিচয়টা এত জোরালো হয়ে গেছে তার আড়ালে তিনি যে একজন প্রথম শ্রেনীর তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ছিলেন সেটা এখন প্রায় কেউই জানে না। সে আমলের অন্যান্য বিজ্ঞানীদের মত ওপেনহাইমারের গবেষনায় প্রবেশ ফিজিক্স দিয়ে নয়, কেমিষ্ট্রি দিয়ে। হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ওপেনহাইমার প্রথমে যার কাছে রসায়নে পাঠ নেন তার নাম পার্সি ব্রিজম্যান। তার বিষয় ছিল প্রচন্ড চাপে পদার্থের প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে? ওপেনহাইমারের ইচ্ছা ছিল স্নাতকোত্তর পর্বে গবেষনা করবেন ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবরেটরিতে আর্নেষ্ট রাদারফোর্ডের কাছে। কিন্তু রাদারফোর্ড তাকে প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর তিনি যান ক্যাভেন্ডিশের আর এক অধ্যাপক জন টমসনের কাছে। এখানে কাজ করতে গিয়ে তিনি ইউরোপের প্রায় সব বিখ্যাত বিজ্ঞানীর সাথে পরিচিত হন নীলস বোর, ষ্টুয়ার্ট ব্লাকেট, মরিস ডিরাক, ম্যাক্স বর্ন, র‍্যালফ ফাওলার সহ আরো অনেকের। এরা বিভিন্ন সময় ক্যাভেন্ডিশে ভিজিটিং প্রফেসর হিসাবে আসেন। এ পর্যায়ে ম্যাক্স বর্নের বেশ পছন্দ হয়ে যায় উঠতি গবেষক ওপেনহাইমারকে। তিনি তার গবেষনাগার গর্টিংজেনে পি এইচ ডির সুবিধা করে দেন রবার্টকে। সময় ১৯২৬ সাল।

ওই সময়টা কিন্তু অত্যান্ত উল্লেখ্যযোগ্য, কারন অনু পরমানুর অন্দর মহল আবিস্কার করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করছিলেন বিজ্ঞানের বিচিত্র সব নিয়ম কানুন। যেমন কোয়ান্টাম মেকানিক্স, যার প্রতিপাদ্য আমাদের বাস্তব জীবন থেকে এতটাই আলাদা যে সত্যি বলে মানতে কষ্ট হয়। ওপেনহাইমারের মত তরুন বিজ্ঞানীদের হাত ধরে বিজ্ঞানের জয় যাত্রা এগিয়ে যাচ্ছিল। পরমানুর ঘোরটেপের মাঝে কিভাবে ইলেকট্রন পালায় তা দেখালেন ওপেনহাইমার, আবার ইলেক্ট্রনের পাল্টা কনা পজিট্রন এর অস্তিত্ব যে সম্ভব তা অনুমানের খুব কাছাকাছি চলে গেলেন ওপেনহাইমার তবে শেষ পর্যন্ত এই ব্যাপারে সাফল্যের মালা ডিরাকের গলায়। আরো একটা ব্যাপারে ওপেনহাইমারের অবদান বিজ্ঞানীরা স্বীকার করেন, অতিকায় ভারী নক্ষত্রগুলো যে মৃত্যুর পর যে ব্লাক হোল হয়ে যাবে সে ব্যাপারে প্রথম উচ্চারন কিন্তু এই বিজ্ঞানীই করেছিলেন এভাবে “অতিকায় দানব, যার থাবা এড়িয়ে পালাতে পারবে না আলোও”

ফিশন বা পরমানু বিভাজন পদার্থবিদ্যা গবেষনার এক মাইল ফলক। এই পরমানু বিভাজন আবিস্কারের আগে বিজ্ঞানীদের মাঝে কোন দেশের সীমারেখা ছিলনা, সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন তাত্ত্বিক আলোচনার মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক আবিস্কারগুলো শেয়ার করত কিন্তু ফিশন আবিস্কারের পর মুহুর্তে সব চেঞ্জ হয়ে গেল। কি সে আবিস্কার যা বিজ্ঞানকে রাজনৈতিক বিভাজন এনে দিল? এ প্রশ্নের জবাব কিছুটা দীর্ঘ কিন্তু সংক্ষিপ্ত হলেও কিছুটা আলোচনার দাবী রাখে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে আষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা-র রেডিয়াম ইনিষ্টিটিউট, ২৫০ মিলিগ্রাম তেজস্ক্রিয় মৌল রেডিয়াম ধার দিয়েছিল ইংল্যান্ডের কেম্ব্রিজের অধ্যাপক রাদারফোর্ডকে। যুদ্ধের পর, পরীক্ষার কাজ শেষ হলে রাদারফোর্ড সেই রেডিয়াম ফেরত দিতে চান অষ্ট্রিয়াকে। ভিয়েনা থেকে জানানো হয় ফেরত দেবার দরকার নাই কারন তিনি বিখ্যাত বিজ্ঞানী এবং সবার স্বার্থে গবেষনা করছেন। আশ্চর্য্যের ব্যাপারটা এখানেই, এর মাঝেই অষ্ট্রিয়া আর ইংল্যান্ডের মাঝে বিরাট যুদ্ধ হয়ে গেছে। পদার্থবিদ্যায় রাদারফোর্ডের বড় আবিস্কার ১৯১০ সালে। যার মুল প্রতিপাদ্য হল পরমানুর প্রায় সমস্ত ভরটাই তার কেন্দ্রে অর্থ্যাৎ নিউক্লিয়াসে


বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে আইনষ্টাইন

ততদিনে আইনষ্টাইনের বিখ্যাত সমীকরন E= mc² আবিস্কার হয়ে গেছে। জানা গেছে পদার্থের ভর (m) আর এনার্জি (E) আসলে একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। জিনিস একই শুধু রূপান্তর। যেমন কাঠ পোড়ালে কয়লা হয়। ফলে ভর কে বদলানো যায় এনার্জিতে অথবা এনার্জিকে বদলানো যায় ভরে। কি পরিমান ভর থেকে কি পরিমান এনার্জি পাওয়া যাবে তাও বলে দিয়েছে আইনষ্টাইনের ওই সুত্র। সমীকরনে c হল আলোর বেগ। অর্থ্যাৎ সেকেন্ডে তিন লক্ষ কিলোমিটার। এর আবার বর্গ। মানে ৯ এর পর দশটা শুন্য দিলে যা দাড়ায় তাই। ৯০,০০০,০০০,০০০। এখানে একটা ব্যাপার খুব পরিস্কার সামান্য পরিমান ভরকে এনার্জিতে পরিনত করতে পারলে বিশাল পরিমান এনার্জি পাওয়া যাবে। এনার্জি মানে শক্তি। তাহলে কি হল? কোন পরমানুর ভরকে (m) এনার্জি (E) মানে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারলে মিলবে এ্যাটম বোমা। সাইন্সফিকশান লেখক এইচ জি ওয়েলস ১৯১৪ সালে প্রকাশিত তার “দ্য ওয়ার্ল্ড সেট ফ্রি” উপন্যাসে আনলেন এ্যাটম বোমার প্রসঙ্গ। সে গল্পে দুই শহরের মধ্যে যুদ্ধে এ্যাটম বোমা ব্যাবহৃত হয়েছে।



পরমানুর ভর খরচ করে এনার্জি মিলতে পারে কিন্তু সে তো তত্ত্বকথায়, কিন্তু বাস্তবে কিভাবে পাবে? সে আর এক ইতিহাস ১৯৩২ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জেমস চ্যাডউইক পরমানুর নিউক্লিয়াসে নিউট্রন আবিস্কার করেন উজ্জ্বল হয় বোমা তৈরীর সম্ভাবনা। কিভাবে? একটা পরমানুতে থাকে ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন। এখানে নিউট্রন কনা নিউট্রাল ( অর্থ্যাৎ এদের ভর আছে কিন্তু চার্জ নাই, নামটাও এখান থেকে দেয়া)। প্রোটন ভর আছে কিন্তু পজিটিভ চার্জ বিশিষ্ট। আর ইলেকট্রন ভর আছে কিন্তু নেগেটিভ চার্জ বিশিষ্ট। নিউট্রনে চার্জ না থাকায় কি সুবিধা? সুবিধা এই যে প্রোটন এবং ইলেকট্রনে চার্জ থাকায় তা সরাসরি ছুটতে পারে না, একের প্রভাবে অন্যের গতিপথ বেকে যায়। চুম্বকের মত চার্জের বেলায়ও আকর্ষন, বিকর্ষন ঘটে। যেহেতু নিউট্রনের ভর আছে কিন্তু চার্জ নেই তাই সে কোন পরমানুকে আঘাত করে ভেঙ্গে ফেলতে পারে (ব্যাপারটার সহজ ব্যাখ্যা দিলাম, কিন্তু মুল ব্যাপারটা আরো জটিল)। এদিকে পজিটিভ চার্জ বিশিষ্ট প্রোটন আর চার্জ হীন নিউট্রনের ভর কিন্তু সমান কিন্তু এদের তুলনায় নেগেটিভ চার্জ বিশিষ্ট ইলেকট্রনের ভর অনেক কম। এই যে নিউট্রন দিয়ে আঘাত করে পরমানু ভেঙ্গে ফেলার প্রক্রিয়া একেই বলে ফিশন।



এই ফিশন আবার পরমানু বোমা তৈরীতে কোন থিওরীতে কাজে লাগে? দেখা যায় যে সব পরমানু বেশী ভারী (অর্থ্যাৎ যাদের প্রোটন, ইলেকট্রন, নিউট্রন অনেক গুলো) তাদের বিভাজন ঘটলে যে টুকরা পাওয়া যায় তাদের মোট ভর মুল পরমানুর ভরের চেয়ে কম। তার মানে মুল পরমানুর ভর এবং টুকরাগুলোর ভরের কিছু গড় মিল হচ্ছে। টুকরা হয়ে গেলে কিছু ভর হারিয়ে যাচ্ছে! বিজ্ঞানের নিয়মে তা তো হতে পারে না। ঠিক এটাই ফিশন এর মুল কথা। হারিয়ে যাওয়া বাড়তি ওই ভরটুকু আসলে আইনষ্টাইনের সুত্র মেনে এনার্জিতে পরিনত হচ্ছে। এ্যাটম বোমার ধাক্কা বা শক্তি আসলে ওই ফিশন প্রক্রিয়ায় হারিয়ে যাওয়া ভর থেকে পাওয়া এনার্জি!!

নিউট্রন কনার সাহায্যে পরমানুর বিভাজনে প্রথম সাফল্য আসে ১৯৩৮ সালে বার্লিনে অটোহ্যান এবং ফ্রিৎজ ষ্ট্রাসম্যানের গবেষনাগারে। ওই জার্মান বিজ্ঞানী নিউট্রন দিয়ে ইউরেনিয়াম মৌলের পরমানুকে আঘাত করছিলেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হল নিজেদের পরীক্ষার ফলাফলের গুরুত্ব তারা বুজতে পারে নি। বাস্তবে যে তারা পরমানু বিভাজন ঘটিয়েছেন এর ব্যাখ্যা দেন অটোহান এর প্রাক্তন সহকর্মী লিজে মিৎনার এবং তার ভাইপো অটো ফ্রিৎশ। ওদের ব্যাখ্যায় আর একটা গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার জানা যায়, ফিশন থেকে এনার্জি পেতে হলে শুধু একটা পরমানু বিভাজন ঘটালেই হবে না দরকার হবে অনেক অনেক বিভাজন মানে অনেক অনে নিউট্রন। কোথা থেকে আসবে এই নিউট্রন? এই সমস্যার সমাধানও নিহিত ছিল ফিশনে। কোন নিউট্রন কনা যখন কোন ইউরেনিয়াম পরমানুকে আঘাত করে তখন তার নিউক্লিয়াস থেকে নতুন কিছু নিউট্রন বের হয়, যা আবার নতুন পরমানুকে আঘাত করে, মানে যত পরমানুকে আঘাত করছে অটোমেটিক ভাবে আরো নিউট্রন বের হয়ে আরো নতুন পরমানুকে আঘাত করছে। মানে প্রতি বিভাজনে নতুন নিউট্রন আর নতুন নিউট্রন মানে নতুন বিভাজন। এভাবেই এগিয়ে যায় ফিশন বিক্রিয়া। তৈরী হয় ভয়াবহ এনার্জি। এটাই এ্যাটম বোমার বিধ্বংসী ক্ষমতার মুল উৎস।

তত্ত্ব এই সব বললেও বাস্তবে কিন্তু তখনো ব্যাপারটা অনেক কঠিন ছিল। কতটা কঠিন ছিল? আইনষ্টাইনের মত বিজ্ঞানী এ্যাটম বোমা বানানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, “যে জঙ্গলে পাখি কম, অন্ধকারে সে জঙ্গলে পাখি শিকার যতখানি সম্ভাবনা থাকে ঠিক ততটা।” আইনষ্টাইন এমনটা ভাবলেও গবেষনা কিন্তু থেকে থাকে নি। হান এবং ষ্ট্র্যাসের সাফল্যের পর বিজ্ঞান যেন হারিয়ে ফেলল তার আন্তর্জাতিক চরিত্র। খোলামেলা, বিভিন্ন ধরনের সহায়তার আন্তর্জাতিক মানসিকতা যেন উবে গেল গবেষনাগার গুলো থেকে। সেখানে চলে গোপনীয়তা এবং অন্ধ দেশ ভক্তি। সোজা ভাষায় বিজ্ঞান চলে আসল রাজনীতির কুটিল অন্ধকার রাজার অধীনে। ওদিকে ইউরোপ এবং আমেরিকার বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করলেন জার্মানির বিজ্ঞানীরা পরমানু সংক্রান্ত কোন গবেষনা ছাপাচ্ছেন না কোন বিজ্ঞান জার্নালে। ওদিকে হিটলারের তখন জয় জয়কার সময় ১৯৩৯ সাল। জার্মানির দখলে থাকে চেকশ্লোভাকিয়ার খনি থেকে ইউরোনিয়াম বিক্রি তখন বন্ধ। বিপদের গন্ধ পেয়ে আইনষ্টাইনের কাছে ছুটে আসলেন তিন বিজ্ঞানী লিও ঝালার্ড, ইউজিন উইগনার এবং এডোয়ার্ড টেলার। হাংগেরিয়ান ইহুদি সবাই। ওরাও হিটলারের ইহুদী নিধনের ভয়ে ইউরোপ থেকে পালিয়ে আমেরিকায় এসেছিলেন।


ওপেনহাইমার এবং জেনারেল গ্রোভস

একটি নয় দুটি চিঠি লেখেন আইনষ্টাইন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টকে ২ রা আগষ্ট ১৯৩৯ সালে এবং ৭ ই মার্চ ১৯৪০ সালে। না শুধু আইনষ্টাইনের চিঠিতেই বোমা বানানোতে উদ্যেগী হননি রুজভেল্ট তবে নিশ্চয়ই প্রভাবিত হয়েছিলেন, সেরা বিজ্ঞানীর চিঠি দ্ধারা। বিজ্ঞানীদের নয় বোমা তৈরীর নির্দেশ দেন সেনাবাহিনীকে কারন একাজে অনেক কিছুর সমন্বয়ের প্রয়োজন ছিল যুদ্ধকালীন দ্রুততায়। সেনাবাহিনী কর্তৃক তৈরী হয় “ম্যানহাটন ইঞ্জিনিয়ার ডিষ্ট্রিক্ট” যাকে সবাই “ম্যানহাটন প্রজেক্ট” নামেই চেনে। এর প্রধান হন জেনারেল লেসলি রিচার্ড গ্রোভস। ১৯৪৩ সালের জুলাই মাসে তিনি বোমা তৈরীর প্রধান বিজ্ঞানী হিসাবে নিয়োগ দেন রবার্ট ওপেনহাইমার কে যা অনেককেই অবাক করছিল, কারন ওপেনহাইমার ছিলেন তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানী, ফলিত পদার্থ বিজ্ঞানী না। তবে জেনারেল গ্রোভস যে মূল্যায়নে ভুল করেন নি, তার প্রমান ওপেনহাইমার দিলেন অতি অল্প সময়ের মধ্যে বোমা তৈরী করে। ওপেনহাইমারের জায়গায় অন্য কাউকেও নির্বাচন করলে যে বোমা তৈরী হত না, তা না। হত, কিন্তু তাতে আরো সময় লাগত।


অপারেশান ট্রিনিটি

প্রানপন চেষ্টায় বোমা তৈরী হল। এইবার পরীক্ষার পালা। সেনা কর্মকর্তারা দিনক্ষণ আর স্থান ঠিক করেন। হোয়াইট হাউসে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই মিশনের নাম দেয়া হয় ‘ট্রিনিটি’। তত দিনে অবশ্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে হ্যারল্ড ট্রুম্যান চলে এসেছেন। কড়া নিরাপত্তায় ‘গ্যাজেট’ নামক পারমাণবিক বোমাটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর আলামোগোরডো পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। বিজ্ঞানীগণ বেশ কয়েকবার সতর্কতার সাথে বোমাটি পরীক্ষা করে শেষ পর্যন্ত সবুজ সংকেত প্রেরণ করেন। সংকেত পাওয়ামাত্র নিরাপদ দূরত্ব থেকে পৃথিবীর প্রথম পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ করা হয়। মুহূর্তের মধ্যে যেন পৃথিবী কেঁপে উঠলো। ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলেন মার্কিন সেনা কর্মকর্তা টি এফ ফ্যারেল। তিনি তার সুদীর্ঘ সামরিক জীবনে এর আগে কখনো এমন কিছু দেখেননি। সেদিনের বিস্ফোরণে পুরো মাঠ জুড়ে প্রায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ একটি খাতের সৃষ্টি হয়। নিউ মেক্সিকোর সেই অন্ধকার খাতের দিকে তাকিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফ্যারেল বুঝতে পারেন, পৃথিবীর বুকে এক নতুন অভিশাপের আগমন ঘটেছে। সেই অভিশাপের হাত ধরে শুরু হয় এক নতুন যুগ, যার নাম ‘পারমাণবিক যুগ’।



ওদিকে পারমানবিক বোমার প্রলয় নাচন দেখে প্রধান বৈজ্ঞানিক ওপেনহাইমারের মনে পড়ে গেল কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে অর্জুনের সামনে শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরূপের উপমা। “এখন আমি হলাম মৃত্যু, এই পৃথিবীর সবচেয়ে কুখ্যাত ধ্বংসকারী”। ইনিই আবার হিরোশিমা নাগাশাকির ধ্বংসকান্ডের পর বনে যান অন্য মানুষ। ১৯৪৫ সালের ৬ ই আগষ্ট সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটে হিরোশিমার আকাশে “এনোলা গে” নামক বিমান থেকে মাটিতে ফেলা হয় “লিটল বয়” নামক এ্যাটম বোমাটি, তেতাল্লিশ সেকেন্ড পর হিরোশিমার আকাশে যখন বোমাটি বিস্ফোরিত হয় তখন তার দিকে তাকিয়ে ওই প্লেনের কো পাইলট রবার্ট লুইস মন্তব্য করেন, “মাই গড হোয়াট হ্যাভ উই ডান!” প্রায় একই রকম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল ওপেনহাইমার, প্রায় ১৩ কিলোটন বলের সেই বিস্ফোরণে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারালো। হিরোশিমার পরিবেশে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়লো। এর ফলে আরও ১০ হাজার মানুষ মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়লো।। এরপর ৯ আগস্ট ‘ফ্যাট ম্যান’ নামক দ্বিতীয় বোমাটি নিক্ষেপ করা হয় নাগাসাকি শহরে। হতভাগা নাগাসাকির বুকে নরকের অবতার হলো। প্রায় ৪০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হলো। আগস্টের ১৪ তারিখ সম্রাট হিরোহিতো জাপানের পক্ষে আত্মসমর্পণ করেন। মাত্র দুটি পারমাণবিক বোমার ভয়াবহতায় সমাপ্তি ঘটলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। নাগাসাকির ক্ষয়ক্ষতির বিবরন দেখে ওপেনহাইমারের মন্তব্য ছিলঃ “শত নীচতা, ব্যাঙ্গ কিংবা অতিকথনে যে সত্যটা ঢাকা যাবে না তাহল, পদার্থবিজ্ঞানীরা পাপের সন্ধান পেয়ে গিয়েছে। এই জ্ঞান থেকে তাদের আর মুক্তি নেই।”

যে মানুষটার হাত ধরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নামক দানবকে পরাস্ত করতে তার থেকেও বড় দানব পারমানবিক বোমার আবির্ভাব হয়, যুদ্ধের পর সেই মানুষটি কিন্তু ভালো ছিল না। তাকে অভিযুক্ত হতে হয় রাষ্ট্রদ্রোহী কম্যুনিষ্ট চর হিসাবে। যে মানুষটা ছিল সে সময়ের বিশ্বের সব থেকে গোপন প্রোজেক্টের সর্বেসর্বা সেই মানুষটিকেই এক সময় দাড়াতে হয় এটমিক এনার্জি কমিশনের পার্সোনাল সিক্যুউরিটি বোর্ডের সামনে। কেড়ে নেয়া হয় তার সব রকম সিক্যুউরিটি ক্লিয়ারেন্স। তবে সে আর এক গল্প, আর এক মহাদানব হাইড্রোজেন বোমার আবির্ভাবের সাথে সম্পৃক্ত। যদি চান তো সে গল্প অন্য আর এক দিন শোনাব।

নীচে দেখেন বিশ্বের প্রথম পারমানবিক বোমার পরীক্ষামুলক বিস্ফোরন, কোড নেম অপারেশান ট্রিনিটি



ছবিঃ অন্তর্জাল। সুত্রঃ অন্তর্জালের বিভিন্ন নিবন্ধ এবং পথিক গুহের সহস্র সুর্যের নীচে প্রবন্ধ

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:২১

কল্পদ্রুম বলেছেন: বর্তমান পারমাণবিক বোমার বিধ্বংসী ক্ষমতা আরো বেড়েছে।বোমার বদলে এই বিপুল শক্তির বিকল্প ব্যবহার না বানালে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর খবর আছে।

২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:১৯

শের শায়রী বলেছেন: আশার ব্যাপার পারমানবিক শক্তির বিকল্প ব্যাবহারের দ্বার প্রান্তে আমরা, হয়ত আরো কয়েক বছর লাগবে। কিন্তু আমার বিশ্বাস অচিরেই মানুষের উপকারে বিভিন্ন ভাবে এই শক্তি ব্যাবহার হবে বোমার পরিবর্তে।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন ব্লগে আপনার দেখা নেই!!
এত দিন কোথায় ছিলেন?

২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:২১

শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই, বাসাতেই আছি, কিন্তু কিছু ব্যাপারে সামান্য ব্যাস্ততা এবং মানসিক বিক্ষিপ্ততা আমাকে মনো সংযোগ বিঘ্নিত করায় কিছু দিন লেখা হয়ে ওঠে নি। আপনি ভালো আছেন তো?

৩| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:০১

রাকু হাসান বলেছেন:

সন্দেহ নেই ওপেনহাইমার নতুন যুগের সৃষ্টি করেছে বিশেষত যুদ্ধ ক্ষেত্রে । বাংলায় একটা কথা আছে পাপে বাপ ছাড়ে না --সেটা মনে হলো। পারমানবিক বোমা আবিষ্কার পৃথিবীর জঘন্য আবিষ্কারের মধ্যে একটি। আমি পড়তে চাই ,অপেক্ষায় থাকলাম।
বুঝায় যাচ্ছে অনেক যত্ন সহকারে লিখেছেন। ধন্যবাদ মূল্যবান পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।

২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:২৪

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন রাকু ভাই। আসলে ওপেনহাইমারের বোমা আবিস্কারের কাহিনী কম বেশী সবাই জানে, কিন্তু এর পরবর্তী অধ্যায় মানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তার জীবনে যে অপমান জনক অধ্যায় রচিত হয়েছে তা প্রায় কেউই জানে না। অবশ্যই লেখব সেই অধ্যায়, একটা মানুষ কিভাবে হিরো থেকে জিরো হয় তার প্রমান ওপেনহেইমার।

৪| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:০২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অনেকের হাতে এই বোমা না আসা পর্যন্ত এর কোন সমাধান হবেনা।

২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:২৭

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানুন। আমার মনে হয় এখন যে কয়টি রাষ্ট্রের হাতে পারমানবিক বোমা আছে তাতেই এর কার্যকারিতা অনেকটা হারিয়েছে, কেউ কারো বিরুদ্ধে এ জিনিস ব্যাবহারের সাহস দেখাবে বলে আমার মনে হয় না।

৫| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইরানে বোমা গ্রেইডের ইউরেনিয়াম এনরিচমেন্ট করার মতো টেকনোলোজী কি আছে?

২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৩০

শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী এইডা কি জিগাইলেন আমার মত ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মানুষের কাছে? যে প্রশ্নের জবাব জানার জন্য প্রায় সারা বিশ্ব উন্মুখ সেখানে এর জবাব আমি কিভাবে দেব? যদিও এর পক্ষে বিপক্ষে অনেক লেখা আপনি পাবেন। কিন্তু আসল সত্য কয়জন জানে? আর যারা জানে নির্ধিদ্ধায় তার মাঝে আমি নাই :)

৬| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৫০

রোকসানা লেইস বলেছেন: যুদ্ধ থামার মতন ভালো কিছু হলো কিন্তু বিশ্ব এই পাপ এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে।
অনেক কিছু জানা গেলো। ভালো লিখেছেন।
লিটিল বয় ফ্যাটম্যানের ধ্বংস স্তুপ থেকে বেরিয়ে জাপানীরা যুদ্ধকে এভয়ড করতে শিখেছে। নিজেদের তৈরি করেছে এক ভিন্ন মূল্যবোধে।
হিরোশিমা নাগাশাকির বিদ্ধস্ত খবরগুলো ছোটবেলা থেকে আমাকে আতংকিত করত অনেক। দেখতে গিয়েছিলাম হিরোশিমা। এখন কোন ধ্বংস স্তুপ পাওয়া যায় না। একটি দালান রেখে দিয়েছে স্মৃতি হিসাবে। তবে মিউজিয়ামে ঢুকে ছোট বাচ্চাদের সাথে আমিও আতংকিত হয়েছিলাম।
তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ইহুদিদের জীবনকে যে ভাবে তছনছ করা হয়েছে এই বিষয়গুলো দেশে থেকে তেমন জানতে পারিনি। এখন বাস্তব অভিজ্ঞতার অনেকের থেকে শুনছি আর শিউরে উঠছি।
বোম গোলাবারুদ আবিস্কারের সূত্রগুলো ধ্বংস করে ফেলা দরকার।

৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৮:০৯

শের শায়রী বলেছেন: বোন প্রথমেই পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা। বোমা আর গোলাবারুদের সুত্রগুলো কোন দিনই ধ্বংস তো হবে না, উপরন্ত বাড়বে, তবে আশার কথা পাশাপাশি বিবেকবান মানুষেরও সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।

৭| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ১:৪১

নতুন বলেছেন: খুবই হাসি পায় যখন আমেরিকা শান্তির কথা বলে।

যারা কিনা পারমানবিক বোমা মেরে সিভিলিয়ান মেরেছিলো। :(

আমার মনে হয় সামনে আর কোন বড় বিশ্বযুদ্ধ হবেনা। পারমানবিক বোমার ব্যবহারও হবেনা।
যুদ্ধ হবে অথ`নৈতিক বাজার দখলের যুদ্ধ।

৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৪৪

শের শায়রী বলেছেন: নতুন ভাই আমারো মনে হয় বিশ্বযুদ্ধ হবে না, তবে ট্রাম্পের মত উন্মাদ যত দিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন অবশ্য কোন কিছুই নিশ্চিত না। বিশ্বযুদ্ধ না হলেও আঞ্চলিক যুদ্ধ বাজিয়ে দিতে পারে যখন তখন। এই মহামন্দায় ওর অস্ত্র বিক্রি করতে হবে, সেটাও খুব একটা ভালো কিছু না। তবে মন্দের ভালো হিসাবে আমি বলব তৈল সম্পদ নিয়ে আপাতত যুদ্ধের সম্ভাবনা কম। কারন তেলের দাম আর বাড়বে না, মানে তেল এখন আর সেভাবে তরল সোনা হিসাবে নিজের ওয়েট হারিয়েছে, যদিও এর ফলে আমাদের মত গরীব দেশের ঘানি টানতে হবে।

পারমানবিক যুদ্ধ হবার কোন সম্ভাবনাই নেই কারন এক্ষেত্রে কেউ কারো থেকে কম না।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৮| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ২:৫৫

ওমেরা বলেছেন: উনি একজন প্রতিভাধর তবে——- ধ্বংসাত্মক । যারফল উনি পেয়েছেন ।

৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উনি যেভাবে অপমানিত হয়েছে তাতে আমার কাছে সেটা নেচার রিভেঞ্জ বা পোয়েটিক জাষ্টিসও বলতে পারেন, তবে নাগাসাকির বিস্ফোরনের পর উনি যে উক্তি দিয়েছেন “শত নীচতা, ব্যাঙ্গ কিংবা অতিকথনে যে সত্যটা ঢাকা যাবে না তাহল, পদার্থবিজ্ঞানীরা পাপের সন্ধান পেয়ে গিয়েছে। এই জ্ঞান থেকে তাদের আর মুক্তি নেই।” তার থেকে আমাদের মুক্তি নেই। প্যান্ডোরার বাক্স উনি খুলে দিয়ে গেছেন।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন বোন।

৯| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৩:০৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: সন্ত্রাসী এ্যামেরিকার দাবী অনুযায়ী জাপানে বোমা মারার পর যুদ্ধ শেষ হয়েছিলো।
এখন করোনা বোমার আঘাতে পৃথিবীতে এ্যামেরিকার সন্ত্রাসের অবসান হোক,এটাই সব সভ্য মানুষ চায় !!!!

৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই আমার কৃতজ্ঞতা জানুন পাঠে এবং মন্তব্যে, আমি আগেও বলছি আবারো বলি, শুধু প্রার্থনা করুন এই মাথামোটা ট্রাম্প যেন আবারো ক্ষমতায় আসে, নির্ধিদ্ধায় থাকুন বিশ্বে আমেরিকার রাজত্বের অবসান অচিরেই হবে। আর সেটা ত্বরান্বিত হবে আর একবার ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসায়, এবং অবস্থাদৃষ্টে যা দেখছি বড় কোন দুর্ঘটনা না ঘটলে ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় আসবে আর সে ক্ষেত্রে আমেরিকার পতন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।

এবং আমার ধারনা, শুধু ধারনাই না যৌক্তিক ভাবনাও বটে পুতিনই আমেরিকার পতনের কারিগর হবে। এই ট্রাম্পকে ক্ষমতায় আনার পেছনেও তার হাত আছে।

১০| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৩:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ভালো আছি। কতদিন ভালো থাকবো জানি না। দেশের যা অবস্থা!

৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৪৪

শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে এক মাত্র আল্লাহ তায়ালার ওপর নির্ভর করা ছাড়া কিছু করার নেই, এটা শুধু যে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট তা না, সারা বিশ্বেই একই অবস্থা। যতটা সম্ভব সাবধানে থাকবেন।

১১| ৩০ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:৪১

রাশিয়া বলেছেন: ফিশন প্রক্রিয়ার সাথে করোনা ভাইরাসের কার্যপদ্ধতির কিছুটা মিল পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে, ভাইরাস হচ্ছে নিউট্রন কণা, দেহকোষ হচ্ছে ভারী পরমাণু, ড্রপ্লেট হচ্ছে এনার্জি আর নতুন জন্ম নেয়া ভাইরাস হচ্ছে বিক্ষিপ্ত নিউট্রন কণা। প্রকৃতির নিয়ম সর্বক্ষেত্রে একই, তা রসায়ন হোক বা জীববিজ্ঞান হোক।

৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: দারুন এক তুলনায় অভিনন্দন জানুন ভাই।

১২| ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:০৯

ইসিয়াক বলেছেন: অনেকদিন পরে ! আপনি সহ বাসার সবই ভালো আছে তো প্রিয় ভাইজান?
পোস্টে ভালো লাগা। প্রিয়তে রাখলাম। পড়ে মন্তব্য করবো।
নিরন্তর শুভকামনা রইলো।

৩০ শে মে, ২০২০ রাত ১০:০৫

শের শায়রী বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ কবি, সবাই ভালো আছে এখন পর্যন্ত। আপনার বাসার সবাই ভালো আছে তো? সাবধানে থাকুন। সুস্থ্য থাকুন।

১৩| ৩০ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক দিন পর ম্যা’ভাইর পোষ্টে এলাম।

আপনার হাতে কি যাদু ভায়া?
যাই লেখেন দারুন প্রাঞ্জল হয়ে যায়। যেন গল্পচ্ছলে পড়ে যাই
ইতিহাস, বিজ্ঞান, মিথ, হাইপোথিসিস, ধর্মীয় ইতোবৃত্ত।

দারুন হিংসে হয় ম্যা’ভাই ;)

আপনার এই পোষ্ট পড়ে একখান কোবতে লিখে ফেলেছি ভায়া :-/
লেখা শেষ করে মন্তব্যে এলাম :)
ধন্যবাদ রইল দারুন রচনার পটভূমিকা রচনায়।

+++

৩০ শে মে, ২০২০ রাত ১০:১৫

শের শায়রী বলেছেন: ম্যা'ভাই অনেক দিন পর লিখলাম। কিছু কারনে মনটা বিক্ষিপ্ত থাকায় লেখায় মনোনিবেশ করতে পারি নাই। কবিতা কিন্তু কোথাও খুজে পাই নাই ম্যা'ভাই। পোষ্ট করেন নাই?

সাবধানে থাইকেন। সুস্থ্য থাইকেন ম্যা'ভাই।

১৪| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:

পারমাণবিক বোমা ও ওপেনহাইমার ঘটনা সম্পর্কে ধারনা থাকলেও এত পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতাম না। সুন্দর পোষ্ট।‌ ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে দশম লাইক।‌

শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।

৩০ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৩৪

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, ভালো আছেন তো? পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।

১৫| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী,




একজন ওপেনহেইমারের চেয়ে অন্য বিষয় "ওপেন" হয়েছে বেশী। তবে ট্রিনিটি প্রজেক্টের একটি দূর্লভ ভিডিও জুড়ে দেয়াতে লেখার ওজন "ফ্যাট বয়" এর মতোই হয়েছে।
"ফিসন" নিয়ে লিখেছেন। এবারে "ফিউশন" নিয়ে লিখুন। যতোদূর জানি হাইড্রোজেন বোমা সেই ফিউশন ঘটিত।

৩০ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫০

শের শায়রী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভাই, ফিউশন নিয়ে আপাতত ডিটেইলসে যাব না, তবে এই হাইড্রোজেন বোমায় অমত দেয়া যে ওপেনহাইমারের কাল হয়ে দাড়িয়েছিল সে গল্প লেখার ইচ্ছা আছে সামনে।

১৬| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৯:০৯

আল ইফরান বলেছেন: শের শায়েরি ভাই, প্রজেক্ট ম্যানহাটন পরবর্তী ইতিহাস নিয়ে কিছু লিখবেন প্লিজ।
বেরিলিয়াম ডিজিজে অনেকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই প্রজেক্টের অনেক রিসার্চ সায়েন্টিস্ট ডিফেকশন করেছিলেন, অনেকে রাস্ট্রদোহীতার দায়ে জেল খেটেছে (পারমানবিক প্রযুক্তি অন্য দেশে চালানের দায়ে)
স্নায়ু যুদ্ধের সুচনার পেছনে আমার কেন যেন মনে হয় এই প্রজেক্টের বিজ্ঞানীদের একটা সমূহ অবদান আছে বলে আমি মনে করি।
বরাবরের মত সাবলীলভাবে লিখেছেন, পুস্টে পিলাচ B-))

৩০ শে মে, ২০২০ রাত ১১:২৭

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা মন্তব্যে। এই প্রজেক্টের প্রধান ওপেনহাইমার নিজেই কিন্তু গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। যদিও তার কোন প্রমান শেষ পর্যন্ত মেলে নি, তবে এই প্রজেক্টের কেউ কেউ সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রযুক্তি পাচারের অচিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিল। আপাতত থিওডর হল কে নিয়ে লেখাটা দেখতে পারেন সোভিয়েত ইউনিয়নকে আনবিক বোমার ফর্মুলা দিয়েও পার পেয়ে গিয়েছিলেন যে আমেরিকান বিজ্ঞানী। স্নায়ুযুদ্ধের সুচনার বড় একটা কারন অবশ্যই এই পারমানবিক বোমা। সামনে ইচ্ছা আছে ওপেনহাইমারের পরিনতি নিয়ে লেখা।

আপনার মন্তব্য আমাকে উজ্জীবিত করছে, শুকরিয়া জানুন।

১৭| ৩১ শে মে, ২০২০ রাত ১২:২৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন:

৩১ শে মে, ২০২০ রাত ৩:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: দারুন একটা কোট দিয়েছেন ব্রাদার ধন্যবাদ।

১৮| ৩১ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৩৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায়।
তবে জাপানের কোকুরা শহর নিয়ে কিছু লিখবেন ভেবেছিলাম।
সুন্দর পোষ্ট, গতকালই পড়েছিলাম। +

৩১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: আমি আসলে ভাই ওপেনহাইমার কে হাইলাইট করতে চেয়েছি, মুলতঃ এর পরের পর্বে আসল ঘটনা আসবে এটা আসলে প্রারাম্ভিক। কোকুরা শহর নিয়ে লিখতে গেলে পোষ্ট আরো বড় হয়ে যেত তাই ইচ্ছাকৃত ভাবেই অনেক কিছু বাদ দিয়ে গেছি।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ব্রাদার।

১৯| ৩১ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
পারমানবিক শক্তি যত দ্রুত মানুষের কল্যানে ব্যয় হবে ততই মঙ্গল।

অনেক ধন্যবাদ সহজ সুন্দর ভাষায় জটিল বিষয়টিকে তুলে ধরার জন্য।

ভাল থাকুন নিরন্তর। :)

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

শের শায়রী বলেছেন: আশা করি কয়েক বছরের মাঝেই পারমানবিক শক্তির আরো সুফল ভোগ করবে মানুষ।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো থাকুন ভাই।

২০| ৩১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

হাসান রাজু বলেছেন: জ্ঞান বিক্রি হয় । জ্ঞান কেনা যায়।
ভিয়েনা এক মহান বিজ্ঞানীকে রেডিয়াম দিয়েছিল বিজ্ঞানের স্বার্থে, কল্যাণের স্বার্থে, জ্ঞানের স্বার্থে। সেই জ্ঞান একসময় ফ্রাঙ্কেন্সটাইনে রূপান্তর হয়েছে। মনটা খারাপ হয়ে গেল।
ওপেনহাইমারের জন্য কোন মায়া হয় নাই। তার পতনের গল্পটা ও জানতে চাই। জানি আপনার লেখায় তার প্রতি একটু করুণা ধরা দিবে। কিন্তু লোকটা অমানবিক ছিল।

৩১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই পাঠে এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন। লিখছি এখন ওপেনহাইমারের অপমানের কেচ্ছা। আসলেই কিছুটা করুনা তার জন্য থাকছে কারন যে কারনে তাকে অপমানিত হতে হয়েছে তা আমার কাছে রাজনৈতিক মনে হয়েছে, তবে এটাও ঠিক এই মানুষটাই আবার ৫ লাখ মানুষ মারার প্ল্যান করছিলো। সবই লিখব নির্মোহ ভাবে।

২১| ০১ লা জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২২

করুণাধারা বলেছেন: অসাধারণ!! ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণার মাঝ থেকে বিপুল শক্তি আহরণ- এটা আমার কাছে সবসময় গভীর বিস্ময়ের ঘটনা। আপনি এর চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন, সাথে ওপেনহেইমারের ঠিকুজী। অনেক নতুন কিছু জানলাম। কিন্তু ওপেনহেইমারের পতন হয়েছিল এটা জানা ছিল না। অপেক্ষা করে বসে রইলাম কী করে হিরো থেকে জিরো হয়েছিল সেটা জানতে।

০১ লা জুন, ২০২০ রাত ৮:০৬

শের শায়রী বলেছেন: লিখছি বোন, সমস্যা হল বিজ্ঞান বিষয়ক লেখার অনুবাদ খুব খটমটে আমার কাছে কারন কারন নিজে সায়েন্সের ছাত্র হলেও আমার বিষয় ছিল অন্য, তাই পদার্থবিদ্যার এই সব অনুবাদে একটু সময় লাগছে। খুব তাড়াতাড়ি দিয়ে দেব।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২২| ০২ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিজ্ঞানের কিছু কিছু বিষয় খুবই কঠিন, এই আনবিক বোমা সেইরকম একটা বিষয়। এইটা সহজভাবে লেখা খুবই কঠিন। আপনে প্রায় সফল। কিছু ব্যাপার বুঝি নাই, তয় না বোঝাই ভালো। সবই বুঝলে আম্রিকার এক বিশিষ্ট জ্ঞানীর সাথে আমার আর তফাৎ থাকলো কই?:((
ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত আমার সায়েন্স ছিল.....কাজেই আমার দৌড় ওই পর্যন্তই।

অবশ্য 'ইন্টারমিডিয়েট' কওয়া ঠিক না, কইতে হইবো এইচএসসি। আর মেট্রিক'রে কইতে হইবো এসএসসি। এইডা আমারে মা.হাসান শিখাইছে। আপনে ঠিকমতো পইড়া নিয়েন।:P

ব্লগে কয়েকদিন না আসায় অনেক লেখা পড়া হয় নাই। কতোটুকু পারুম জানি না, চেষ্টা কইরা দেখি। আপনে যে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মানুষ জানা ছিল না। আল্লাহ চাইলে যদি কোনদিন দেখা হয়, সাথে একটা অণুবীক্ষণ যন্ত্র রাখন লাগবো। নয়তো কথা বলা মুশকিল হইতে পারে। :-B

০২ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৮

শের শায়রী বলেছেন: হয় মা হাসান ভাইরে দেখলাম আপনার পোষ্টে লিখছে আর মেট্রিক'রে কইতে হইবো এসএসসি :) কিন্তু আমরা তো এসেসসি পাশ করি নাই, আমার তো মেট্রিক পাস আর ইন্টার পাশ :( এখন কি হবে?

ব্লগে না আইসা ঘরে অশান্তি করার কোন কারন নাই, অন্তত আমার জন্য এইডা খাটে। ব্লগ নিয়া পইড়া থাকি, কথা বার্তা কম হয়। সব এখন হাই ভোল্টেজ অবস্থায়। কানে তুলা দিয়া বইসা থাকি :P

আল্লাহ চাইলে যখন দেখা হবে তখন বড় হইয়া যামু ভাইবেন না খালি চোখেই দেখা যাবে ;) সেই মহেন্দ্রক্ষনের অপেক্ষায় থাকলাম। ভালো কথা আসার সময় এক প্যাকেট বিদেশী সিগারেট আইনেন, অনেক দিন খাই না।

২৩| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ২:২৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্টে অনেক কিছু জানলাম। আমেরিকানরা বলে জাপানে বোমা ফেলা হয়েছিলো যুদ্ধ থামানোর জন্য। বিজ্ঞানের কারণে সভ্যতার ক্ষতিও কম হয়নি। সমরাস্ত্র বোমা থেকে প্রযুক্তি ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ক্ষতির দিকটিও নেহায়েত কম নয়। ক্ষমতা আগ্রাসন এমনকি প্রাচীন মিশরীয় পুরোহিততন্ত্র সর্বক্ষেত্রে বিজ্ঞান ব্যবহৃত হয়েছে সমানতালে। হয়তো মানবজাতিতে বিজ্ঞান চর্চা আরেকটু কম হলে ভালো হতো কারণ মানুষ যতটুকু বৈজ্ঞানিক হয়েছে তাঁকে ধারণ করার মতও ততটুকু সভ্য হয়নি। বিজ্ঞান একটু বেশিই আগে চলেছে।

০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

শের শায়রী বলেছেন: যে কোন ব্যাপারের সাথে এ্যাডজাষ্টমেন্টের একটা ব্যাপার আছে, গত দশ বছরে বিজ্ঞানের যে অগ্রগতি গত পঞ্চাশ বছরে তা হয়নি, আবার আবার গত পঞ্চাশ বছরে যে অগ্রগতি তা গত পাঁচ শত বছরে হয় নি। তার মানে বিজ্ঞানের অগ্রগতি বাড়ছে জ্যামিতিক হারে বা তারো থেকে বেশী সে তুলনায় মানুষ কি তাকে ধারন করার মত মানসিকতা অর্জন করছে?

মন্তব্যে অনেক ভাবনার খোরাক কুনোব্যাঙ ভায়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.