নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম কি রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে?

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৯



ডাক্তারের কাছে রোগী গেলে খুব স্বাভাবিক ভাবে নির্ধারিত রোগের কিছু কিছু নির্ধারিত প্রশ্ন ডাক্তাররা করে এটা খুবই স্বাভাবিক রোগ নির্নয়ের জন্য। যেমন জ্বর হলে বা গলা ব্যাথা হলে, কোন ঠান্ডা কিছু খেয়েছেন কিনা? ঠান্ডা কোন স্থানে অনেকক্ষন ছিলেন কিনা এই টাইপের প্রশ্ন। কিন্তু সেখানে যদি ডাক্তারবাবু জিজ্ঞাস করেন আপনি আস্তিক না নাস্তিক? চার্চে, মসজিদে কিংবা সিনাগগে গেছেন কিনা? ধ্যান করার অভ্যাস আছে কিনা? এই সব প্রশ্ন। খুব স্বাভাবিক ভাবেই আপনি কিছুটা হতচকিত হয়ে যাবেন। না এই সব প্রশ্ন এখন আমাদের দেশের মত অনুন্নত দেশে না, খোদ আমেরিকার এক শ্রেনীর ডাক্তার এই প্রশ্ন করা শুরু করছেন।

ধর্মচারন রোগীর ব্যাক্তিগত বিশ্বাস, সেখানে চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোন থেকে এই প্রশ্ন আসলেই বিতর্কের জন্ম দেবে, এবং দিচ্ছে। চিকিৎসা, বিজ্ঞানের যে শাস্ত্র তা কেন ধর্মকে টেনে আনবে? বিজ্ঞানের মত প্রমানিত বিষয় কেন ধর্মের মত বিশ্বাসকে তার এখতিয়ারে প্রবেশের অনুমতি দেবে? বিষয়টা আসলেই গুরুতর। ধর্মের মত এমন অবৈজ্ঞানিক ব্যাপারকে বিজ্ঞানের মত এমন অভিজাত সমাজে প্রবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আসাটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু এত বড় বুকের পাটা এই সব ডাক্তারের আসল কোথা থেকে? এই সাহস আসছে কিছু সমীক্ষা থেকে, দেখা গেছে, কোন এক নির্দিষ্ট বছর যারা নিয়মিত চার্চে গেছেন, তাদের মারা যাবার সংখ্যা যারা চার্চে যান না মানে নাস্তিক তাদের তুলনায় কম, আবার যারা ঈশ্বর নামক কোন এক কাল্পনিক (!) বিষয়ে বিশ্বাস করেন তাদের কোন রোগ ধরা পড়ার পরও তারা ঈশ্বর অবিশ্বাসীর তুলনায় ভালো থাকেন। এমন কি এইডস রোগীদের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। এগুলো ডাক্তারি শাস্ত্রে যারা সমীক্ষা বা পরিসংখ্যান নিয়ে গবেষনা করেন তাদের মতামত, আমার মত অবার্চীনের বানানো কিছু না।



“মানুষের স্বাস্থ্যরক্ষায় ধর্মের প্রভাব নানা ভাবে পড়ছে” বলছেন পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং স্নায়ু বিজ্ঞানী নিউবার্গ। সাড়ে তিনশত পৃষ্ঠার এক বিরাট বই লেখেন সহকর্মী আর এক স্নায়ুবিজ্ঞান বিশারদ মার্ক রবার্ট ওয়াল্ডম্যান এর সাথে নাম “হাউ গড চেঞ্জেস ইয়োর ব্রেইনঃ ব্রেক থ্রু ফাইন্ডিংস ফ্রম আ লিভিং নিউরোসাইন্টিষ্ট”। ওদিকে স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী নামের আর এক কলঙ্ক (!) ডিউক ইউনির্ভাসিটির সেন্টার ফর স্পিরিচ্যুয়ালিটি, থিওলজি এ্যান্ড হেলথ এর ডিরেক্টর হ্যারল্ড কোনিগ “মেডিসিন, রিলিজিয়ন এ্যান্ড হেলথ” বইতে রোগের জন্য ওষুধের পাশাপাশি কিভাবে আধ্যাত্মচিন্তার প্যাকেজ কি হবে তারও পরামর্শ তিনি দিয়েছেন।



নিউবার্গ এবং ওয়াল্ডম্যান লক্ষ্য করেন, যারা ১০-১৫ বছর ধরে ধ্যান বা ধর্ম কর্ম নিয়ে নিজেকে ব্যাস্ত রাখেন তাদের মস্তিস্কের ফ্রন্টাল লোব যারা ওসবের ধার ধারে না তাদের থেকে কিছুটা বড় হয়ে গেছে। যারা সাধন, ভজন, ঈশ্বরচিন্তা, নামায কালাম নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন তাদের মস্তিস্কের থ্যালামাস অংশটা অবিশ্বাসীদের তুলনায় কিছুটা আলাদা। আপনি যদি একবার উনাদের লেখা “হাউ গড চেঞ্জেস ইয়োর ব্রেইন” বইটা এক নজর চোখ বুলান তবে সেখানে কিছু কেস ষ্টাডিও খুজে পাবেন। অত ডিটেইলসে গেলাম না।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিতর্কিত আবার কারো কারো মতে হাসির খোরাক আর একটি বিষয় প্রার্থনা বা ধ্যানে শুধু নিজের না অন্যেরও উপকার হয়, এনিয়ে অন লাইনে আপনি পক্ষে বিপক্ষে অনেক লেখা পাবেন। ১৯৯৮ সালে সানফ্রান্সিস্কো হাসপাতালের কার্ডিওলজিষ্ট র‍্যান্ডলফ বায়ার্ড দাবী করেন যেসব হাসপাতালে ভর্তি যে সব রোগীর জন্য তাদের পরিবার বা শুভাকাঙ্খীরা প্রার্থনা করছেন তারা ভালো থাকেন সেই সব রোগীদের তুলনায় যাদের জন্য কেউ প্রার্থনা করেনি। অপরদিকে ২০০৫ সালে হার্ভার্ড ভার্সিটির বিজ্ঞানী হারবার্ট বেনসন এই সমীক্ষার বিপরীতে দেখান প্রার্থনার সেবা পাওয়া সত্ত্বেও ৫২% বাইপাস পেসেন্টের জটিলতা বৃদ্ধি পেয়েছে আর যাদের জন্য কেউ প্রার্থনা করেনি তাদের ক্ষেত্রে এই জটিলতা ৫১%। বোজেন অবস্থা।



টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রবার্ট হ্যামার ১৫ বছর গবেষনার পর দেখিয়েছেন ধর্মচারনের সাথে যারা জড়িত একটা নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে তাদের মারা যাবার সম্ভাবনা যারা ধর্মের বিরুদ্ধচারন করে তাদের তুলনায় কম। ইউনিভার্সিটি অভ পিটসবার্গ মেডিকেল সেন্টারের সার্জন ড্যানিয়েল হল লক্ষ্য করেন চার্চ গামী মানুষের আয়ু অধার্মিকদের তুলনায় দু’ তিন বছর বেশী। এর বিপরীতে কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের মনোবিজ্ঞানের প্রফেসর অধ্যাপক রিচার্ড স্লোয়ান তার লেখা “ব্লাইন্ড ফেইথঃ দ্য আনহোলি এ্যালাইন্স অব রিলিজিয়ন এ্যান্ড মেডিসিন” বইতে রীতিমত প্রতিবাদ করছনে উপরোক্ত গবেষনার, তিনি মনে করেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের আতাতটি রীতিমত অশুভ। তার ঘোষনা “বিজ্ঞান অলৌকিক কিছু নিয়ে মাথা ঘামায় না।”



এ কথা আপনাকে মনে রাখতে হবে এই যে বিতর্ক এটা কিন্তু চিকিৎসার সাথে বিজ্ঞানের দ্বন্দ্ব না, এটা অনেক আগে থেকে বিজ্ঞান এবং ধর্মের সংঘাত। মানুষের চিন্তা জগত এক সুপ্রাচীন ব্যাপার (কিছুদিন আগে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম ধর্ম ও বিজ্ঞান আসলেই কি সাংঘর্ষিক যারা দেখেন নি সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন)। বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের সংঘাত মোটামুটি শুরু হয় সপ্তদশ শতকে আধুনিক বিজ্ঞানের সুচনাপর্ব থেকে। সপ্তদশ শতকের আগে অল্প কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদ দিলে বিজ্ঞান এবং ধর্ম কিন্তু সহবস্থানে ছিল। নতুন বিজ্ঞানের জন্ম যাদের হাতে তারা বিশ্বাস করতেন প্রকৃত পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে তারা স্রষ্টার সৃষ্টিকে অবলোকন করছেন। এর শ্রেষ্ঠ উদাহরন আইজ্যাক নিউটন। যিনি বুজতে পেরেছিলেন এক গূঢ় সত্য। যে নিয়মে আপেল গাছ থেকে পড়ে সেই একই নিয়মে চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে। অর্থ্যাৎ স্বর্গ মর্ত্যে একই নিয়মের অনুশাসন।

কিন্তু ওই যে আকর্ষন বল, যা গাছের আপেলের ওপর কিংবা চাঁদের ওপর তার ব্যাখ্যা কি? কোন আকর্ষন বেধে রেখেছে বিশ্ব মহাবিশ্বকে? আকর্ষন ভিন্ন কে কোথায় ছিটকে চলে যেত তার ঠিক ছিল না। সব কিছু যাতে থাকে যথাযথ স্থানে তার জন্যই এই আকর্ষন বল, তাই সৃষ্টিকর্তার বিধান হিসাবে হাজির এই আকর্ষন বল। দু হাজার বছর আগে প্লেটোও একই মত দ্ধারা চালিত হতেন। তাদের জবাব ছিল তাদের আবিস্কারের এই ব্যাখ্যার শেষ কথা ঈশ্বরের অভিপ্রায় এরকম তাই এভাবে চলছে, তারা শুধু ব্যাপারটা অবলোকন করছে। কি বলবেন একে? এব্যাপারে নোবেলজয়ী পদার্থ বিজ্ঞানী ষ্টিভেন ওয়েনবার্গের দারুন এক প্রবন্ধ আছে বিজ্ঞান এবং ধর্মের দ্বন্দ্ব নিয়ে কিন্তু এত বিশাল ব্যাপার যা এই লেখায় আলোচনা আনলে সেক্ষেত্রে এই লেখা বিশ পৃষ্টা হয়ে যাবে তাই তার সে প্রবন্ধ অন্য কোন দিন লেখার ইচ্ছা আছে।

বিজ্ঞান এবং ধর্মের মাঝে কি সমন্বয় সাধন সম্ভব? এই ধারার বিজ্ঞানীদের মাঝে অনেকেই মারাত্মক ঈশ্বর বিশ্বাসী, এরা নিজেদের গবেষনা এবং ঈশ্বর বিশ্বাসে কোন ফারাক দেখেনা, এদের যুক্তি অনুযায়ী ঈশ্বর মানুষের কাছে নিজের রহস্য উন্মোচন করেন বিজ্ঞানের মাধ্যমে। যে সব বিজ্ঞানীরা এই ধারনার বশবর্তী তাদের দুজনার নাম উল্লেখ্য করি একজন হিউম্যান জিনোম প্রজেক্টের প্রাক্তন কর্নধার ফ্রান্সিস কলিনস এবং ব্রিটিশ পদার্থবিদ জন পোলিংকর্ন।



১৯৯০ এর দশকে যে আড়াই হাজার বিজ্ঞানী মানুষের জেনোম ম্যাপ তৈরীর কাজে ব্যাস্ত ছিলেন তাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কলিনস। কলিনসের লেখা “দ্য ল্যাঙ্গুয়েজ অভ গডঃ আ সায়েন্টিষ্ট প্রেজেন্ট এভিডেন্স ফর বিলিভ” এক অসাধারন ভাবনার বই। ডি এন এর মাঝে কোটি কোটি রাসায়নিক অনুর সুশৃঙ্খল বিন্যাসকে পরীক্ষা করতে করতে মুগ্ধ কলিনস দেখেন ডি এন এ পর্যায়ে মানুষ এবং শিম্পাঞ্জীর মিল ৯৮.৪% আবার কোন একটা বিশেষ জিনের বেলায় ইদুরের সাথে মানুষের মিল ৯০%। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে বিবর্তন মিথ্যা না। প্রানী রাজ্যে ইদুর, শিম্পাঞ্জী বা মানুষ সে হিসাবে আত্মীয় কথাটা আপনার যতই অপছন্দ হোক না কেন।

এখানেই কলিংসের মত বিজ্ঞানীর মতামত চলে আসে, তার মতে এটা বলা যায় না যে বিবর্তন প্রক্রিয়াটি ঈশ্বরের প্ল্যান না, নেহাত উদ্দেশ্য বিহীন এক প্রাকৃতিক ঘটনা। তিনি বলতে চান মানুষের আবির্ভাবের মুলে বিবর্তন কাজ করছে ঠিকই তবে সে প্রক্রিয়া এগিয়েছে ঈশ্বরের ইচ্ছায়। শুধু বিবর্তন না এই মহাবিশ্বে প্রানের আবির্ভাব তাও ঈশ্বরের ইচ্ছায়, কিভাবে? মহাবিশ্বের চরিত্র এক চুল আলাদা হলে আজ প্রানের দেখা মিলত না। ব্রক্ষ্মান্ডের চরিত্র নির্ধারন করে যতগুলো জিনিস তার মধ্যে একটা হল গ্রাভিটেশনাল কনষ্ট্যান্ট বা মহাকর্ষীয় ধ্রুবক।

এই মহাকর্ষীয় ধ্রুবক একটা সংখ্যা, যা ঠিক করে দুটো বস্তুর মাঝে আকর্ষন বলের পরিমান। গবেষকরা হিসাব করে দেখিয়েছেন ঐ গ্রাভিটেশনাল কনষ্ট্যান্ট বা মহাকর্ষীয় ধ্রুবক যদি ১০০,০০০,০০০,০০০,০০০ ভাগের ১ ভাগও বেশী হত এখানকার থেকে তবে মহাকর্ষ বল এত বেশী হত যে বিগ ব্যাং এর পর আস্তে আস্তে গ্যালাক্সি, গ্রহ, নক্ষত্র তৈরীর বদলে সব কিছু আবার দলা পাকিয়ে যেত। তাহলে কোথায় থাকত এই মিল্কি ওয়ে, কোথায় থাকত সৌর মন্ডল, কোথায় থাকত পৃথিবী আর তার মাঝে হেটে বেড়ানো প্রানী!!! কলিনস মনে করেন মহাবিশ্বে জীবের আবির্ভাব ঘটানোর জন্য এই গ্রাভিটেশনাল কনষ্ট্যান্ট এর মান বেধে দিয়েছেন ঈশ্বর। (বর্তমানে কলিংস আমেরিকার director of National Institutes of Health। করোনা ভাইরাস নিয়ে ওয়াশিংটন পোষ্টে তার সাক্ষাতকারটি দেখে আসুন How NIH chief Francis Collins is trying to get people of faith to wake up to coronavirus realities ভাবছি এই সাক্ষাৎকার বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা তো দুরে থাক কোন হুজুরও দেবার সাহস রাখে নাকি?)

লেখা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে আর বাড়াব না, ইচ্ছা ছিল পোলকিংহর্নকে নিয়ে দু লাইন লিখব কিন্তু সে দু লাইন লিখতে গেলে আরো দু পৃষ্ঠা লেখা হয়ে যাবে কারন এগুলো আমার খুব প্রিয় বিষয়। তাই যে বিজ্ঞানের উদ্ভব হয়েছে ধর্মের মাঝ থেকে, এক পর্যায়ে সেই ধর্ম এবং বিজ্ঞানের মাঝে ঝগড়া বেধে গেল (এই ঝগড়া কিন্তু আদতে এই দুইয়ের মাঝে বাধেনি, বাধিয়েছে সৃষ্টির সব থেকে কমপ্লিকেটেড নমুনা মানুষ নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য), সেই ঝগড়ার মাঝেও তারা পাশাপাশি হেটে চলেছে, বিজ্ঞান নিত্য আবিস্কার করে নিজেদের উৎসের সন্ধানে এগিয়ে যাচ্ছে। যতই এগিয়ে যাচ্ছে ততই প্রশ্ন উঠছে বিজ্ঞান আর ধর্ম কি সাংঘার্ষিক নাকি পরিপুরক। ভাবুন না একটু। কারন বিজ্ঞানই ভাবার ক্ষেত্রটি প্রস্তত করে দিচ্ছে।

কাঠ মোল্লার ধর্ম যেমন ধর্মকে রিপ্রেজেন্ট করে না, তেমনি দুই লাইন ডারউইন পরে ধর্মকে অবজ্ঞা করার মধ্যে বিজয় নিহিত না, নিজের জ্ঞানের পরিধিকে বিস্তৃত করে ভাবনার রাজ্যকে মুক্ত করে ভাবনার মধ্যেই সমস্যার সমাধান। হয়ত সেটা আসতে আরো অনেক সময় লাগবে, লাগুক না অসুবিধা কি আমার ভাবনায়?

ছবিঃ অন্তর্জাল। সূত্রঃ দ্যা ল্যাঙ্গুয়েজ অভ গড, পথিক গুহের এক বিশ্ব দুই জানালা, উপরে যে সব বইর নাম দেয়া আছে, তার কিছু বই বা অংশ অনলাইন দিয়ে পড়তে পারেন এছাড়া অন লাইনের কিছু প্রবন্ধ।

মন্তব্য ৭৭ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৭৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৭

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার বিশ্লেষন ।

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই, আসলে ভাই এই পোষ্টে আমার বিশ্লেষান খুব কম এনেছি, পুরা পোষ্টটাই মুলতঃ বিভিন্ন চিকিৎসক, বিজ্ঞানীর মন্তব্য বিশ্বাস দিয়ে সাজানো।

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম কোনো কিছুতেই সাহায্য করে না।
ধর্ম হলো ভন্ডদের লুকানোর পথ।

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: হতে পারে রাজীব ভাই, অসম্ভব কিছুই না যেহেতু এখনো কোণ কিছু নিরেট প্রমানিত না, তবে কিনা এই পোষ্টে আমি যাদের উদ্ধৃতি দিয়েছি আপনি যদি তাদের নাম গুলো আর একবার খেয়াল করেন এবং তাদের ভন্ড হিসাবে চিহ্নিত করেন তাতেও আমার সমস্যা নাই। পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা রাজীব ভাই।

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৩

আহা রুবন বলেছেন: চার্চগামীদের আয়ু নাস্তিকদের চেয়ে বেশি? হতে পারে, কিন্তু ধার্মিকদের বয়স ৬৫ বছরে ১০০ বছর হয়ে যায়। ৭০ বছরের ধার্মিকরা অধিকাংশই অথর্ব হয়ে যায়, ৯০ বছরের নাস্তিকেরা গবেষণা করে বেড়ায়। বাংলাদেশের আস্তিক আর নাস্তিক বুদ্ধিজীবিদের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৫

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই পাঠে এবং মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি যদি পোষ্টটা আর একবার দেখেন তবে হয়ত খেয়াল করবেন এখানে বাংলাদেশের মানুষের ধর্মবিশ্বাস বা আমার নিজের বিশ্বাস নিয়ে খুব কম আলোচনা করছি, অনেকটা না করার মত, উপরন্ত হয়ত আমার অনিচ্ছায়ই এদেশের গোড়া ধর্মাবলাম্বীদের বিরুদ্ধে কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ হয়েছে, এই পোষ্টে যাদের নাম নিয়েছি তারা কিন্তু সবাই বিধর্মী (আমার সাথে তুলনায়), কিন্তু তাদেরও একটা একটা ধর্ম আছে, সেই ধর্মের আলোকেই এই পোষ্টের আলোচনা। আপনি ধর্মটাকে যদি বাংলাদেশের আলোকে এবং শুধু ইসলাম ধর্মের মাঝে আটকে ফেলতে চান সেক্ষেত্রে আমি দুঃখের সাথে বলতে চাই আপনি হয়ত পোষ্টটা ঠিক মত পড়েন নি, অথবা পড়লেও বুজেন নি।

পোষ্ট কোন মতেই আস্তিক নাস্তিক বিষয় নিয়ে নয়। কেউ আস্তিক হতেই পারে, কেউ নাস্তিক সেটা কোন বিষয়ই না অন্তত আমার কাছে, আমার কাছে লজিক বিজ্ঞান অনেক বড় ব্যাপার ব্যাক্তিগত বিশ্বাসের বাইরে।

ধর্ম একটা বিশাল ব্যাপার। সেটাকে আপনি আস্তিক নাস্তিক বাংলাদেশ দিয়ে আটকে দিতে পারেন, কিন্তু বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে ঘেড় কোনভাবেই দিতে পারবেন না।

আবারো দারুন মন্তব্যে ধন্যবাদ জানবেন।

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২২

ঢাবিয়ান বলেছেন: বিশ্বাসে মিলায় বস্ত তর্কে বহুদুর । বিপদে পড়লে প্রার্থনার মাঝে যে শান্তি মেলে, সেই শান্তি আর কোন কিছুতেই পাওয়া সম্ভব নয়।

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: ঢাবিয়ান ভাই, যে কোন পরিস্থিতি প্রার্থনায় শান্তি পাই। আমার কাছে আস্তিক নাস্তিক খুব বড় কোন বিষয় না, আমার কাছে যে ব্যাপারটা খারাপ লাগে নাস্তিক হলেই আস্তিকদের অবৈজ্ঞানিক এবং মুর্খ আখ্যা দেয়া, এর পেছনে হয়ত এরা আমাদের দেশের কিছু কাঠ মোল্লার আচরন তুলে আনে, কিন্তু ঐ অবিশ্বাসী জানে না, ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের কোন বিভেদ নাই, কাঠ মোল্লাদের আচরন যেমন ধর্মকে রিপ্রেজেন্ট করেনা তেমনি বিজ্ঞান কোন অবস্থাতেই নাস্তিকতাকে রিপ্রেজেন্ট করে না, যেটা স্বল্প জ্ঞানী নাস্তিকদের দাবী।

৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী,




ভালো লেখা। অনেক প্রশ্নের জন্ম দেবে।
সেসব বাদ দিয়ে শুধু বলি, লেখার শেষ প্যারার ( দুঃখিত, ব্লগের টেকনিক্যাল অসহায়ত্বের জন্যে পোস্ট থেকে কপি করা যায়না বলে। ) বক্তব্যের সাথে সহমত এই জায়গাটিতে যে, দু'লাইন পড়েই কোন কিছুর চুড়ান্ত রায় দেয়া বোকামী তো বটেই সম্ভবও নয়।
জানতে হবে জানার মতো, ভাবতে হবে জ্ঞানীর মতো।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আহমেদ ভাই, শেষ প্যারাটাই আমি তুলে দিচ্ছি

কাঠ মোল্লার ধর্ম যেমন ধর্মকে রিপ্রেজেন্ট করে না, তেমনি দুই লাইন ডারউইন পরে ধর্মকে অবজ্ঞা করার মধ্যে বিজয় নিহিত না, নিজের জ্ঞানের পরিধিকে বিস্তৃত করে ভাবনার রাজ্যকে মুক্ত করে ভাবনার মধ্যেই সমস্যার সমাধান। হয়ত সেটা আসতে আরো অনেক সময় লাগবে, লাগুক না অসুবিধা কি আমার ভাবনায়?

ধর্ম নিয়ে আমাদের অবেক ভাবনার আছে, আশার ব্যাপার বড় বড় মাথাগুলো এই ভাবনার প্রয়োজন উপলদ্ধি করছে, আমাদের ক্ষুদ্র ভাবনায় যা ধরা দেবে না হয়ত ওই সব ট্যালেন্টদের ভাবনায় সেগুলো ধরা দেবে। আমি বিভিন্ন জায়গায় দেখছি ধর্ম এবং বিজ্ঞানের দূরত্ব আস্তে আস্তে ঘুচে যাচ্ছে, জানিনা পুরোটা কোন দিন ঘুচবে কিনা, যদি ঘুচে সেদিন এই সব নাক উচা নাস্তিক দের জন্য এক রাশ সমবেদনা। আর না ঘুচলেও অসুবিধা নাই, কারন আমাদের তো বিশ্বাস আছেই। সেটাই সব থেকে বড়। জানতে হবে জানার মতো, ভাবতে হবে জ্ঞানীর মতো। পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই।

৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: জানার কোন শেষ নাই । দুই লাইন পড়ে নিজেই জ্ঞানী ভাবা বিপদ ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:০৯

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা নেওয়াজ ভাই।

৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কিছু স্বঘোষিত নাস্তিক আপদে বিপদে
সৃষ্টিকর্তার স্মরণ করে। বিপদ থেকে উদ্ধার
পেলে আগের মতোই ধর্মকে কটাক্ষ, উপহাস
করার ধৃষ্টতা দেখায়।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২২

শের শায়রী বলেছেন: নূরু ভাই, আগে ব্লগে কিছু নাস্তিক বা অবিশ্বাসী ছিল যারা সত্যিকার অর্থে ধর্ম নিয়ে পড়াশুনা করত। তাদের সাথে আলাপেও আনন্দ ছিল। যুক্তি ছিল পাল্টা যুক্তি ছিল। এখন প্রায় সব শুইন্না হুজুরের মত শুইন্না নাস্তিক। কাঠ মোল্লারা যেমন লাখ লাখ জানাযায় যায় এই সব নাস্তিকরাও তেমনি না বুজে দুটো গালি দেয়। কোন পার্থক্য নেই এই দুই প্রজাতিতে।

৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৭

নতুন বলেছেন: বিশ্বাসীদের সমস্যা হইলো তারা হক মাওলা বলে কি বললেই সবকিছু বিশ্বাস করে। কারন বিশ্বাসই ধমের প্রথম বিষয়।

কিছু মানুষ যারা ধম`বিদ্বেষী তারাই যত সমস্যা সৃস্টিকরে এটা ব্যক্তিআক্রমন করে বিষয়টা খারাপ বানায়।

বিশ্বাসীর কাছে যেমন সৃস্টিকতার ১০০% সত্যতার প্রমান নাই। তেমনি কিন্তু নাস্তিকের কাছেও ১০০% প্রমান নাই যে সৃস্টিকতা নেই।

বত`মানে ধম` বেশ পেছনে পড়ে গেছে জনগনের মনে বিশ্বাস ধরে রাখতে এবং বিজ্ঞান যৌক্তিক ভাবনা প্রমানে মানুষের বিশ্বাস অজ`ন করতে পেরেছে।

ধম` কিন্তু সমাজে আসতে হাজার হাজার বছর লেগেছে তেমনি পুরুপুরী যেতেও হাজার বছর লাগবে।

কিন্তু ধম`কে হাস্যকর বানাতে কিছু অল্পজ্ঞানী ধামিক ধম`এবং বিজ্ঞানকে নিয়ে বিতক` করে। বিশ্বাসকে বিশ্বাসের স্হানে রেখে দিতে হবে এবং প্রমান করতে গেলেই সমস্যা তৌরি হবে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৩

শের শায়রী বলেছেন: নতুন ভাই, আপনার সাথে এই সব ব্যাপার নিয়ে আলাপে আমার সব সময়ই ভালো লাগে। কারন আপনার লজিক্যাল ভাবনা। আপনার মন্তব্যে আপনি এক জায়গায় লিখেছেন “বত`মানে ধম` বেশ পেছনে পড়ে গেছে জনগনের মনে বিশ্বাস ধরে রাখতে এবং বিজ্ঞান যৌক্তিক ভাবনা প্রমানে মানুষের বিশ্বাস অজ`ন করতে পেরেছে।“ এই লাইনটার আলোচনায়ই আসি। কোন সন্দেহ নাই আপনার এই লাইনে, কেন ধর্মবেত্তারা জনগনের মনে অন্ধ বিশ্বাস ( আমার ভাষায় মিথ্যা বিশ্বাস) ঢুকিয়ে দিচ্ছে? এই খানে আপনি যদি একটু খেয়াল করেন দেখবেন, এই যে অন্ধ বিশ্বাস কুসংস্কার ঢুকিয়ে দিচ্ছে যারা তারা কিন্তু ধর্মকে ব্যাবহার করছে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির হাতিয়ার হিসাবে। প্রায় প্রতিটা নাম করা আলেম পীররা অঢেল সম্পত্তির মালিক। সম্পত্তির মালিক হওয়া অন্যায় কিছু না, কিন্তু আপনি মানুষকে উপদেশ দেবেন নবীর সুন্নত অনুযায়ী খেজুর আর পানি দিয়ে ইফতার করতে ওদিকে আপনি ইফতারে করবেন ৩০ পদের খানা দিয়ে তো কোথায় গেল আপনার কাজের আর কর্মের মিল? এই সব পীর স্বার্থান্বেষী আলেমদের জন্য ধর্ম আজকে কলুষিত।

আরো দুঃখ জনক ব্যাপার হল প্রায় সব ধর্মেই স্বার্থপর ধর্মপ্রধানদের প্রধান্য বেড়ে গেছে সব পর্যায়ে, সেটা আমাদের দেশ থেকে শুরু করে সৌদী আরবে যেখানেই দেখেন না কেন। অথচ আপনি এদের বাদ দিয়ে একটু পড়াশুনা করেন, আমাকে দেখান তো কোন ধর্মে বলছে মানুষ কে হত্যা করতে? কোন ধর্মে বলছে অন্য ধর্মাবলাম্বীদের ঘৃনা করতে? আমি জানি পারবেন না, কেউই পারবে না। আর কেউ যদি পারে তবে সেটা কোন বিকৃত ধর্ম ব্যাবসায়ীর ব্যাখ্যা নিয়ে আসছে। হ্যা এই সব স্বার্থান্বেষী ধর্মবেত্তাদের কারনেই এক সময় ধর্ম থেকে বিজ্ঞান আলাদা হয়ে গেছে।

সব থেকে ভালো উদাহরন টানি নিজ ধর্ম দিয়েই নোবেল জয়ী পদার্থ বিজ্ঞানী ষ্টিভেন ওয়েনবার্গের একটা দারুন ফিচার পড়ছি কিছু দিন আগে। সেখানে দারুন কিছু কথা লেখা আছে। আবার ২০০২ সালে “নেচার” ম্যাগাজিনের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ইদানিং মুসলিম দেশ গুলোতে (মুলতঃ আরব দেশ গুলোকে ইন্ডিকেট করা) তিনটি বিষয়ে বিজ্ঞানের প্রায়োগিক দিক নিয়ে অত্যন্ত উচ্চ গবেষনা হয়েছে, সমুদ্রর পানিতে লবন কমানোর প্রযুক্তি, বাজপাখির প্রশিক্ষন এবং উটের প্রজনন। আশা করি এর ব্যাখ্যা আর দিতে হবে না! অথচ নবম দশম শতাব্দীতে কিন্তু ধর্মের মধ্যে থেকেও মুসলিম বিজ্ঞানীরা বিশ্বকে আলোর পথ দেখিয়েছে, অস্বীকার কেউ করতে পারবে না। আসলে এত কথা বলার মানে ধর্ম না স্বার্থান্বেষী ধর্মীয় নেতারাই আজকে ধর্মের এই অবিশ্বাসের জন্য দায়ী। কয়জন হুজুর গ্রাভিটেশনাল কনষ্ট্যান্ট এর বিষয় জানে? অথচ দেখুন কলিনস কি অসাধারন ব্যাখ্যাই না দিচ্ছে নিজে নিজ প্রযুক্তির পুরোধা হবার পরো।

সব শেষে নিজের একটা ব্যাক্তিগত মতামত দেই, যদিও নিজের জ্ঞানের ওপর নিজেরই খুব একটা আস্থা নেই তাও বলি, ধর্মকে বিজ্ঞান দিয়ে প্রূভ করতে যাওয়া মারাত্মক বোকামি হবে এই মুহুর্তে, বিজ্ঞানকে স্বাধীন করে দিক, সে বিজ্ঞানই এক দিন বাক নিয়ে ধর্মের মাঝে ঢুকে যাবে না সম্পূর্ন উল্টো দিকে বাক নেবে তা উপলদ্ধি করতে খুব বেশী সময় নেবে না কারন বিজ্ঞান জ্যামিতিক হারে এগিয়ে যাচ্ছে। আরো অনেক ব্যাপার ছিল আলোচনার সেগুলোও হয়ত কোন এক দিন হবে নতুন ভাই।

অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন দারুন এক আলোচনার পথ উন্মুক্ত করে দেয়ায়।

৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০২

ঢাবিয়ান বলেছেন: আসলে মুল সমস্যা হচ্ছে অতি ধার্মিক এর লেবাসে কিছু বকধার্মিক এবং নাস্তিক নামধারীী কিছু ইসলাম বিদ্বেশীরা ধর্ম নিয়ে ক্যচাল করে। এই দুই পক্ষই অতি উগ্র । প্রকৃত ধার্মিক বা নাস্তিক যার যার নিজের বিশ্বাসকে নিজের মাঝেই রাখে । এগুলো নিয়ে ক্যচালেে লিপ্ত হয় না।আমাদের দেশে দুঃখজনক ভাবে লেবাসধারী বকধার্মিক এবং ইসলাম বিদ্বেশীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

শের শায়রী বলেছেন: ঢাবিয়ান ভাই, মুল সমস্যা ওইটাই আপনি যেটা আপনার মন্তব্যে উল্লেখ্য করেছেন। সারা বিশ্বে ধর্মকে স্বার্থ সিদ্ধির একটা হাতিয়ার হিসাবে ধর্মপ্রধানরা নিয়ে নিচ্ছে, যারা ধর্মের মুল ব্যাপার গুলোকে সাধারনের কাছে অজ্ঞ রাখছে। যেমন একটা ছোট্ট উদাহরন দেই, আপনি স্কুলে পড়ছেন সেখানে বাংলা ক্লাশে যদি বাংলার স্যার বাংলা না বুজিয়ে আপনাকে ভারত বা পাকিস্তানের ইতিহাস পড়ায় তবে কিন্তু আপনি বাংলা বলতে বুজবেন ভারত পাকিস্তান বা আমেরিকার ইতিহাস। অথচ স্যারের পড়ানোর কথা ছিল বাংলা বা বাংলা সন্মন্ধীয় কিছু একটা। ফলাফল কি হল? ক্লাশের সব ছাত্ররা বাংলা বলতে সারা জীবনের জন্য জানল ভারত, পাকিস্থান বা বিশ্ব ইতিহাস যা সম্পূর্ন ভুল। আমাদের বক ধার্মিক নেতাদের অবস্থা হল ওই বাংলা স্যারের মত আর আমাদের মত সাধারন মুসলমানদের অবস্থা হল ক্লাশের ছাত্রদের মত। এই সব বক ধার্মিক গুলা আমাদের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করছে নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য।

ওদিকে কিছু ধর্ম বিদ্বেষী আছে যারা ওই বাংলা স্যারের ভুল না ধরে পুরা বাংলাভাষা বা বাংলা সন্মন্ধীয় বিষয়কেই যা তা গালি গালাজ করে ক্লাশের ছাত্রদের ব্যাক্তি আক্রমন শুরু করে, এরাও কিন্তু বাংলা জানে না, এরা জানে বাংলা একটা ব্যাপার আছে, এই পর্যন্ত ভেতরের অন্তর্নিহিত বিষয় জ্ঞান খুব কম, তাও প্রায় সব বিদ্বেষী আর এক জনের মুখে শুনে শুনে বিদ্বেষী। নিজে যদি জেনে শুনে বিদ্বেষী হত তাও না হয় মেনে নেয়া যেত। এক রাশ করুনা ছাড়া আর কি করার আছে আমাদের!

উভয়পক্ষের মুর্খামি দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় দিন দিন অশান্তি বেড়ে চলছে, কোন পক্ষই যুক্তির ধার দিয়ে যাচ্ছে না খুব একটা।

দারুন মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।

১০| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৪

নতুন বলেছেন: মানুষের শরীর কিন্তু নিজেই রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে অবিরাম। তাই যদি কোন বিশ্বাসে তার ব্রেনকে এই যুদ্ধে শরিরকে আরো সাহাজ্য করে তবে অবশ্যই এক রকমের ভালো ফল পেতেই পারে।

তাই বিশ্বাসীরা যদি সত্যিই বিশ্বাস করে যে সৃস্টিকতা বা অলৌকিক কোন সাহাজ্য তারা পাচ্ছে তবে সেটা তার মনোবল বড়াবে এবং তার শরীর আরো বেশি যুদ্ধ করবে রোগের বিরুদ্ধে।

একটা মজার ভিডিও দেখুন। শিশুগুলি বাবার কথায়/শব্দে বিশ্বাস করেছে তার ব্যাথা লেগেছে এবং শরীরে প্রভাব পরছে। চোখ দিয়ে পানি এসেছে, কান্না করছে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

শের শায়রী বলেছেন: মন্তব্যে কোন দ্বিমত নেই নতুন ভাই। দারুন ভিডিও। প্লেসিবো এফেক্ট :)

১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: @নতুন,যা নেই তার প্রমান পৃথীবির কেউ দিতে পারবে না।যা আছে তা প্রমান করা যায়।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬

শের শায়রী বলেছেন: ভাই এক সময় পৃথিবীর তাবত জ্ঞানীরা জানত পৃথিবী সমতল, পরে জানল পৃথিবী গোল। এক সময় জানল পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্রে এখন জানে এই মহাবিশ্বের কেন্দ্র বলে কিছু নেই। আসলে পৃথিবীতে কি আছে আর কি নাই সেটা অনেকটা আপেক্ষিক।

অশেষ ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যে।

১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২২

করুণাধারা বলেছেন: অন্য একটা ব্লগের পোস্টে একবার বলা হলো, ডিপ্রেশনের রোগীকে ডাক্তার সবসময় ঈশ্বরে বিশ্বাসী হতে বলেন, এটা নাকি সুস্থ হতে সাহায্য করে। লাগলো ক্যাচাল, বিস্তর কথাবার্তার পর দেখা গেল, ডিপ্রেশনের রোগী ঈশ্বরে বিশ্বাসী হলে সত্যিই তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। সাধারণ ভাবে আমারও মনে হয়, ঈশ্বর বিশ্বাস মানুষের মনে শক্তি জোগায়।

এখন আপনার থেকে জানলাম, বড় বড় পন্ডিতেরাও এমন ভাবছেন।

ধর্ম আর বিজ্ঞান দুটো আলাদা জিনিস, এখানে ঠিক বেঠিকের তুলনা চলে না। লাল না নীল রঙ কোনটা ভালো এ নিয়ে সারাজীবন তর্ক করলেও মিমাংসা হবার নয়।

আমার অত্যন্ত পছন্দের বিষয়ে লিখেছেন, খুবই ভালো লাগলো।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮

শের শায়রী বলেছেন: বোন আমার সামান্য পড়াশুনায় এটা প্রায় নিশ্চিত দেখছি, ধর্ম বিশ্বাস মানুষের মনে শক্তি জোগায়। এটা বৈজ্ঞানিক ভাবেও প্রায় প্রমানিত (যদিও এখনো কিছু মানুষ সন্দিহান, তাই প্রায় বলছি) কিন্তু প্রায় সব গবেষকরা এতে এক মত যে শক্তি জোগায়।

ইদানিং ধর্ম নিয়ে যত পড়াশুনা করছি (যদিও আমার পড়াশুনার জ্ঞান অতি স্বল্প) তাতে দেখতে পারছি বিজ্ঞান আর ধর্মকে এক নতুন দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে। আগে ভাবতাম দুটো সম্পুর্ন আলাদা পথ, কিন্তু বিজ্ঞান যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে তাতে কে জানে কোন দিন দুই পথ গিয়ে কোন এক বিন্দুতে মিলবে? এই বিন্দু বলতে আমি বুজাচ্ছি ঈশ্বর, ভগবান, আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমান। এবং সেটা হয়ত বিজ্ঞানই করবে। যদিও একদম প্রাথমিক পর্যায়ে আছে আমি যেটুকু ধারনা পেয়েছি। কে জানে আমার ধারনা ভুলও হতে পারে।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা বোন।

১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম মানুষের কোনো উপকার করতে পারে না। সামান্য কেচো যে উপকার করে ধর্ম তাও করতে পারে না।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১

শের শায়রী বলেছেন: তাও হতে পারে রাজীব ভাই, আপনি যেহেতু বলছেন, নিশ্চয়ই আপনি ভাবনা চিন্তা করেই মন্তব্য করছেন। তবে আর একটু ব্যাখ্যা দিলে আলোচনায় সুবিধা হত।

১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৬

ঊণকৌটী বলেছেন: “দর্শনবর্জিত ধর্ম কুসংস্কারে গিয়ে দাঁড়ায়, আবার ধর্মবর্জিত দর্শন শুধু নাস্তিকতায় পরিণত হয় । আমাদের নিম্নশ্রেণীর জন্য কর্তব্য এই,কেবল তাদেরকে শিক্ষা দেওয়া এবং তাদের বিনষ্টপ্রায় ব্যক্তিত্ববোধকে জাগিয়ে তোলা

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

শের শায়রী বলেছেন: আপনি লিখছেন "দর্শনবর্জিত ধর্ম কুসংস্কারে গিয়ে দাঁড়ায়, আবার ধর্মবর্জিত দর্শন শুধু নাস্তিকতায় পরিণত হয়" প্রতিটা ধর্মেরই আসলে একটা দর্শন থাকে আপনি যদি একটু গভীরভাবে দেখেন, কিন্তু মানুষ যখন এই ধর্মকে নিজের স্বার্থে ব্যাবহার করে তখন ধর্মের অর্ন্তনিহিত দর্শনকে গোপন করে রাখে তখনি আসে কুসংস্কার। আর ধর্ম ছাড়া দর্শন যে নাস্তিকতায় নির্বাসিত তার অনেক উদাহরন এই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ দিয়ে গেছে বা এখনো যাচ্ছে।

দারুন মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৬

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: প্লাসিবো ইফেক্ট

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

শের শায়রী বলেছেন: একজাক্টলি ইন সাম পয়েন্ট :)

১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৫৮

মা.হাসান বলেছেন: আপনার আজকের পোস্টটা গত পোস্টের মতো জমে নাই। কি যেন একটা মিসিং। :`>

একটু ঘুরায়ে আপনার টাইটেলটা বদলায়ে প্রশ্ন করা যায়-- ওষুধ কি রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে ?

আপনি ১০০টা আপেল একটা বিল্ডিং এর ছাদ থেকে ফেলেন, পড়তে একই সময় নেবে । একই ওষুধ ১০০ জনকে খাওয়ান- এক রেজাল্ট পাবেন না; এমনকি সেম এগ টুইন দুজনকে যদি একই ওষুধ খাওয়ানো হয় , ফলাফল ভিন্ন হতে পারে।

ডানোর কারণে ম্যালেরিয়ার ওষুধ এখন পৃথিবী বিখ্যাত। হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন আর ক্লোরোকুইন দেখেন- স্ট্রাকচার এর পার্থক্য খুব সামান্য । একটা বেশ ভালো কাজ করে, আর একটার সাইডএফেক্ট অনেক বেশি। কেন এরকম হয় বলা মুশকিল। এরকম অনেক আছে , একটা রেডিক্যাল বা গ্রুপ কোনো ওষুধের চেইনের এক নম্বর কার্বনে না লেগে দুই নম্বর কার্বনে লাগার কারণে কার্যকারিতা বদলে যায়। ওষুধগুলো কিভাবে কাজ করে মোটামুটি ধারণা আছে, কেন কাজ করে এই ধারণা কম।

হাসপাতলে ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়াল হওয়ার সময় কিছু পেশেন্টকে ওষুধ দেওয়া হয়, আর কিছু পেশেন্টকে প্লাসিবো দেওয়া হয়। দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রেই প্লাসিবোতেও কিছু জটিল পেশেন্টও ভালো হয়ে যায়।

পার্টিক্যাল ফিজিক্স এ কোন ডিসকভারির ক্লেইম করতে চাইলে ফাইভ সিগমা কনফিডেন্স লেভেল লাগে অর্থাৎ প্রায় ৯৯.৯৯৯৯৪% নিশ্চয়তা দিয়ে বলা যায় এই ঘটনা ঘটবে, ৩৫ লক্ষ বারে এক বার ব্যতিক্রম হতে পারে। এক্সপেরিমেন্টাল পার্টিকেল ফিজিক্সে এর নিচে কোনো ডিসকভারির ক্লেইম গ্রহনযোগ্য হয় না। যদি কোন ওষুধের জন্য এমনকি টু সিগমা কনফিডেন্স লেভেল (৯৫.৫%) চাওয়া হতো তাহলে সম্ভবতো কোনো ওষুধই অনুমোদন পেতো না।

ডেটলের গায়ে লেখা থাকে- কিলস ৯৯.৯% জার্মস। কেনো ১০০% না?

প্রায় সব ডাক্তারই রোগিকে বলেন- সাহস রাখেন, সাহস হারাবেন না।
ওষুধ যদি সব করতে পারতো তাহলে সাহসের কি দরকার?

বাংলাদেশের কোটি কোটি লোক অ্যালোপ্যাথ ডাক্তারের কাছে যাওয়ার অর্থনৈতিক সামর্থ্য রাখে না । একজন ডাক্তারের কাছে গেলে উনি যে প্রেসক্রিপশনটা লিখেন , অনেক ক্ষেত্রেই দোকানে নিয়ে গেলে এই প্রেসক্রিপশন হিসেবে ওষুধ কিনতে কয়েকশো থেকে হাজার টাকা লেগে যায়। কয়জন এটা অ্যাফোর্ড করতে পারেন? লক্ষ লক্ষ বললে ভুল হবে , আসলে কোটি কোটি- ঢাকার বাহিরে গ্রাম এলাকায় গেলে দেখবেন, প্রায় সবাইই হোমিওপ্যাথি ওষুধ খায় । অনেকে ভালো হয়ে যায়। অথচ হোমিওপ্যাথি ওষুধে কোন একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট থাকেনা। সব প্লাসিবো? কিছু বিষয় আছে যা এখনো আমাদের বোঝার বাইরে।

আরেকটা মজার বিষয় যোগ করি। আমরা প্যারসিটামল জ্বরের জন্য খাই। এর সাইড এফেক্টগুলোর কয়েকটি নিচে দিলাম। (http://www.drugs.com থেকে যে কোন ওষুধের সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবেন। )



অসাধারণ রেফারেন্স সহ অসাধারণ লেখা।
অনেক প্লাস।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই প্রথম লাইনের জবাবে আমিও মিস করতাছি কি যেন? তবে মনে হয় সেদিন ডোজটা একটু বেশী দিয়া ফালাইছি :)

প্লেসিবো এফেক্ট কিন্তু আমার কাছে বেশ মজার একটা বিষয় মনে হয়েছে, আপনি যদি আক্ষরিক অর্থে না ধরে একটু অন্য ভাবে চিন্তা করেন, দেখেন কোন ওষুধ না খেয়েও অনেকটা স্রেফ মনের জোরে মানুষ ভালো হয়ে যাচ্ছে যেটা হোমিওপ্যাথিতে ঘটছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। এই যে মানসিক শক্তি এটাকে এটাকে আপনি কিভাবে ব্যাখ্যা দেবেন? অথচ চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্লাসিবো এফেক্ট একটা গুরুত্বপূর্ন টার্ম। সেখানে এটাকে ব্যাবহার বা অব্যবহার যেটাই করা হচ্ছে তা নৈতিকতা অনৈতিকতার মোড়কে ঢাকা, কিন্তু যে মানসিক শক্তিতে কিছু রোগী ভালো হয়ে যাচ্ছে তার ব্যাখ্যা বিজ্ঞান দিতে পারছে না। এই মানসিক শক্তি আসলে কি? এ যেন অনেকটা পোষ্ট উল্লেখিত গ্রাভিটেশনাল কনষ্ট্যান্ট এর মত মানে

গবেষকরা হিসাব করে দেখিয়েছেন ঐ গ্রাভিটেশনাল কনষ্ট্যান্ট বা মহাকর্ষীয় ধ্রুবক যদি ১০০,০০০,০০০,০০০,০০০ ভাগের ১ ভাগও বেশী হত এখানকার থেকে তবে মহাকর্ষ বল এত বেশী হত যে বিগ ব্যাং এর পর আস্তে আস্তে গ্যালাক্সি, গ্রহ, নক্ষত্র তৈরীর বদলে সব কিছু আবার দলা পাকিয়ে যেত। তাহলে কোথায় থাকত এই মিল্কি ওয়ে, কোথায় থাকত সৌর মন্ডল, কোথায় থাকত পৃথিবী আর তার মাঝে হেটে বেড়ানো প্রানী!!! কলিনস মনে করেন মহাবিশ্বে জীবের আবির্ভাব ঘটানোর জন্য এই গ্রাভিটেশনাল কনষ্ট্যান্ট এর মান বেধে দিয়েছেন ঈশ্বর।

বিজ্ঞান মহাকর্ষীয় ধ্রুবক আবিস্কার করছে, কিন্তু এই ধ্রুবকটা কেন ১০০% নিখুঁত, বা কে এই নিখুঁত ধ্রুবক বেধে দিয়েছে তার জবাব কিন্তু দিতে পারে নি। তবে আশার কথা এগুলো নিয়ে ভাবার মত মানুষ জ্ঞানী তৈরী হচ্ছে।

লিখছেন অনেক গুলা প্লাস দিছেন, আমি প্লাস চেক করতে গিয়া দেখি মোটে একটা। প্লাসিবো এফেক্ট মনে হয় :(

দারুন এক মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন হাসান ভাই। বাই দ্যা ওয়ে আপনি কি ওষুধ নিয়ে কারবার করেনি, এত নিখুঁত ভাবে কেমনে সব ব্যাখ্যা দিলেন :)

১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন:





২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: ধর্মের রহস্যময়তা খুজতে বিজ্ঞানের কিছু মানুষ আত্ম নিয়োগ করছে তা ধীরে ধীরে হলেও এটাই ভালো লাগছে।

১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন:

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: বলেন কি হাইজেনবার্গ এই কথা বলছে!!!! আসলেই বিজ্ঞান আস্তে আস্তে জ্ঞানের সাগরে ঢুকছে, আর যত ঢুকছে তত.... অশেষ ধন্যবাদ কয়েকটা দারুন উক্তি দেবার জন্য।

১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৫৪

রাফা বলেছেন: ধর্ম আর বিজ্ঞান‘কে মুখোমুখি দাড় করিয়ে তর্ক করে অজ্ঞরা । এই ব্লগে তার প্রমাণ অহরহই দএখা যায়। শুধু এই একটা কারনে ঐ সকল ব্লগ অনেকেই এড়িয়ে যায়। অনেকে আবার যে বিষয় নিয়ে পোষ্ট দেয় সেটা সম্পর্কে ন্যুনতম ধারনাও রাখেনা।হুজুগে মেতে উঠাই তাদের কাজ।

আমার ধারনার সাথে অনেকটাই মিল পেলাম লেখাটায়।ধন্যবাদ,শে.শায়রী।✅

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: কাঠ মোল্লাদের অজ্ঞতা যেমন ধর্মে তেমনি বিজ্ঞান যেন তথাকথিত নাস্তিকদের নিজস্ব সম্পত্তি।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ ধন্যবাদ ব্রাদার।

২০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শরীরের উপর মনের প্রভাব বিজ্ঞান স্বীকার করে। তাই ধর্ম পালনের কারনে শরীরে ইতিবাচক প্রভাব পরে ফলে পরক্ষভাবে ধর্ম পালন রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।

আমি আমার ধর্মের কথা শুধু বলি, কারণ অন্য ধর্ম সম্পর্কে আমার জ্ঞান নাই;

ইসলাম ধর্মে রোগ হলে নিয়ম হোল প্রথমে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এবং এর সাথে আল্লাহর সাহায্য চাইতে। আল্লাহ্‌ এই বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন এটা যে বিশ্বাস করে তার জন্য আল্লাহর দয়ায় রোগ নিরাময় এটা নিয়ে কোনও প্রশ্নই তার মনে জাগে না। আল্লাহ্‌ যদি রোগ নিরাময় না করতে পারেন তবে তিনি কিভাবে এই বিশ্ব সৃষ্টি করলেন? ফলে যদি কেউ বলে ধর্ম রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করে না তবে ধর্মের এবং আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকার করা হয়। আল্লাহ্‌ শুধু রোগ নয় যেকোনো সমস্যার সমাধান দিতে পারেন। সমস্যা হোল অনেক বিজ্ঞানী আস্তিক আর অনেক বিজ্ঞানী নাস্তিক। ইসলাম ধর্ম কখনও বিজ্ঞানের প্রতিপক্ষ না। ইসলামে জ্ঞান চর্চার উপর জোর দেয়া হয়েছে। প্রকৃত ইসলামে অবৈজ্ঞানিক কিছু নাই। বিজ্ঞানের অনেক আবিষ্কার অনেক সময় সংশোধন হয় তাই কোনও কিছু আপাতদৃষ্টিতে বিজ্ঞান বিরোধী মনে হলেই ধর্মের উপর আক্রমন করা উচিত নয়।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৭

শের শায়রী বলেছেন: সব থেকে দুঃখ জনক ব্যাপার কি জানেন? কিছু স্বল্প জ্ঞানী গোড়া কাঠ মোল্লাদের রেফারেন্স টেনে কিছু অবিশ্বাসী বা সো কল্ড মুক্তমনা পুরা ধর্মকে আক্রমন করে বসে। অথচ এরা নাকি মুক্ত মনা।

দারুন এক মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ জানবেন।

২১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫০

বিড়ি বলেছেন: ধর্মের যে সমস্যা (সময়ের সাথে সাথে পরিতবর্তিত না হয়ে অনড় থাকতে চায় , নাস্তিকবাদের মধ্যে ও সেই সমস্যা দেখা যাচ্ছে , সন্দেহবাদী আর নাস্তিক্যবাদ তো এক জিনিস হতে পারে না)। প্রতিটা ধর্মই তার নিজের বিশ্বাসীদের সন্তুষ্টি আনতে চেয়েছে হয়তো বিজ্ঞানের থেকে ধর্ম পিছিয়ে আছে কারন ধর্ম যুগে যুগে নতুন ধারনার চর্চায় নিরুৎসাহিত করেছে। যে যাই হোক নাস্তিক , ধার্মিক বা সন্দেহবাদী আমাদের খোলা মন মানসিকতা আর অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ছাড়া আমারা বেশি দূর আগাতে পারবো না। আশা করি কোন এক সময় ধর্ম আর বিজ্ঞান এক হয়ে মানব জাতির কল্যানে কাজ করবে।
*আপনার লেখা থেকে কয়েকটা দারুন বইয়ের খোঁজ পেলাম সময় সুযোগ হলে পড়ে দেখবো । ধন্যবাদ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২০

শের শায়রী বলেছেন: ধর্মের সব থেকে বড় বাধাটা আমি যা অনুভব করছি তা হল ধর্ম শুরু থেকেই ধর্মীয় প্রভাবশালীদের সুবিধা আদায়ের হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহার হয়েছে যার কারনে এক শ্রেনীর মানুষের ঘৃনার উদ্রেক করছে এবং ধর্মকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে গেছে।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন। আমি নিজেও সব পড়তে পারিনি। তবে পড়ব।

২২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট।
যুক্তি পাল্টা যুক্তিতে পরিপূর্ণ।
বিজ্ঞানীদের ঈশ্বরভক্তি প্রসঙ্গে ফ্রান্সিস কলিন্স ও পদার্থবিদ জন পোলিংকর্নের প্রসঙ্গে আমার জানা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক প্রফেসরকে দেখেছি অনুকুল ঠাকুরের অসম্ভব ভক্ত। সন্ন্যাসীদের মত বড় বড় চুল দাড়ি রেখে উনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন। শ্রেণিকক্ষের বাইরে ছাত্রদের সঙ্গে উনি ধর্ম আলোচনা করতেন।‌

সুন্দর তথ্যপূর্ণ বিষয়ভিত্তিক পোস্টে ভালোলাগা।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৭

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় ভাই।

২৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

নাসরীন খান বলেছেন: ।
সুন্দর বিশ্লেষন করেছেন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৮

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ধর্ম হলো বিশ্বাস। '
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু। তর্কে বহু দূর।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৮

শের শায়রী বলেছেন: কোন সন্দেহ নেই ভাই।

২৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

অক্পটে বলেছেন: হোক না লেখা বড়। যদি অধৈর্য্য হবার বালাই না থাকে তবে বড়ই হোক। এত সুন্দর বিশ্লেষণ ব্লগে ত আর কেউ করেনা। আপনার লেখার ধরণ সত্যি অসাধারণ! জটিল বিষয়কে সহজ করে বলার আপনার যে মোহময় ক্ষমতা তা অত্যন্ত চমতকার। কি বলব অবাক হয়ে যেতে হয়।

কেমন আছেন জানাবেন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৭

শের শায়রী বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, আপনি ভালো আছেন তো? যেভাবে আপনি বলছেন আমি জানি না আমি তার যোগ্য কিনা, তারপরো এই ভালোবাসা দুহাতে তুলে নিলাম।

অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

কানিজ রিনা বলেছেন: জ্ঞানের পরিধি বেশী থাকা মানুষ গুল প্রজ্ঞাবান
হয়, আস্তিক হোক আর নাস্তিক হোক।
প্রজ্ঞাবান মানুষ কখনও তর্কে জড়ায় না সুন্দর
করে বুঝাতে বা বুঝতে সক্ষমতা অর্জন করেন।

কম বুঝে যেজন তর্কে জড়ায় সেজন।
আমি খুব অল্প বুঝি তবুও বুঝানোর চেষ্টা
করি। ধরুন আমার সন্তান আমার উদরে
বড় হচ্ছে আমি তা দেখতে পাইনা এই সিষ্টেম
কেন? আমার পশ্ন সেখানেই। একটা কলা
আপেল আম লিচু কাঁঠাল খেয়ে বুঝি সব
ফলের টেষ্ট আলাদা আলাদা কেন? প্রকৃতির
কি দায় পড়েছে আলাদা স্বাদ গন্ধ দিয়ে
মানুষকে সেবা করার। তখনই ভাবনা আসে
কে সেই শ্রষ্টা।
একজন বিজ্ঞানী সেখানেই অক্ষম একটা বেদানা
ভেঙে বা একটা ফুল ছিরে আগের মত জোড়া
লাগাতে পারেন না। এই অক্ষমতায় জ্ঞানীরা
প্রজ্ঞাবান হয়।
আমি যখন একটা জীবন্ত পিঁপড়াও বানাতে
পাড়বনা তা নিয়ে তর্ক করাটা অজ্ঞতা।
সব সময় ভাবি মানুষ কত ক্ষদ্র মহাবিশ্বের
সকল গ্রহ নক্ষত্রের লক্ষ লক্ষ গ্যালাস্কীর
মধ্যে পৃথিবীটা একটা পানির বিন্দুর মত
তাহলে আমি কত ছোট। এই চিন্তা যে কেউ
করলেই সৃষ্ট কর্তাকে বিশ্বাস করা সাভাবিক।
ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টের জন্য।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ বোন সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য। আসলে অন্ধ ধর্মচিন্তা না, মুক্ত ধর্মচিন্তাই সত্যিকার ধার্মিকের লক্ষন। আশার ব্যাপার এই বিষয়টি আস্তে আস্তে ভালোভাবেই অনেকে প্রাকটিস করছে।

আবারো অশেষ ধন্যবাদ দারুন এক মন্তব্যে।

২৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর বিশ্লেষণ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৪

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা মাইদুল ভাই।

২৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ম্যা’ভাই! দারুন তথ্যবহুল পোষ্টের জন্য :)

সত্যি বলতে কি অজ্ঞতার চেয়ে বড় পাপ আর কিছু নেই।
ধার্মিকেরা না পড়ে নিজ গ্রন্থ, না অনুভব করে, শুধু শোনা আচার, উপাসনায় লিপ্ত থেকেই ধর্মকে পেছনে হাটায়! আর
অধার্মিকেরা তো শত কাঠি সরেস! যাদের কথা কোরআনে বারবার উল্লেখ এসেছে- তারা যে বস্তুগত প্রমাণ বা দর্শন চায়, চেয়েছে তা শত হাজার বার তাদের আবদারের মূখে পূর্ববর্তী নবী রাসুলগণ দেখিয়েছেন। কিন্তু তারা? দেখার পরই বলেছে -দেখলাম কিন্তু মানলাম না। কিংবা আরেহ এতো বিরাট যাদুকর!

তাই তাতে প্রকৃত বিশ্বাসীর পেরেশানির কিছু নেই। তাদের অবসর দিন। বিশ্বাসীরা্ও অবসরে থাক- পরিণতি একসশয় দৃশ্যমান বাস্তব হয়েই ধরা দেবে।
সবচে দু:খের, যে গ্রন্থ বারবার বলছে - এ সেই বিজ্ঞানময় গ্রন্থ আল কোরআন, এ গ্রন্থ তাদের জণ্য যারা জ্ঞানী
সেই গ্রন্থের পাঠকরো উপলদ্ধির বদলে নেকির গণনায় জীবন পার করছে। যে সর্বনাশের মূলে ছিল অতীতের লোভী দু:শ্চরিত্র শাসকগণ, যারা ইসলামের বৃহত জনমতের রায়কে ক্ষমতা, দম্ভ এবং কৌশলে এড়িয়ে যেতে চেয়েছে। পরবর্তীতে তাই অন্ধ অনুসরনে উপাসনায় বদলে গেছে।

যাকগে। অনেকে মনে করে বিশ্বাস বুঝি কোন অলিক ধারনা। অথচ তারা নিজেরা্ও সেই বিশ্বাসেই জীবন যাপন করে।
দোকনে গিয়ে যে কোন পণ্য কিনে নিশ্চিন্তে খেতে শুরু করে কোন ল্যাবে টেষ্ট না করেই। এটা্ও কি বিশ্বাস নয়?
ধর্মীয় বিশ্বাসের পেছনেও এমন শতধা যৌক্তি কারণ এবং যুক্তি বর্তমান যা তারা হয়তো প্রকাশ করতে পারে না কিন্তু অনুভব করে। তাই তা আক্ষরিক বর্ণনায় দৃশ্যমান নয়।

যে জন্য দেখি মোহাম্মদ সাল্লে আলার কাছে কোরআন আসার আগে সামাজিক জীবনে উনার বিশ্বাসকে কত তীব্র ভাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। উনি আল আমিন বা সত্যবাদী। তিনি জীবনে কখনো মিথ্যে বলেন নি। দীর্ঘ ৪০ বৎসর শুধু নয় ইসলাম প্রচার শুরু পরো শত্রু পক্ষ্ও কিন্তু সেই বিশ্বাস হারান নি। নিশ্চিন্তে মূল্যবান ধন সম্পদ উনার কাছেই গচ্ছিত রেখে উনার বিরুদ্ধেই যুদ্ধে যেতেন। বিশ্বাস ছিল- মোহাম্মদ কখনো কথার বরখেলাপ করেন না।

সেই সত্যবাদীই যখন বস্তুবাদের অসারতার কথা বলে আত্মসমর্পনের (ইসলাম) দিকে আহবান করলেন তারা শত্রু হয়ে গেল।
অসীম ভোগ এবং পূজিবাদী ব্যবস্থার বদলে যখন ভাব এবং ত্যাগের আহবান করলেন -তারা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলো।
যুগে যুগে ধর্ম এই সত্যকেই প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে। তাই সব সময় বিত্তশালীগণ, ভোগবাদীরা, পূজিবাদীরা, শাসক শ্রেনীরা ধর্মের শত্রু হয়েছে। তাদের একচ্ছত্র ভোগ বিলাস এবং স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ হয়ে মানুষের মাঝে ন্যায় সাম্য এবং নৈতিকতা প্রতিস্ঠিত হলে যে তাদের বড্ড ক্ষতি। তাই তারা মানুষকে বস্তুগত লোভ মোহ আর লালসা দিয়ে নবী রাসুল তথা ধর্মের বিরুদ্ধে দাড় করিয়েছে। সেই অতীত থেকে আজ অব্দি একই ফ্রেম যেন।

সরি বড্ড বেশি বড় হয়ে গেল। আসলে সত্য নিয়ে বলতে গেলে অনেক কথাই প্রাসঙ্গিকতায় চলে আসেতা, তাই।

আপনার শেষ কথায় সতমত। কোরআন্ও বারবার তাই বলেই শেষ করেছে- ওদের অবাধ্যতায় ছেড়ে দা্ও। একসময় তারা আমার কছে ফিরবেই, তখন আফসোস করবে। প্রার্থনা করবে আবার আমাদের পাঠাও আমরা বিশ্বাসীদের অর্ন্তভূক্ত হবো। কিন্তু সে সুযোগ তারা পাবেনা। তাদের আল্লাহ দুনিয়াতে কিছুদিনের অবসর দিয়েছেন। তাদের ভ্রান্তি তাদের আরো গভীর ভ্রান্তিতে টেনে নেয়।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫০

শের শায়রী বলেছেন: ম্যা'ভাই এমন একটা মন্তব্যের পর আর খুব বেশী কিছু বলা মানে অর্থহীন কথাবার্তা। তাই আপনার মন্তব্যের শেষ প্যারার উদ্ধৃতি দিয়ে ভালোলাগা জানাতে চাইঃ

কোরআন্ও বারবার তাই বলেই শেষ করেছে- ওদের অবাধ্যতায় ছেড়ে দা্ও। একসময় তারা আমার কছে ফিরবেই, তখন আফসোস করবে। প্রার্থনা করবে আবার আমাদের পাঠাও আমরা বিশ্বাসীদের অর্ন্তভূক্ত হবো। কিন্তু সে সুযোগ তারা পাবেনা। তাদের আল্লাহ দুনিয়াতে কিছুদিনের অবসর দিয়েছেন। তাদের ভ্রান্তি তাদের আরো গভীর ভ্রান্তিতে টেনে নেয়।

অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন ম্যা'ভাই

২৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: কেউ আমাকে বুঝলো না !
পোড়া কপাল আমার !

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: বাজীব ভাই, এ আমার একান্ত ব্যাক্তিগত সীমাবদ্ধতা আপনাকে না বুজতে পারা। আশা করি আমার এই সীমাবদ্ধতা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

৩০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট, অসাধারণ মন্তব্য এবং অসাধারণ প্রতি-মন্তব্য। মা.হাসানের কমেন্টে প্লাস। পোস্টের সারমর্ম আসলে আপনার এই প্যারায় :

কাঠ মোল্লার ধর্ম যেমন ধর্মকে রিপ্রেজেন্ট করে না, তেমনি দুই লাইন ডারউইন পরে ধর্মকে অবজ্ঞা করার মধ্যে বিজয় নিহিত না, নিজের জ্ঞানের পরিধিকে বিস্তৃত করে ভাবনার রাজ্যকে মুক্ত করে ভাবনার মধ্যেই সমস্যার সমাধান। হয়ত সেটা আসতে আরো অনেক সময় লাগবে, লাগুক না অসুবিধা কি আমার ভাবনায়?


এক গাঁজাখোরের গাঁজা শেষ হইয়া গেছে। সেই গাঁজার জন্য পাগল হইয়া গেছে, কিন্তু কোথাও পাচ্ছে না। তার গাঁজার কৌটা ভালো কইরা কাইচ্চা-কুইচ্চা একটা দানার মতো পাইল। ঐটা দু আঙ্গুল দিয়া উপরে তুলে মুখে ছাড়লো, এক গ্লাস পানির সাথে ঢোক ঢোক করে গিলে ফেলে বললো- আহ, শান্তি। সে ছিল দাঁড়িঅলা। বিকেলের দিকে আয়নার সামনে দাঁড়াইছে। দাড়ির মধ্যে বাদামী রঙের একটা কী যেন দেখা যায়। ঐটা হাতে নিয়া দেখে, ওস্তাদের সেই গাঁজার দানাটা মুখে যায় নাই, দাঁড়িতে পড়ে আটকে আছে। অথচ, গাঁজা খাইয়াম কিন্তু তার শান্তি হইয়া গেছে। যাই হোক, এইটা গল্প। শুনেছ আজ থেকে আরো ৪০ বছর আগে।

সত্য ঘটনা হলো গ্রামে এক ফকির ছিল। যারই অসুখ হয়, সেই দৌড়াইয়া যায় তার কাছে। বাবা রোগীর গায়ে মাথায় ফুঁ দিয়া দেয়, রোগী ভালো হইয়া য্য। আরেকজন ছিল, যেই আসতো, আবোল-তাবোল লতাপাতা বাইট্টা ওষুধ বানাইয়া দিত। এগুলো খাওয়া রোগ ভালো হইয়া যাইত।

এই যে গল্পগুলো বললাম- এগুলোও বিশ্বাস। দেখেন, বিশ্বাস কিন্তু শুধু ধর্মীয় বিশ্বাসকেই বোঝায় না।

বায়ার্ড এবং বেনসনের সমীক্ষার ৫২% আর ৫১% এর ব্যাপারটা আমার কাছে দুর্বল সমীক্ষা মনে হয়। এই ফলগুলো স্রেফ কো-ইন্সিডেন্টাল বলে মনে হয়। কারণ, এমন সমীক্ষা আর কেউ করেছেন কিনা, তার ফলাফলের সাথে এর সাদৃশ্য বৈসাদৃশ্য কতখানি, তা জানা গেলে বায়ার্ড বেনসনের সমীক্ষা কিছুটা মূল্য পাবে।

সাধারণ ভাবে, মানুষের মনের অবস্থাটা শরীরের উপর খুব প্রভাব ফেলে। আপনি অশান্তিতে থাকলে কোনো কাজে মন বসবে না, খেতে পারবেন না। শরীর ক্ষয় হবে। মন ভালো থাকলে মেজাজ ফুরফুরে থাকবে, স্নায়ুর উপর কোনো নেগেটিভ প্রেশার পড়বে না, কাজেই আপনি সুস্থ ও সবল থাকবেন। ধর্ম হলো শেষ পর্যন্ত বিশ্বাসীদের আস্থার স্থল। যেদিন নামাজ কাজা হয়ে যায়, মন অস্থির হয়ে ওঠে। এশার নামাজ শেষ হওয়ার পরই মনে হয়, আলহামদুলিল্লাহ, আজকের ডিউটি শেষ করলাম। মনে পবিত্র ভাব থাকে। এতে আমার মস্তিস্ক থাকে সজীব (টেকনিক্যাল টার্ম আপনিই বলে দিন)। আমার শরীরে রোগ থাকলেও শান্ত মেজাজের কারণে আমি আরাম বোধ করি। নাস্তিকদের এই সুবিধাটা নাই, এই কারনে মানসিকভাবেই তারা অসুস্থ থাকেন, যার প্রভাব পড়ে শরীরে।

কী লিখলাম, চেক করার সময় পাই নাই। বুঝে নিয়েন।

কিন্তু অনেকদিন ধরেই যে প্রশ্নটা করি করি করেও করা হয় নি, সেটা আজ করি। আপনার পোস্টগুলো খুব তথ্যসমৃদ্ধ, উন্নত ও গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণা সাপেক্ষ পোস্ট এগুলো। প্রশ্ন হলো, এগুলো কি আপনার রিসেন্ট লেখা, নাকি আগে লিখে রেখেছিলেন। রিসেন্ট হলে, এত অল্প সময়ে পোস্ট লেখাটা সত্যি দারুণ কৃতিত্বের কাজ।

আবারও বলছি- অসাধারণ পোস্ট ও কমেন্ট গুলো।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৯

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আপনার মত একজন সিনিয়র ব্লগারের প্রশংসায়। যদিও এমন প্রশংসার যোগ্য আমি কিনা তা নিয়ে আমার নিজের মাঝেই সংশয় আছে।

আসলেই বিশ্বাস ব্যাপারটা যে শুধু ধর্মীয় এমন না কিন্তু। যে কোন বিশ্বাসই অনেক বড় ব্যাপার। যেমন দেখুন বিশ্বাস হতে পারে সেটা স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে, হতে পারে সেটা আপনার দেশের প্রতি বিশ্বাস, এটা কিন্তু অত্যন্ত জরুরী এবং সে বিশ্বাসের জন্যই কিন্তু দাম্পত্য সম্পর্কের মত এক অদেখা সম্পর্ক দুনিয়াতে টিকে আছে। আপনি যদি একটু গভীর ভাবে ভাবেন দেখবেন সারা দুনিয়ায় কি এক অদৃশ্য রসায়নের ওপর বিশ্বাস করে বিলিয়ন বিলিয়ন সম্পর্ক টিকে আছে। এটাকে কেউ অস্বীকার করে না, কিন্তু যখনি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসের ব্যাপার চলে আসে তখনি সেটা হয়ে যায় কুসংস্কার!

আবার দেখুন আর একটা ব্যাপার যেটাকে আমরা সাধনা বা প্রাকটিস নামে অভিহিত করি, সেখানেও অবিশ্বাসীদের কত দ্বৈত ভুমিকা। একটু উদাহরন দিলেই বোঝা যাবে।

বিজ্ঞানীদের দিকে তাকান, দুনিয়ায় শত শত বিজ্ঞানী আছে যারা তাদের আবিস্কার দিয়ে বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে যায়, এদের সংখ্যাও কয়েকশত হবে, আবার এদের মাঝে নিউটন, আইনষ্টাইন বা হালের হকিন্স এরা আবার সেরাদের মাঝে সেরা, চেষ্টা করলে কেউ কেউ বিজ্ঞানী হতে পারে, কিন্তু শত শত চেষ্টা করলেও একজন নিউটন বা আইনষ্টাইন হওয়া সম্ভব না, কেন? কারন এরা জন্মগত ভাবেই অসাধারন মেধার অধিকারী যাকে আমরা গড গিফটেড বলতে পারি, হয়ত ছোট বেলায় এর কোন বিকাশ ঘটে না (এর উদাহরন ভুরি ভুরি আছে) কিন্তু কোন এক প্রেক্ষিতে বা একটা বয়সে এটা বিকাশ লাভ করে।

কবি বা লেখক আছে হাজার হাজার, চেষ্টা করলে অনেকেই লিখতে পারবে বা কবিতা বানাতে পারবে, যদি দিনের পর দিন প্রাকটিস করে তবে হাজার জনের মাঝে নিজেকে আলাদা চেনাতেও পারবে এনিয়ে কারো কোন সন্দেহ আছে নাকি? অবশ্যই নাই। কিন্তু কয়জন রবীন্দ্রনাথ, চসার, মঁপাসা বা টলষ্টয় হতে পারবে? একজনও না, কারন ওই একই। কারন এরা জন্মগতভাবে এই ব্যাপারে প্রতিভার অধিকারী। সেই সাথে আছে এদের নিরলস সাধনা বা পরিশ্রম।

এইবার আমি এর সাথে এমন একটা ব্যাপার তুলে আনব যা আনলেই অনেকে নাক সিটকাবেন, এতক্ষন যারা আমার ওপরের লেখার সাথে এক মত পোষন করছেন তাদের কেউ কেউ এইবার আমাকে বলবেন অযৌক্তিক, গেয়ো, মুর্খ, অথচ সবাই আমার ওপরের লেখার সাথে এক মত হয়েছেন।

ধর্মও হল একটা প্র্যাকটিস বা সাধনার ব্যাপার, নিত্য ধর্ম পালন সেতো প্রায় সবাই ই করেন (অল্প কিছু অবিশ্বাসী বাদে)। নামায, পুজা, প্রার্থনা বা যার যে বিধান তা কিন্তু পালন করে যাচ্ছেন ওই পরীক্ষার পড়া, পড়ার মত করে। কেউ কেউ সম্পুর্ন, কেউ কেউ আংশিক। কিন্তু করছেন অনেকেই। কিন্তু খুব সামান্য সংখ্যক মানুষ আছেন যারা ধর্মটাকে নেন সাকিব, মুশফিকদের মত নিরলস বছরের পর বছর একটা নির্দিষ্ট সাধনার মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্তরে নিতে যার ফলশ্রুতিতে তাদের বিভিন্ন কাজ আমাদের চোখে ধাঁধা বা বিভ্রমের সৃষ্টি করে। যারা নিতে পারেন তারা যে আর দশ জন স্বাভাবিক ধার্মিকের থেকে আলাদা হবেন এতে অবাক হবার কিছু নেই।

আবার এই সব ধার্মিকের মাঝে কিছু কিছু আছেন যারা জন্মের সময়ই শচীন, লারা বা নিউটন, আইনষ্টাইনের মত গড গিফটেড কিছু একটা নিয়ে জন্ম গ্রহন করেন, যারা তাদের সেই গড গিফটেড ব্যাপারটা নির্দিষ্ট সাধনা বা প্রাকটিসের মাধ্যমে এমন একটা অনন্য পর্যায়ে নিয়ে যায়, যার বাহ্যিক দৃষ্টিভঙ্গিতে মনে হয় অলৌকিক। এই অলৌকিকত্বে মাঝে আমার কাছে অবাক হবার মত কিছু নাই যদি না আমি লারা, শচীন বা নিউটনকে নিয়ে অবাক না হই।

রবীন্দ্রনাথ, নিউটন বা শচীনের কাজ দেখে যদি আপনি বিস্ময়াভুত হন তবে একজন জন্মগত ধার্মিক প্রতিভার অধিকারী যে কিনা নির্দিষ্ট সাধনার মাধ্যমে কিছু অদ্ভুত কাজ আপনাকে দেখায় (যদিও এই জাতের বিরল মানুষ গুলো সজ্ঞানে এই গুলা দেখায় না) তবে কেন অবাক হবেন? আপনি গান, খেলা, বিজ্ঞানে বিরল প্রতিভার স্বীকৃতি দিতে কুন্ঠা বোধ করেন না, কিন্তু বিরল ধর্ম জ্ঞানের অধিকারী (যারা অতী্তে ছিলেন এখন আছেন কিনা জানি না) তাদের প্রতিভার স্বীকৃতি দিতে নিজেকে গুটিয়ে নেন, কত বড় হিপোক্রেসী এক বারো কি ভেবেছেন? আপনি কি বক ধার্মিকদের দেখে ধর্মকে বিচার করেন? তবে আপনাকে ক্রিকেটের রহিম, গানের রাম বা বিজ্ঞানের যদুকে কে দিয়ে সেগুলো বিচার করার নামান্তর মাত্র।

অনেকেই বার্তা বা ওহী পাওয়াকে ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখা বা আনকনসাসে কিছু একটা পাওয়াকে মনে করেন, আসলে ব্যাপারটা এক না কারন বার্তা বা ওহীর ব্যাপারটা ভিন্ন, এখানে তারা যা লাভ করত সেখানে সে সম্পূর্ন সজ্ঞানে থাকত। (অবশ্য কিছু কিছু ভন্ড আছে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করে, বর্তমান সমাজে এদের প্রচুর দেখা পাবেন সব ধর্মেই)। ওহীর ব্যাপার বাদ দিন, ধর্মের ব্যাপারটা একটা গভীর উপলদ্ধির ব্যাপার। এর মাঝে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ এটাকে সাধনা হিসাবে নেন। আসি মুল ব্যাপারে, ধর্মেও বছরের পর বছর সাধনা করলে এমন কোন পর্যায়ে উত্তীর্ন হওয়া যায় যা সাধারনের কাছে অলৌকিক বা অবোধ্য মনে হবে।

আমি নিজে কোন ধার্মিক কেউ না, পাপ, ক্ষুদ্রতা, ভুল আমার মাঝে অনেক পাবেন, কিন্তু যার যা প্রাপ্য যৌক্তিক তাকে তা দিতে বা বলতে আমার কেন দ্বিধা হবে? যদি হয়ই তবে কিসের যৌক্তিক ভাবনা যা নিয়ে আমি গর্ব করি? ধর্ম নিয়ে নাক সিটকানোর কিছু নেই, কেউ পালন না করে, না করুক কিন্তু যে করে তাকে খাটো করে দেখার মাঝে কোন বিশেষত্ব নেই।

পৃথিবীতে বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ ধর্ম পালন করে নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করে সেখানে গুটি কয়েক খারাপের জন্য পুরা ধর্মকে দোষারোপ করতে হলে আমি বলব বিজ্ঞান ও ঘৃনিত কারন বিজ্ঞানের কারনেই এ্যাটম বোমা আবিস্কার হয়েছে, ক্রিকেট খুব খারাপ কারন অল্প কিছু ক্রিকেটার স্লেজিং এর নাম করে বিপরীত দলের খেলোয়াড়ের মা বউকে গালি দেয়, আর গান সে তো অতি জঘন্য একটা ব্যাপার কারন গানের কলি কিভাবে হয় “যৌবন আমার লাল টমেটো”, আর পড়শুনা ছিঃ ছিঃ কোন ভদ্র মানুষ কিভাবে পড়াশুনা করে যেখানে রসময় গুপ্ত গল্প লেখে!!!

আপনার শেষের প্যারার জবাব দেই সোনাবীজ ভাই, বই পড়া আমার নেশা, এই বই পড়ার নেশা ভয়াবহ, সব মিলিয়ে নিজের কালেকশানে ৪০০০/৫০০০ বই আছে। অন লাইনে বই পড়তে আমি খুব একটা স্বাচ্ছ্বন্দ্য বোধ করি না। এখনো সুযোগ পেলেই বই পড়ি। আর নতুন কিছু না থাকলে আবারো পুরানো বই পড়ি। তবে ইদানিং অন লাইনে পড়ায় আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হচ্ছি, তাই যখন কোন ইন্টারেষ্টেড ব্যাপার পড়ি তখন সে সন্মন্ধ্যে নিজের কালেকশানে যত বই আছে সেগুলো এবং অনলাইনে সার্চ দিয়ে সে ব্যাপারে আরো ইনফরমেশান নিয়ে লিখতে বসি। লিখতে হয়ত ৬/৭ ঘন্টা সময় লাগে, কিন্তু এই সব ব্যাপারে আগে থেকেই কিছু কিছু পড়া আছে। ফাইনালি আমি এগুলো আগে লিখি নি। এগুলো লিখে সাথে সাথে নেট থেকে কিছু ছবি নামিয়ে পোষ্ট দিয়ে ফেলি। আসলে জোড়াতালি দিয়ে একটা কিছু দাড় করানো আর কি।

দুঃখিত প্রতি মন্তব্য অনেক বড় হওয়ায় হয়ত বিরক্ত হয়েছেন, কি করব ভাই, এই সব ব্যাপারে আলোচনার সুযোগ খুব একটা আসে না, তাই সুযোগ পেয়ে কিছু বিরক্ত করলাম। নিজ গুনে মার্জনা করবেন। অশেষ কৃতজ্ঞতা।

৩১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০০

মা.হাসান বলেছেন: বাই দ্যা ওয়ে আপনি কি ওষুধ নিয়ে কারবার করেনি

মাইরের উপরে ওষুধ নাই। এই ওষুধ খায়া এত বড় হলাম। এখন নিয়মিত ভাবে হোম মিনিস্টার ভিটামিন স্বরূপ দেয়। কাজেই বলিতে পারেন কিছু ওষুধের উপরে অভিজ্ঞতা আছে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২০

শের শায়রী বলেছেন: বুজতে পারছি কিছু না ভালোই অভিজ্ঞতা আছে এবং এখনো অভিজ্ঞতা নিয়েই যাচ্ছেন :P

৩২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:১৯

সোহানী বলেছেন: পুরো পোস্ট পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল আমার অনেক দিনের জমানো চিন্তা ভাবনা আপনি কি করে জানলেন।

ধর্ম, বিজ্ঞান, সুস্থতা সবকিছুর সাথেই মনের যোগসাজশ। মনের ক্ষমতা অসীম। যাইহোক এতো জ্ঞনীদের ভীড়ে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান জাহির নাই করি।

ম.হাসান ও সোনাবীজ ভাইয়ের মন্তব্যে সুপার লাইক।

সোনাবীজ ভাইয়ের মতো আমারো প্রশ্ন.... ঘরের কাম কাইজেতো হাত লাগান না তা বুঝবার পারছি বাট কম্পুটার সামনেই খাওয়া দাওয়া কি করেন নাকি তাও করেন না.... :-B :-B .।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: “ঘরের কাম কাইজেতো হাত লাগান না তা বুঝবার পারছি” আপনার মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি, যেদিন বাইরে কাজ না থাকে সেদিন বাদে যেদিন বাসায় থাকি সেদিন সারাক্ষন ব্যাস্ত থাকি..... সকাল ১০/১১ টায় ঘুম থেকে উঠে নিজে নিজে চা নাস্তা খেয়ে, নিজে গোসল করে, নিজের বই পত্র পড়াশুনা, মাঝে সামান্য ঘুম মানে রেষ্ট নিয়ে আবার উঠে......আবার...... সুতারাং আপনার ঘরের কাম কাইজে যে হাত লাগাই না এটা সম্পূর্ন ভুল এবং আমার প্রতি অপবাদ :-<

৩৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার ৩০ নম্বর কমেন্টের আপনার রিপ্লাইয়ে হ্যাটস অফফ করলাম। আপনি মোবাইল এনসাইক্লোপিডিয়া

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫০

শের শায়রী বলেছেন: সোনাবীজ ভাই এই মন্তব্যের প্রতি মন্তব্য দেয়ার যোগ্যতা আমার নেই।

আপনি গানের মানুষ, আপনাকে প্রিয় একটা গান শুনাই এর জবাবে, তার আগে অশেষ কৃতজ্ঞতা



৩৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৯

নাসির ইয়ামান বলেছেন: ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান পঙ্গু, বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অন্ধ!


___________________আইনিস্টাইন

২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:২৩

শের শায়রী বলেছেন: কিন্তু আইনষ্টাইন সে অর্থে বিশ্বাসী ছিল না ভাই, তার বিশ্বাস ছিল ভিন্ন লেভেলে।

৩৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৯

মা.হাসান বলেছেন: ...এবং এখনো অভিজ্ঞতা নিয়েই যাচ্ছেন
তুমভি কাঁঠাল খায়া? :-&

২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:২৪

শের শায়রী বলেছেন: =p~

৩৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:২০

Rajibrpsoft বলেছেন: ভাই তর্ক বারাতে চাই না ....তবে প্রথমে ধন্যবাদ জানাতে চাই যে গবেষনা মানুষের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে তা আপনার লেখনিতে প্রকাশিত...গবেষনা করছেন এই কারনেই এত সুন্দর করে লিখতে পারছেন, আমার মত ক্ষুদ্র মানুষের আপনাকে কিছু বলাটা একদমই উচিত হবে না তাও বলি ..আপনি বলেছেন ধর্ম অবৈজ্ঞানিক ..দুঃখিত মানতে পারলাম না .. রেফারেন্স কোরআন যথেষ্ট ...
আপনি বলেছেন ধর্মের নিরেট কোন প্রমান নেই আবারো বলতে হয় কোরআন যথেষ্ট আপনি আরো বেশ কয়েকটা কথা বলেছেন...

ভাই ডঃ জাকির নায়েক উনি বর্তমান সময়ে অবশ্যই একজন জাননেওয়ালা ব্যক্তিত্ব ...উনার সব ভিডিও গুলা দেখলেও হয়ত আপনি এভাবে বলতেন না ...... তর্ক করতে চাইনি নিজের খারাপ লাগা থেকে বললাম .... আর শেষ কথা না বললেই না আমি আমি আজকে ইউসুফ সুরা পরছিলাম যেখানে ১২ টি গ্রহ ও সূর্য ও চন্দ্রের কথা বলা আছে যা এতদিন পরে এসে বিজ্ঞান ১২টি গ্রহের কথা বলছে ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯

শের শায়রী বলেছেন: ভ্রাতা প্রথমেই ধন্যবাদ আপনাকে পাঠে এবং মন্তব্যে। দ্বিতীয়তঃ আপনি যেটুকু মানতে পারেন নি পোষ্ট পড়ে যা আপনার মন্তব্যে উল্লেখ্য করেছেন ..আপনি বলেছেন ধর্ম অবৈজ্ঞানিক ..দুঃখিত মানতে পারলাম না .. রেফারেন্স কোরআন যথেষ্ট ...
আপনি বলেছেন ধর্মের নিরেট কোন প্রমান নেই আবারো বলতে হয় কোরআন যথেষ্ট আপনি আরো বেশ কয়েকটা কথা বলেছেন...,
আমি দুঃখের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনি সেক্ষেত্রে পোষ্ট পড়ে পোষ্টের মর্ম বুজেন নি। দয়া করে আবারো ভালো ভাবে পড়ুন এবং পোষ্টের মন্তব্যগুলো একবার দেখুন। এর পরো যদি আপনার মনে হয় হয় পোষ্টে উপরের ব্যাপারগুলো নিয়ে আপনার আপত্তি আছে সেক্ষেত্রে আমি আর আপনাকে ব্যাখ্যায় যাব না। আপনাকে আবারো পোষ্ট এবং পোষ্টের অন্যান্য মন্তব্যগুলো দেখার অনুরোধ রইল :)

আর ধর্ম নিয়ে আমার জ্ঞান অতি সামান্য তাই নিজের ব্যাসিক ঠিক করছি ব্রাদার, সেক্ষেত্রে জাকির নায়েক সহ কোন জানেওয়ালা ব্যাক্তির ইউ টিউব বা ওয়াজ আমি শুনি নি। ব্যাসিক ঠিক করে এর পর উনাদের মত জানেওয়ালাদের কাছ থেকে জ্ঞান নেব :) আমার কাছে এখনো পবিত্র কোরান এবং এরপর হাদীস পাঠের অনেক কিছু রয়ে গেছে, সেগুলো দেখছি।

৩৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ভাল একটা লেখা পড়লাম। বিজ্ঞান আর ধর্মের দ্বন্দ্বের মূলে রয়েছে আমাদের অজ্ঞতা।বিজ্ঞান প্রামান সাপেক্ষ কিন্ত এখনো পরিপূর্ণ নয়।অর্থাৎ এই সৃষ্টি জগতের খুব অল্পই আমরা জানতে পেরেছি বিজ্ঞান দিয়ে।আরও অনেক কিছু জানতে বাকি আছে।আর ধর্মগ্রন্থের কথাগুলো খুবই জটিল এবং ডাবল/ ট্রিপল/মাল্টি মিনিং সম্পন্ন।তাই একেক লোক একেক ভাবে এগুলো বোঝে,একেক ভাবে ব্যাখ্যা করে। এই সুযোগে বিজ্ঞান আর ধর্মের দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পায়।অথচ প্রতিদিনের সাধারণ বিষয়গুলোতে বিজ্ঞান চমৎকারভাবে কাজ করে।কেই নিশ্চয়ই লাইট বা ফ্যানের অস্তিত্ব বা কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে না।

আমার স্বল্প জ্ঞানে আমি দেখেছি বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের সবচেয়ে বেশি দ্বন্দ্ব জেনেসিস অর্থাৎ সৃষ্টির শুরু নিয়ে।বিজ্ঞান এখনো জেনেসিসকে ব্যাখ্যা করার মত সমৃদ্ধ হয়নি।যখন হবে তখন নিশ্চয়ই এই দ্বন্দ্বের অবসান হবে। তবে সৃষ্টি জগতের কোনো বিষয়ে গবেষনা করতে গেলে এর জটিল ও সুশৃঙ্খল বিন্যাস দেখে অবাক হতে হয়।অনেকেই হয়েছেন।এই পৃথিবীর সবকিছু এত নিখুঁতভাবে চলছে---এতগুলো কাকতালীয় ব্যাপার একবারে ঘটতে পারেনা এটুকু যার মিনিমাম বুদ্ধি আছে সে বুঝতে পারবে।বিজ্ঞান এতটা উন্নত হয়নি যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমান করতে পারবে।তাই অনেকে হয়তো ভাবে নাস্তিক হয়ে খোদাকে অস্বীকার করলে এই জটিল প্রশ্নের উত্তর দেয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


শুনেছি বাইরে নাকি দোয়া এবং মেডিটেশনের সাথে হিলিং পাওয়ার নিয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে।এটাও নাকি প্রমাণিত হয়েছে যে দোয়া রোগ প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।বিশ্বাস একটা অদ্ভুত জিনিস।এর শক্তি অসীম।মানব মস্তিষ্ক সৃষ্টি জগতের একটা মিরাকল।এর পুরো ক্ষমতা আমরা জানিনা।ঈশ্বরে আস্থার সাথে আরো অনেক কিছু জড়িত থাকে।ব্রেনে এর একটা পজিটিভ ইফেক্ট থাকতে বাধ্য। হয়ত একদিন অনেক প্রশ্নেরই উত্তর মিলবে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই দারুন একটা মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন। হ্যা পশ্চিমি দুনিয়ায় হিলিং পাওয়ার, ই এস পি, ধ্যান এই সব এর ওপর বৈজ্ঞানিক রিসার্চ শুরু হয়েছে। নোয়েটিক সায়েন্সঃ বিজ্ঞান এবং অবিজ্ঞান যেখানে এক বিন্দুতে এই লেখাতে তার কিছু বর্ননা দিয়েছি।

৩৮| ০২ রা মে, ২০২০ সকাল ৭:৫৩

জাফরুল মবীন বলেছেন: ভাই শের শায়রী রোগির হিস্ট্রি নেওয়ার সময় তার ধর্মীয় বিশ্বাস অর্থাৎ তিনি কোন ধর্মাবলম্বী সেটা জানা হিস্ট্রি নেওয়ার একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ।কারণ অনেক রোগই ধর্মীয় বিধিবিধান পালনের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।যেমন যারা খৎনা করায় তাদের পেনিসে ক্যান্সার তুলনামূলক কম হয় যারা করায় না তাদের তুলনায়। Male circumcision and penile cancer: a systematic review and meta-analysis । আবার নিয়মিত হাঁটু গেঁড়ে কাজ করলে হাঁটুর জয়েন্টের সামনে থাকা তরল ভর্তি কুশন বা 'বার্সা' প্রদাহ হয়ে ফুলে যেতে পারে। এ কাজটা ধর্মযাজকরা করে থাকেন বলে এ উপসর্গটির নামই হলো 'ক্লারজি মেন্স নি' বা 'ধর্মযাজকের হাঁটু'। আবার হয়ত রোগিকে গরুর মাংস একটু বেশি খেতে বললাম;এখন সে যদি হিন্দু হয় তাহলে তো মাইন্ড করবে এবং আমার উপদেশও মানা সম্ভব হবে না।আবার এমনও ধর্ম আছে যারা প্রাণী হত্যা পাপ মনে করে; এক্ষেত্রে রোগিকে খাওয়ার ব্যাপারে উপদেশ দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হয়।আবার মানসিক রোগের ক্ষেত্রে বিষয়টা আরও জটিল।কোনটা ধর্মীয় বিশ্বাস আর কোনটা রোগের উপসর্গ সেটাও নির্ণয় করা ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে। এছাড়াও কাঁচা না পাকা পায়খানা ব্যবহার করে , আর্থিক অবস্থা কেমন ইত্যাদি অনেক আপাত অদ্ভূত বিষয় হিস্ট্রি নেওয়ার সময় জিজ্ঞাসা করা হয় রোগি ম্যানেজমেন্ট এর জন্য। এ বিষয়ে আলোচনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

০২ রা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জাফরুল ভাই, অবশ্যই ধর্মীয় বিশ্বাস অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন রোগ নির্নয়ে কিন্তু ইদানিং এই সায়েন্সটা অনেক ডেভলপ করছে, সেখানে ফিজিক্যাল সিমটমের থেকে মানসিক ব্যাপারটাকে জোর দেয়া হচ্ছে। যেখানে ধর্মীয় ভাবনা একটা প্রভাবক হিসাবে কাজ করে।

আবারো কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই দারুন এক মন্তব্যে।

৩৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৮

ইসিয়াক বলেছেন: কেমন আছেন ভাইজান?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.